× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

দুর্গোৎসব ঘিরে নড়াইলে জমে ওঠেছে কেনাকাটা

সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
দুর্গোৎসব-ঘিরে-নড়াইলে-জমে-ওঠেছে-কেনাকাটা
নড়াইল শহরের বিপনিবিতানে কেনাকাটা করছেন।

নড়াইলে জমে ওঠেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের বাজার। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করছেন ক্রেতা সাধারণ। এবার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে পাকিস্তানের তৈরি পোশাক সারারা, লেহেঙ্গা।

দুপুরের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণ প্রতিদিন শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন বিপনিবিতানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। সঙ্গে নিচ্ছেন ছেলে-মেয়েদেরও পোশাক। তাদের পছন্দের পোশাক কেনাকাটা করছেন।

অনেক ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ গত বছরের তুলনায় এবারের পূজার বাজার দর একটু বেশি। দোকানিরা এ কথা স্বীকার করে বলছেন বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেচাকেনা করতে হচ্ছে। তবুও বেচাকেনা বেশ ভালো।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি পূজামণ্ডপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা হয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। সম্মিলিত সহযোগিতায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে। ওই সভায় বেশিরভাগ পূজামণ্ডপের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত পূজায় মেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিল ভারতের কিরণমালা এবং বাজিরাও। তারও আগে ছিল পাখি। আর এবার বাজার মাতাচ্ছে সারারা ও লেহেঙ্গা। এছাড়া ক্যাবাচি, শিপন, আফগানি নামের পাকিস্তানি থ্রি-পিসও তরুণীদের নজর কেড়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম তরুণদের বেলায়। তাদের পছন্দ দেশীয় পাঞ্জাবি। এর মধ্যে লিমিট ও আড়ংয়ের পাঞ্জাবিগুলো রয়েছে পছন্দের শীর্ষে। তবে প্যান্টের বাজারে রয়েছে জিন্স, থাই, চায়না ও ফরমালের প্রচুর চাহিদা।

শহরের রূপগঞ্জ বাণিজ্যিক এলাকার গার্মেন্ট মালিক দীপক কুমার জানান, নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে পূজার বাজারে। মেয়েদের জন্য নামীদামি পোশাকের ছড়াছড়ি রয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি পোশাকগুলো সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা দামের পোশাক কিনছেন মেয়েরা।

শহরের আলতাপ হোসেন, ভূইয়া শপিংমলসহ শুভেচ্ছা ফ্যাশন, নিউ ফ্যাশন পয়েন্ট, সোনলী বস্ত্রালয়, আল-আমিন বস্ত্রালয়, বাংলাদেশ বস্ত্রালয় ঘুরে দেখা গেছে, পূজার কেনাকাটা করতে প্রচুর ভিড় জমেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন জুতা, জুয়েলারি, কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতাসাধারণ।

জুয়েলারি দোকানগুলোতে ভিড় নেই বললেই চলে। দিলীপ জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার বলেন, ঈদের বাজার মন্দা। তেমন বিক্রি হচ্ছে না। আল-আমিন বস্ত্রালয়ের মালিক আবুল কালাম, সোনালী বস্ত্রালয়ের মালিক অবতার কুমার বলেন, জামদানী ও কাতানের পাশাপাশি দেশি প্রিন্টের শাড়িও চাহিদাও রয়েছে। বেচাকেনা মুটামুটি চলছে।

নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। তিনি পূজা উদযাপন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান। এ জন্য প্রতিটি থানা এবং পুলিশ ফাঁড়িকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্গোৎসবকে নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সমস্ত জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। প্রতিটি মণ্ডপে আনছার (পুরুষ ও মহিলা) পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ থাকছে। এর পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স ‍হিসেবে থাকছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Benapole seized seizure of Indian goods worth two and a half crore

বেনাপোলে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ২

বেনাপোলে আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ২ বেনাপোলে কাগজপত্রবিহীন আটক করা ভারতীয় পণ্য।

