× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Police have strict surveillance to ensure security at the Pooja Mandap IGP
google_news print-icon

পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কড়া নজরদারি রেখেছে পুলিশ : আইজিপি

পূজা-মণ্ডপে-নিরাপত্তা-নিশ্চিতে-কড়া-নজরদারি-রেখেছে-পুলিশ--আইজিপি

শারদীয় দুর্গাপূজায় এখন পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৯টি ঘটনা আমলে নিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় দায়ের করা ১৫টি মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

তিনি বলেন, কম ঝুঁকিপূর্ণ বা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে না প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা কড়া নজরদারি রেখেছি। যাতে করে যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতি বজায় থাকে, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে।

মঙ্গলবার(৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূজা নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, পূজা নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩১ হাজার ৬০৬টি মণ্ডপ রয়েছে। সেখানে দুই-একটি ঘটনা ছাড়া তেমন কিছু হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা উদযাপন হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের তালিকা অনুসারে, সারাদেশে পূজা মণ্ডপে ছোট-খাটো ৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে‌। এছাড়া অনেকগুলো জিডি হয়েছে যা পরবর্তী সময়ে মামলা হবে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, চট্টগ্রামে জামায়াত কর্মী সেজে হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি জামায়াত কর্মী নয় বলে জানা গেছে। এছাড়া পূজামণ্ডপের গেটের কাপড় ছিড়ে ফেলা, হাত দিয়ে প্রতিমা ভাঙা,পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধর, সিলেট কোম্পানীগঞ্জ পূজামণ্ডপে পুলিশ ও আনসারের ওপর অতর্কিত হামলাসহ বেশকিছু ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সার্বিকভাবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে নানান ধরনের গুজব তৈরি হয়। যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। অনেক সময় পুরনো ভিডিও কিংবা পুরোনো কোনো ঘটনা যেখানে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলো আবার নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এসব অপ্রীতিকর বিষয়েও আমরা ও আমাদের সাইবার ইউনিট চেষ্টা করছে, যাতে ঘটনাগুলো তুলনা করে সবাইকে জানানো যে এটা একটি পুরোনো ঘটনা। যাতে সবাই শান্ত থাকে।

পুলিশের কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে কিনা? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, অভ্যন্তরীণভাবেও আমরা সতর্ক। পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট (পিআইও) টিম আছে। তারা দেখছে। যে কোনো মাধ্যমে খবর পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সদস্যরা, ঘটনা শোনেন, নিষ্পত্তি করেন। কেউ সংক্ষুব্ধ থাকলে কথাবার্তা বলা হচ্ছে।

আইজিপি বলেন, গ্রেপ্তারদের কারো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে যেমন গাজীপুরে প্রতীমা তৈরির সময় দেখতে গিয়ে ধমক খেয়ে এসে পরে ইগোকেন্দ্রিক প্রতীমা ভাঙচুর করেছেন। অনেকে প্রতীমা ভাংচুরের জড়িতদের স্বজনরা মানসিক ভারসাম্যহীন বলছেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
No one gets 5 days of vacation for 5 days

৪ দিনের টানা ছুটি পাচ্ছেন না যারা, কেউ পাবেন ৩ দিন

৪ দিনের টানা ছুটি পাচ্ছেন না যারা, কেউ পাবেন ৩ দিন

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার থেকে টানা চার দিন বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ছুটি শেষে আগামী রবিবার থেকে কর্মস্থলে ফিরবে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর মধ্যে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকায় কর্মীরা চার দিনের পরিবর্তে এক দিন কম ছুটির সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।

তবে এই ছুটিতে খোলা থাকবে জরুরি সেবাসমূহ। এসব সেবায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঞ্চিত হবে ছুটি থেকে। জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতার বহির্ভূত থাকবে।

এছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।

চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীগণ এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটি ভোগ করবেন না।

একই সঙ্গে জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমী উপলক্ষে একদিন ছুটি থাকবে।

এরপর ৩ অক্টোবর শুক্রবার ও ৪ অক্টোবর শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ।

একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, ছুটি শেষে রোববার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে। অন্য দিনের মতো ব্যাংকের কার্যক্রমও এদিন থেকে শুরু হবে।

এ ছাড়া দুর্গাপূজাসহ বেশ কয়েকটি ধর্মীয় উৎসবের কারণে ছুটিতে আছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The conspiracy may have domestic foreign power behind the visible Salahuddin

ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান, পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তি থাকতে পারে: সালাহউদ্দিন

ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান, পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তি থাকতে পারে: সালাহউদ্দিন

বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে দেশি-বিদেশি শক্তি বাধা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তাঁর মতে, সেই ষড়যন্ত্র যে হচ্ছে, সেটি দৃশ্যমান।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই যে প্রক্রিয়া, তাতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে, সেটা দৃশ্যমান। এখানে আন্তর্জাতিক মহল থাকতে পারে, দেশি-বিদেশি শক্তি থাকতে পারে, সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ সংকল্পবদ্ধ। এখানে গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে এবং কোনোরকম ষড়যন্ত্র করবে, সে দেশেই হোক, বিদেশেই হোক—তাদের তারা প্রতিহত করবে।’

এ সময় পিআর পদ্ধতির দাবি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা পিআর মনে করি জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। আমরা সেই পিআর-এ বিশ্বাস করি!’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগে আছেন। এই অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে—তাহলে জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা আছে।’

মন্তব্য

নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল্লাহ (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত আব্দুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে নগদ অর্থ চুরির অভিযোগ ওঠে। এর জের ধরে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে সলিমগঞ্জ বাজার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে মাস্ক পরা অবস্থায় আব্দুল্লাহকে আটক করে কয়েকজন স্থানীয়। তারা প্রথমে তাকে মারধর করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাঁড়িতে নেওয়ার পরও নির্যাতন অব্যাহত থাকে। তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয় এবং কপালে আঘাত করা হয়। আরও জানা যায়, নবীনগর থানার ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবহিত না করেই চারদিন ফাঁড়িতে আটক রাখা হয় তাকে। এ সময়ে অন্য আসামিদের জেলা হাজতে পাঠানো হলেও আব্দুল্লাহকে গোপনে ফাঁড়িতেই আটকে রাখা হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তিনদিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনসহ চারজনকে নামীয় আসামি এবং আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আব্দুল্লাহকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন।

মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা সোমবার সকালে সলিমগঞ্জ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কায় প্রশাসন ফাঁড়িটি বন্ধ করে দেয় এবং পরে সেনা মোতায়েন করা হয়।

এদিকে ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর)এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Padmas extinct sells in one half million bucks

পদ্মার বিলুপ্ত এক ঢাই অর্ধলক্ষ টাকায় বিক্রি

পদ্মার বিলুপ্ত এক ঢাই অর্ধলক্ষ টাকায় বিক্রি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের একটি ঢাই মাছ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে উন্মুক্ত নিলামে উঠলে মাছটি দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা কিনে নেন। এসময় মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো জাফরগঞ্জরের জেলে সুনাই হালদার মধ্যরাতে তার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও তার সহযোগীদের নিয়ে পদ্মা নদীর উজানে মাছ ধরতে যায়। ভোররাতে জাল তুলতেই দেখতে পায় বড় একটি ঢাই মাছ ধরা পড়েছে। পরে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের ঢাই মাছটি সকালে দৌলতদিয়া আনো খাঁর মৎস্য আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলাম উঠলে চান্দু মোল্লা প্রতি কেজি ৪১০০'শ টাকা কেজি দরে কিনে নেন নিয়ে ফেরিঘাটে তার আড়তঘরে নিয়ে আসেন।

তিনি আরও বলেন, মাছটি সর্বমোট আমি ৫৯ হাজার ৪৫০ টাকায় কিনে নেই। মাছটি বিক্রয়ের জন্য আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করছি। আজ মাছটি কিনতে পেরে আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে। মাছটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা লাভে বিক্রি করে দিবো।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের স্থানীয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মার এ ধরনের বড় মাছ নিলামে উঠলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে যায়। দাম যতোই বেশি হোক, মাছটি কেনার চেস্টা করে সবাই। তাছাড়া ঢাই মাছ অনেক সুস্বাদু।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, ঢাই মাছ এখন খুবই কম দেখা যায়, তাছাড়া এটি বিলুপ্তির পথে। মাছগুলো খেতেও অনেক সুস্বাদু। পদ্মার এ ধরনের মাছ আকারে বড় হয়ে থাকে। এই মাছের দামও তুলনামূলক বেশি। এ ধরনের মাছ কিনতে বড় বড় ব্যবসায়ী, প্রবাসীদের চাহিদা থাকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Keokradong Mountains are being opened for tourists from October 1

১ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে কেওক্রাডং পর্বত

১ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে কেওক্রাডং পর্বত

বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কেওক্রাডং পর্বত আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। গতকাল বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির ২১ সেপ্টেম্বরের সভার সিদ্ধান্ত, রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চিঠি এবং বান্দরবান রিজিয়নের সেনানিবাস থেকে প্রেরিত চিঠির আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রুমা উপজেলার কেওক্রাডংসহ যেসব পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, শুধুমাত্র সেসব জায়গায় পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য স্থানে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ।

গণবিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের জন্য নিম্নলিখিত শর্তসমূহ আরোপ করা হয়, ক. সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রুমা উপজেলার যে সকল পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়েছে সেসব পর্যটন কেন্দ্র ব্যতীত উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে। খ. জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত ট্যুর গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে না। গ. পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট ও পর্যটন তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে। ঘ. পর্যটক কর্তৃক উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ অমান্য করা হলে তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অথবা নিকটবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করতে হবে। ঙ. পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী ও ফিটনেসবিহীন সকল যানবাহন উল্লিখিত পর্যটন কেন্দ্রসমূহে চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। পর্যটকবাহী সকল যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চ. অযাচিত যেকোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যটন শিল্পের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mother and daughter died in the power connection to the door to prevent theft

চুরি ঠেকাতে দরজায় বিদ্যুৎ সংযোগ, তাতেই প্রাণ গেল মা ও মেয়ের

চুরি ঠেকাতে দরজায় বিদ্যুৎ সংযোগ, তাতেই প্রাণ গেল মা ও মেয়ের

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সিকদার হাট গ্রামে ঘর থেকে মা ও মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ ঘটনা জানা যায়। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের জগদীশ রায়ের স্ত্রী সুমনা রানী (৪২) ও তাঁর বাক্‌প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে শাপলা রানী (১৮)।

স্থানীয়রা জানান, সুমনা রানী ঝাড়ফুঁক ও কবিরাজি চিকিৎসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। সোমবার সকালে একটি এনজিওর কর্মী ঋণের টাকা নিতে তাঁর বাড়ি যান। তখন তাঁকে না পেয়ে ফিরে আসেন। সন্ধ্যায় আবার গেলে ঘরের ভেতর থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে উঁকি দেন। তখনই তীব্র দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেন তিনি। পরে ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, ‘ঘরে ঢুকতে পারছিলাম না। দরজা বন্ধ ছিল। পুলিশ এসে পেছনের টিন কেটে ভেতরে উঁকি দিলে মা-মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।’

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, সুমনা রানী বাড়ি রক্ষার জন্য দরজায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রাখতেন। এতে চুরি ঠেকানো ও মেয়েকে নিরাপদে রাখাই ছিল উদ্দেশ্য। তবে রাতে ঘুমানোর আগে সুইচ বন্ধ করতে ভুলে যাওয়ায় মা-মেয়ের মৃত্যু ঘটে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, দরজার লোহার নেটে তখনো বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছিল।

এ বিষয়ে ভূল্লী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘ঘরের দরজার নেটে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই-তিন দিন আগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।’ বাড়িটা অনেকটাই ভুতুড়ে বাড়ির মত পরিত্যক্ত দেখা যায়।

এদিকে নিহতের ঘরে থাকা তিনটি ছাগলও অনাহারে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে