চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ইনুকে এই মামলায় প্রডাকশন ওয়ারেন্টে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে আজ প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মো: মিজানুল ইসলাম। এ সময় অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় সাতজনকে হত্যা করা হয়। সেই সঙ্গে আহত হন বেশ কয়েকজন। সে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে।
অন্যদিকে, ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনার সাথে হাসানুল হক ইনুর দু’টি ফোন কথোপকথন রেকর্ড গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ উপস্থাপন করা হয়। রেকর্ডে দেখা যায় তারা আন্দোলন মোকাবিলায় বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শেখ হাসিনা সহ তিন জনের বিরুদ্ধে চলা ওই মামলায় উপস্থাপিত সে কল রেকর্ডে শোনা যায় যে.....
হাসানুল হক ইনু: হ্যালো, জ্বি, জ্বি, স্লামালাইকুম।
শেখ হাসিনা: হ্যাঁ, ওয়ালাইকুমস্লাম, কী হইছে?
হাসানুল হক ইনু: ইনু বলছিলাম... না একটা কথা... আমি মনে করি যে আপনার পদক্ষেপটা সঠিকই হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা রিপোর্ট বাংলাদেশে পাচ্ছি আরকি। খালি ঢাকাতে আপনার রামপুরার দিকে এবং...
শেখ হাসিনা: না রামপুরা ক্লিয়ার, শনির আখড়ায় একটু ঝামেলা এখন আছে...
হাসানুল হক ইনু: শনির আখড়ায় কিছু মোল্লারাই...
শেখ হাসিনা: হ্যাঁ জানি, না, খালি মোল্লা না ওইখানে অনেক মাদরাসা।
হাসানুল হক ইনু: মাদরাসা আছে ওই...
শেখ হাসিনা: ... ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে... মাইকিং করতে হচ্ছে আরকি... নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দিচ্ছে না আর্মিকে, আমরা... নামাচ্ছি।
হাসানুল হক ইনু: ও আচ্ছা...
শেখ হাসিনা: না আমি বলছি ক্যাজুয়াল্টির দরকার নাই। ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিকাছে, আকাশ থেকে নামবে, তখন দুই পাশ দিয়ে ধরবে... মেসেজটা দিয়ে দিতে পারেন যে... সেনা পাঠানো হচ্ছে... আর হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে... র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর দিয়ে মারবে।
হাসানুল হক ইনু: আচ্ছা ওপর দিয়ে সাউন্ড বোম যাবে আরকি, ঠিকাছে... আমি একটা পয়েন্ট আপনাকে একটু নজরে আনার জন্য রিকোয়েস্ট করতেছি যে, কারফিউ ধরেন দুই-পাঁচদিন যা চলল, চলল। কিন্তু কারফিউয়ের পর যেন আর মিছিল না নামতে পারে সেজন্য একট হোমওয়ার্ক করতে, করা দরকার যেরকম আমি উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, যাত্রাবাড়ীতে যারা মিছিল লিড করছে সেইগুলা চিহ্নিত আরকি... ছাত্রদল, বিএনপির ছেলে-মেয়ে, ছেলেরা, শিবিরের... মানে ধরেন রিজভীকে এরেস্ট করা বা রুহুলকে এরেস্ট করা ইম্পর্টেন্ট না, ইম্পর্টেন্ট হচ্ছে ওইখানে গ্রাউন্ডে যে মিছিলটা লিড করেছে, আমি কুষ্টিয়া জেলাতে, ওখানে এসপি সেভাবে অলরেডি তালিকা করে ফেলছে। ওখানে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। একটা ছররা গুলি খালি একজনের পায়ে লাগছে, উনি ম্যানেজ করছে। ম্যানেজ করছে। উনি অলরেডি কম্পিউটারে ছবি দেখে দেখে ছেলেগুলার তালিকা করতেছে। তা আমি বললাম যে ছেলেগুলাকে আজকে রাত্রের ভেতরে পিকআপ করে নাও।
শেখ হাসিনা: হ্যাঁ শিওর।
হাসানুল হক ইনু: যেন মিছিলটা লিড না করতে পারে। তা আমি ঢাকা শহরের জন্য বলছি যে আপনার গোয়েন্দারা নিশ্চয়ই তালিকা করতে পারবে যে উত্তরায় কারা।
শেখ হাসিনা: ... খালি গোয়েন্দারটা না, লোকাল লিডারদেরও করা উচিত।
হাসানুল হক ইনু: লোকাল লিডার ওইখানে এমপি খসরু ও হাসান হাবিব আছে। আমার কালকের যে রিপোর্ট তা হাসান হাবিবের কিন্তু ও রাগ করে খসরুর ওপর ছেড়ে দিছে যে এমপি সাহেব মোকাবিলা করুক.....
শেখ হাসিনা: খসরু তো পারবে না, খসরু তো লোকাল না, হাসান তো লোকাল, ওদেরতো লোকজন আছে।
হাসানুল হক ইনু: লোকাল না তো। রাইট, হাসান হাবিব নামেনি। আর এখানে ওয়াকিলও সামলাইতে পারেনি, ও দুই লাইনে পা দিয়ে চলে। তো আমার কথা হচ্ছে যে একটু লোকাল লিডারদের সাহায্যে তালিকাটা করে নিয়ে আজকের রাত্রের ভেতরে সব কাস্টডিতে নিতে পারেন তাহলে কোনো জায়গায়... আর মোহাম্মদপুরে একটা পাঁয়তারা ছিল। কালকে আপনি রাত বারোটায় যেয়ে খুব ভালো করছেন। আজ কিন্তু গণভবন ঘেরাও করতো। কিন্তু মোহাম্মদপুরে ওইখান থেকে রেডি হচ্ছিল কালকে, মানে এইটা, সুতরাং...
শেখ হাসিনা: হ্যাঁ এইটা কয়েকদিন ধরে করতেছে।
হাসানুল হক ইনু: ডিসিশনটা খুবই কারেক্ট হইছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা: থ্যাংকিউ, থ্যাংকিউ... আমরা হলাম রণক্ষেত্রের সাথী।
হাসানুল হক ইনু: রণক্ষেত্রের সাথী। তা আপনি একটু দয়া করে...এই পিকআপটা করতে বলেন...
শেখ হাসিনা: না এইটা বলা আছে, বলতেছি, বলতেছি।
হাসানুল হক ইনু: ওইটা একটু হোমওয়ার্ক করতে বলেন, করে এরেস্ট করে ফেলতে বলেন আজকে। মানে সবাইকে এরেস্ট করে ফেললে আর মিছিল করার লোক থাকবে না।
শেখ হাসিনা: লিসেন, দাঁড়ান, দাঁড়ান। এরেস্ট করে....
হাসানুল হক ইনু: আরেকটা রিকোয়েস্ট আমার যে ইন্টারনেট আমার মনে হয় চালু করতে পারেন, এটা আমাদেরই কাজে লাগবে।
শেখ হাসিনা: ভাই কি যে চালু করবো সবতো পোড়াই দিছে। ডাটা সেন্টারও পোড়ায় দিছে। এখন ওই নতুন তারতুর কিনে জোড়া লাগাতে হবে।
হাসানুল হক ইনু: ... আমি যে কথাটা বলার চেষ্টা... আমি একাত্তরে রাত আটটার সময় যাবো একা কথা বলবো। আমি বলবো যে সরকারের সাথে কোটা আন্দোলনকারীর কোনো বিরোধ নাই। সরকারের সাথে বিরোধ হচ্ছে নাশকতাকারী বিএনপি-জামাতের।
শেখ হাসিনা: না ওইটা তো বলা হয়েছে। ওইটা আমি নিজেও বলছি...
হাসানুল হক ইনু: ... এই জিনিস্টা প্রোপাগান্ডায় আনতে হবে যদি ইন্টারনেট থাকে, গণমাধ্যম দিয়ে আমরা পুরা নিউজে ফ্লাড করে দিলাম...
শেখ হাসিনা: ইন্টারনেট পাবো কোথায়? ইন্টারনেট পোড়ায় দিছে। জীবনে... আমি তো আর আনবো না, যদি অন্য সরকার আসে তাহলে আনবে... আমি দিছি ইন্টারনেট, ওরা পোড়াইতে থাকুক, ওইটা চলতে হবে...
হাসানুল হক ইনু: অন্য সরকার, বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ অন্য সরকার আসবে না।
শেখ হাসিনা: আসুক....
