কার্গো ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণের ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, ওষুধ, মোটর সাইকেলের টায়ার এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছে বিজিবি। গত সোমবার রাতে এসব পণ্য আটক করা হয়েছে।
বিজিবি জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি এর সার্বিক দিক নিদের্শনায় ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য পাচার রোধে বেনাপোল বিওপি হতে একটি বিশেষ চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেনাপোল বাইপাস সড়ক থেকে মাগুরা কার্গো সার্ভিসের একটি কার্গো ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৭৫৬৬) তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে ট্রাকটিতে অবৈধ মালামাল বহন করতে পারে মর্মে সন্দেহ হলে ট্রাকটি তল্লাশীর জন্য বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে আনা হয়। কার্গো ট্রাকটি তল্লাশি করে ট্রাকের ভেতর হতে ভারতীয় শাড়ী ১৪৭৬ টি, থ্রী পিচ ২১৫ টি, মোটর সাইকেলের টায়ার ২টি, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ১০৬৯৩ টি, কার্গো ট্রাক ১টি এবং ৭৪৪৫৫টি বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রীর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ টাকা।
আটককৃত চালক ও হেলপার জানান, বেনাপোল নামাজ গ্রামের বিল্লালের সাথে ২০ হাজার টাকা চুক্তির বিনিময়ে উক্ত মালামালগুলো বেনাপোল থেকে ঢাকা, মিপরপুর পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকের সাথে থাকা আ. মালেক ও অন্তর কর্মকার নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
যশোর ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত হতে কাগজপত্রবিহীন মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। আটককৃত ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, ওষুধ, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার একটি ভাড়াবাসা থেকে মাসহ দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার কবি মহিদুর সড়কের একটি ভাড়া বাসার ভিতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের ধারণা বিষ পানের মাধ্যমে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, হরিরামপুরের আন্দারমানিক এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী শেখা আক্তার (২৯), তার ৩ বছরের শিশু কন্যা সাইফা ও ৯ বছরের শিশু পুত্র আলভী।
বাড়ির মালিকের ছোট ভাই মুহতামিম জানান, আমার ভাই ও ভাড়াটিয়াদের মাধ্যমে গত মাসের ১৫ তারিখ মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয় শাহীন দেওয়ান। এরপর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সেখানে একদিন থেকে প্রবাসে চলে যান শাহীন দেওয়ান।এর কয়েকদিন পর শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান এবং বেড়ানো শেষ করে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধু করে দেয়। তারপর থেকে ঘরের দরজা না খোলায় মঙ্গলবার বাড়ির মালিককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ির মালিকের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করা হলে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে খাট থেকে শেখা আক্তার ও মেঝে থেকে অবস্থায় শিশু কন্যা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াসমীন খাতুন জানান, খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সাথে বিষ পানের মাধ্যমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য
রাখেন, আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (অ.দা.), বর্ষালুপাড়া ও গিরাগাঁও বিওপি’র বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ও টিআই, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, আটোয়ারী সাবজোন অফিসের এজিএম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ, বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পঞ্চগড় জেলা সভাপতি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র নেতা,উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন দুর্গামণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ মতামত প্রদান করেন।
সভায় বক্তারা আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, যানজট নিরসন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান তার বক্তব্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা আমাদের সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। দুর্গাপূজাকে সাফল্যমন্ডিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পূজামনণ্ডপগুলোতে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সভাশেষে উপজেলার ৩০টি সার্বজনীন পূজামণ্ডপের অনুকূলে ৫০০ কেজি করে জি আর চাল এর ডিও বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। এ বছর আটোয়ারী উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৩০টি পূজা মন্ডপে দুগোর্ৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের সংগঠন সুনামগঞ্জ জনউদ্যোগের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পইন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টুর সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনছান মিঞা, সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইভটিজিং বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত কার্ড তুলে ধরেন। এসময় ইভটিজিংমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীরা নিজেকে নিয়োজিত রাখার অঙ্গিকার করেন।
ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, ইভটিজিংয়ের শিকার নারী হয়রানির কারণে আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। সে নিজেকে অসহায় ও নিরাপত্তাহীন বোধ করে। অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন, হতাশায় ভোগেন। মেয়েরা ইভটিজিংয়ের ভয়ে স্কুল, কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে শিক্ষাজীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন মেয়ে যদি প্রতিদিন রাস্তাঘাটে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্ত্যক্ত হন, তবে তার পরিবারের উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ে। অনেক পরিবার বাধ্য হয় মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে কম বয়সে বিয়ে দেয়। এতে সমাজে নারীশিক্ষার হার কমে যায় এবং বাল্যবিয়ের প্রবণতা বাড়ে। তাই শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং প্রতিরোধে নিজে ও অন্যকে সচেতন করার আহ্বান জানান বক্তারা।
শেষে বিদ্যালয়েল সকল শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং প্রতিরোধে শপথ বাক্য পাঠ করান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপস শীল। এসময় বিদ্যালয়ের প্রায় সাতশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান আসাদ।
দৈনিক বাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর মুখে থাকা বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় খালের এই বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিয়ার রহমান হাওলাদার ও বাঁধ স্থাপনকারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খাল খনন শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। কাজের সমাপ্তি হবে ২০২৭ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর। আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে বগুড়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালটি খননের লক্ষ্যে ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় এক বছর আগে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খাল খননের কাজ এখন বন্ধ থাকলেও বাঁধ অপসারণ না করায় খাল দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। খালে বাঁধ থাকায় আসন্ন দুর্গাপূজায় বিজয়াদশমীর দিনে ঘাঘর নদীতে প্রতীমা বির্সজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
বিষয়টি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলায় `ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণের দাবি ‘শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ বাঁধটি অপসারণের উদ্যোগ নেন।
উপজেলার তারাশী কর্মকার বাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, বাঁধটি অপসারণ করায় প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকার কারনে প্রতীমা বির্সজনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে এই সংবাদ পাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ অপসারনের ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ডাকাতদের হামলায় রাশিদা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পশ্চিম বাইলজুড়ী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে একদল ডাকাত গ্রামে প্রবেশ করে আমির মাস্টারের পাশের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা ঘরে থাকা রাশিদা বেগমকে হত্যা করে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
পয়লা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ডাকাতরা ঘরে ঢোকে লুটপাট চালায়। এ সময় গৃহবধূ রাশিদা বেগমকে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে রাশিদার স্বামী নকুমুদ্দিনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরে জীবিকার তাগিদে তিনি জর্ডান যান এবং দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে প্রায় এক দশক আগে দেশে ফিরে আসেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমুরিয়ায় হলেও সাত বছর আগে পশ্চিম বাইলজুড়ী গ্রামে নিজ বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন।
রাশিদার একমাত্র মেয়ে তাসলিমা বর্তমানে জর্ডানে অবস্থান করছেন। গ্রামে তিনি একাই থাকতেন। তবে ঘটনার রাতে তার ভাইয়ের মেয়ে ও নাতি বেড়াতে এসে পাশের ঘরে ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এসে সোমবার নিউ ইয়র্কের জন. এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর উদ্দেশ্যমূলক হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সহযোগী এবং সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই নিন্দনীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে গড়ে ওঠা বিধ্বংসী ও সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক স্পষ্ট ও মর্মান্তিক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। এই বিধ্বংসী রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের সফরের সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করেছিল। জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রতিনিধিদলটিকে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটি বিশেষভাবে সুরক্ষিত পরিবহন ইউনিটে ওঠানো হয়েছিল। তবে, অপ্রত্যাশিত এবং শেষ মুহূর্তের ভিসা-সম্পর্কিত জটিলতার কারণে প্রতিনিধিদলটিকে পথ পরিবর্তন করে বিকল্প পথে অগ্রসর হতে হয়।
বিমানবন্দরে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ভিভিআইপি প্রবেশাধিকার এবং নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দুঃখজনকভাবে সেই অনুরোধ রাখেনি।এর ফলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।
ঘটনার পরপরই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে দ্রুত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমাদের জানানো হয়েছে যে ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বর্তমানে ঘটনাটির আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলমান।
এই ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রতিনিধিদলের সকল সদস্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশে তার প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক ঘনিষ্ঠ এবং অবিচ্ছিন্ন সমন্বয় রেখে যাচ্ছে।
আমরা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রতি আমাদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা, তা বাংলাদেশের ভেতরে হোক বা এর সীমানার বাইরে হোক, কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় যথাযথ আইনি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেম্বারদের অনাস্থা ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে কুটুমবাড়ি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলনে ফজলুল হক মাখন জানান, দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবার পর আমি স্বৈরাচারী ও ক্ষমতাধর হয়ে গেছি বলে মেম্বাররা যা উপস্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মেম্বাররা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে অনাস্থা জানিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যারা অনাস্থা জানিয়েছে তাদের ১০ জন মেম্বারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগের আমলেও তারা আমাকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদে যে বরাদ্দ আসে তা যথাযথ নিয়ম ও সংখ্যা গরিষ্ঠ ইউপি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই বাস্তবায়ন করা হয়। এসময় তিনি সাংবাকদিরকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারদের উপস্থিতিতে ধারণ করা কাজের স্থির চিত্র ও রেজুলেশন দেখান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফজলুল হক মাখন জানান, সম্প্রতি ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপিপন্থী ইউপি সদস্য সেলিমকে টি আর এর আওতায় নিশ্চিন্তপুর ঈদগাহ মাঠের মিনার নির্মানে ৩ লাখ টাকার প্রকল্প দিলে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির সমুদেয় টাকা নিজের কাছে রেখে দেয়।
অবশিষ্ট টাকা কমিটির হাতে বুজিয়ে দিতে বলা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যার প্রেক্ষিতে আওয়ামী পন্থি মেম্বারদের নিয়ে ইউএনও বরাবর মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, ওলামা দলের নেতা মাওলানা আঃ বাছেদ, সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ মিয়া, শাহজাহান মাষ্টার প্রমূখ।
এর আগে নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্থানীয় জনতা চেয়ারম্যানকে অনাস্থা জানানো আওয়ামী পন্থি মেম্বারদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে বাকতা ইউনিয়নের ১১ জন ইউপি সদস্য মিলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা সদরের হেলাল কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে নানান আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।
মন্তব্য