× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Human bonds demanding a permanent dam in Jamalpur river erosion
google_news print-icon

জামালপুরে নদী ভাঙনে নিঃস্ব কয়েক গ্রাম; স্থায়ী বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন

জামালপুরে-নদী-ভাঙনে-নিঃস্ব-কয়েক-গ্রাম-স্থায়ী-বাঁধের-দাবিতে-মানববন্ধন

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদীর তীব্র ভাঙনে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, স্কুল, মসজিদ মাদ্রাসাসহ গ্রামের পর গ্রাম। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

সোমবার দুপুরে উপজেলার পুল্যাকান্দি মধ্যপাড়া ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে স্থানীয়দের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে কয়েকশ মানুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুসা আলম, শিক্ষক মাহমুদুন নবী উজ্জল, আইয়ুব আলী, রবিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা। এ সময় বক্তারা বলেন, নদী বেষ্টিত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা তিনটি নদী দীর্ঘদিন থেকে ভাঙন কবলিত। নদী ভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বহু মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এখনই ভাঙন রোধ করা না গেলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। এ সময় স্থায়ী বাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ করে স্লোগান দেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The police shot at the students and 1 lakh

ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলি ৩ লাখ

ঢাকায় ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড
ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলি ৩ লাখ

জুলাই আন্দোলনের সময় সারা দেশে পুলিশ মোট তিন লাখ ৫ হাজার ৩১১ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। মধ্যে ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় ঢাকা মহানগরে।
গতকাল সোমবার জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৪তম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দেওয়া ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য তুলে ধরেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় আদালতে উপস্থিতি ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, তানভীর হাসান জোহা ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, আন্দোলন দমনের জন্য সারাদেশে ওই সরকার যে হিসাব করেছিলেন তিন লাখ ৫ হাজারের বেশি রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৫ হাজারের বেশি রাউন্ড গুলি ঢাকা মহানগরে।
এর আগে শনিবার প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, শেখ হাসিনার মামলার সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন। তার জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দকৃত ভিডিও প্রদর্শনী সরাসরি সম্পচার করা হবে।
গত বুধবার ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা।
তিনি জানান, শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ফোনালাপ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৫৩তম সাক্ষী উপস্থাপনের সময় বাজিয়ে শোনানো হয়েছে। যেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার এই চারটির ফোনালাপের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও তার আত্মীয় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দুটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামালের একটি ফোনালাপ রয়েছে।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপপরিচালক মো. আলমগীর। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।
গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A financial grant of Rs 1 lakh in the families of the casualties in the road accident in Pabna

পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান

পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবারের মাঝে ৬৮ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান পাবনায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১৬টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে মোট ৬৮ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে তাবাসসুম, বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের সহকারী পরিচালক আলতাফ হোসেন, মোটরযান পরিদর্শক এস এম ফরিদুর রহিমসহ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা এবং আহত ৩ জনের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়। এই অনুদান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপস্থিত কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সমস্যা। এ ধরনের দুর্ঘটনা কমাতে সকলের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন। তবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই আর্থিক সহায়তা তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’

বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আলতাফ হোসেন জানান, বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড নিয়মিতভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করে আসছে। তিনি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল চালক ও পথচারীদের সতর্কতার সাথে চলাচলের আহ্বান জানান।

অনুদান গ্রহণকারী পরিবারগুলো এই সহায়তার জন্য সরকার ও বিআরটিএ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা এই অর্থ তাদের জীবনযাত্রা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যয় করবেন বলে জানান। বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আরও বলেন আমরা সড়কের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ফলে আমরা যানবাহন তথা চলাচলকারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অবৈধ যানবাহনের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা নিরাপদ সড়কের পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধ করতে পারব বলে মনে করি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kishoreganj Puja Puja

কিশোরগঞ্জে পূজার চালে সিন্ডিকেটের থাবা

স্থানীয় সরকারি খাদ্য গুদাম, কটিয়াদী
কিশোরগঞ্জে পূজার চালে সিন্ডিকেটের থাবা

এবারের দুর্গাপূজায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পূজামণ্ডপগুলোতে মিলেনি সরকারি বরাদ্দের চাল, মিলেছে চাল বিক্রির অর্ধেক টাকা। আর বাকি টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছে সিন্ডিকেট। এমন অভিযোগ প্রায় প্রতিটি পূজামণ্ডপ থেকেই পাওয়া গেছে।

১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। বাজারমূল্য অনুযায়ী বরাদ্দের ৫০০ কেজি চাল থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু সিন্ডিকেটের থাবায় তারা পেয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এতে করে ৪২টি পূজামণ্ডপ থেকে সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রশাসন ১৪ সেপ্টেম্বর চাল বরাদ্দ দিলেও খাদ্য কর্মকর্তারা কালোবাজারিদের সঙ্গে মিলে ইচ্ছাকৃতভাবে চাল বিতরণে বিলম্ব করেছেন। পরে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন মণ্ডপের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদককে খাদ্যগুদামে ডেকে এনে ফাঁকা রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর রেখে ডিও প্রতি ১৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দেন। এ কাজে খাদ্য কর্মকর্তা ও কালোবাজারিদের হয়ে কাজ করেছেন পূজা উদযাপন কমিটির বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।

বর্মনপাড়া পূজামণ্ডপের সভাপতি শীতল চন্দ্র বর্মণ বলেন, বরাদ্দের ডিও নিয়ে খাদ্য গুদামে যাওয়ার পরে কর্মকর্তা বলেন স্বাক্ষর করে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। এ সময় উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিমাই বাবুও তাই বললেন। তখন টাকা নেওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। বরাদ্দের চালগুলো তাকে দেখার সুযোগও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আনন্দময়ী যুব সংঘের সভাপতি উষা রঞ্জন সরকার বলেন, পূজার ব্যস্ততার মাঝেই বরাদ্দ আসে। এমন সময় চাল বুঝে নেওয়া কঠিন, তাই বাধ্য হয়েই বিক্রি করে দেন বলে জানান তিনি।

ফুটন্ত কলি যুব সংঘের সভাপতি লিটন রবি দাস বলেন, ‘ইউএনও সাহেব মিটিংয়ে চাল বরাদ্দের কথা জানান। পরে গুদামে গিয়ে দেখি কিছু লোক ১৫ হাজার টাকা ধরে সবার ডিও কিনে নিচ্ছে। পাশের জেলায় একই চাল ২২-২৫ হাজারে বিক্রি হলেও, আমরা ১৫ হাজারেই দিতে বাধ্য হই।’

কটিয়াদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে আগত ভক্তদের আহার্য (খাবার) বাবৎ বিতরণের জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পূজামণ্ডপের সভাপতি/সম্পাদক এসে বরাদ্দকৃত চালের ডিও সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। এরপর বাকি কাজ খাদ্য বিভাগের।

খাদ্যগুদামের ভিতরে চালের পরিবর্তে টাকা লেনদেনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কনক কান্তি দেবনাথ।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি পূজামণ্ডপে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চালের পরিবর্তে টাকা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

উল্লেখ্য, জেলায় ৩৯৪টি পূজামণ্ডপে এবার ১৯৭ মেট্রিক চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। এরমধ্যে কটিয়াদী উপজেলার ৪২টি পূজামণ্ডপে বরাদ্দ সাড়ে ২১ মেট্রিক টন চাল।

পূজার পবিত্রতায় সিন্ডিকেটের এই থাবা রোধে প্রশাসনের আরও কঠোর ভূমিকা কামনা করছেন এলাকাবাসী।

মন্তব্য

মাগুরায় ভূমিদস্যু বিপ্লবের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাগুরায় ভূমিদস্যু বিপ্লবের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাগুরায় ভূমিদস্যু বিপ্লবের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভায়না চোপদার পাড়া এলাকাবাসী।

সোমবার দুপুরে গোরস্থান রোডে ভায়না চোপদারপাড়ার এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন হাজি নওয়াবুল ইসলাম, শাওন চোপদার ও হাসিনা বেগম। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কিছু দুষ্কৃতির সহযোগিতায় ভূমিদস্যু বিপ্লব এলাকায় বিভিন্ন সময় ত্রাসের সৃষ্টি করে। বিপ্লব ভুয়া জমির কাগজপত্র তৈরি করে চোপদার পাড়ার বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করে আসছে।

ভুক্তভোগী হাজি নওয়াবুল ইসলাম বলেন, ভূমিদস্যু বিপ্লব ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমার ২৭ শতক জমি দখল করেছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভূমিদস্যু বিপ্লব বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার পরিবার নিয়ে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। দুদিন আগে রাতে আমার বাড়িতে ভূমিধসে বিপ্লব ইট মেরে হামলা চালিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে তার সঠিক বিচার চাই।

ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম বলেন, বিপ্লব আমার বড় ভাসুরের ছেলে। সে আমার কাছ থেকে দুই শতক জমি জোর জবরদস্তি করে লিখে নিয়েছে। বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষের উপর করছে নানা ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন। আমি এ ভূমিদস্যু বিপ্লবের বিচার চাই।

মন্তব্য

সৈয়দপুর বিমানবন্দর, নীলফামারীতে গণশুনানি আয়োজন

সৈয়দপুর বিমানবন্দর, নীলফামারীতে গণশুনানি আয়োজন

গত ০২ জুলাই ২০২৫ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থায় মাসিক ভিত্তিতে গণশুনানি আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার দুপুর ০২:১৫ ঘটিকায় গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

এই গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব এস এম লাবলুর রহমান (S M Lablur Rahman)। গণশুনানিতে সম্মানিত যাত্রীসাধারণ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিসহ সকল স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর, নীলফামারীতে গণশুনানি আয়োজন

যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে আগ্রহী যাত্রীসাধারণসহ উপস্থিত সকলের কাছ থেকে পরামর্শ/মতামত ও ভবিষ্যৎ সেবার মান উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। মতামত প্রাপ্তির ভিত্তিতে যেসকল সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য তা সমাধানের জন্য প্রধনি অতিথি বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকে অনুরোধ করেন এবং যে সকল সমস্যাগুলো দীর্ঘমেয়াদি ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সেগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সৈয়দপুর হতে ঢাকাগামী বিমানের ভাড়ার অস্বাভাবিক ওঠানামা এবং টিকেট সিন্ডিকেট সমস্যার বিষয়েও আলোচনা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
"The highest warning in the security of Shardi Durga Puja Ansar VDP Director General Visit to Uttara Temple"

“শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা: উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন”

“শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা: উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন”

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আজ বিকাল ৫:৩০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা সার্বজনীন মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা যেন সবার অংশগ্রহণে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়, সে লক্ষ্যে আনসার-ভিডিপি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা আনসার-ভিডিপি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

“শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা: উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন”

এসময় উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি নৃপেন চন্দ্র আনসার-ভিডিপির সদস্যদের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, পূজার ৫ দিনসহ পূজার আগে ৩ দিন এবং পূজার পরে ১ দিন—মোট ৯ দিনব্যাপী নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনের উদ্যোগ দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার আস্থা আরও বৃদ্ধি করবে। তিনি মহাপরিচালকের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পূজামণ্ডপে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, “এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তরুণ আনসার সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, আধুনিক প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল রিপোর্টিং সিস্টেম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বিত কার্যক্রম—সব মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর।”
মহাপরিচালকের এ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, উপ-মহাপরিচালক (ঢাকা রেঞ্জ) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (ঢাকা মহানগর আনসার) মো. আসাদুজ্জামান গণি এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three leaders of the Jubo League in Comilla arrested

কুমিল্লায় যুবলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় যুবলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার অভিযোগে যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাতে বুড়িচং থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে।

সোমবার বিকেলে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রবিবার রাতে বুড়িচং থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার, আবুল হাসেমের ছেলে মোখলেসুর রহমান এবং আবু মুসার ছেলে মো. শাহজাহান। তারা তিনজনই মোকাম ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় মোকাম ইউনিয়নে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে বিশেষ অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনের নেতৃত্ব দেন বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো. মজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও মজিবুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে কেক কাটা, স্লোগান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

এরপর রাতেই পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে যুবলীগের ওই তিন নেতাকে আটক করে।

এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ভিডিওতে তাদের উপস্থিতি ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রমাণ মিলেছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

p
উপরে