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের হলুদঘর গ্রামের পাশে পাকা রাস্তার ধারে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে মান্দা থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৩২ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাটি এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টিকে রহস্যজনক হিসেবে মনে করছেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, “লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডও হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ও তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
রাজবাড়ীর পাংশায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পৌর শহরে সৃষ্ট যানজট নিরসনে কাজ করছে পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. বাহারাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার সরদারের নেতৃত্বে সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে লাল রঙ দিয়ে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা আঁকা হয়। যাতে ভিড়ের সময় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং পথচারীরাও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারেন।
পাংশা শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার সরদার জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিদিন শহরে ভিড় বেড়ে যায়। বিশেষ করে পূজামণ্ডপ, বাজার ও শপিং সেন্টার ঘিরে যানজট সৃষ্টি হয়। এজন্যই আগে থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সমিতির সভাপতি বাহারাম হোসেন জানান, শুধু পূজার সময়ই নয়, সারাবছরই যেন পৌর শহরে শৃঙ্খলিতভাবে যান চলাচল করতে পারে—সেই দিকেও সমিতি নজর দেবে। এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে তারা বাজারের ব্যবসায়ী, ভ্যানচালক, অটোচালক ও অন্যান্য যানবাহনের চালকসহ আগত জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন। যাতে করে পাংশা বাজারের যানজট নিরসন করা সম্ভব জয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ বণিক সমিতির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে পাংশা শহরে যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।
দীর্ঘদিন পর বেনাপোল চেকপোস্টে ভারত গমনে যাত্রীদের কোলাহল দেখা গেছে। দুর্গাপূজার ছুটি কাটাতেই হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে দূরগাপূজা উৎসব পালন করতে কেউবা চিকিৎসা করতে কেউ যাচ্ছে বেড়াতে। গত দুদিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পর ভারত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ভিসা কিছু ইমারজেন্সি ভিসা প্রদান করেন। সে সময়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারত যেত। তবে ২৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই দুর্গাপূজার কারণে ভারত সরকার বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের ভিসা প্রদানে আরো একটু শিথিল করেছেন। এখন প্রতিদিন ২০০০ থেকে আড়াই হাজার বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারতের গমন করছেন। ভারত থেকেও প্রতিদিন আসে ৪ শ থেকে ৫ শত পাসপোর্ট যাত্রী। হঠাৎ করে ভারত গমনে পাসপোর্ট যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের কোলাহল দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছে পূজা উৎসব পালন করতে কেউ চিকিৎসা করতে কেউ আবার পরিবার নিয়ে যাচ্ছে বেড়াতে। যাচাই-বাছাই করেই পাসপোর্ট-যাত্রীদের ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণের পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিনে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গমন করেছেন। পূর্বের ন্যায় ভারত সরকার বাংলাদেশী যাত্রীদের ভিসা প্রধানের ব্যবস্থা করলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ভ্রমণ অনেক বেড়ে যাবে। যাত্রী পারাপার বেশি হলে সরকারি রাজস্ব আদায় বেশি হবে এখান থেকে।
রঙ কেবল নান্দনিক পছন্দের চেয়েও বেশি কিছু। এটি অনুভূতি তৈরি করে, স্মৃতিকে ধারণ করে ও এমন অনুভূতি উদ্দীপ্ত করে যা আমাদের বাকি বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করে। ফ্যাশন, ডিজাইন ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে রঙ প্রায়শই উদ্ভাবন কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। আর ২০২৫ সালের জন্য, অপো নিয়ে এসেছে এ বছরের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর শেড, রোজউড রেড। অপো এ৬ প্রোর রোজ পেটাল ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে ঐতিহ্য, শিল্পকলা ও আধুনিকতার অনন্য সমন্বয়।
বিশ্বজুড়ে রোজউড রেড ডিজাইন সবচেয়ে প্রশংসিত শেড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর কোমল আন্ডারটোনগুলো উষ্ণতা, আশাবাদ ও স্থিতিশীল শক্তির প্রতীক। পাশাপাশি, এর গভীর কনট্রাস্ট নান্দনিক সামঞ্জস্য নিশ্চিত করে রঙটিকে চিরন্তন ও সমসাময়িক করে তোলে। উজ্জ্বলতা ও শান্তির মধ্যে ভারসাম্য ধরে রাখে এটি, করে তোলে আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণার অংশ।
অপো এ৬ প্রোর রোজ পেটাল ডিজাইন প্রাকৃতিক বিশ্ব থেকে সরাসরি অনুপ্রাণিত। গোলাপের প্রতিটি পাপড়ি এক ধরনের স্থিতিস্থাপকতার গল্প বলে, যা বাহ্যিক চাপের মাধ্যমে গঠিত। এই প্রক্রিয়াটি অপো ডিজাইনারদের মুগ্ধ করেছে। গোলাপের বেড়ে ওঠার দার্শনিকতার প্রতীক অপো এ৬ প্রোর রোজ পেটাল ডিজাইন।
রোজ পেটাল ডিজাইন ও রোজউড রেডের সমন্বয়ে নিয়ে আসা অপোর এই ডিভাইস পারফরম্যান্সকে ছাড়িয়ে যায়। একঘেয়েমি দূর করতে এতে থ্রিডি পেটাল প্যাটার্ন ব্যবহার করা হয়েছে, যা আলোর অবস্থান অনুযায়ী নিজের সৌন্দর্যকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
অনন্য এই ডিভাইসটি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা এমন একটি ডিভাইসের অভিজ্ঞতা লাভ করতে যাচ্ছেন যা, কেবল উদ্ভাবন নিয়ে আসছে না, বরং অনুপ্রেরণাও নিয়ে আসছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়ায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে (২০২৩ সালে)। কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্তও দৃষ্টিনন্দন তিনতলা এ ভবনটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক। ভবনের প্রথম তলায় মার্কেট, দ্বিতীয় তলায় অফিসের জন্য ছয়টি কক্ষ এবং তৃতীয় তলায় একটি সম্মেলন কক্ষ নির্মিত হয়েছে।
২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ৬৪ জেলার ৪২১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। প্রথমে ২০১৫ সালের জুনে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করা হয়। প্রতিটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
যদিও ২০২৪ সালে সারাদেশে ৩৪টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স একসঙ্গে উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল, তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে নবীনগরের মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে পৌর ভবন সংলগ্ন অফিসে স্থান সংকুলান ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
অপরদিকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক এই ভবনটি দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ভাঙা জানালার কাঁচ, ক্ষতিগ্রস্ত শাটার, বৃষ্টির পানি জমা, এমনকি একমাত্র নলকূপ চুরি হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। মূল গেইট না থাকায় ভবন এলাকায় অবাধে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ।
নীতিমালা অনুযায়ী এই ভবনের ভাড়া থেকে শতকরা ১৫ ভাগ ব্যয় হবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে এবং বাকি ৮৫ ভাগ জমা হবে সরকারি কোষাগারে। কিন্তু উদ্বোধনে বিলম্বের কারণে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ভবনটিও ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সামসুল আলম বলেন—
“আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভবনটি বুঝে পাওয়ার দাবি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অচিরেই ভবনটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন—
“ভবনটি সংস্কারের পর শিগগিরই উদ্বোধন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি এসেছে। দ্রুতই তা করা হবে।”
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জিমখানা লেকপার্ক এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৫ জন হলেন- মো. ফয়সাল (২১), রিফাত (২০), জুবায়ের ভূইয়া রানা (৩৬), মো. মোস্তফা হোসেন (২৬) ও অভিনন্দী (৩০)। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া আটককৃত আরও ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় যাচাই বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া অপর তিন জনের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- আলম চাঁন, পারভীন আক্তার ও আফরিনা ওরফে হাসি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার জিমখানা এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে জিমখানা এলাকার মাদক কারবারি আলম চাঁন কে আটক করা হয়। এছাড়া আলম চাঁন এর নিজ বসতঘর তল্লাশি করে প্রায় দেড় কেজি গাঁজা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, ৩টি বড় ছোড়া, ১টি স্টীলের চাপাতি, ১টি টেটা, ২টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা করা হবে। এছাড়া আলম চাঁন এর বিরুদ্ধে সদর থানায় ১০টি মাদক মামলা রয়েছে।
এছাড়া পারভীন আক্তার এর কাছ থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও আফরিনা ওরফে হাসি এর কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হবে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে গাঁজা রাখা ও সেবনের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৫ জনকে সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির। এদের মধ্যে মো. ফয়সাল ও রিফাতকে ১২ দিন, জুবায়ের ভূইয়া রানাকে ২০ দিন, মো. মোস্তফা হোসেনকে ১৪ দিন এবং অভিনন্দীকে ৭ দিন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযান পরিচালনা করে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় প্রেরণ করে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া তিনজন আগে থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য