× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Meeting the UNESCO Bangladesh Representative with Information and Broadcasting Advisor
google_news print-icon

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

তথ্য-ও-সম্প্রচার-উপদেষ্টার-সঙ্গে-ইউনেস্কোর-বাংলাদেশ-প্রতিনিধির-সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বর্তমানে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে করণীয় প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউনেস্কো বাংলাদেশের সংস্কৃতি শাখার প্রধান কিজি তাহনিন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Interim government

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এসে সোমবার নিউ ইয়র্কের জন. এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর উদ্দেশ্যমূলক হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সহযোগী এবং সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই নিন্দনীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে গড়ে ওঠা বিধ্বংসী ও সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক স্পষ্ট ও মর্মান্তিক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। এই বিধ্বংসী রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের সফরের সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করেছিল। জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রতিনিধিদলটিকে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটি বিশেষভাবে সুরক্ষিত পরিবহন ইউনিটে ওঠানো হয়েছিল। তবে, অপ্রত্যাশিত এবং শেষ মুহূর্তের ভিসা-সম্পর্কিত জটিলতার কারণে প্রতিনিধিদলটিকে পথ পরিবর্তন করে বিকল্প পথে অগ্রসর হতে হয়।

বিমানবন্দরে রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ভিভিআইপি প্রবেশাধিকার এবং নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দুঃখজনকভাবে সেই অনুরোধ রাখেনি।এর ফলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।

ঘটনার পরপরই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে দ্রুত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমাদের জানানো হয়েছে যে ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বর্তমানে ঘটনাটির আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলমান।

এই ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রতিনিধিদলের সকল সদস্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশে তার প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক ঘনিষ্ঠ এবং অবিচ্ছিন্ন সমন্বয় রেখে যাচ্ছে।

আমরা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রতি আমাদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা, তা বাংলাদেশের ভেতরে হোক বা এর সীমানার বাইরে হোক, কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এ ধরনের ঘটনায় যথাযথ আইনি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The final episode of Dhaka University Chapter of the National Policy Competition held

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

চ্যাম্পিয়ন আইবিএ টিম, তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান উপাচার্যের
জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর টিম। প্রথম রানার্স আপ হয় লোক প্রশাসন বিভাগের টিম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় অপরাধবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের যৌথ টিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এইচ এম মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মো. যোবায়ের হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম।

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি ও গ্রীন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

প্রথম রাউন্ডে ৪০টি নীতি উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে ১০টি টিম দ্বিতীয় রাউন্ডে এবং পরবর্তীতে ৫টি টিম ফাইনালে ওঠে। চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর টিম (অদিতি শাওয়াল নূর, ইত্তেসাফ রহমান ও আলিফ বিন হাসান)। প্রথম রানার্স আপ হয় লোক প্রশাসন বিভাগের টিম (মো. মাহতাবুল ইসলাম মাহিন, সাকিবুল বাশার ও মায়েশা মমতাজ)। দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় অপরাধবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের যৌথ টিম (জারিন তাসনিম, হুমায়রা তাবাসসুম জারিন ও আমিরাস সালেহীন হা-মীম)। এছাড়া ফাইনালে অংশ নেয় প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের টিম এবং ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ও জাপানিজ স্টাডিজের যৌথ টিম।

বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন দলকে ৪৫ হাজার টাকা, প্রথম রানার্স আপকে ৩০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার্স আপকে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন দল জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

জুরি বোর্ডে ছিলেন-বিজয় ৭১ হলের প্রভোস্ট ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. স. ম. আলী রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আরিফ মাহমুদ, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী এবং রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বর্তমানে নীতি প্রণয়নে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন কেন্দ্রীভূত ধারা বজায় থাকার কারণে অনেকে মনে করেন, নীতি নির্ধারণ কেবল সরকারের কাজ। তিনি বলেন, নীতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ এলে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দেশের প্রয়োজনে জাতীয় নীতি সম্পর্কে জানা ও কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। বিভাজনের দলান্ধ রাজনীতি সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। নানা কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই আলাপ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

জুলাই আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে উপাচার্য দেশের সব ক্ষেত্রে তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, বিভাজনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে সমন্বিত অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BSCs own financing milestone milestone Shipping adviser

বিএসসি'র নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ অর্জন যুগান্তকারী মাইলফলক: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বিএসসি'র নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ অর্জন যুগান্তকারী মাইলফলক: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) এর নিজস্ব অর্থায়নে দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিএসসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি এর মধ্যে জাহাজ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেল আয়োজিত এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। নতুন দুই জাহাজ বিএসসিতে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে। বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১,২০,০০০ ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে।

বিএসসির বহরে যুক্ত হতে যাওয়া জাহাজগুলোতে- জ্বালানি খরচ হ্রাস ও পরিচালন দক্ষতা বেশি; প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যা পরিবেশ দুষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়; নকশা ও প্রযুক্তিগত সমাধানগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানদণ্ডসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নির্ধারিত সর্বশেষ পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ করে। জাহাজে উচ্চমানের ইউরোপীয় ও জাপানি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। জার্মান লাইসেন্সে জাহাজগুলো চীনে উৎপাদন করা হয়েছে। স্পেনের পাম্প ও নরওয়ের কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম জাহাজ অক্টোবর ২০২৫ এবং দ্বিতীয় জাহাজ ডিসেম্বর ২০২৫-এ বিএসসিকে হস্তান্তর করা হবে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসসির জন্য আরেও তিনটি জাহাজ কেনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে বিএসসির জন্য পাঁচটি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নতুন এই জাহাজগুলো যুক্ত হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন কেবল আয়ের দিক থেকেই লাভবান হবে না, বরং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাজারে ‘গ্রিন শিপিং নেশন’ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human Welfare Peace and Patriotism of all religions Shipping Advisor Dr M Sakhawat Hossain

সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম : নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম : নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম। তিনি আজ রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান- বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।


ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সকল ধর্মই আমাদেরকে অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদেরকে আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।

শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সর্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব দেশব্যাপী আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন । একই সাথে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানে গুলশান- বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Public Administration Secretary Mokhles Ur Rahman transferred

জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি

জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে বদলি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। ফাইল ছবি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ আগস্ট মো. মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Awami League should be brought under trial as a party Nahid Islam

আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম । ফাইল ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চব্বিশের জুলাই-আাগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সাংবাদিকদের আজ (রোববার) একথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো। ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরংকুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ রাজনৈতিকভাবে। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।

মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস.এইচ. তামিম শুনানি করেন। সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে