× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The only advance Durga Puja in Srimangal started in the Mangalchandi temple
google_news print-icon

শ্রীমঙ্গলে দেশের একমাত্র আগাম দুর্গাপূজা শুরু মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে

শ্রীমঙ্গলে-দেশের-একমাত্র-আগাম-দুর্গাপূজা-শুরু-মঙ্গলচণ্ডী-মন্দিরে
শ্রীমঙ্গলের মঙ্গলচণ্ডী মন্দির।

চারিদিকে চা বাগান আর সবুজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পরিবেশের মধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও ইউনিয়নের ইছামতী চা বাগানে অবস্থিত মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে শুরু হয়েছে দেশের একমাত্র আগাম দুর্গাপূজা। বাদ্যযন্ত্র, উলুধ্বনি, অঞ্জলি ও আরতী প্রদানের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পূজা চলছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও শারদীয় দুর্গাপূজার ছয়দিন আগেই শুরু হয়েছে এই বিশেষ পূজা। সোমবার সকালে দেবী দুর্গার প্রথম রূপ শৈলপুত্রী পূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পৌরাণিক নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে দেবীর ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রী রূপের পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

হবিগঞ্জ থেকে পূজা দেখতে আসা অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘দুর্গাপূজা আমাদের সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সাধারণত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পূজা হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে নয়দিন ধরে দেবীর ভিন্ন ভিন্ন রূপে পূজা হয়। ফলে আনন্দের দিনগুলোও বেড়ে যায়। আমরা এসে বিভিন্ন রূপের পূজা প্রত্যক্ষ করেছি।

খুলনা থেকে আগত বিশ্বজিৎ সাহা জানান, ‘পরিবারের সঙ্গে জীবনে প্রথমবারের মতো নবদুর্গা পূজা দেখতে এসেছি। এখানে মা দুর্গার অনেকগুলো প্রতিমা রয়েছে। এরকম আয়োজন আগে কখনও দেখিনি, সত্যিই অসাধারণ।’

শ্রী মঙ্গলচণ্ডী সেবাশ্রম নবরূপে নবদুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজন ভট্টাচার্য জানান, প্রায় ৫০০ বছর আগে এখানে দেবী মঙ্গলচণ্ডীর পূজা শুরু হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ বছর আগে নবদুর্গা পূজার বিশেষ আয়োজন চালু হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলচণ্ডী নবদুর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল ভৌমিক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে এটিই একমাত্র আগাম দুর্গাপূজা, যা টানা ১৫ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেবীর ৯টি রূপের পূজা শেষে দশমীতে সম্পন্ন হবে বিসর্জন।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন এই পূজা দেখতে। উৎসবমুখর পরিবেশে হাজারো মানুষের সমাগমে পূজামণ্ডপ এলাকা রূপ নিয়েছে এক মহাসমারোহে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Saudi Arabia occupies a special place in the hearts of the people of Bangladesh Home Advisor

সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।

শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভূমি হিসেবে নয় বরং আমাদের ৩২ লাখেরও বেশি প্রবাসী কর্মীর দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবেও এটি বাংলাদেশিদের হৃদয়ের গভীরে আসীন রয়েছে। সৌদি প্রবাসীদের অবদান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং এটি একইসাথে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধ হিসেবেও কাজ করছে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণে সৌদি আরবের অব্যাহত সহায়তা দু’দেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের স্মারক বহন করছে।

২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে সৌদি আরবের ৯৫তম জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আরব বিশ্ব এবং বাংলার জনগণের মধ্যে সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন যা বাণিজ্য-সংস্কৃতি বিনিময় এবং সর্বোপরি আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে লালিত। ভ্রাতৃত্বের এই ঐতিহাসিক বন্ধন আমাদের আধুনিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যকার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম গৌরবময় বছর উদ্যাপন ক্ষণে আমরা এই সত্যে গর্বিত যে দু’দেশের পারস্পরিক বন্ধন, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ইসলামি ঐতিহ্যের ওপর নিহিত, যা যুগ যুগ ধরে টিকে আছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর পথে উচ্চাকাঙ্ক্ষী যাত্রা শুরু করেছে। এ সাহসী এবং দূরদর্শী উদ্যোগ কেবল সৌদি আরবের জনগণকে অনুপ্রাণিত করছে না বরং এটি এই অঞ্চলের অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আধুনিক ও বৈচিত্রময়করণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধিতে সৌদি নেতৃত্বের সহযোগিতা নিঃসন্দেহে প্রশংসা ও আন্তরিকতার দাবিদার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ. বিন আবিয়াহ, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

পাবনার সাঁথিয়ায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা

পাবনার সাঁথিয়ায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা সাঁথিয়ায় মানববন্ধনে হামলা।

পাবনার সাঁথিয়ায় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা করেছে।

সোমবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দুর্নীতিবাজ পরিছন্নতাকর্মী তারেকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালায়। তারা উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতরে ঢুকলে সেখানেও মারধর করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সোহেল আহত হন।

জানা যায়, উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিছন্নতাকর্মী (ঝাড়ুদার) তারেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিসে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সোমবার অভিযোগের শুনানি ছিল উপজেলা ভূমি অফিসে। এলাকাবাসী উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দুর্নীতিবাজ পরিছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিছন্নতাকর্মী তারেক, নাগডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে মানববন্ধনকারী সোহেল রানা আত্মরক্ষার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতরে আশ্রয় নেন। তারা ভূমি অফিসের ভেতরে ঢুকেই সোহেল রানাকে বেদম মারধর করেন। সোহেল রানা ছোট পাথাইলহাট গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে। আহত অবস্থায় সোহেলকে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পরিছন্নতাকর্মী তারেক এবং নাগডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মী নিয়ে ভূমি অফিসের ভেতরে গিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। আপনারা ভূমি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব সত্যতা পেয়ে যাবেন।

নাগডেমরার সাধারণ মানুষ বলেন, ‘এই পরিছন্নতাকর্মী তারেক ৫ আগস্ট ২৪ সালের আগে ফ্যাসিস্টের দোসরদের সাথে মিলেমিশে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করেছে। সে এখন আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের কাঁধের ওপর ভর করে অপকর্মগুলো করে যাচ্ছে। এই জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা দুর্নীতিবাজ পরিছন্নতাকর্মী তারেকের পক্ষ নিয়ে মানববন্ধনকারীদের মারধর করেছে।

সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাদিয়া সুলতানা বলেন, তাদের আজকে একটা শুনানি ছিল। শুনানির আগেই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Licensed travel agency in Muradnagar is a fine of Tk 5000

মুরাদনগরে লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্সিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

মুরাদনগরে লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্সিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা মুরাদনগরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে লাইসেন্স না থাকায় ‘আরিফ এয়ার ট্রাভেলস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট। সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের খবর পেয়ে বাজারের অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকরা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে অন্যত্র চলে যায়।

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২১ এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ছাড়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদ নবায়ন ছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু পর্যাপ্ত তদারকি না থাকায় নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম অমান্য করে অবৈধভাবে এসব ব্যবসা চালাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, অভিযোগ রয়েছে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি দীর্ঘদিন ধরে সিভিল অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে। সেই প্রেক্ষিতে আরিফ এয়ার ট্রাভেলসকে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। দ্রুত লাইসেন্স গ্রহণপূর্বক ব্যবসা চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে অনুমোদন ছাড়া পরিচালিত ট্রাভেল এজেন্সির কার্যক্রম শুধু সরকারি রাজস্বকে ক্ষতি করছে না, ভ্রমণকারীদের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করছে। প্রতারণা, ভিসা জালিয়াতি এবং অকার্যকর সেবা এই ব্যবসার মূল সমস্যা। অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি এবং ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Naogaon Blood Bill Bloody memory of history is now the center of tourism

নওগাঁর রক্তদহ বিল: ইতিহাসের রক্তাক্ত স্মৃতি এখন পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র

নওগাঁর রক্তদহ বিল: ইতিহাসের রক্তাক্ত স্মৃতি এখন পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র নওগাঁর রক্তদহ বিল।

উত্তরের জেলা নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় অবস্থিত শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী রক্তদহ বিল পাখি ও পল্লী দিন দিন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই অঞ্চলটি শুধু নওগাঁ নয়, সারাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের নজর কাড়ছে।

নওগাঁ সদর থেকে অদূরেই অবস্থিত রাণীনগর উপজেলাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পর্যটন সম্ভাবনাময় এক নতুন ক্ষেত্র। ইতিহাস, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে রক্তদহ বিল এলাকায়। বিলের বুকে নির্মিত হয়েছে ঝুলন্ত সেতু, বসানো হয়েছে পাখিবান্ধব বৃক্ষ। আর এই বিলে অবস্থিত ‘কোছমুড়ি দরগাহ’ বছরের পর বছর বন্যার পানিতেও অক্ষত থাকে যা এলাকাবাসী ও পর্যটকদের কাছে এক রহস্যজনক আকর্ষণ।

ইতিহাস ও নামকরণের পেছনের গল্প:

রাণীনগর ও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মধ্যবর্তী এই রক্তদহ বিলের নামকরণ ইতিহাসভিত্তিক। ব্রিটিশ আমলে এখানে ব্রিটিশ বাহিনী ও ফকির মজনু শাহের অনুসারীদের মধ্যে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের পর বিলে রক্তের প্রবাহ দেখে এলাকাবাসী একে ‘রক্তদহ’ নামে অভিহিত করে, যা আজও বহন করে ইতিহাসের স্মৃতি।

আধুনিকায়নের ছোঁয়ায় পর্যটন খাত:

পর্যটনবান্ধব রূপে রক্তদহ বিলকে গড়ে তুলতে নানামুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। বিল খনন, পাড়ঘেঁষে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ, নৌকা চলাচলের পথ সুগমকরণ, সংযোগ খালগুলো পুনঃখনন, পাখি পল্লীকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণসহ চলছে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান জানান, রাণীনগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ভিত্তি করে এই অঞ্চলকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করছেন। সবার সহযোগিতায় ইতোমধ্যেই অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ:

পাখি পল্লী ঘিরে ইতোমধ্যে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সিংড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় দোকানদার শাহিন ইসলাম বলেন, ‘রক্তদহ বিল ও পাখি পল্লী ঘিরে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার ফলে আমাদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে এখানকার অর্থনীতি আরও চাঙা হবে।’

পর্যটকদের অভিমত:

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মিডিয়ায় দেখে রক্তদহ বিল ও পাখি পল্লীর কথা জেনেছি। বর্ষার সময়ে বিলের পানির দৃশ্য, নৌকাভ্রমণ, গাছের ফাঁকে পাখির কিচিরমিচির এবং নিরিবিলি পরিবেশ মন ছুঁয়ে গেছে। সামান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটলে এটি জাতীয় পর্যায়ের পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।’

স্থানীয় অভিমত ও প্রশাসনিক উদ্যোগ:

নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও গোনা গ্রামের বাসিন্দা প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ‘রাণীনগরে কোনো ভারী শিল্প-কারখানা না থাকায় পরিবেশ এখনো অনেকটাই অক্ষত। কিন্তু বর্তমানে যে পর্যটনমুখী কার্যক্রমগুলো চলছে, তা রাণীনগরকে পর্যটনের নতুন ঠিকানায় পরিণত করতে পারে। সরকারের সুদৃষ্টি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি একটি জাতীয় সম্পদ হয়ে উঠবে।’

এদিকে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে চলছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। রাণীনগর রেলগেট প্রশস্তকরণ, নওগাঁ-আত্রাই সড়ক প্রশস্তকরণ এবং বিল-সংলগ্ন অবকাঠামো উন্নয়নে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল।

ইতিহাস, প্রকৃতি ও মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় গড়ে উঠছে এক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে রক্তদহ বিল ও পাখি পল্লী একদিন হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Distribution of preparatory meetings and government grants to celebrate Shardi Durga Puja in Kapasia

কাপাসিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ও সরকারি অনুদান বিতরণ

কাপাসিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ও সরকারি অনুদান বিতরণ কাপাসিয়ায় সরকারি অনুদান (চালের ডিও) বিতরণ করা হয়।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ও সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম সভাপতিত্ব করেন। সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও জেনারেটর, পানি সরবরাহ, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে টিম গঠন এবং অগ্নিনির্বাপণ, নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা বিসর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভার আলোচনায় বক্তারা পূজা উদযাপনে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মানবতার বন্ধন অটুট রাখার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। এ বছর সরকারি অনুদান হিসেবে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭০টি পূজামণ্ডপে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র পালের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, কাপাসিয়া ও শ্রীপুরের দায়িত্বে নিয়োজিত ক্যাপ্টেন আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাহিদুল হক, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল, গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা শেফাউল হক, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য এফ এম কামাল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. আশরাফুল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. মাসুম বিল্লাহ, সেনাবাহিনীর অফিসার আসম, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, খাদ্য কর্মকর্তা ইকবাল, চিত্ত রঞ্জন সাহা, কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শাহীন, চন্দন রক্ষিত, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি মিল্টন সরকার, ছাত্র প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম রবি প্রমুখ

এছাড়া সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক, পূজা উদযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ও কাপাসিয়ার অন্যান্য বিশিষ্ট সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

হালদায় বিষপ্রয়োগকারীদের তথ্য দিলেই পুরস্কার 

হালদায় বিষপ্রয়োগকারীদের তথ্য দিলেই পুরস্কার  সভায় বক্তব্য রাখছেন একজন বক্তা।

হালদা নদী রক্ষায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। শুধু প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষে একা হালদাকে রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।

সোমবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অংশীজনের উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার’-এ এসব মতামত উঠে আসে। এ সেমিনারটি আয়োজন করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, যার অর্থায়ন করে মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়)।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন।

ইউএনও তিনি তার বক্তব্যে বলেন, হালদায় মাছ নিধনে বিষ প্রয়োগকারীদের তথ্য দিলে পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ি ঢলে যেমন মা মাছ ডিম ছাড়ে, তেমনি উজান থেকে বালু নামায় নদীটির নাব্যতা কমে যাচ্ছে। এজন্য ম্যানুয়ালি বালু অপসারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ডলফিন বা মা মাছের মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে হালদার নিজস্ব ল্যাব স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়। নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে সংলগ্ন সব কারখানাকে ইটিপির আওতায় আনা, শাখা খালগুলোর খনন, প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং স্লুইসগেট যথাসময়ে খোলা-বন্ধ রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, বর্শি, ভাসা জাল, ঘেরা জাল ও বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ নিধন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে টেনারি বর্জ্য, পোল্ট্রি ফার্মসহ যে কোনো বর্জ্য থেকে হালদাকে রক্ষা করাও সময়ের দাবি।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুজন কানুনগো, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল আজম, মেখল ইউনিয়ন পরিষদের রাশেদুল আলম, থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান, সাংবাদিক কেশব কুমার বড়ুয়া, এইচ এম মনসুর আলী, সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুল, মো. বোরহান উদ্দিন, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর, ডিম সংগ্রহকারী সমিতির সভাপতি মো. শফিউল আলম, শহিদুল হক, আশু বড়ুয়া প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Traders and buyers are not even in Barisal filled season

বরিশালে ভরা মৌসুমেও নেই ইলিশ, বিপাকে ব্যবসায়ী-ক্রেতারা

বরিশালে ভরা মৌসুমেও নেই ইলিশ, বিপাকে ব্যবসায়ী-ক্রেতারা বরিশালের মাছের আড়ত।

ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা নেই বরিশালে। সংকটের কারণে চাহিদামতো রপ্তানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। এতে ধস নেমেছে ব্যবসায়, আর সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন আকাশছোঁয়া দামের চাপে।

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ আসত মোকামে। বর্তমানে দিনে ৩০ থেকে ৪০ মণও মিলছে না। ইলিশের এমন টানাপড়েন বাজারে তৈরি করেছে অস্থিরতা। সাধারণ ক্রেতা থেকে খুচরা বিক্রেতা সবাই পড়েছেন বিড়ম্বনায়।

এবার দুর্গাপূজায় ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বরিশালের চারটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন অনিশ্চয়তায়।

গত বছরের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর রপ্তানি শুরুর ৬ দিনে বরিশাল থেকে ভারতে গিয়েছিল প্রায় দেড়শ মণ ইলিশ। কিন্তু এবার একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮০ মণ।

মোকামে ইলিশের দামও রেকর্ড গড়েছে, ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৬৪ হাজার টাকায়,৯০০ গ্রামের ইলিশ ৮০ হাজারে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৯২ হাজারে, ১২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ছাড়িয়েছে ৯৭ হাজার টাকা। ছোট সাইজের ইলিশেও ব্যাপক ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। আড়তদারদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় সরবরাহ কয়েকগুণ কমে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

আল আমিন হাওলাদার নামে এক ক্রেতা জানান,আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে মাছ কিনতে এলে দাম দেখেই ফিরে যেতে হয়, কেনার সামর্থ্য থাকে না। ইলিশের এমন সংকট যদি চলতে থাকে, ভবিষ্যতে হয়তো এই মাছ একেবারেই হারিয়ে যাবে।

বরিশাল পোর্টরোড মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি সভাপতি কামাল সিকদার বলেন,গত বছর বরিশাল থেকে ২৪ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল ভারতে। কিন্তু এবার বেশি দাম দিয়েও পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।

বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ জানান, নদীতে ইলিশের আগমন এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে