এবার পাকিস্তানের আট হাজার মিটার উচ্চতার নাঙ্গা পর্বত আরোহণ করতে চান বলে জানিয়েছেন এভারেস্টজয়ী বাবর আলী। নেপালের মানাসলু জয়ের পর দেশে ফিরে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মানাসলু অভিযানের সঙ্গী তানভীর আহমেদ।
বাবর আলী বলেন, এ বছরে দুইটা আট হাজারি পর্বত হয়ে গেছে। সামনে পরিকল্পনা হচ্ছে ধীরে ধীরে বাকি যে ১০টা আট হাজার মিটার বাকি রয়ে গেছে। আই লাইক টু মুভ টু পাকিস্তান। পাকিস্তানে পাঁচটা আট হাজার মিটার পর্বত আছে। এর মধ্যে আমার স্বপ্নের একটা হলো নাঙ্গা পর্বত। সামনে আমি নাঙ্গা পর্বতের দিকে যেতে চাই।
মানাসলু অভিযানে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাবর বলেন, আমরা পুরো যাত্রাটা উপভোগ করেছি। এটা আমি সবাইকে বলি, পর্বতে অনেকে যেতে চায়। সঠিক প্রস্তুতিত নিয়ে গেলে আপনি উপভোগ করবেন।
তিনি বলেন, মানাসলুতে একটা সুবিধা হয়েছে, আমাকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বহন করতে হয়নি। ৪-৫ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডারটা অতিরিক্ত বহন করতে হচ্ছে না, এটা একটা সুবিধা; কিন্তু প্রত্যেকটা স্টেপ মেকস ইউ ব্রেথলেস। বাতাসের জন্য হাহাকার। সেটা ফিল করেছি।
কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়া মানাসলু আরোহণের কারণ জানতে চাইলে বাবর আলী বলেন, সব সময় দেখে এসেছি পশ্চিমারা সচরাচর এসব পাগলামিগুলো করে থাকে। বাঙালি ঘরকুণো ছিল বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটা ট্যাগ লাগানো থাকে। তিনি বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং ওই মানসিক শক্তি থাকলে এটা সম্ভব। পরের জেনারেশন বা পরের পর্বতারোহীরা আশা করি এই ব্যাপারটা এগিয়ে নিবে। ইতিবাচক মানসিকতার সাথে আমাকে সহযোগিতা করেছে নিয়মানুবর্তিতা।
মানাসলু আরোহণকারী তানভীর আহমেদ বলেন, সবচেয়ে কঠিন হলো উচ্চতা। একটা নির্দিষ্ট উচ্চতার উপরে বিষয়টা ভিন্ন। সেখানকার তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার সাথে শরীরকে অ্যাডজাস্ট করানো এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। ক্যাম্প ১ থেকে ক্যাম্প ২ এবং ক্যাম্প ৩স থেকে ক্যাম্প ৪ এর রাস্তা কঠিন। অনেক বড় উচ্চতা একদিনে আরোহণ করতে হচ্ছে। এটা বেশ কঠিন।
তিনি বলেন. বারবার পর্বতে যাওয়া এবং সেখানে শরীর কেমন আচরণ করছে। এটার সাথে মানিয়ে নেয়া। কোনো ঘাটতি আছে কি না, সে অনুসারে অনুশীলন করা। একেক জনের শরীর একেক রকম। তাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ‘সামুদা’ এর চিফ বিজনেস অফিসার বিকাশ কান্তি দাস এবং ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা আশরাফুল আরেফীন আসিফ।
গত ২৬ অক্টোবর ভোরে নেপালের মানাসলু পর্বতে আরোহণ করেন দুই বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী এবং তানভীর আহমেদ।
গরিব, অসহায় ও দুস্থ নারীদের সহায়তার জন্য সরকারিভাবে চাল বরাদ্দের ভিডব্লিউবি (পূর্বে ভিজিডি) কর্মসূচি। প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার এই কর্মসূচি দরিদ্র, দুস্থ নারীদের জন্য এক বড় সহায়তা। কিন্তু ভিডব্লিউবি দুস্থদের কার্ড নিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নে এই কর্মসূচির তালিকা ঘিরে উঠেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর শফিকুল ইসলাম বড়তারা ইউনিয়নের প্রতিটি সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে প্রায় ৪৪ হাজার টাকা আদায়ও করেছেন। এসব টাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও প্যানেল চেয়ারম্যান মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।
অভিযোগ উঠেছে, বড়তারা ইউনিয়নের ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নিজের স্ত্রীসহ দুই হালি আত্মীয়ের নাম ঢুকিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কার্ড করে দেয়ার নামে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
তালিকায় দেখা যায়, শফিকুল ইসলামের ভাবি, চাচি, মামি, খালাসহ নিকট আত্মীয়দের নাম ঢুকানো হয়েছে। যাদের কারও জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা পাকা বাড়ি রয়েছে। ফলে প্রকৃত অসহায় নারীরা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
প্রস্তুতকৃত তালিকা যাচাই করে দেখা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের তালিকায় বড়তাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের ৫নং ওয়ার্ডের ৫৩ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচি, মামি ও খালার নাম দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেরই ৬-৮ বিঘা ফসলী জমি, পাকা বাড়ি, পুকুরও আছে। তালিকার ২১২ ক্রমিক নম্বরে স্থান পাওয়া মাফুজা খাতুন ও ২৩০ নং সেলিনা খাতুন তার আপন বড় ভাইয়ের দুই স্ত্রী।
২১০ নাম্বরে খোতেজা সম্পর্কে মামি এবং ২১৪ নাম্বরে রিমা বেগম, ২১৬ নাম্বরে আলেয়া বেগম, ২১৭ নাম্বরে আমেনা বেগম তার সম্পর্কে চাচি। ১৮২ নাম্বরে শেফালী বেগম সম্পর্কে খালা, ১৯১ নাম্বরে রাজিয়া সুলতানা সম্পর্কে ভাবী (চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী)। এসবই তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যনের সাথে যোগসাজস করে করেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
বড়তারা ইউনিয়নের বাঘাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর নুর বলেন, শফিকুল মেম্বার গরীবদের না দিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে কার্ড দিয়েছে। টাকা ছাড়া সে কোনো কাজ করে না। আমরা এর বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপকারভোগী বলেন, আমার কার্ড করার জন্য শফিকুল মেম্বার ৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। না দিলে অন্য কাউকে করে দেবে। পরে দেখি তালিকায় তার আত্মীয়-স্বজনের নামই বেশি।
ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা নাসরিন জাহান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও এক ডাক্তার ভাগ্নির নাম বাদ দেয়া হয়েছে। তাকে অফিসে ডেকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। নতুন করে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তালিকা করেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এবারে তালিকায় আমাদের কোনো হাত নেই।
এ বিষয়ে বড়তারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধিদল।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা প্রবারণা পূর্ণিমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বিহার পরিদর্শনেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এসময় রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধদের শেষকৃত্যের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিষয়টি অবহিত করার পর ১০ দিনের মধ্যে শ্মশানের জন্য স্থান বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে অনন্য।
ঢাকায় বৌদ্ধধর্মের কেউ মারা গেলে শেষকৃত্যের জন্য বহু পথ পারি দিয়ে চট্টগ্রামে যেতে হতো। এখন মৃত্যুর পরে একটা জায়গা হলো।’
বৈঠকে এ বছর কঠিন চীবর দান উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
পাশাপাশি, তীর্থযাত্রার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা, বৌদ্ধ পন্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্করের নামে সরকারিভাবে একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু কল্যাণ জ্যোতি, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মং হলা চিং, সুশীল চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও রাজীব কান্তি বড়ুয়া।
পাশাপাশি ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিল।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশে দূর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, অসুরের মুখের দাড়ি লাগিয়ে দেওয়ার কাজটির মধ্যে তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের কড়া নজরদারি এবং দূর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজমণ্ডপ কমিটির সহযোগিতাসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের ন্যায় এবারও সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় সারাদেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এত তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পাহাড়ের সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় এ ঘটনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করা সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য এলাকায় অবরোধ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এবার আশানুরূপ হয়েছে আলুর ফলন। গতবার বাজার চড়া থাকায় চাহিদার চেয়ে আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। কিন্ত কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অনেকটাই হতাশ আলু চাষিরা। দাম না বাড়লে বড় ধরনের লোকশানের আশঙ্কা করছেন তারা। বিশেষ করে উপজেলার ব্রাক, সিদ্দিক ও হিমালয় (কোল্ডস্টোর) আলুর হিমাগারে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুত। কৃষকরা জানায়, উৎপাদন খরচ উঠাতেই তারা উৎকণ্ঠিত। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার আলুর উৎপাদন বেশি থাকায় দাম অনেকটাই কম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন।
উপজেলার নতুন ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক, হিমালয় ও সিদ্দিক এই তিনটি কোল্ডস্টোরে (হিমাগারে) বর্তমানে ১৮ হাজার ৪১৫ মেট্রিক টন খাবার ও বীজ আলু মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনটি হিমাগারের মোট ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি হিমাগারের শেডের মেঝেতে বিছানো শত শত মণ আলু। ভেতরে বস্তায় বস্তায় আলু সংরক্ষিত আছে। নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা পচে যাওয়া আলু আলাদা করে ফেলে দিচ্ছেন। নামমাত্র বিক্রি থাকায় হিমাগার থেকে খুচরা বাজারে আলু যাচ্ছে খুবই কম বলছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
শ্রীরায়ের চর গ্রামের কৃষক সন্তোষ সরকার বলেন, প্রতি বছর ভুট্টা চাষে ভালো লাভ হতো। এবার আলু চাষ করে বিপদ ডেকে এনেছি। উৎপাদনের খরচই তুলতে পারছি না। ফলন ভালো হলেও বিক্রি করতে গেলে মাথায় হাত।
চর চাষি গ্রামের আলু ব্যবসায়ী জামসেদ আলী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, খুচরা বাজারে দাম কিছুটা ভালো হলেও হিমাগারে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। প্রতি কেজি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণে খরচ ২৫-৩০ টাকা, অথচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২-১৩ টাকায়। এতে কেজিপ্রতি ১২-১৫ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
দৌলতপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু হাসান বলেন, আগস্টে কৃষিমন্ত্রণালয় হিমাগার থেকে প্রতি কেজি ২২ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়েছিল এবং সরকার ৫০ হাজার টন আলু কেনার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু বাস্তবে সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। হিমাগারে রাখা ৪ হাজার বস্তার মধ্যে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৫০ বস্তা তাও তিনগুণ লোকসানে।
ব্র্যাক কোল্ডস্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর তারেক মাসুদ বলেন, বীজ আলু ছাড়া এখন সব আলু বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারছেন না। তাদের লোকসানের কথা ভেবে আমরা কোল্ডস্টোর ভাড়া কমিয়ে দিয়েছি, তবুও ক্ষতি এড়ানো কঠিন।
দাউদকান্দি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এ বছর আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। তবে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার শিগগিরই সরকারি ক্রয় ও সংরক্ষণ কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে। আশা করছি, কৃষকরা লোকসান থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারবেন।
পূজার ছুটিতে স্থলবন্দর বন্ধ থাকার অযুহাতে কৃষি নির্ভর মেহেরপুরে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিলো। আর এক ছুটি শেষে কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। দাম কমে যাওয়াতে ক্রেতাদারের মাঝে স্বশ্তি ফিরলেও চাষিদের মাঝে অস্বস্তি কাজ করছে। কৃষকদের দাবি দাম কমে যাওয়ায় তাদের লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারি হতে চলেছে।
দেখা যায়, গেল চারদিন আগেও মেহেরপুর জেলায় পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আর খুচরো বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে।
পূজার ছুটির কারনে আমদানির বন্ধের অযুহাতে সেই কাঁচা মরিচ গত দুইদিন আগে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, আর খুচরো বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৭০ টাকা থেকে ৩৯০ টাকা পযর্ন্ত।
কাঁচা মরিচ আমদানির কথা শুনে সেই মরিচ আজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা ১৬০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারেও পড়েছে এর প্রভাব। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পযর্ন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুইদিন আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা পক্ক কিংবা অপরিপক্ক সব ধরনের কাঁচা মরিচ তুলে বাজারে নিয়ে আসছিল। আমদানিও ভালো ছিলো। আজ দাম কমে যাওয়ার কথা শুনে হাটে কাঁচা মরিচ আমদানি ও কমে গেছে। আমদানি কমে গেলে বিপরীতে আবার দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।
চাষিরা বলছেন, অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় মরিচ গাছ এমনিতেই মরে গেছে। যাতে করে আমাদের লোকশানে পড়তে হবে। হঠাৎ দাম বাড়াই লোকশান পুশিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়েছিল। আমদানির কারনে চাষিরা লোকশানে পড়তে পারে। যার ফলে কাঁচা মরিচ চাষে আগ্রহ হারাবে।
মরিচ চাষি মজি বলেন, আমাদের মাঠ সব পানিতে ডুবে গেছে। এই পানি মাঠ থেকে নামতে একমাস সময় লাগবে। জলাবদ্ধতার কারনে মাঠে মরিচ গাছ অর্ধেক মরে গেছে। যার ফলে আমাদের এবার লোকশানে পড়তে হবে। গত দুদিন আগে মরিচের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ভেবে ছিলাম। এবার মরিচ উৎপাদন কম হলেও দামে পুশিয়ে যেতো। আবার আজ থেকে আগের দামে চলে এসেছে,এতে করে আমাদের লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারি হয়ে যাবে।
আরেক মরিচ চাষি বেল্টু বলেন, মাঠে এমনিতেই গাছের সংখ্যা কমে গেছে। আবার একজন লেবারে সারাদিনে বিশ কেজি মরিচ তুলতে পারবে। আর তার মুজুরি খরচ ৪"শ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় খরচ খরচা বাদ দিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
কাঁচা মরিচ ব্যাবসায়ী আকাশ বলেন, তিনদিন আগে এই মরিচ কিনেছি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা করে। আর আজ পাইকারি কিনছি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা করে। আবার বাজার কাঁচা মরিচ আমদানি কমে গেছে। ডিজিটাল যুগে চাষিরা আমদানি রপ্তানির খোঁজ এক মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছে।
কাঁচা মরিচ হাট ইজারাদার তারিক আহমেদ বলেন, আমরা মরিচের হাট সরকারি ভাবে নিলামের মাধ্যমে বছর চুক্তিতে নিয়ে থাকি। বাজারে যতবেশি চাষি ও ব্যাবসায়ী আসবে আমাদের ততো লাভ। অথচ আজ মরিচ আমদানির কথা শুনে কাঁচা মরিচ চাষি অর্ধেকের কম এসেছে। আমাদের বাজারে যতো আমদানি হবে ততো বেশি খাজনা আদায় হবে।
শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে এবং তথ্য অফিস, গাজীপুরের আয়োজনে রোববার সকাল ১০টায় গাজীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে টাইফয়েড ভ্যাক্সিনেশন বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা তথ্য অফিসার শামীমা নাসরিনের সভাপতিত্বে ও সহকারি তথ্য অফিসার নাঈমুল হকের সঞ্চালনায় কনসালটেশন ওয়ার্কশপে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন- গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন- টাইফয়েড একটি মারাত্মক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই শারিরিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। ফলে এ রোগকে চির নির্মূল করার জন্য সরকারিভাবে টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- এ টিকার মাধ্যমে এক সময় টাইফয়েড অবশ্যই নির্মূল হবে। সে কারণে প্রত্যেক শিশুকে অবশ্যই এ টিকা গ্রহণ করা আবশ্যক। কোন ভাবেই কোন শিশুকে এ টিকা থেকে বাদ পড়া যাবেনা।
ওয়ার্কসপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো: মামুনুর রহমান। তিনি বলেন- এ টিকার তেমন ক্ষতিকর কোন দিক নেই। শুধুমাত্র অসুস্থ শিশুদেরকে এ টিকা প্রদানে বিরত থাকতে হবে। আর খালি পেটে এ টিকা নেয়া যাবে না। টিকা প্রদানের বিষয়টি ব্যপক প্রচার-প্রচারণার জন্য তিনি উপস্থিত সাংবাদিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আবেদন জানান।
ওয়ার্কসপে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন- গণযোগাযোগ অধিদপ্তর (প্রশাসন) ঢাকা’র উপ-পরিচালক তারিক মোহাম্মদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ) ইয়াসমিন সাইকা পাশা, গাজীপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন গাজীপুরের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক মুক্ত বলাকা’র সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আলমগীর হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের গাজীপুর প্রতিনিধি মো: মুজিবুর রহমান, ৭১ টিভি ও দৈনিক মানব জমিন’র গাজীপুর প্রতিনিধি ইকবাল আহমদ সরকার, মাছরাঙ্গা টিভি’র গাজীপুর প্রতিনিধি ফারদিন ফেরদৌস, দৈনিক কালের কন্ঠ’র গাজীপুর প্রতিনিধি শামীম আহমদ ও সাপ্তাহিক পিলসুজ সম্পাদক আবু হানিফা।
ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে অধিকতর গতিময় করে কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলসমূহের Intelligence & Investigation Cell (IIC) এর কার্যক্রম জোরদার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর অডিট, ইন্টেলিগেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন) এর দপ্তর হতে জারীকৃত উক্ত নির্দেশনায় প্রতিটি কর অঞ্চল কর্তৃক Intelligence & Investigation টিম গঠন, টিমসমূহের কার্য পদ্ধতি, টিমের সুপারিশ প্রণয়নের ভিত্তি এবং ফাঁকি দেয়া কর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
বিভিন্ন প্রকারের গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য, আয়কর নথি ও বিভিন্ন রেজিস্টারে ঘষা-মাজা বা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক পরিমান করমুক্ত আয় প্রদর্শন, করযোগ্য আয় এবং পরিশোধিত করের তুলনায় সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক পরিমান নীট সম্পদ প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিম অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণ কার্যক্রম শুরু করবে।
অনুসন্ধান পর্যায়ে কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে Intelligence & Investigation কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করবে। রাজস্ব ফাঁকির সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের Intelligence & Investigation কমিটি রাজস্ব পুনরুদ্ধারের আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুমোদন প্রদান করবে।
প্রতিটি কর অঞ্চলকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করে Intelligence & Investigation কার্যক্রম হতে সৃষ্ট অতিরিক্ত দাবি এবং অতিরিক্ত দাবী হতে কর আদায়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
Intelligence & Investigation Cell এর কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে, কর ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা হ্রাস পাবে এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ কর সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।
-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
মন্তব্য