মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রোগী সেবার মানোন্নয়নে ৪টি হুইলচেয়ার প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে হুইলচেয়ারগুলো হস্তান্তর করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান। তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহসিন উদ্দিনের কাছে এগুলো তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেদী হাসান, জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেন, সাবেক থানা বিএনপি সভাপতি কুতুব উদ্দিন কুতুব, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদ খান কিজিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান বলেন, মাগুরা সদর হাসপাতাল নানা সমস্যায় জর্জরিত। দুর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ রোগীদের দ্রুত বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রোগী স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই সমস্যা মোকাবেলায় আমরা ৪টি হুইলচেয়ার প্রদান করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘সদর হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। জনগণ আমাদের সাথে থাকলে আমরা ভবিষ্যতে হাসপাতালের সেবার মান আরও উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গত বুধবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থার সদর দপ্তরে দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ এবং এর আগে গত বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিওসা ওসমানির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনমান অনুসরণ করেই এই বিচার পরিচালিত হচ্ছে। বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও তিনি (হাসিনা) উসকানিমূলক ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী মন্তব্য করছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা প্রত্যর্পণ চেয়েছি।’
বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, জাতিসংঘ সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আসিয়ানভুক্তির প্রচেষ্টা, শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার এবং নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ পাওয়ার উদ্যোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ মাসে আমরা (অন্তর্বর্তী সরকার) অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছি।’
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমাদের জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এখন তারা ফেব্রুয়ারির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’
বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই চার্টারে সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে বলেও ফিনিশ প্রেসিডেন্টকে জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক ও শেহবাজ শরীফের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম, পাকিস্তানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিধ্বংসী বন্যা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যায় এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ এবং আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শরীফ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে এ ধরনের বিপর্যয়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি ১১টি কমিশনের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার দেশকে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং দলগুলো ‘জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করবে, যেখানে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
উভয় নেতা আলোচনা করেন যে সম্প্রতি কয়েক বছরে সার্ক কার্যত নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী শরীফ ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে ইতালিয়ান বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং বলেন দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বিস্তারের বড় সম্ভাবনা রয়ে গেছে।
উভয় নেতা বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অভিবাসন চ্যালেঞ্জ, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মেলোনির বাংলাদেশে সম্ভাব্য সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অভিবাসন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মেলোনি ইতালির পক্ষ থেকে ঢাকার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন, যাতে দুদেশের জন্য নিরাপদ অভিবাসনের পথ নিশ্চিত করা যায়।
তিনি মানবপাচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেন, যা ভূমধ্যসাগরে শত শত মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই মানবপাচারের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ এবং নিরাপদ অভিবাসনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকর করেছে।
তিনি বলেন, ‘মানবপাচার রোধে আরও সমন্বিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজন।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশ ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পথে রয়েছে, এরপর তিনি তার পূর্ববর্তী ভূমিকায় ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী মেলোনি অধ্যাপক ইউনূসের গত ১৪ মাসের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা এবং নিশ্চিত করেন যে ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দেশ যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সমর্থন জানাবে।
দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও গঠনমূলক আলোচনা করেন। অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী মেলোনি আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠানোর অঙ্গীকার করেন।
সূত্র: বাসস/ইউএনবি
কুমিল্লা-৬ (সদর-সদর দক্ষিণ) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কুমিল্লা মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশ সবার। মুসলমানদের মতো অন্য ধর্মের ভাইয়েরাও যেন সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। শত শত বছর ধরে ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার- এই চেতনা ধারণ করেই শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গঠন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে ধর্মীয় সহনশীলতা, মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলেই সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা ২ নং উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়ন আড়াইওরা নমুসতপাড়া আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা মহানগরীর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক এ. কে. এম. এমদাদুল হক মামুন। ওই সময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ, যুব বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম পাটোয়ারী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবুল কাশেষ শামিম প্রমুখ।
‘ক্লিন নড়াইল-ড্রিম নড়াইল।’ এটি শহরের ময়লা-অবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রকল্পের একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্রকল্পের কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। ফলে ময়লার দুর্গন্ধ পথচারীরা এখন বিরক্ত হয়ে পড়ছে। এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে অন্যত্র সরিয়ে নিতে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীরা দাবি জানিয়েছেন। তারা ময়লা-আবর্জনা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে চায়।
নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থাপিত নড়াইল পৌরসভা। ৮০ দশকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হয়েছে। দেরিতে হলেও নড়াইল পৌর এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে গড়ে তোলা হয় ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প। যার কাজ হলো শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করা। বি আই আর ডি (বোর্ড ফর ইন্টিগ্রেটেড রুলার ডেভেলপমেন্ট) নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে কাজটি করার জন্য দায়িত্ব দেয় নড়াইল পৌরসভা। আর এসব কাজ যৌথভাবে তদারকি করবে জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা।
নাগরিকদের প্রয়োজনের তাগিদে যে কথা সেই কাজ। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকেই কাজ শুরু হয়। কাজের শুরুতে জেলা প্রশাসন নড়াইল-যশোর সড়কের নতুন বাস টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। বি আই আর ডি, এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করে। ময়লা-আবর্জনা বহনের জন্য ১৩টি ভ্যানগাড়ি ব্যবহার করা হয়। টার্মিনালের সামনের গর্তে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে আশপাশের বাসিন্দাসহ টার্মিনালে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের রাত যাপনে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর তদারকিতে শহরের রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজ শুরু হলে ওই গর্ত থেকে ময়লা-আবর্জনা অন্যত্র নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসন নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর সেতুর পশ্চিম পাশ বেছে নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে সেখানেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দাদেরও একই অবস্থা শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর এলাকায় পৌর ভাগাড় বানিয়ে সেখানে শহরের যত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ সেতুর পশ্চিম পাশে ময়লা-আবর্জনা আর পূর্বপাশে শুকরের মলমূত্রের দুর্গন্ধে কৃষি জমিতে কাজ করা যায় না। মাছের ঘেরে খাবার দিতে অসুবিধা হচ্ছে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনসহ খাল-বিলে মাছ মারা ও ধরা যায় না। তাদের দাবি ভাগাড় এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষকে মুক্ত বাতাসে বসবাস করার সুযোগ করে দিন ।
সীতারামপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘যারা এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার অনুমতি দিয়েছেন তারা হয়তো সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখেননি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমন করে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় বানিয়ে দিলেন বোধগম্য হয় না।’ তিনি দাবি করেন, দ্রুত এখান থেকে ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে এলাকার মানুষকে মুক্ত বাতাসে বসবাস করার সুযোগ করে দেবেন ।
মুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য অজিত কবিরাজ বলেন, ‘এখানে ময়লার ভাগাড় করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর গ্রামের মাছের ঘেরসংলগ্ন ভাগাড় বানিয়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যে কারণে এলাকাবাসীর বসবাসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে এলাকার কৃষক ও মৎস্যচাষীদের কাজ করতে চরম অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে । অন্য কোনো ফাঁকা স্থান বেছে নিয়ে সেখানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় নির্মাণে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।’
জানতে চাইলে নড়াইল পৌর প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না বলেন এ বিষয়ে এলাকাবাসী অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেউ কোনো আবেদন করেননি। আবেদন পেলে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পার। তা ছাড়া অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে অন্যত্র ফাঁকা স্থান দেখে ভাগাড় নির্মাণে পরিকল্পনা করা হতে পারে।
মীরসরাইয়ে ওয়ারেন্টভূক্ত ও মাদক মামলার আসামিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব পোল মোগরা এলাকার মৃত অলিউর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৪৮), মঘাদিয়া ইউনিয়নের সরকারটোলা এলাকার ওয়াহেদুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক (২১), করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগরের আবুল কালামের ছেলে মো. নাজমুল হামিদ (২১), সীতাকুণ্ড উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ এলাকার জয়নাল আবেদীনের সাজ্জাদ হোসেন সাকিব (২২), মীরসরাই পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম আমবাড়িয়া এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে কায়সার সিদ্দিক ফাহাদ (২২), মীরসরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর তালবাড়িয়া এলাকার নুরুল করিমের ছেলে তারেক হোসেন (২০) ও মীরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া এলাকার শামছুদ্দিনের ছেলে বাবুল (২৭)। বাবুল মীরসরাই থানার ওয়ারেন্টভূক্ত রেজাউল করিমের নামে একজনের নামে মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
মীরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ‘মীরসরাই থানার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার আসামিসহ সাতজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। গত বুধবার রাতে জিমখানা লেকপার্ক এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন- মো. ফয়সাল (২১), রিফাত (২০), জুবায়ের ভূইয়া রানা (৩৬), মো. মোস্তফা হোসেন (২৬) ও অভিনন্দী (৩০)। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া আটককৃত আরও ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় যাচাই বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া অপর তিনজনের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- আলম চাঁন, পারভীন আক্তার ও আফরিনা ওরফে হাসি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার জিমখানা এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে জিমখানা এলাকার মাদক কারবারী আলম চাঁনকে আটক করা হয়। এছাড়া আলম চাঁন এর নিজ বসতঘর তল্লাশি করে প্রায় দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, ৩টি বড় ছোড়া, ১টি স্টীলের চাপাতি, ১টি টেটা, ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে। এছাড়া আলম চাঁন এর বিরুদ্ধে সদর থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।
এছাড়া পারভীন আক্তার এর কাছ থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও আফরিনা ওরফে হাসি এর কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গাঁজা রাখা ও সেবনের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৫ জনকে সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির। এদের মধ্যে মো. ফয়সাল ও রিফাতকে ১২ দিন, জুবায়ের ভূইয়া রানাকে ২০ দিন, মো. মোস্তফা হোসেনকে ১৪ দিন এবং অভিনন্দীকে ৭ দিন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর বেনাপোল চেকপোস্টে ভারত গমনে যাত্রীদের কোলাহল দেখা গেছে। দুর্গাপূজার ছুটি কাটাতেই হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে দুর্গাপূজা উৎসব পালন করতে, কেউবা চিকিৎসা করতে, কেউ যাচ্ছে বেড়াতে। গত দুদিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পর ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ভিসা, কিছু ইমারজেন্সি ভিসা প্রদান করেন। সে সময়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত যেত। তবে ২৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই দুর্গাপূজার কারণে ভারত সরকার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভিসা প্রদানে আরো একটু শিথিল করেছেন। এখন প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে গমন করছেন। ভারত থেকেও প্রতিদিন আসে ৪ শ থেকে ৫ শত পাসপোর্ট যাত্রী। হঠাৎ করে ভারত গমনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের কোলাহল দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে পূজা উৎসব পালন করতে কেউ চিকিৎসা করতে কেউ আবার পরিবার নিয়ে যাচ্ছে বেড়াতে। যাচাই-বাছাই করেই পাসপোর্ট-যাত্রীদের ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণের পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুদিনে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গমন করেছেন। পূর্বের ন্যায় ভারত সরকার বাংলাদেশি যাত্রীদের ভিসা প্রধানের ব্যবস্থা করলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণ অনেক বেড়ে যাবে। যাত্রী পারাপার বেশি হলে সরকারি রাজস্ব আদায় বেশি হবে এখান থেকে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক সেতুর দুই পাশ জুড়ে বাতি থাকলেও প্রায় সবগুলো সড়কবাতিই প্রায় বছর খানেক ধরে অকেজো। অন্ধকার সেতুতে পথচারীদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা, মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আতঙ্ক বিরজমান। এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে চলাচল করছে জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর দুই পাড়ের পূজা দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার অভ্যন্তরে বয়ে যাওয়া তুরাগ নদীর বিভক্ত করেছে উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দাদের। এ নদীর উপর পুরোনো বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলে তার পাশে নতুন করে একটি ঢালাই সেতু নির্মাণ করে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৪২ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে চাপাইর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। এ সেতুর দক্ষিণ পাশে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় রয়েছে। এছাড়া সব পরিবহন এবং কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কালিয়াকৈর সদর বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসাকেন্দ্রও দক্ষিণ পাশে। অন্যদিকে উত্তর পারে পাশে এ উপজেলা ছাড়াও শ্রীপুর উপজেলাসহ ময়মনসিংহ জেলা রয়েছে। ফলে তুরাগ নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাওয়া-আসা করেন। কিন্তু এ উপজেলার মধ্যে তুরাগ নদীর ওপর আরও দুটি সেতু থাকলেও সবচেয়ে বেশি লোকজন চলাচল করেন এ সেতু দিয়েই। এছাড়া সেতুর দুই পাশে প্রায় অর্ধশত বাতি স্থাপনের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করায় আরও সুন্দর্য্য বর্ধন হলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীরাও এখানে সময় কাটায়। কিন্তু উদ্বোধনের অল্প দিনের মধ্যেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্থাপনকৃত সেতুর দুই পাশের প্রায় সব বাতিই অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায় বছর খানেক ধরে অন্ধকারে রয়েছে সেতুটি। এখন সন্ধ্যা নামলেই এখন লোকজন এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন। আর অন্ধকারের সুযোগে সড়ক দুর্ঘটনা, ছিনতাই, বখাটে, মাদকসেবীরা সেতুতে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সেতুর ওপর অন্ধকারে আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছেন মানুষ।
আরও জানা যায়, সন্ধ্যার পর সেতুর চারপাশে থাকে অন্ধকার। সেতু দিয়ে কিছু সময় পরপর সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন যাওয়া-আসা করে। এতে পথচারীরা অন্ধকারে কিছুটা আলো পান। তবে যানবাহন চলাচল না করলে পথচারীদের অন্ধকারের মধ্যেই হাঁটতে হচ্ছে। সেতুর দুই পাশে বাতি থাকলেও অকেজো থাকায় সেগুলো জ্বলছে না। এছাড়া আগামী শনিবার থেকে হিন্দু-সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পূজা শারদীয় দুর্গোৎসব। এরপর আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পূজা সমাপ্ত হবে। কিন্তু এ সেতুর দুই পাড়েই প্রায় ২৭টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এসব মণ্ডপেই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ হয়ে থাকা এ সেতুর ওপর দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলাচল করবে শত শত পূজা দর্শনার্থী। কিন্তু বাতিগুলো অকেজো থাকায় সেতুতে সুনসান অবস্থা। তারপরও গভীর রাতেও সেতু দিয়ে যাওয়া-আসা করবে পূজা দর্শনার্থীরা। এ সময় অনেকের সঙ্গে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার ছাড়াও দামি মালপত্র থাকবে। ফলে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেতুতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনাও। তারপরেও বাতিগুলো সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে সেতুর বাতিগুলো অকেজো হয়ে রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে দ্রুত বাতিগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গাজীপুর পূজা উদযাপন ফন্টের সদস্য সচিব পবণ সাহা বলেন, প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ সেতুর ওপর দিয়ে ৪-৫ মিনিট হেঁটে পারাপার হন। কিন্তু প্রায় বছর খানেক ধরে বাতিগুলো অকেজো থাকায় অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চলাচল করেন। এখন সেতুটি আরও নিরিবিলি এবং অন্ধকার থাকায় জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে পড়বে পূজা দর্শনার্থীরা।
অকেজো বাতি মেরামতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান জানান, অতিদ্রুত সেগুলো মেরামত বা পরিবর্তন করা হবে। এগুলো পুনরায় মেরামত করে সেতুটি আলোকিত রাখতে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ জানান, পূজা উপলক্ষে সেতুর দুই পাশে তৎপরতা বাড়ানো হবে। এছাড়া সেতুতে বসানো বাতিগুলো অকেজো হওয়ার বিষয়ে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য