আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা (বডিক্যাম) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন কর হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরিকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডিক্যাম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউএনডিপির মাধ্যমে এসব ক্যামেরা কেনা হবে। এর জন্য কত খরচ হবে তা নিদির্ষ্ট করে না বললেও কয়েকশত কোটি টাকা ব্যায় হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ৯ আগষ্ট রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরের দিন প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দ্রুত এসব ক্যামেরা কেনার তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় ও হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা (যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত) সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামীকাল বুধবার থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৯ দিন সারাদেশের ৩১ হাজার ৫৭৬ পূজামণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন ২ লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই বিশাল নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সদরদপ্তর এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, আন্তরিকতা ও জনগণবান্ধব মনোভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ২ লাখ তরুণকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত এভিএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের রেজিস্ট্রেশন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। উৎসবকালীন দায়িত্ব পালনে যথাযথতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাহিনীর এসটিডিএম সফটওয়্যার প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া পূজা উৎসবে কুচক্রী মহলের গুজব প্রতিরোধ ও সব অশুভশক্তি মোকাবেলায় ডিউটিরতদের জন্য ঘটনার রিপোর্ট কার্যক্রম চালু করায় নিরাপত্তা পরিধি বৃদ্ধি হয়েছে।
পাশাপাশি, দক্ষ ও যোগ্য সদস্য-সদস্যদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাহিনী সর্বস্তরে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও দায়বদ্ধতায় যেকোনো প্রভাবক হতে মুক্ত রাখার ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে।
প্রতিটি টিমে ছয়জন করে সদস্য থাকবেন, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনা ছাড়াও যেকোনো আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবেন।
এবারের নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে মোতায়েনকৃত সদস্যরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের পাশাপাশি ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’-এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করবেন। এসব তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সর্বদা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় গৃহীত সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামীকাল বুধবার থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৯ দিন সারাদেশের ৩১ হাজার ৫৭৬ পূজামণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন ২ লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই বিশাল নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্বে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সদরদপ্তর এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, আন্তরিকতা ও জনগণবান্ধব মনোভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ২ লাখ তরুণকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত এভিএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের রেজিস্ট্রেশন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। উৎসবকালীন দায়িত্ব পালনে যথাযথতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাহিনীর এসটিডিএম সফটওয়্যার প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া পূজা উৎসবে কুচক্রী মহলের গুজব প্রতিরোধ ও সব অশুভশক্তি মোকাবেলায় ডিউটিরতদের জন্য ঘটনার রিপোর্ট কার্যক্রম চালু করায় নিরাপত্তা পরিধি বৃদ্ধি হয়েছে।
পাশাপাশি, দক্ষ ও যোগ্য সদস্য-সদস্যদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাহিনী সর্বস্তরে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও দায়বদ্ধতায় যেকোনো প্রভাবক হতে মুক্ত রাখার ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে।
প্রতিটি টিমে ছয়জন করে সদস্য থাকবেন, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনা ছাড়াও যেকোনো আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবেন।
এবারের নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে মোতায়েনকৃত সদস্যরা তাদের নির্ধারিত দায়িত্বের পাশাপাশি ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’-এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করবেন। এসব তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সর্বদা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় গৃহীত সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ পাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তালিকা থেকে তাদের বিকল্প প্রতীক নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতীকের তালিকা ভেটিং হয়ে এসেছে। সেই তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই, ইসি সচিব জানান।
এ বছর জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’কে বিধিমালার তপশিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এর আগে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের গড়া রাজনৈতিক দল এনসিপি নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চায়। এনসিপির আবেদনে পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ রাখা হয়েছে।
৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত করা হবে না মর্মে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতেও কোনো কোনো দল শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, কিন্তু দেওয়া হয়নি। জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে আইন আছে। তবে জাতীয় ফুল বা ফলের বিষয়ে আইন করা হয়নি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তপশিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটে সদর উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভুয়া পরিচয় দেওয়ায় দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের লোগো সম্বলিত একটি সেফটি ভেস্ট ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তামবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান (৪০) ও জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের দেওগ্রামের মোজাম্মেল মণ্ডলের ছেলে মজনু মণ্ডল (৩৯)।
পুলিশ ও মাধাইনগর বাজারের লোকজন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার পর মশিউর ও মজনু বাজারে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে লোকজনদের ভয়ভীতি দেখায়। তাদের কাছে পুলিশের লোগো সম্বলিত একটি সেফটি ভেস্ট ও হ্যান্ডকাপ ছিল। তাদের কর্মকাণ্ড সন্দেহ হলে বাজারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এ সময় দুইজনই এলোমেলো কথাবার্তা বলতে শুরু করেন এবং ডিবি পুলিশের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ খালের ঘাঘর মুখে থাকা বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় খালের এই বাঁধ অপসারণ করেন। এসময় কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিয়ার রহমান হাওলাদার ও বাঁধ স্থাপনকারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খাল খনন শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে। কাজের সমাপ্তি হবে ২০২৭ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর। আতাউর রহমান খান লিমিটেড নামে বগুড়ার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খালটি খননের লক্ষে ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেয় এক বছর আগে। বর্ষা মৌসুম থাকায় খাল খননের কাজ এখন বন্ধ থাকলেও বাঁধ অপসারণ না করায় খাল দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। খালে বাঁধ থাকায় আসন্ন দুর্গাপূজায় বিজয়াদশমীর দিনে ঘাঘর নদীতে প্রতীমা বির্সজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
বিষয়টি নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলায় `ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণের দাবি ‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বাঁধটি অপসারনের উদ্যোগ নেন।
উপজেলার তারাশী কর্মকার বাড়ী সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, বাঁধটি অপসারণ করায় প্রতীমা বিসর্জন নিয়ে আমাদের যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৈনিক বাংলাকে ধন্যবাদ জানাই।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, খালটিতে বাঁধ থাকার কারনে প্রতীমা বির্সজনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে এই সংবাদ পাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ অপসারনের ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোনো আসনে বা কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সম্প্রতি ‘প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিচ্ছে বিএনপি’ সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। রিজভী জানিয়েছেন, সবুজ সংকেত সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে মনগড়া।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রুহুল কবির রিজভী।
নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নের নামে নাম প্রকাশ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত তৈরির চেষ্টা করছে একটি মহল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উপযুক্ত সময়েই দলের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থীকেই বেছে নিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।’
প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারি বোর্ড পালন করে এবং এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়।
তাই তফসিল ঘোষণার পরেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা বিএনপির কেন্দ্র থেকে ঘোষণা ব্যতিত পত্রিকায় প্রকাশিত কোন মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য