মানুষের কাছে হাত না পেতে বৃদ্ধ বয়সে জীবন সংগ্রামে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একাই। জয় পরাজয় বুঝেন না, বাঁচার জন্য খেতে হবে। ঘরে বসে থাকলে খাবার আসবে না। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে ভিক্ষা করে খেতে হবে। মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতে আব্দুর রশিদ মিয়ার লজ্জা করে। তাই তো জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও হাল ছাড়েননি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াবো গ্রামের আব্দুর রশিদ (৯০)। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে তিনি শুরু করেন জীবনের লড়াই। চন্ডীতলা এলাকার এক বকুল গাছের নিচে পড়ে থাকা ফুল কুড়িয়ে তিনি নিজেই মালা গেঁথে বাজারে বিক্রি করেন।
এত ব্যবসা থাকতে ফুল বিক্রি করেন কেন জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, একটা সময় আমিও ফুল খুব ভালবাসতাম। আজ সে ভালবাসা পেটের দায়ে টাকায় বিক্রি করি। বাবাগো এত শুধু ফুল বিক্রি না, ভালোবাসা বিক্রি করি, জীবন সংগ্রামের নামে আমি ভালোবাসা বিক্রি করি। ভালোবাসার প্রতিক ফুল। আজো মানুষ ভালোবাসে তাই ফুল কিনা ভালোবাসার মানুষকে দেয়, আমারও ভালো লাগে। আয়ও মন্দ না, চলে যায় মোটামুটি।
প্রতিটি মালা মাত্র ২০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। দিনের পরিশ্রম শেষে প্রায় এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আয় হয় তার। তবে সবদিন সমান যায় না—কখনো বিক্রি কম হয়, আবার কখনো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে ভালো দামও পান। আব্দুর রশিদ নিজেই স্মৃতিচারণ করে বলেন, “পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় একদিন আমি দুইটা মালা নিয়ে গিয়েছিলাম। একজন ক্রেতা খুশি হয়ে আমাকে ৭০০ টাকা দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, এখনও মানুষ ভালোবাসা দিতে জানে।
৯০ বছরের এই বৃদ্ধের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। ছেলেরা নিজের মতো কাজকর্ম করেন, তবে সংসারের খরচ টানতে আব্দুর রশিদ এখনো নিজের শ্রমে নির্ভরশীল। রাজধানীর খিলক্ষেত, বসুন্ধরা, পূর্বাচল ৩০০-ফিট, গাউছিয়া—এসব এলাকার রাস্তা ঘুরে ঘুরে তিনি ফুল বিক্রি করেন।
জীবনের কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও আব্দুর রশিদের মুখে নেই কোনো অভিযোগ। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, শরীর যতদিন সায় দেবে, ততদিন নিজের হাতেই উপার্জন করে খাবো।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। তার বয়সকে অতিক্রম করে কাজ করার ক্ষমতা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হন। জীবনের সংগ্রাম আর শ্রমের মধ্য দিয়েই তিনি যেন এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন—কষ্টকে জয় করার অদম্য শক্তি নিয়েই তিনি পথ চলছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, এত বয়সেও উনি কাজ করেন, এ জন্য উনাকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমার সাথে যোগাযোগ করলে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিব। অন্যান্য সুযোগ থাকলে তাও দেখব।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা।
জানা যায়, বুধবার ভোররাতে মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী লেনে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সূত্রপাত হয়। সকালে কিছুটা যানজট কমলেও দুপুর থেকে আবারও তীব্র হয়েছে যানজট। অসহনীয় যানজেট আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার সব যানবাহন।
যানজটে আটকে পড়া কুমিল্লার চাঁদপুর যাত্রী মোঃ আনোয়র দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে যানজটে ৩/৪ ঘণ্টা আটকা পড়েছি।’
আছিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘নিলাচল পরিবহনে শিমরাইল থেকে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখনও যানজটে পড়ে আছি। গাড়ির নড়ছেই না। পুলিশ কী করছে জানি না।’
নোয়াখালীর যাত্রী ইউসুফ ও কাজী সোহেল বলেন, ‘শিমরাইল থেকে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে সকাল ১০টায় উঠি। কিন্তু ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। কখন নোয়াখালী পৌঁছাবো তার হিসেব নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটি উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ রয়েছে। সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল যানজট। বুধবার দুপুর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি, অপরদিকে পূজা উপলক্ষে ছুটি থাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ আমরা হাইওয়ে পুলিশ ভোররাত থেকে যানজট নিরসনে কাজ করছি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন যানজট অনকেটাই কেটে গেছে। ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদে ঝড়ো বাতাসে নৌকা ডুবে এক শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অারও এক শিশু। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গুলশাখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ,মাইনীমুখ ইউনিয়নের এফআইডিসি টিলা এলাকার বাসিন্দা মো. রানা (৮) এবং আছিয়া আক্তার (৩০)। এ ঘটনায় আছিয়া আক্তারের ছেলে মো. মাসুম (৫) এখনো নিখোজ রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় মাইনীমুখ ইউনিয়নের এফআইডিসি এলাকার কয়েকজন পরিবার-সদস্য গুলশাখালীতে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। ফেরার পথে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে তাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় ছিলেন একজন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুই শিশু। নৌকা চালক আছির আলী তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
ঘটনার পর খবর পেয়ে রাঙামাটি থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের সদস্যরাও।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। এখনো এক শিশু নিখোজ আছেন। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
কুমিল্লার এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতাল পুনরায় চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটি পুনরায় চালুর জোর দাবি জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালটি যখন নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে ছিল, তখন ২৩ জন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেটি সচল করেছিলেন। অথচ মালিকপক্ষ এখন চুক্তিভঙ্গ করে নতুনভাবে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ফলে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুমিল্লাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে হাসপাতালটি চালু করেছিলাম। অথচ মালিকপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা অবিলম্বে হাসপাতাল পুনরায় চালুর ব্যবস্থা চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক খায়রুন্নেসা, হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ রিপন, জসিম উদ্দিন, মামুনুর রহমান, আসাদুজ্জামান রাসেল, মোজাম্মেল হকসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালটি কুমিল্লা অঞ্চলে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিক সরঞ্জামসহ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিল।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ ও নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ আয়োজিত ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের প্রেস রিলিজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান', যার লক্ষ্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্নিয়া ভবনে। সেখানে দলগুলো তাদের বাস্তবায়িত প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করে। পিচিং রাউন্ড, সম্মানিত জুরি বোর্ডের প্রশ্নোত্তর এবং অতিথিদের সামনে উপস্থাপনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র অংশ নেয় বাকৃবির দুটি দল, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ ও ‘অ্যাকোয়াফোর’। দল দুটির প্রতিনিধিত্ব করেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা ও ফুড সেফটি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শবনম ফেরদৌস। প্রতিযোগিতায় তাঁদের সমন্বয় ও পরামর্শ দেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।
অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে, ‘অ্যাগ্রো ফেম সেপ্টেট’ দলটি শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পায় এবং অর্জন করে ৩,৫০০ ইউরোর গ্র্যান্ড প্রাইজ। অপরদিকে, ‘অ্যাকোয়াফোর’ দর্শকদের ভোটে ৫০০ ইউরোর ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। বিজয়ী দলটি ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম ও ইয়াস-এর সহযোগিতায় পরিচালিত ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া নেদারল্যান্ডসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ফোন করে অভিনন্দন জানান।
আয়োজকরা বলেন, “এই প্রতিযোগিতা কেবল পুরস্কার জেতার জন্য নয়, বরং তরুণদের সৃজনশীলতা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য।”
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ অর্জন জাতীয় গৌরবের পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার স্বীকৃতি এনে দিল।
নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যাকে তিনি ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিজেকে নানা যুদ্ধ ও সংঘাতের মীমাংসার নেপথ্য নায়ক হিসেবে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে বড় এক “অপমান”।
মঙ্গলবার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “আমি নোবেল পুরস্কার পাব? অবশ্যই না। ওরা সেটা দিয়ে দেবে এমন কাউকে, যে কিছুই করেনি। এটা আমাদের দেশের জন্য বিরাট অপমান।”
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ভেতর থেকেই এক ধরনের যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে। আর সেটি অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যার কারণে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের আহ্বানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মার্কিন জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের উদ্দেশে তিনি জানান, ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন বেশ কয়েকটি শহরে অপরাধ দমনে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে।
মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা একে একে সেগুলো ঠিক করব। আর এ কাজের বড় অংশের দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদের মধ্যে অনেককে। এটাও যুদ্ধ, এটা ভেতর থেকে আসা যুদ্ধ।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ইতোমধ্যেই সেনাদের জন্য একটি বিশেষ কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স গঠনের নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন। তার ভাষায়, “কারণ এটা ভেতরের শত্রু, আর তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই আমাদের সামলাতে হবে।”
ট্রাম্প এসময় সংবাদমাধ্যমের ওপরও ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকি সাংবাদিকদের “অসম্মানিত বা ঘৃণ্য ব্যক্তি” বলেও আখ্যা দেন তিনি।
পাবনার সাধুপাড়ায় পূর্ব শত্রুতা জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (০১ অক্টোবর) গেল রাত এক টার দিকে সদর উপজেলা দোগাছি ইউনিয়ন দক্ষিণ চর-সাধপাড়া ব্রিজের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রায়হান শেখ আকাশ (২৩) পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে দক্ষিণ চর-সাধপাড়া এলাকার মো: সোহেল শেখ ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তারের স্ত্রী কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে মিল্লাত নামে এক যুবক উত্তপ্ত করলে আকাশ তার প্রতিবাদ করে। এ নিয়েই বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল রাতে মিল্লাত আব্দুল রশিদ, রাজু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখন করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তৃবরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুবেল হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য