কার্গো ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণের ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, ওষুধ, মোটর সাইকেলের টায়ার এবং বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছে বিজিবি। গত সোমবার রাতে এসব পণ্য আটক করা হয়েছে।

বিজিবি জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক, লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি এর সার্বিক দিক নিদের্শনায় ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য পাচার রোধে বেনাপোল বিওপি হতে একটি বিশেষ চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেনাপোল বাইপাস সড়ক থেকে মাগুরা কার্গো সার্ভিসের একটি কার্গো ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৭৫৬৬) তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে ট্রাকটিতে অবৈধ মালামাল বহন করতে পারে মর্মে সন্দেহ হলে ট্রাকটি তল্লাশীর জন্য বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে আনা হয়। কার্গো ট্রাকটি তল্লাশি করে ট্রাকের ভেতর হতে ভারতীয় শাড়ী ১৪৭৬ টি, থ্রী পিচ ২১৫ টি, মোটর সাইকেলের টায়ার ২টি, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ১০৬৯৩ টি, কার্গো ট্রাক ১টি এবং ৭৪৪৫৫টি বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রীর বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ টাকা।

আটককৃত চালক ও হেলপার জানান, বেনাপোল নামাজ গ্রামের বিল্লালের সাথে ২০ হাজার টাকা চুক্তির বিনিময়ে উক্ত মালামালগুলো বেনাপোল থেকে ঢাকা, মিপরপুর পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকের সাথে থাকা আ. মালেক ও অন্তর কর্মকার নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোর ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, জানান, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত হতে কাগজপত্রবিহীন মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। আটককৃত ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী, থ্রি পিচ, ওষুধ, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক্স সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Excluding the student body of the Chhatra Dal in Mirsarai

মীরসরাইয়ে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার

মীরসরাইয়ে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার

মীরসরাইয়ে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, মীরসরাই পৌরসভা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামামুল হক ইমন, নিজামপুর কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শামীম হোসেন এবং উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা নাঈম সরকার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদলের তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন রুবেল, ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কোনোরূপ বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ওই বিষয়ে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।’

সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া মীরসরাই পৌরসভা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইনজামামুল হক ইমন জানান, এই বহিষ্কার আদেশ ষড়যন্ত্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। গত রোববার সকালে নিজামপুর কলেজে ২৪ ও ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সে ঘটনাকে পরবর্তীতে রাজনীতিতে রূপ নেয়। দুপুরে দমদমা এলাকায় এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসায় বিকেলে ছাত্রদলের দুগ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এরপর সন্ধ্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় (বাজি) ল্যাঞ্চার দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহিষ্কৃত হওয়া ছাত্রদলের তিন নেতা বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের রাজনীতি করতে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Communal harmony is one of the basis for the overall development of the country Religious Advisor

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি: ধর্ম উপদেষ্টা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মানব সভ্যতার বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি ছাড়া মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্ব, শান্তি ও উন্নয়ন কোনো কিছুই টেকসই হতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি।

আজ বিকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ
মিলনায়তনে সম্প্রীতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, একটি দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে নাগরিকদের পারস্পরিক ঐক্যের ওপর। সমাজে নানা ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও সংস্কৃতির মানুষ একসাথে বাস করে। তাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন ও মানবিক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যত দৃঢ় হবে, জাতীয় ঐক্য তত শক্তিশালী হবে এবং রাষ্ট্র দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল ও সেনাবাহিনীর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BRAC Bank will give Edison Industries Distributor Financing facility

এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজকে ডিস্ট্রিবিউটর ফাইন্যান্সিং সুবিধা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজকে ডিস্ট্রিবিউটর ফাইন্যান্সিং সুবিধা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিস্ট্রিবিউটরদের ফাইন্যান্সিং সুবিধা দিতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটররা এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে পণ্য ও সেবা ক্রয়ের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের সিকিউরড ও আনসিকিউরড ফাইন্যান্সিং সুবিধা নিতে পারবেন। এই সুবিধা ডিস্ট্রিবিউটরদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়ের প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত করবে।

এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ সিম্ফনি ও হেলিও ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন সংযোজন করে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের শীর্ষস্থানীয় কনগ্লোমারেট এডিসন গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যারা ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফুটওয়্যার, লজিস্টিকস, বিদ্যুৎ, রিয়েল এস্টেট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অন্যান্য খাতের ব্যবসায়েও যুক্ত।

এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ ও ব্র্যাক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ফাইন্যান্স, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড কমার্শিয়ালের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. ফেরদাউস-উল-আলম, হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মোহাম্মদ আবু সায়েম এবং ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড লজিস্টিকসের জেনারেল ম্যানেজার. মো মুস্তাফিজুর রহমান।

ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব স্মল বিজনেস (সেন্ট্রাল) আলমগীর হোসেন, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং একেএম ফয়সাল হালিম এবং কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিংয়ের এরিয়া হেড আবু সাদাত চৌধুরী।

এই সুবিধার মাধ্যমে এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজের ডিস্ট্রিবিউটররা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবেন। এই সুবিধা তাঁদের নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনা, উন্নত কার্যকারিতা এবং বাজারে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করবে।

এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী আর্থিক সল্যুশনের মাধ্যমে দেশের এসএমই ও তাঁদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting the UNESCO Bangladesh Representative with Information and Broadcasting Advisor

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বর্তমানে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে করণীয় প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউনেস্কো বাংলাদেশের সংস্কৃতি শাখার প্রধান কিজি তাহনিন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Life War did not mean the loss of Sakhipur A Gani Mia

জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সখীপুরের আ. গণি মিয়া

জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সখীপুরের আ. গণি মিয়া

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বুড়িচালা গ্রামের আ. গণি মিয়া (৬৭)। ১৮ বছর আগে দুটি চোখই অন্ধ হয়ে যায় তার। হতদরিদ্র্য আ. গণি মিয়া চোখের চিকিৎসা করাতে না পারায় এক পর্যায়ে অন্ধত্ব বরণ করতে হয় তাকে।

তবে জীবনযুদ্ধে হার মানেননি তিনি। চোখে দেখতে না পেলেও নিপুণ হাতের মননশীলতার ছোঁয়ায় করে চলেছেন বাঁশ ও বেতের কাজ। তৈরি করছেন কুলা, চাটাই, টুকরি, টেপারি,ডালা, চালুনিসহ বাঁশ ও বেতের নানান জিনিস। প্রতিদিন সামান্য আয় দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করেন তিনি।

জীবন সংগ্রামে অদম্য লড়াকু আ. গণি মিয়াকে দেখে অনেকেই হতচকিত হয়ে পড়েন। প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে আ. গণি মিয়া হাল ধরেছেন সংসারের। হস্ত ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের এই কাজে তাকে সহযোগিতা করার মতো কেউ নেই। পাশে থাকেন বহু দিন ধরে প্যারালাইজড হওয়া শয্যাশায়ী স্ত্রী হাউসী বেগম (৬২) ।

দৃষ্টিহীন হয়েও গণি মিয়া ভিক্ষা করতে চাননি কখনো। ১৮ বছর আগে হারিয়েছেন দৃষ্টিশক্তি। পৃথিবীর আলো দেখা বন্ধ হলেও থেমে নেই তার জীবনযুদ্ধ।

জঙ্গল থেকে বাঁশ কুড়িয়ে আনেন, ইশারায় কেটে চিরে বানান কুলা, টেপারি আর ঝুড়ি। প্রতিদিন আলিশার বাজারে বসে সেগুলো বিক্রি করেন। কাজ করার ফাঁকে গেয়ে ওঠেন ধর্মীয় গজল কিংবা গান- কেউ শোনে, কেউ পাশে বসে থাকে। হয়তো এটুকুই তার বেঁচে থাকার আনন্দ।

দিনশেষে হাতে আসে মাত্র ৭০–৮০ টাকা। সেই টাকায় চলে দুই বুড়ো মানুষের খাবার, ওষুধ আর নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ। সংসারে দুই ছেলে থাকলেও তারা প্রবাসে গিয়ে ভুলে গেছেন বাবা-মায়ের কষ্টের কথা। আর্থিক সহায়তা নেই, খোঁজখবরও নেই নিয়মিত। তবুও অভিমান গোপন করে মেনে নিয়েছেন জীবনের কঠিন বাস্তবতা।

প্রতিবেশী জাকির হোসেন বলেন, গণি ভাই অনেক পরিশ্রমী মানুষ। চোখে দেখতে পান না, কিন্তু মনের চোখে আলো খুঁজে পান। কখনো কারো কাছে হাত পাতেন না। বাঁশ কেটে কুলা বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেই সংসার চালান। তবে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় কষ্টটা বেড়েছে অনেক।

এলাকাবাসী মাঝে মাঝে সাহায্যের হাত বাড়ালেও তা যথেষ্ট নয়। সামান্য সরকারি সহযোগিতা কিংবা কোনো বিত্তবান মানুষের সহায়তা পেলেই হয়তো এই দম্পতির জীবনে একটু স্বস্তি ফিরতে পারে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ‘গণি মিয়াকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। তার মতো দৃষ্টিহীন মানুষ এত কষ্টের মধ্যেও হস্তশিল্প তৈরি করছেন- এটি নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় উদাহরণ।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The final episode of Dhaka University Chapter of the National Policy Competition held

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

চ্যাম্পিয়ন আইবিএ টিম, তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান উপাচার্যের
জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর টিম। প্রথম রানার্স আপ হয় লোক প্রশাসন বিভাগের টিম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় অপরাধবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের যৌথ টিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এইচ এম মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মো. যোবায়ের হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম।

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

প্রতিযোগিতায় সহযোগী হিসেবে ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি ও গ্রীন ফিউচার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

প্রথম রাউন্ডে ৪০টি নীতি উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে ১০টি টিম দ্বিতীয় রাউন্ডে এবং পরবর্তীতে ৫টি টিম ফাইনালে ওঠে। চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর টিম (অদিতি শাওয়াল নূর, ইত্তেসাফ রহমান ও আলিফ বিন হাসান)। প্রথম রানার্স আপ হয় লোক প্রশাসন বিভাগের টিম (মো. মাহতাবুল ইসলাম মাহিন, সাকিবুল বাশার ও মায়েশা মমতাজ)। দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় অপরাধবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের যৌথ টিম (জারিন তাসনিম, হুমায়রা তাবাসসুম জারিন ও আমিরাস সালেহীন হা-মীম)। এছাড়া ফাইনালে অংশ নেয় প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের টিম এবং ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ও জাপানিজ স্টাডিজের যৌথ টিম।

বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন দলকে ৪৫ হাজার টাকা, প্রথম রানার্স আপকে ৩০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার্স আপকে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন দল জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

জুরি বোর্ডে ছিলেন-বিজয় ৭১ হলের প্রভোস্ট ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. স. ম. আলী রেজা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আরিফ মাহমুদ, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী এবং রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বর্তমানে নীতি প্রণয়নে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন কেন্দ্রীভূত ধারা বজায় থাকার কারণে অনেকে মনে করেন, নীতি নির্ধারণ কেবল সরকারের কাজ। তিনি বলেন, নীতি নিয়ে আলোচনার সুযোগ এলে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দেশের প্রয়োজনে জাতীয় নীতি সম্পর্কে জানা ও কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। বিভাজনের দলান্ধ রাজনীতি সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। নানা কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই আলাপ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

জুলাই আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে উপাচার্য দেশের সব ক্ষেত্রে তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, বিভাজনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে সমন্বিত অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে