× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Warehouse filled potato buyer disappointed farmers in the vacuum
google_news print-icon

গুদাম ভর্তি আলু, ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ কৃষক

গুদাম-ভর্তি-আলু-ক্রেতা-শূন্যতায়-হতাশ-কৃষক

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এবার আশানুরূপ হয়েছে আলুর ফলন। গতবার বাজার চড়া থাকায় চাহিদার চেয়ে আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। কিন্ত কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অনেকটাই হতাশ আলু চাষিরা। দাম না বাড়লে বড় ধরনের লোকশানের আশঙ্কা করছেন তারা। বিশেষ করে উপজেলার ব্রাক, সিদ্দিক ও হিমালয় (কোল্ডস্টোর) আলুর হিমাগারে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুত। কৃষকরা জানায়, উৎপাদন খরচ উঠাতেই তারা উৎকণ্ঠিত। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার আলুর উৎপাদন বেশি থাকায় দাম অনেকটাই কম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন।
উপজেলার নতুন ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক, হিমালয় ও সিদ্দিক এই তিনটি কোল্ডস্টোরে (হিমাগারে) বর্তমানে ১৮ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন খাবার ও বীজ আলু মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনটি হিমাগারের মোট ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি হিমাগারের শেডের মেঝেতে বিছানো শত শত মণ আলু। ভেতরে বস্তায় বস্তায় আলু সংরক্ষিত আছে। নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা পচে যাওয়া আলু আলাদা করে ফেলে দিচ্ছেন। নামমাত্র বিক্রি থাকায় হিমাগার থেকে খুচরা বাজারে আলু যাচ্ছে খুবই কম বলছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
শ্রীরায়ের চর গ্রামের কৃষক সন্তোষ সরকার বলেন, প্রতি বছর ভুট্টা চাষে ভালো লাভ হতো। এবার আলু চাষ করে বিপদ ডেকে এনেছি। উৎপাদনের খরচই তুলতে পারছি না। ফলন ভালো হলেও বিক্রি করতে গেলে মাথায় হাত।
চর চাষি গ্রামের আলু ব্যবসায়ী জামসেদ আলী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, খুচরা বাজারে দাম কিছুটা ভালো হলেও হিমাগারে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। প্রতি কেজি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণে খরচ ২৫-৩০ টাকা, অথচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২-১৩ টাকায়। এতে কেজিপ্রতি ১২-১৫ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
দৌলতপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু হাসান বলেন, আগস্টে কৃষিমন্ত্রণালয় হিমাগার থেকে প্রতি কেজি ২২ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিল এবং সরকার ৫০ হাজার টন আলু কেনার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু বাস্তবে সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে রাখা ৪ হাজার বস্তার মধ্যে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৫০ বস্তা তাও তিনগুণ লোকসানে।
ব্র্যাক কোল্ডস্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর তারেক মাসুদ বলেন, বীজ আলু ছাড়া এখন সব আলু বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের লোকসানের কথা ভেবে আমরা কোল্ডস্টোর ভাড়া কমিয়ে দিয়েছি, তবুও ক্ষতি এড়ানো কঠিন।
দাউদকান্দি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এ বছর আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। তবে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার শিগগিরই সরকারি ক্রয় ও সংরক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে। আশা করছি, কৃষকরা লোকসান থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারবেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Jamuna fertilizer

যমুনা সার কারখানাসহ সরিষাবাড়ীর সড়ক ও বাসাবাড়ীতে জলাবদ্ধতা

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে মানুষ
যমুনা সার কারখানাসহ সরিষাবাড়ীর সড়ক ও বাসাবাড়ীতে জলাবদ্ধতা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় নবনির্মিত তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়কে উঠেছে দুষিত পানি। উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি তিতাশ মোড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। এমনকি সড়কের আশেপাশে থাকা বাসা, বাড়ীতেও ঢুকছে এসব দুষিত ও বিশাক্ত পানি। ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এ এলাকার বসবাসকারী মানুষ।

জানা যায়, সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়কের তারাকান্দি যমুনা সারকারখানা সংলগ্ন তিতাস মোড় এলাকায় নতুন বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এরপর থেকেই যমুনা সারকারখানা কমান্ডিং এরিয়ার ভেতরের পানি, বাহিরের ড্রেনের পানি ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় দুই রাস্তার মাঝে হাটু পানি জমে যায়। ফলে প্রতিদিন এসব দুষিত ও বিষাক্ত পানি আশেপাশের বাড়ীতে ঢুকছে। এতে করে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। অনেকে পানি থেকে নিজের ঘরবাড়ী বাচাতে নতুন রাস্তার উপর দিয়েছেন বাধ। ফলে পানি কোথাও নামতে পারছে না এ কারনেই বাসা বাড়ীতে প্রতিদিন পানি বাড়ছে।

তিতাস মোড় এলাকার ব্যবসায়ী ময়নাল, রোজিনা, শামিম বলেন, এখানে কয়েকমাস ধরে পানি জমে আছে। অনেকের বাড়ীর ভেতরেও এসব পানি হাটু পর্যন্ত জমে আছে। আমারা ব্যবসা করতে পারতেছি না। দোকান ও বাড়ীতে পানি উঠে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় মাটি দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছি। আমাদের কস্ট দেখার কেও নেই।

যমুনা সার কারখানার জিএম (প্রশাসন) মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। আমাদের যমুনার জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য মটর বসিয়ে পানি আমাদের ড্রেনের সাথে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। তাছাড়া এলাকার লোকজন পানি গুলোকে বিলে বা আশেপাশের খোলা জায়গায় নামতে দিচ্ছে না। রাস্তার উপর বাধ দিয়ে পানি আটকে রেখেছে। ফলে পানি গুলো কোথাও নামতে পারছে না। তবে পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Coding will learn the neglected students of Jamuna Char

কোডিং শিখবে যমুনা চরের অবহেলিত শিক্ষার্থীরা

কোডিং শিখবে যমুনা চরের অবহেলিত শিক্ষার্থীরা

হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র অর্থায়নে এবং শিশুদের জন্য কোডিং ক্লাস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ড্রিমার্স একাডেমির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের দুর্গম যমুনা চর শুশুয়া গ্রামের ১১-১৪ বছর বয়সী ২০ জন শিক্ষার্থীকে বছরব্যাপী কোডিং শিখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে শুশুয়ায় একটি কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা হয়েছে, এখানে ১১টি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, আইপিএস, ইন্টারনেট সংযোগসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। ড্রিমার্স একাডেমির প্রশিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

এই উপলক্ষে রবিবার শুশুয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সংলগ্ন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুঞাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান সোহাগ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ড্রিমার্স একাডেমির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলশাদ, এবং শুশুয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোমিনুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দুর্গম যমুনা চরে কোডিং শিখানোর এই প্রকল্প একটি বিশাল অগ্রগতি। এর মাধ্যমে যমুনা চরের অবহেলিত শিক্ষার্থীরা শহরের শিশুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারবে।

হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ’র সিইও মাসুম মাহবুবুর রহমান বলেন, “কোডিং শেখার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল ও কম্পিউটারের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা শিখতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা উন্নত জীবন গড়তে পারবে। ভবিষ্যতেও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চরের যুবকদের দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
More than five hundred houses are devastated in Kishoreganj in tornado

টর্নেডোতে কিশোরগঞ্জে পাঁচ শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত

টর্নেডোতে কিশোরগঞ্জে পাঁচ শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তিনটি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি। অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে গিয়ে রাস্তায় পড়াতে উদ্ধার কাজ করতে উদ্ধারকর্মীরা হিমসিম খাচ্ছে। এতে কমপক্ষে ৩০ আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৮টায় ভারী বৃষ্টির সময় কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনয়নের ৩টি গ্রামে টর্ণেডো আঘাত করে। অসংখ্য গাছ পাকা রাস্তার উপর পরে থাকায় কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মী দুর্গত এলাকায় ঢুকতে পারছে না।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন লিডার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তার উপর পরে থাকা গাছ অপসারণ করা যাচ্ছে না। তারা চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সাহায্য চাচ্ছে কাঠুরিয়াদের এগিয়ে আসার জন্য।

গুরুতর আহত ৫ জন কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। বাকী ২৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেক গবাদী পশু আহত হয়েছে। পশুগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ প্রাণি সম্পদ দপ্তরের একটি টীম কাজ করছে।

কিশোরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ মহসিন বলেন, রাস্তার উপর গাছপালা পড়ে থাকার কারণে আমরা গাড়াগ্রাম ডিসির মোড় পার হয়ে ভীতরে ঢুকতে পারেনি।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান এখনোও হাতে আসেনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrested in the attack on additional police superintendent in Narsingdi

নরসিংদীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

নরসিংদীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

নরসিংদীতে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল পর্যন্ত নরসিংদী মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদী শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকার মাহমুদুর রশিদের ছেলে ফজলুল রশিদ ওরফে আদর (৪০) ও একই এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), শহরের বৌয়াকুর এলাকার শওকত মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২২), শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও এলাকার শামসুল হক খন্দকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৪), সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকার বিরাজ খার ছেলে কুদরত হাসান রবিন (২৩) ও মো. রকিব খাঁ (৩০) এবং ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বালিয়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শান্ত মিয়া (২৩)।

এর আগে শনিবার পৌর এলাকার আরশীনগরে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় রাতেই নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহারে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে আনোয়ার হোসেনের (সদর সার্কেল) নেতৃত্বে একটি টিম সদর উপজেলার বীরপুর এলাকার পুরানপাড়ায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে শহরের আরশীনগর মোড়ে সড়কের মাঝখান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ দুজনকে হাতেনাতে আটক করে। আটকের খবর শুনে তাদের ছাড়িয়ে নিতে ৩০/৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে হুমকি দিতে থাকে। পুলিশ কর্মকর্তা তাদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তারা হামলা চালায় এবং কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীরা দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারী পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Consultation Workshop on Typhoid Vaccination in Gazipur

গাজীপুরে টাইফয়েড ভ্যাক্সিনেশন বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে টাইফয়েড ভ্যাক্সিনেশন বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত

শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে এবং তথ্য অফিস, গাজীপুরের আয়োজনে রোববার গাজীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে টাইফয়েড ভ্যাক্সিনেশনবিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা তথ্য অফিসার শামীমা নাসরিনের সভাপতিত্বে ও সহকারি তথ্য অফিসার নাঈমুল হকের সঞ্চালনায় কনসালটেশন ওয়ার্কশপে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন- গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই শারিরিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। ফলে এ রোগকে চির নির্মূল করার জন্য সরকারিভাবে টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ টিকার মাধ্যমে এক সময় টাইফয়েড অবশ্যই নির্মূল হবে। সে কারণে প্রত্যেক শিশুকে অবশ্যই এ টিকা গ্রহণ করা আবশ্যক। কোন ভাবেই কোন শিশুকে এ টিকা থেকে বাদ পড়া যাবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান বলেন, এ টিকার তেমন ক্ষতিকর কোন দিক নেই। শুধুমাত্র অসুস্থ শিশুদেরকে এ টিকা প্রদানে বিরত থাকতে হবে। আর খালি পেটে এ টিকা নেয়া যাবে না। টিকা প্রদানের বিষয়টি ব্যপক প্রচার-প্রচারণার জন্য তিনি উপস্থিত সাংবাদিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আবেদন জানান।

ওয়ার্কসপে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন- গণযোগাযোগ অধিদপ্তর (প্রশাসন) ঢাকা’র উপ-পরিচালক তারিক মোহাম্মদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ) ইয়াসমিন সাইকা পাশা, গাজীপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন গাজীপুরের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক মুক্ত বলাকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আলমগীর হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের গাজীপুর প্রতিনিধি মো. মুজিবুর রহমান, ৭১ টিভি ও দৈনিক মানব জমিনের গাজীপুর প্রতিনিধি ইকবাল আহমদ সরকার, মাছরাঙ্গা টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি ফারদিন ফেরদৌস, দৈনিক কালের কণ্ঠের গাজীপুর প্রতিনিধি শামীম আহমদ ও সাপ্তাহিক পিলসুজ সম্পাদক আবু হানিফা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh Comedy Club celebrates World Laughter Day

"বিশ্ব হাসি দিবস" উদযাপন করে বাংলাদেশ কমেডি ক্লাব

প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার বিশ্ব হাসি দিবস বা ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে পালন করা হয়। সারা বিশ্বে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বিশ্ব হাসি দিবসের গোড়াপত্তন করে বাংলাদেশ কমেডি ক্লাব। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ কমেডি ক্লাব ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিয়মিত ভাবে পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো এর আয়োজন করা হয়। স্ট্যান্ড আপ কমেডি শো‘তে পারফর্মেন্স করেন আবু হেনা রনি, সাইফুর রহমান সাইফুল, শাওন মজুমদার, মেহেদী তরু, ফজলুল হক সাকি, তারেক মাহামুদ, এমদাদুল হক হৃদয়, হৃদয় আল মিরু, মিজানুর রহমান ঋজু ও শৈলী।

শো এর পূর্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল ফটকের সম্মুখে স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ানরা মিলিত হয়ে বিশ্ব হাসি দিবসের প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে সকলকে বিশ্ব হাসি দিবসের শুভেচ্ছা জানান ও দিনটি উদযাপন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Given human chain and memorandum to demand Madaripur to be kept in Dhaka Division

মাদারীপুরকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মাদারীপুরকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

‘ঢাকা বিভাগ ছাড়ব না অন্য বিভাগে যাবো না’- প্রতিপাদ্যে পালিত হয়েছে মাদারীপুরে এক পদযাত্রা, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ গ্রহন করেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের জেলা শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান ফুকু, জেলা আইনজীবি সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার সংস্থা, আসক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এনসিপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নেয়ামতুল্লাহ, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, কোচ ও মাদারীপুর ক্রিকেট ক্লিনিকের সভাপতি আমির বাবু, মানবাধিকার কর্মী মো. এনায়েত নান্নু সহ অন্যান্য প্রতিনিধি। এসময় মাদারীপুরে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষকেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, মাদারীপুরের মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার, ব্যবসা, বানিজ্য, যোগাযোগ, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রায় সকল কিছুই ঢাকার সাথে আত্মীকভাবে সম্পর্কিত। আমাদের ঢাকা বিভাগ স্বাধীনতার পর থেকেই ছিলো, আছে এবং থাকবে, আমরা এ বিভাগ ছেড়ে অন্য বিভাগে কোনো মতেই যেতে চাই না এবং যাবো না, প্রয়োজনে আমরা এজন্য বৃহৎ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেব, রক্ত দেব, জীবন দেব কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিভাগ ছাড়ব না। আমরা আজ মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে এতদসংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করছি, যাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের মাদারীপুরবাসীর আবেদন ও মনের কথা বুঝতে পারেন, আমাদের মূল্যায়ন করে মাদারীপুর জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখেন। আর তা হলে আমরা মাদারীপুরবাসি ওই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশনসহ আরো বড়-বড় ধরণের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এ সময় জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার অন্যত্র থাকায় তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফাতেমা তন্বী।

মন্তব্য

p
উপরে