× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Extremely potential The tourism industry is still neglected
google_news print-icon

অপার সম্ভাবনাময় মৌলভীবাজার পর্যটন শিল্প এখনো অবহেলিত

সরকার পর্যটন জেলা ঘোষণা করে ২০০৮ সালে
অপার-সম্ভাবনাময়-মৌলভীবাজার
পর্যটন-শিল্প-এখনো-অবহেলিত

পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় মৌলভীবাজার প্রকৃতির অন্যতম লীলাভূমি। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে চা বাগান। একদিকে ঝরনা অন্যদিকে বিস্তীর্ণ হাওর। আছে এশিয়ার অন্যতম রেইনফরেস্ট লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বিপুল সম্ভাবনা থাকা মৌলভীবাজারকে সরকার পর্যটন জেলা ঘোষণা করে ২০০৮ সালে। এরপর এক যুগেরও বেশি সময় পার হয়েছে। তবে হয়নি ‘চায়ের দেশ’ ও ‘জলকন্যা’ মৌলভীবাজারের পর্যটনশিল্পের বিকাশ।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মতে, পর্যটক আকৃষ্ট করতে এখানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোর আধুনিকায়ন, বিমানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, পর্যটকদের সুরক্ষা, উন্নত সেবা নিশ্চিত এবং বাড়তি খরচ কমিয়ে কম খরচে সবার যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে এখানের দর্শনীয় স্থান নিয়ে বৈচিত্র্যময় শিল্পের প্রচারণা চালাতে হবে। তবেই পর্যটক শিল্প বিকশিত হবে। এর মধ্য দিয়ে চাকরি ও কর্মসংস্থান বাড়বে। একইসঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য ও অর্থনীতি চাঙা হবে।

পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা সবুজ চা-বাগান, হাওর, নদী, পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যপূর্ণ জনপদ মৌলভীবাজারকে ঘিরে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুদূরপ্রসারী কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সমন্বয়হীনতা, অবকাঠামো উন্নয়নের অভাব আরও বিনোদনকেন্দ্রে যাতায়াত ও উন্নতমানের গাইডের অভাবে মৌলভীবাজারের পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে না।
পর্যটন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এখানে সব মৌসুমে দেশ-বিদেশি পর্যটকের যাতায়াত থাকে। তবে যে পরিমাণ পর্যটক আসার কথা কিংবা যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। অথচ জেলায় দুই শতাধিক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে।
হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটন জেলা ঘোষণার এতদিন পরও মৌলভীবাজারকে সেভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পর্যটক আকর্ষণ, তাদের নির্দেশনা, নিরাপত্তা, আবাসন ও বিনোদনের পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম ছড়া জলপ্রপাত, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মাধবপুর লেক ও ইকোপার্ক, ওয়াটার ট্যুরিজমের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এ জেলায়। তবে নান্দনিকতার অভাবে পর্যটনের বিকাশ আটকে আছে।
শ্রীমঙ্গল চামুং রেস্তোরাঁ এবং ইকো ক্যাফে স্বত্বাধিকারী তাপস দাস বলেন, ‘সরকারি সহায়তার অভাবে স্থানীয় উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন না। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব রয়েছে, বিনোদনের নেই কোনো ব্যবস্থা, পর্যটন স্পটে সহজ যাতায়াত ও উন্নতমানের ভ্রমণ গাইডের অভাবে জেলার পর্যটনশিল্প বিকশিত হচ্ছে না। নান্দনিকতা ও বিনোদনের অভাবে পর্যটকরা এ জেলা থেকে মুখ তুফরে নিতে যাচ্ছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলার অরন্য নিবাস ইকো রিসোর্ট এর পরিচালনা কমিটির সদস্য এহসান কবির সবুজ জানান, পর্যটকদের যাতায়াতের সমস্যা। ঢাকা বা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আমাদের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রিসোর্টে আসেন। কিন্তু আসা এবং যাওয়ার পথে তাদের প্রথম বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় যানবাহন। এই জেলায় আসার যাওয়ার কোনো ভালো গাড়ি নেই। যদি সিলেট রেলপথে পর্যটনবাহী ২টা ট্রেন দেওয়া হয় তাহলে পর্যটকে ভরপুর থাকবে এই জেলা।
তিনি বলেন, ঈদ, পূজায় ও স্কুল বন্ধ থাকলে হাজারও পর্যটকে সমাহার থাকে এই জেলা। আমাদের ও অন্যদের রিসোর্ট ফিলাপ থাকে। যদি তাদের পরিপূর্ণ সার্ভিস দিতে হয়, তাহলে দ্রুত ভালো যানবাহানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোড় দাবি জানান।
পর্যটন সেবা সংস্থার সদস্য ও পরিবেশবাদী এসকে দাশ সুমন বলেন, ‘একই স্পট বারবার দেখতে পর্যটকরা পছন্দ করেন না। তারা নতুনত্ব চান। মৌলভীবাজারে পর্যটকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটছে না। বিনোদনকেন্দ্রিক আরও নতুন কিছু গড়ে ওঠা দরকার। একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরের এসব বিষয়ে আলোচনা হলেও লাভ হয়নি। সরকার ভালো উদ্যোগ নিলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারত।’
মৌলভীবাজার পর্যটন সেবা সংস্থার সদস্য সচিব শামছুল হক বলেন, জেলায় বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। এ জেলায় দেশের শীর্ষভাগ চা বাগান। রয়েছে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। পর্যটনকেন্দ্রিক যোগাযোগব্যবস্থা ও উন্নতমানের অবকাঠামো না থাকলেও অভ্যন্তরীণ উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, অবকাঠামোগত সুবিধা ও প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্য রয়েছে। পাহাড়, টিলা, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, হাওর-বাঁওড় বিল, ঝরনা, নদ-নদী পরিবেষ্টিত ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এ জেলা ইকো-ট্যুরিজমের জন্য খুবই উপযোগী। এ কারণে প্রতি বছর বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক এ জেলায় ভ্রমণে আসেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম আছে। এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন বলেন, মৌলভীবাজারে পর্যটকদের আকৃষ্টে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Narail is running freely Snail

