× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Passengers and vehicles drivers suffer from a 20 km long traffic jam
google_news print-icon
ঘরমুখো মানুষের ঢল

২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা

২৩-কিলোমিটার-দীর্ঘ-যানজট-এতে-চরম-ভোগান্তিতে-যাত্রী-ও-যানবাহন-চালকরা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা।

জানা যায়, বুধবার ভোররাতে মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী লেনে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সূত্রপাত হয়। সকালে কিছুটা যানজট কমলেও দুপুর থেকে আবারও তীব্র হয়েছে যানজট। অসহনীয় যানজেট আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার সব যানবাহন।

যানজটে আটকে পড়া কুমিল্লার চাঁদপুর যাত্রী মোঃ আনোয়র দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে যানজটে ৩/৪ ঘণ্টা আটকা পড়েছি।’

আছিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘নিলাচল পরিবহনে শিমরাইল থেকে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখনও যানজটে পড়ে আছি। গাড়ির নড়ছেই না। পুলিশ কী করছে জানি না।’

নোয়াখালীর যাত্রী ইউসুফ ও কাজী সোহেল বলেন, ‘শিমরাইল থেকে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে সকাল ১০টায় উঠি। কিন্তু ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। কখন নোয়াখালী পৌঁছাবো তার হিসেব নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’

হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটি উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ রয়েছে। সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল যানজট। বুধবার দুপুর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি, অপরদিকে পূজা উপলক্ষে ছুটি থাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ আমরা হাইওয়ে পুলিশ ভোররাত থেকে যানজট নিরসনে কাজ করছি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন যানজট অনকেটাই কেটে গেছে। ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Madhupur is getting lost

মধুপুরে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের চোঙায় তৈরি খাবার ব্রেংআ

নানা পার্বণে উৎসবে গড়ে গারো সম্প্রদায়ের অতিথি আপ্যায়নে আদি ঐতিহ্য
মধুপুরে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের চোঙায় তৈরি খাবার ব্রেংআ গারো সম্প্রদায়ের বাঁশে পোড়ানো মাংস রান্না করা ব্রেংআ বাসনে ঢালা হচ্ছে। ছবিটি মধুপুরের ভুটিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা।

গারো সম্প্রদায়ের আদি ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে ব্রেংআ এখনও কম বেশি তাদের নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান পালা পার্বণে ঐতিহ্যবহন করে চলছে। প্রাকৃতিক নিজস্ব রীতি নীতির খাবারে অভ্যস্থ এ জাতি গোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের ভাষা সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার খাবারে রয়েছে বৈচিত্র্য। যুগ যুগ ধরে তারা নিজস্ব রীতির খাবার বংশ পরম্পরায় খেয়ে আসছে। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোনো কোনো এলাকায় আগের মতো হয়ে ওঠে না। নতুন প্রজন্মের কাছে থেকে যাচ্ছে অজানা। প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এসব খাবার শুধু নিজের কাছেই প্রিয় নয়, অতিথি আপ্যায়নেও চলছে আদি নিয়মেই। তবে প্রাকৃতিক বুনো খাদ্যের ভান্ডার সংকুচিত হওয়ায় খাদ্যের উৎস কমে যাচ্ছে বলে মনে করছে তারা। তবে ব্রেংআ খাবারটি তাদের কাছে প্রিয় স্বাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবারের নাম। যা নিজস্ব রীতিতেই প্রস্তুত করে খাচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা।

সরেজমিনে মধুপুরের ভুটিয়া পীরগাছা জলছত্র গায়ড়া টেলকিসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে গারো সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ঐতিহ্যবাহী ব্রেংআ বাঁশে পোড়ানো খাবারের নানা গল্প। তারা জানায়, বাঁশের একটি গিটার মধ্যে চুঙা পদ্ধতিতে মাছ, মাংস, শুঁটকী অথবা যেকোনো সবজি রান্নার নাম ব্রেংআ।

উপাদানগুলো হলো- পরিমাণমত লবন, কাঁচামরিচ, পেয়াজ, আদা মেখে একইরকম চুঙ্গায় ভরে কলা বা যেকোন সবাজির পাতা দিয়ে চুঙার মুখটি বন্ধ করে আগুনে পুড়ে রান্না তরকারি। এই রান্নায় তেল মসলার প্রয়োজন নেই। এ খাবারটি তাদের কাছে আদি ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার।

ভুটিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা মার্জিনা চিসিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ব্রেংআ রান্নার নানা বিষয়। রান্নাটি করার জন্য একটি স্থানীয় জাতের তল্লা বাঁশের এক হাত পরিমাণ একটি চুঙাতে দেশি মুরগির মাংস ভরার আগে তেল পেয়াজ রসুন আদা সস মরিচ মিশিয়ে নেন। পরে চুঙার মুখ কলার পাতা দিয়ে বন্ধ করে চুলার আগুনে পোড়া দেয়। চুঙার ভেতরে থাকা মাংসটি সিদ্ধ হওয়ার পর তোলে আনে। একটি প্লেটে মাংসগুলো মসলায় মেশানো সুন্দর রঙে বের করেন। এভাবেই ব্রেংআ রান্না করতে দেখা যায়।

মার্জিনা চিসিম জানালেন, এ খাবার তারা বংশ পরম্পরায় তৈরি করে খাচ্ছে। উৎসব পার্বনে বেশি করা হয়।

তার স্বামী জানালেন, ‘ব্রেংআ’ বাঁশের চুঙায় ভরে পোড়ানো একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি মূলত পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করে তৈরি করা হয়, তবে এতে কাঁকড়া, শামুক ও শূকরের মাংসসহ যেকোনো মাংস রান্না হতে পারে।

চুনিয়া গ্রামের নেবুল দারু জানালেন, এটি মূলত প্রাকৃতিক খাবার। স্বাস্থ্যকর। তাদের সংস্কৃতিতে এ খাবারের কদর রয়েছে। উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে বেশির ক্ষেত্রে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

ভুটিয়া গ্রামের বেনেডিক্ট চিসিক ও থানার বাইদ গ্রামের মিরনী হাগিদক জানালেন, এ খাবার ছাড়াও তাদের এ রকম আরো অনেক খাবার আছে, যা বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। তবে আগের মতো এখন আর ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো তৈরি হয় না। দিন দিন আধুনিকতাসহ বিভিন্ন কারণে কমে যাচ্ছে। তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করেন এই দুই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

নেত্রকোনার বিরিশিরি নৃতাত্ত্বিক কালচারাল একাডেমির পরিচালক কবি পরাগ রিছিল বলেন, এ খাবারটি তাদের ঐতিহ্যবাহী একটি খবার। স্বাস্থ্যসম্মত প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত করা। খেতে অন্য রকম স্বাদ পুষ্টিগুণও বেশি। দিন দিন এ খাবার কম দেখা যাচ্ছে। পারিবারিক ও সমাজিকভাবে নিজেদের মধ্যে রান্না করার মধ্যে দিয়ে ধরে রাখতে পারলে যুগ যুগ টিকে থাকবে এমনটাই মনে করছেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No possibility of lifting the ban on Awami League activities Dr Asif Nazrul

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই : ড. আসিফ নজরুল

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই : ড. আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বুধবার বরিশাল নগরীর শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। ছবি : বাসস

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার হবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই।

বরিশাল নগরীর শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আজ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন একটা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়, স্থায়ী কি অস্থায়ী এ ধরনের প্রশ্ন থাকে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হবে এরকম কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না।

বিদেশি গণমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অশান্ত পাহাড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড়কে যারা অশান্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

তিনি আজ দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌঁছে নগরীর নতুন বাজার সংলগ্ন শংকর মঠ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দীন, শংকর মঠ পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি কানু লাল সাহা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তম্ময় তপু প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB Director General visited the Dhekeshwari and Ramna Kali temple in the capital

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক আজ বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বহির্ভাগে অবস্থিত রমনা কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান এবং ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরের সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন এন্ড ট্রেনিং) এবং ঢাকা সেক্টর কমান্ডারসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও দুর্গাপূজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবি সীমান্তবর্তী দুই হাজারের অধিক পূজামন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের অন্যান্য বড় বড় পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় দায়িত্বও পালন করছে। যার যার ধর্মীয় উৎসব সবাই যাতে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সেলক্ষ্যে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আর একটা দিন বাকি আছে, বাকি সময়টুকুতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বিজিবির ৪৩০ প্লাটুন সদস্য রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৪টি বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করে সর্বমোট ২,৮৭০টি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন ২,৮৭০টি পূজামণ্ডপের মধ্যে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ০৮ কিলোমিটারের মধ্যে ও পার্বত্য অঞ্চলের ১৫টি পূজামণ্ডপসহ) রয়েছে ১,৪১৭টি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাইরে রয়েছে ১,৪৫৩টি পূজামণ্ডপ। সীমান্ত এলাকার বাইরের পূজামণ্ডপসমূহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪৪১টি, চট্টগ্রাম মহানগরী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় ৬৯৪টি এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ৩১৮টি পূজামণ্ডপ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

পূজা উপলক্ষে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল পরিচালনা করছে বিজিবি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছে বিজিবি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Big challenges to make police capabilities and fascist in elections IGP

নির্বাচনে পুলিশের সক্ষমতা তৈরি ও ফ্যাসিস্ট মোকাবিলাই বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি

নির্বাচনে পুলিশের সক্ষমতা তৈরি ও ফ্যাসিস্ট মোকাবিলাই বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি বক্তব্য রাখছেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

‎বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর পুলিশ যে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল সেখান থেকে গত এক বছরে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য পুলিশের সক্ষমতা তৈরি করা এবং ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
‎গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘এমন একটি বিপ্লবের পরে পুলিশ তাদের স্টেশন ত্যাগ করেছে। সেখান থেকে পুলিশ আজকের অবস্থানে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাচ্ছি, অন্তত নির্বাচনটাকে নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করার জন্য আমাদের যে সক্ষমতা আছে সেটা দিয়েই কাজ করব। আমার বিশ্বাস আমরা সেটা পারব। এই যে আমার করতে পারার যেই প্রচেষ্টা, সেটা করতে পারাটা, এটা সফল হওয়া, এই জায়গাটাই আমি চ্যালেঞ্জ মনে করছি। আমি কিন্তু পালিয়ে যাচ্ছি না। এই চ্যালঞ্জগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে যাব এবং সফল হব।’
‎নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হওয়ার পেছনে কী শক্তি রয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘কোন শক্তি সেটা আমি এখন বলতে পারব না। এখানে অনেক লোক, অনেক দল ও গোষ্ঠী রয়েছে। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারা অবশ্যই একটা দল। এই দলের যারা সদস্য, সমর্থক, তারা তো অবশ্যই স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরোধী শক্তি।’
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘সারাদেশে ৩১ হাজার ৬০৬টা মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ছোট যেকোনো ইস্যুতে খবর পেলেই আমরা গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গতরাত পর্যন্ত বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ৪৯টি ঘটনা ঘটছে। তবে কোনোটাই বড় কোনো বিপত্তি সৃষ্টি করেনি। এসব ঘটনায় ১৫টা মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপর দুজন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলা হওয়ার পরও এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।’
জুলাই আন্দোলনের হতাহতের ঘটনায় মামলা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘১ হাজার ৭৬৯টি মামলার মধ্যে ৫৫টির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলা এবং ৩৭টি অন্যান্য মামলা। মামলা তদন্ত শেষ করতে প্রায় এক বছর লেগেছে।’ বাকি মামলাগুলো তদন্ত কবে শেষ হবে তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rupur nuclear power plant will be experimentally launched in December

ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

এ বছরের ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে চালু হবে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাশিয়াকে নভেম্বরে চালু করার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা জানিয়েছে ডিসেম্বরে চালু করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটা দল পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে ফাইনাল সম্মতি দেবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় অবস্থিত এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর রয়েছে, যা দুই ইউনিটে মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নিরাপত্তা মান, প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা ও আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন অনুসরণ করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two died in a boat sinking in Langadu in Rangamati

রাঙামাটির লংগদুতে নৌকা ডুবিতে দুজনের মৃত্যু, এক শিশু নিখোঁজ

রাঙামাটির লংগদুতে নৌকা ডুবিতে দুজনের মৃত্যু, এক শিশু নিখোঁজ

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদে ঝড়ো বাতাসে নৌকা ডুবে এক শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অারও এক শিশু। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গুলশাখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ,মাইনীমুখ ইউনিয়নের এফআইডিসি টিলা এলাকার বাসিন্দা মো. রানা (৮) এবং আছিয়া আক্তার (৩০)। এ ঘটনায় আছিয়া আক্তারের ছেলে মো. মাসুম (৫) এখনো নিখোজ রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় মাইনীমুখ ইউনিয়নের এফআইডিসি এলাকার কয়েকজন পরিবার-সদস্য গুলশাখালীতে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। ফেরার পথে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে তাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় ছিলেন একজন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুই শিশু। নৌকা চালক আছির আলী তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

ঘটনার পর খবর পেয়ে রাঙামাটি থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের সদস্যরাও।

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এখনো এক শিশু নিখোজ আছেন। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে