× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

নওগাঁয় বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন

নওগাঁয়-বিভিন্ন-সংগঠনের-মানববন্ধন

নওগাঁ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লাগামহীন ঘুষ, দুর্নীতি ও সরকারি কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এবং নাগরিক সেবায় হয়রানির বিরুদ্ধে রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় শহরের কেন্দ্রীয় মুক্তির মোড়ে নওগাঁ পৌরসভার সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী পরিষদ নওগাঁর আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট শিক্ষক জাহিদ রাব্বানী রশিদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব দেওয়ান মাহবুব আল হাসান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদর) জেলা আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, সুজনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ জেলা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান, এছাড়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওগাঁর প্রতিটি সরকারি অফিসে দুর্নীতি যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাধারণ নাগরিকদের ন্যায্য সেবা পেতে ঘুষ দিতে হচ্ছে, পড়তে হচ্ছে হয়রানির মুখে।

শহরের যানজট নিরসনে দ্রুত ফোরলেন রাস্তা নির্মাণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের উন্নয়ন কেবল কাগজে-কলমে হলে চলবে না। তা যেন বাস্তবেও প্রতিফলিত হয়। দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ছাড়া জনগণের ভোগান্তি দূর হবে না। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা জানান।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The Police Magistracy Conference held in Feni

ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

ফেনীতে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আসামি গ্রেপ্তার, প্রসেস জারী, তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও চার্জশীট দাখিল, ফৌজদারী কার্যবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে আনীত সংশোধনী ও মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। গত শনিবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

কনফারেন্সে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মন্‌জুর আহসান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সাহেদা আক্তাদ সুমী এবং জেলায় কর্মরত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিজিবি, ব্যাটলিয়ান-৪ এর সহকারী পরিচালক, সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তার প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, সিআইডিসহ সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ইউনিটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সে ফোকাল পার্সন হিসেবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন।

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহির আহমেদ মজুমদার জানান, কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিগত বছরগুলোর মামলার নিষ্পত্তির বিবরণী পেশ করা হয়। উপস্থিত সকলে মামলা নিষ্পত্তি ও বিচার কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় পুলিশ সুপার ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসাররা নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

কনফারেন্সের সভাপতি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়া মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মামলার সিংহভাগ কাজই তদন্তকারী সংস্থা করে থাকেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, মেডিকেল সনদ সংগ্রহ, আলামত জব্দকরণ, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন সংগ্রহ, ডিএনএ টেস্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট সংগ্রহ, বিশেষজ্ঞের মতামত, এজাহারকারী/ নালিশকারীর বক্তব্য রেকর্ড ও সংগ্রহে বিচ্যুতি হলে মামলায় বিচ্যুতি ঘটলে মামলায় বিরূপ ফল হয়। এজন্য সকল তদন্তকারী সংস্থা ও এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে হবে।

একই সাথে রিমান্ড শুনানিতে কেইস ডকেট ও সিডি উপস্থাপন, মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা পরিহার, দ্রুত মেডিকেল সনদ সরবরাহ, ফরেনসিক রিপোর্ট প্রাপ্তিতে আন্তঃবিভাগ যোগাযোগ জোরদার, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দাখিলে আরও দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

তিনি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারার বিধানসমূহ যথাযথভাবে পালনের নিমিত্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও তিনি ফেনী জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থা আরো গতিশীলকরণসহ ট্রাফিক আইনে রুজুকৃত মামলাগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য ট্রাফিক ইন্সপেক্টরকে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There has been visible progress in the construction of warehouse in Anwara
পরিদর্শনে খাদ্য উপদেষ্টা

আনোয়ারায় গুদাম নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে

আনোয়ারায় গুদাম নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আনোয়ারায় ১ হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি খাদ্যগুদাম আছে আরও ৫শ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আশাকরি আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ সময় তিনি প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে জোর দেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আনোয়ারার সদরে নির্মাধীণ ৫০০ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আসেন তিনি কথা বলেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও সন্দ্বীপে ৩টি প্রজেক্টে ১০কোটি ৭৪লাখ ৩৩হাজার ৩২টাকায় তিন উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুলাই মাসে।

পরিদর্শনে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম কায়সার আলী,

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ রিয়াদ কামাল রনি, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার, আনোয়ারা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান্নাতুল আকসা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The balance of the environment in Keshabpur is the fear of disaster

কেশবপুরে শামুক নিধনে পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয়ের আশংকা

কেশবপুরে শামুক নিধনে পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয়ের আশংকা

যশোরের কেশবপুর ও আশপাশ এলাকা থেকে অবাধে কৃষকের অগোচরে বন্ধুর ভূমিকা পালনকারী প্রাকৃতিক পানি শোধন ফিল্টার নামক প্রাণি শামুক নিধন করা হচ্ছে। এর ফলে মৎস্য ও কৃষি বিভাগও এখন হয়ে পড়েছে চিন্তিত। দাবি উঠেছে এখনি শামুক নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকা থেকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে পড়বে। ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর উপজেলায় ৫৫ হাজার ৮৬৭ বিঘাতে ৪ হাজার ৬৫৮টি ঘের ও ৫ হাজার ৮৮৭ বিঘায় ৬ হাজার ৯৯৫টি পুকুর ও দিঘী রয়েছে। মনিরামপুর উপজেলায় রয়েছে ৬৮ হাজার ৬১০ বিঘায় ৪ হাজার ৮৮৯টি ঘের ও ৩৪ হাজার ২৩৭ বিঘায় আছে ১১ হাজার ৬৪৩টি পুকুর ও দিঘী এবং অভয়নগর উপজেলায় রয়েছে ৩৪ হাজার ৪২৫ বিঘা জমিতে ১ হাজার ২০৫টি ঘের ও ২৫ হাজার ৮৯০ বিঘায় ৪ হাজার ৮১০টি পুকুর ও দিঘী। এ ছাড়াও তিনটি উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল যা ঘের হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এলাকার দরিদ্র নারী পুরুষ ও শিশুরা এ সব ঘের, পুকুর, দিঘী ও উন্মুক্ত জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকে। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পাইকাররা ভ্যান, সাইকেল, দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকে। সকাল থেকেই ওই সব পয়েন্টে গিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুরা শামুক-ঝিনুক বিক্রি করে থাকে। এ সব পাইকারি ব্যবসায়ীরা শামুক-ঝিনুক থেকে মাংস বের করে ঘের মালিকদের কাছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। আবার শামুক ঝিনুকের খোলা বস্তা প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছে চুন তৈরির কারখানায়। মূলত ঘের ও চুন কারখানার মালিকরাই অস্বচ্ছল পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্বুদ্ধ করে শামুক-ঝিনুক ধরতে। চুন কারখানার মালিকরা পাইকারদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখে শামুক-ঝিনুক কেনার জন্য। মনিরামপুরের গোপালপুরে ২টি ও চেচুড়িয়ায় ১টি মোট ৩টি বড় ধরণের চুন তৈরির কারখানা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শামুক মারা গেলে মাংস পঁচে ও খোলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ জাতীয় বস্তু মাটিতে তৈরি হয়। এর ফলে যে ক্ষেতে বেশি শামুক থাকে সেখানে ফসল ভালো উৎপাদন হয়। শামুকের কারণে ক্ষেতের উর্বরতা শক্তি বাড়ে।

কেশবপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, শামুকের শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক জল শোধন ব্যবস্থা (ফিল্টার)। এরা ময়লা যুক্ত পানি পান করে ময়লা খাদ্য হিসেবে ভেতরে রেখে যে পানিটা বাইরে ছেড়ে দেয় সেটা বিশুদ্ধ। শামুকের বিশুদ্ধ পানির কারণে বিলে কই, শোল, শিং ও কার্প জাতীয় মাছ শামুক ও শামুকের ডিম খেয়ে বেঁচে থাকে। জলাবদ্ধ বিল থেকে শামুক কমে গেলে পানি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানির রং পরিবর্তন হয়ে রোগ জীবাণু বেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে শামুককে বন্য প্রাণি হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে অবৈধ ভাবে শামুক ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sarisabari railcrossing is like an accident at the risk of death

সরিষাবাড়ীর রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, ঘটছে দুর্ঘটনা

সরিষাবাড়ীর রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, ঘটছে দুর্ঘটনা উপজেলার সবচেয়ে বড় তারাকান্দি রেলস্টেশন সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিং। এখানে ৪টি ডাবল লাইন থাকলেও নেই গেটম্যান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি তোলা ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিভিন্ন স্থানে অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে প্রাণহানি। এসব ক্রসিংগুলোতে নেই কোনো গেটম্যান। কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে কোনো কোনো ক্রসিংয়ে নামে মাত্র সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগালেও সেগুলোর লেখা এখন আর চোখে পড়ে না। রেলের লাগানো অধিকাংশ সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও লেখা নষ্ট হয়ে গেছে। অতি দ্রুত এসব জনগুরুত্বপূর্ণ অরক্ষিত রেল ক্রসিংগুলোতে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় যমুনা, অগ্নিবিণা ও জামালপুর এক্সপ্রেস নামে ৩টি আন্তনগর ট্রেন ও ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস (বর্তমানে সাময়িক বন্ধ), ৩৭ আপ ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ও চট্রগ্রাম মেইল ৩৮ ডাউন নামে ৩টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। এ উপজেলার রেলপথে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় প্রায় ৩৫টির মতো রেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে গেটম্যান রয়েছে মাত্র ৯টিতে। বাকি ছোট-বড় প্রায় ২৬টি রেলক্রসিং অরক্ষিত। এছাড়া ছোট ছোট কতগুলো অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং রয়েছে তার কোনো হিসাব নেই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এ সব ক্রসিংয়ে নেই কোনো গেটম্যান। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। সরেজমিনে উপজেলার তারাকান্দি রেল স্টেশন সংলগ্ন সব চেয়ে বড় ৪টি ডাবল লাইনের রেল ক্রসিংসে দেখা যায়, অনেকে পায়ে হেঁটে ডান-বাম না তাকিয়েই পার হচ্ছে। অনায়াসে অটো-ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নছিমন, প্রাইভেটকারসহ নানা যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার সব চেয়ে বড় এই রেলক্রসিং থাকলেও কেন এখানে গেটম্যান নেই সেই প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এসব অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। এসব যেন দেখার কেউ নেই। এসব দেখেও না দেখার অজুহাতে প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ।

তারাকান্দি রেলস্টেশন এলাকার মনোহারী দোকান ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, ‘তারাকান্দি রেলস্টেশনের সাথেই একটি প্রাথমিক ও হাইস্কুল আছে। এই রেল লাইন ও স্টেশন দিয়ে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তারাকান্দি রেলস্টেশন সংলগ্ন এ লেভেল ক্রসিংটি এ উপজেলার সব থেকে বড় অরক্ষিত রেলক্রসিং। এখানে ৪টি ডাবল রেললাইন রয়েছে। এত বড় লেভেল ক্রসিং থাকার পরও এখানে রেলের কোনো গেটম্যান দেওয়া হয়নি। এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় রেল লাইনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন গাড়ি উল্টে যায়। অতি দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ এই রেলক্রসিংটিতে গেটম্যানের দাবি জানাচ্ছি।’

কান্দারপাড়া বাসস্টেশন এলাকার রেলক্রসিংটির রয়েছে অরক্ষিত। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘এখানে কোনো গেটম্যান না থাকায় নানা দুর্ঘটনা হচ্ছে। এখানে একটি গেটম্যান প্রয়োজন।’

পৌর এলাকার সাতপোয়া জামতলা মোড়ে সম্প্রতি ট্রেনের ধাক্কায় নিজের ৪ বছরের মেয়ে হারানো বাবা ইউনূছ আলী মাস্টার বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে এই রেলক্রসিংটিতে আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। দুই পাশে বাড়ি ও গাছ থাকায় দূর থেকে দেখা সম্ভব হয় না। সম্প্রতি আমার ৪ বছরের ছোট মেয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়। যদি এখানে গেটম্যান থাকত তাহলে হয়তো আমার মেয়েটা মারা যেত না। আর যাতে কারও বুক খালী না হয় তাই এখানে গেটম্যান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তারাকান্দি স্টেশন সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিংটিতে গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তা ছাড়া গেট নির্মাণের বিষয়ে আমাদের স্টেশন মাস্টারদের কোনো হাত নেই। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি দেখে থাকেন। এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অরক্ষিত প্রতিটি রেলক্রসিংএ সতর্কতামূলক নির্দেশনা সাইনবোর্ড দেওয়া আছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Coast Guard has arrested four smugglers including Bangladeshi cement and food items while smuggling drugs from Myanmar

মায়ানমার হতে মাদকের বিনিময়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি সিমেন্ট ও খাদ্য সামগ্রীসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

মায়ানমার হতে মাদকের বিনিময়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি সিমেন্ট ও খাদ্য সামগ্রীসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিতিত্তে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শনিবার রাত ১০ টায় কোস্ট গার্ড বেইস চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রামের বহিঃনোঙর সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় একটি সন্দেহজনক কার্গো বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০ বস্তা ডাল, ১৪৭ বস্তা পেঁয়াজ, ৩৫০ বস্তা সিমেন্টসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত মালামাল, পাচারকাজে ব্যবহৃত বোট ও আটককৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
 The call of the river to bring back the civilization of the river

 নদীর সভ্যতা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

পাথরঘাটায় বিশ্ব নদী দিবস পালিত
 নদীর সভ্যতা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

‘নদী আমাদের মা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে মাকে ধ্বংস করবো না, প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে বিসর্জন নয়, মৎস্য ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, প্লাস্টিক বর্জ্য বর্জন করুন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন, নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ’ নানা স্লোগান দিয়ে নদী দূষণমুক্ত করতে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সহযোগিতায় এবং পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের বাস্তবায়নে রোববার বিশ্ব নদী দিবসে সকাল ১০ টায় বিষখালী নদী সংলগ্ন কাকচিড়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনতা। মানববন্ধন শেষে নদীর পাশে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) পাথরঘাটা সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সদস্য আবু মিয়া, সহসভাপতি আজগর আলী পহলান, সিএনআরএসর নিজাম উদ্দিন, সমাজসেবক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

কাকচিড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, পরিবেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নদী দখল হচ্ছে, প্লাস্টিক বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে। নদী ভরাট করে মাছসহ সামুদ্রিক সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। দ্রুত এই প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের দাবি জানানো হয়। বিষখালী নদীর পাড় থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ না হলে কঠোর পদক্ষেপসহ পৌরসভা ঘেরাও করা হবে। আজ থেকে নদী দখল, দূষণ, ভরাটসহ ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবির পাশাপাশি আমরাও নদী দূষণ, দখল করবো না এই অঙ্গীকার করলাম।

শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে আজ বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের জীবিকার ওপর প্রভাব পড়েছে। মানুষের অবাধ প্লাস্টিক ব্যবহারে নদী দূষণ-দখল তো হচ্ছেই পাশাপাশি পরিবেশ এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে।

মন্তব্য

p
উপরে