নড়াইলে অবাধে চলছে শামুক-ঝিনুক নিধন

দ্রুত শামুক-ঝিনুক আহরণ বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর
নড়াইলে অবাধে চলছে
শামুক-ঝিনুক নিধন

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়াইলের খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয় থেকে অবাধে শামুক-ঝিনুক আহরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন জেলার চিংড়ি ঘেরগুলোতে এসব শামুক-ঝিনুক সরবরাহ করা হয়। নড়াইল জেলার প্রায় ৪০টি বিল ও জলাশয় থেকে প্রতিদিন শামুক আহরণ করা হচ্ছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাকশি, আউড়িয়া, বাড়িরডাঙ্গা, সীতারামপুর, তুলারামপুর, মুলিয়া,বামনহাট, মাইজপাড়া, শাহাবাদ, বরাশুলা, নলামারা, কাড়ারবিল, ফেদি, রতডাঙ্গা, কমলাপুর, কালিরডোব, হাড়িভাঙ্গা গোবরা, মির্জাপুর, আগদিয়া, বাসগ্রাম।
লোহাগড়া উপজেলার ঝুকটিয়া, গিলেতলা, এড়েন্দা, ব্রম্মণডাঙ্গা, নলদী, মিঠাপুর, লাহুড়িয়, কালনা, ইতনা, বাতাসি, দিঘলিয়া, কুমড়ি, তালবাড়িয়া।
কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি, ইছামতি, বেন্দারচর, হামিদপুর, কুলশুর, চাদেরচর, কলাবাড়িয়া, বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে স্থানীয় দরিদ্র্য মানুষরা ডিঙিনৌকা ও তালের ডোঙা নিয়ে শামুক আহরণ করে নির্দ্দিষ্ট স্থানে জমা করেন। পরে সেখানে বসে শামুকগুলোর খোল থেকে মাংশ ও ঘিলু বের করে একটি পাত্রে রাখেন। ব্যবসায়ীরা এসব শামুক ২৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যান।
লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রাম্মণডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের স্ত্রী রমলা বালা বলেন, ‘গ্রামের মানসির (মানুষ) দেহাদেহি আমিও তালের ডোঙা নিয়ে ইছামতির বিলি শামুক কুড়োতি যাই। বেলা মাথার পর উঠলি শামুক নিয়ে বাড়ী ফিরে আসি। বাড়ী আসে সেগুলোর খোল থেকে মাংশ ও ঘিলু বের করি। পরে সেগুলো ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দি। তিনি বলেন, দিন গিলি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পাই। তাই দিয়ে সংসার চালাই।’
কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি গ্রামের খুশি রানী মালো বলেন, ‘পূব আকাশে ভোরের আলো ফুটার আগেই তালের ডোঙ্গা নিয়ে ঘরেরতে বার হই। বেলা মাথার উপর গিলি বিলিরতে শামুক-ঝিনুক নিয়ে ঘরে ফিরি। পরে সেগুলোর ভিতরেরতে ঘিলু আর মাংশু বার করে ব্যবসায়ীগে কাছে বিক্রি করি। তিনি বলেন, শামুক আর ঝিনুকের খুসা অন্য মানুষগে কাছে বেঁচে দেই। সেখানেরতে আমরা তিন-চারশো টাকার মত পাই। শুনিছি তারা ওই গুলো পুরায়ে চুন বানায়।’
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বরুন মজুমদার বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ের শামুক-ঝিনুকগুলো মিষ্টি পানিতে ভাসমান রসালো জলজ উদ্ভিদ খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। শামুক-ঝিনুকের বালুচর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া শুকনো মওসুমে শামুকের খোলস জমির আদ্রতা কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। অবিলম্বে শামুক-ঝিনুক আহরণ বন্ধ করা প্রয়োজন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুল আলম বলেন, জলাভূমির জীববৈচিত্র রক্ষার স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তর জলাশয় থেকে শামুক-ঝিনুক আহরণ নিষিদ্ধ করেছে। এর পরও এক শ্রেণির ঘেরমালিক ও ব্যবসায়ীরা শামুক-ঝিনুক নিধন করে চলেছেন। তিনি দাবি করেন, চিংড়ির জন্য শামুক আহরণের ব্যাপারে ঘেরমালিকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
TIB claims on the number of tourists of the chief adviser are baseless Press Secretary

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা নিয়ে টিআইবির দাবি ‘ভিত্তিহীন’: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা নিয়ে টিআইবির দাবি ‘ভিত্তিহীন’: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সাম্প্রতিক দাবি ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং যাচাইবাছাইবিহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট থেকে নেওয়া।’

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রতিনিধি দল অতীতের হাসিনা আমলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট এবং অনেক বেশি মনোযোগী, কর্মঠ ও ফলাফলমুখী।’

তিনি বলেন, টিআইবি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার পক্ষে কাজ করছে এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজ সংগঠন। ‘তবে যাচাই করা তথ্যের পরিবর্তে গুজব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভুয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে জনসম্মুখে বিবৃতি দেওয়া হতাশাজনক।’

প্রেস সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ৬২—যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর বেশি নয়। গত বছর প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিল ৫৭ জন, তবে এতে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে ভ্রমণ করা ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বলেও তিনি পরিষ্কার করেন।

শফিকুল আলম জানান, এবারের সফরসঙ্গীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যারা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মকর্তা প্রতিদিন টানা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও জানান, গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অন্তর্ভুক্ত।

প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মতো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আসরে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ তুলে ধরা, যেখানে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’

তিনি উল্লেখ করেন, এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, এমন সময়ে যখন ‘বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে এবং বিদেশে লবিং করছে, যেখানে কিছু আন্তর্জাতিক মহলের নীরব সমর্থনও রয়েছে।

তিনি জানান, সফরসঙ্গী তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন, যারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এটি প্রমাণ করে যে জরুরি মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ঢাকা নেতৃত্ব অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া কয়েকজন উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি দলের বাইরে থেকেও বৈশ্বিক সমকক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদেরও এ সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের সহায়তায় বেশ কিছু কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘এই অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সূত্র : বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
KJFD Lutf Ara Khatun Scholarship 2021

কেজেএফডি- লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ প্রদান

কেজেএফডি- লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ প্রদান

কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা প্রথমবারের মতো সদস্যদের সন্তানদের কেজেএফডি-লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ প্রদান করেছে। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন@ ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাসির উদ-দৌলা।
বিশেষ অতিথি বলহাদী লুৎফুল এন্ড কোং এর প্রোপাইটার এণ্ড সিইও এম বি এম লুৎফুল হাদী।
কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি এরফানুল হক নাহিদের সভাপতিতেত্ব অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সাবেক সভাপতি আজিজুল হক এরশাদ, ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক শফিউল আলম দোলন, নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি রফিক মুহাম্মদ, কেজেএফডির সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহাজাহান, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসুল ভূইয়া, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক শাহরিয়ার শামীম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কেজেএফডির সিনিয়র সহ-সভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম।
অনুষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণী থেকে উচ্চতর পর্যায়ে অধ্যয়নরত ২০ পরিবারের ২০ সন্তানকে কেজেএফডি- লুৎফে আরা খাতুন স্কলারশিপ ২০২৫ হিসেবে প্রত্যেককে নগদ দশ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Albania is interested in taking Bangladeshi workers

বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী আলবেনিয়া

বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী আলবেনিয়া বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজরাম বেগাজ। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ক্রমবর্ধমান শ্রমশক্তির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে আলবেনিয়া।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজরাম বেগাজ।

প্রেসিডেন্ট বেগাজ বলেন, ‘আমাদের দেশে শ্রমশক্তির প্রয়োজন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আলবেনীয় কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আবেদন করেছে।’

তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হতে পারে, বিশেষত পর্যটন খাতে। আলবেনিয়ার দক্ষিণ উপকূলকে সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশি পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তরুণ ও উদ্যমী কর্মশক্তির কারণে বাংলাদেশ আলবেনিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম। তিনি আলবেনীয় সরকারকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান। বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার জন্য নয়াদিল্লি পর্যন্ত যেতে হয় বলেও উল্লেখ করেন।

জবাবে প্রেসিডেন্ট বেগাজ জানান, বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালুর বিষয়টি আলবেনিয়া বিবেচনা করছে। পাশাপাশি তিনি উচ্চপর্যায়ের সরকারি সফর বিনিময়সহ প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে কারখানা ও কৃষিখাতের কর্মীসহ বহুমুখী শ্রমশক্তি সরবরাহে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট বেগাজ জানান, আলবেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির বিদ্যমান ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There will be no selection in the PR system in this country Aman Ullah Aman

এদেশে পিআর পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচন হবে না: আমান উল্লাহ আমান

এদেশে পিআর পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচন হবে না: আমান উল্লাহ আমান
এদেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে। এদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না, তাই কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলার আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুরস্কার বিতরণ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, আপনারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ২ আসন থেকে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি নির্বাচন করবেন। আপনাদের হাতে আমি ব্যারিস্টার অমিকে তুলে দিলাম।
অনুষ্ঠানে আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা ২ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি। কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির নেতা মাসুদ রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন, আটি পাঁচদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. খায়রুল আমীন, হাজী সলিমুল্লা চেয়ারম্যান প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The reckless speed of the truck took the life of the mother and daughter

ট্রাকের বেপরোয়া গতি কেড়ো নিলো মা মেয়েসহ ৩ জনের প্রাণ

ট্রাকের বেপরোয়া গতি কেড়ো নিলো মা মেয়েসহ ৩ জনের প্রাণ
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ট্রাক-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের নবীনগর এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা আবাদিত কেশবা প্রিয় (৪০) ও তার মেয়ে সুনামগঞ্জের সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী প্রথমা চৌধুরী। তারা হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নবীপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় নিহত চালক সজল ঘোষ (৫০) সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা।
জয়কলস হাইওয়ে থানার ওসি সুমন কুমার চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ শহর থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলো ওই সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শান্তিগঞ্জের পাগলা নবীননগর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সিএনজিকে মুখোমুখি ধাক্কা দিলেই ঘনস্থালেই মারা যান চালক সজল ঘোষ ও যাত্রী কেশবা প্রিয়। আহত কিশোরী প্রথমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তিনটি মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালককে স্থানীয়রা আটক করে রেখে পরবর্তিতে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহতের আত্মীয় গোবিন্দ কুমার দাশ জানান, নিহতরা ইস্কনের অনুসারি। তারা সুনামগঞ্জ ইস্কনের মন্দীরের অধীনে সেবায়েত হিসেবে সুনামগঞ্জে বসবাস করতেন। আজ সিলেট যাওয়ার কথা ছিলো তাদের।
এই ঘটনায় ঘাতক চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে