× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Go to the people if you want Dr Zahid
google_news print-icon

পিআর চাইলে জনগণের কাছে যান: ডা. জাহিদ

পিআর-চাইলে-জনগণের-কাছে-যান-ডা-জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আজকে (শনিবার) অনেকেই বলছেন পিআর ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না? পিআর ছাড়া নাকি শাসক স্বৈরাচার হয়ে যাবে। আমার জানতে ইচ্ছে করে সংবিধানে কোথাও কি স্বৈরাচার হওয়ার কথা লিখা ছিল। সংবিধানের তো কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন। যারা বিনাভোটে নির্বাচন করেছেন। দেশটাকে নিজেদের পৈতিক সম্পত্তির মতো ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। দোষ তো তাদের। দোষ তো সংবিধানরে নয়।

গত শনিবার বিকালে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমিতে পৌর বিএনপির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পিআর চান, খুব ভালো কথা। পিআরের কথা বলে জনগণের কাছে যান। জনগণকে বোঝান, জনগণ মেনে নিলে আলহামদুলিল্লাহ। জনগণ যে রায় দেবে, তা সবাই মেনে নেবে। বর্তমানে আলোচনা চলা অবস্থায়, ঐকমত্য কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলেছে, ওই সময় আপনারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে চলে গেলেন। আপনারা কী চান, সংঘাতের দিকে কি যেতে চান। আলোচনার টেবিলকে কি অবিশ্বাস করতে চান। নাকি অন্য কিছু চান। নির্বাচন পিছিয়ে যাক সেটি চান?

মৌলভীবাজার পৌর বিএনিপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। সম্মেলনে জেলা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Durga Puja in Muradnagar

মুরাদনগরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

মুরাদনগরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

কুমিল্লার মুরাদনগরে আসন্ন সারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার জহিরুল ইসলাম সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান, তথ্য প্রযুক্তির সহকারী প্রোগ্রামার রাফিত আহম্মেদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ জোনাল পল্লি বিদ্যুৎ ডি.জি.এম মো. মহিউদ্দিন, রাহিমপুর আজাচক আশ্রমের ড. মানবেন্দ্র যুগল ব্রহ্মচারি।

সভায় বক্তব্য রাখেন, দুলাল দেবনাথ, অরুপ নায়ায়ন পোদ্দার, দিন দয়াল পাল, চেয়ারম্যান শুকলাল দেবনাথ, ভিপি জাকির, নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বি.এন.পি নবিপর পশ্চিম ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হেদায়াত হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় উপজেলা বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতরা মতামত প্রদান করেন।

সভায় বক্তারা পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্যুৎ ও আলোকসজ্জা, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ বছর মুরাদনগর উপজেলায় মোট ১৫৩টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কতিপয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সবশেষে ১৫৩ টি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের অনুকুলে ৫০০ কেজি করে জি আর চাল এর ডিও বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Caesarian closed in the upazila of Jhenaidah in a doctors crisis

চিকিৎসক সংকটে ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় বন্ধ সিজারিয়ান

ভোগান্তিতে প্রসূতিরা
চিকিৎসক সংকটে ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় বন্ধ সিজারিয়ান

ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে দীর্ঘদিন ধরে এ সেবা বন্ধ থাকায় প্রসূতিদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে। এতে একদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়, অন্যদিকে মা ও নবজাতক পড়ছেন চরম ঝুঁকিতে।

জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ। একই পরিস্থিতি অন্য চার উপজেলাতেও। এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবেই এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ হাসপাতালগুলোতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ সব সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় আছে। প্রসূতি শিরিন আক্তার বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ কম হতো। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে দূরের ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। তাতেও চিকিৎসক সবসময় থাকেন না।’

কালীগঞ্জের কৃষক রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালেই যদি চিকিৎসা না পাই, তাহলে আমরা যাব কোথায়? ডাক্তার না দিলে গরিব মানুষ আরও বিপদে পড়বে।

হরিণাকুন্ডুর গৃহবধূ ফারজানা খাতুন জানান, ‘ক্লিনিকে গেলে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গরিব মানুষ কীভাবে এই টাকা জোগাড় করবে? তারপরও বাধ্য হয়ে ক্লিনিকেই যেতে হচ্ছে।’

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সব উপজেলাতেই অপারেশনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট বড় সমস্যা। দ্রুত পদায়ন হলে আবারও সিজারিয়ান চালু করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চিকিৎসক থাকলে শুধু এই পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই প্রতি মাসে অন্তত ২০০ প্রসূতি সরকারি সেবা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় গরিব পরিবারগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Sonarbangla Hotel in Magura is a fine of Tk 5000

মাগুরার সোনারবাংলা হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

মাগুরার সোনারবাংলা হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সদর উপজেলার ভায়না মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় হোটেল ও মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । রোববার মাগুরা সদর উপজেলার ভায়নার মোর এলাকায় মেসার্স সোনার বাংলা হোটেল তদারকিকালে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। রান্না ঘরের অবস্থা খুবই স্যাতসেঁতে ও নোংরা, কর্মচারীদের নাই কোন স্বাস্থ্যবিধি, নোংরা মেঝেতে যত্রতত্র খাবার খোলা রাখা হয়েছে। মাছ-মাংসের রক্ত চর্বিযুক্ত নোংরা ফ্রিজে গতদিনের বাসি গ্রিল ও মুরগির চাপ সংরক্ষণ করা হয়েছে আবার গরম করে খাওয়ানোর জন্য। খোলা রাখা মিষ্টির গামলায় পরে আছে মাছি তেলাপোকার বাচ্চাসহ নানা পোকা। মুল্যতালিকা আপডেট করা হয়না ২০দিন যাবত। খাবার রাখতে ও ঢাকতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ খবরের কাগজ ও ছাপা কাগজ। পুর্বে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অফিস কর্তৃক তাদের নিয়ে মিটিং করলেও হোটেলের রান্নার পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের মধ্যে কোন উন্নতিই পরিলক্ষিত হয়নি। অস্বাস্থ্যকরভাবে খাবার তৈরি, সংরক্ষণ ও গতদিনের বাসি গ্রিল ও মুরগির চাপ সংরক্ষণ করে পুনরায় বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: উজির বিশ্বাসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ফ্রিজে রাখা বাসি গ্রিল ও চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর পাত্রে রাখা সস নষ্ট করে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এধরণের আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুমন অধিকারী ও মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Success in Malta Gardens in Rouzan is the expatriate Hamid

রাউজানে মাল্টা বাগানে সাফল্য প্রবাসী হামিদের

রাউজানে মাল্টা বাগানে সাফল্য প্রবাসী হামিদের রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের প্রবাসী হামিদের বাগানে ঝুলছে উন্নত জাতের হলুদ রঙের মাল্টা।

উত্তর চট্টগ্রামে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ হামিদ ওমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। অবসরে একদিন ইউটিউবে ভিয়েতনামি হলুদ মাল্টা চাষের ভিডিও দেখেন। ২০২২ সালে ছুটিতে দেশে এসে তিনি রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে পৈতৃক দুই বিঘা পরিত্যক্ত জমিতে উন্নত জাতের হলুদ মাল্টার ৪০০ গাছ রোপণ করেন। এতে খরচ হয় প্রায় ১৩ লাখ টাকা। রোপণের চার বছরের মধ্যে ফলন এসেছে। চলতি বছর পাঁচ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে। সরেজমিন দেখা যায়, হামিদের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে পাকা মাল্টা। আকারে বাজারের বিদেশি মাল্টার চেয়ে বড়। বাগানে মিশ্র ফল হিসেবে লাগানো হয়েছে উন্নত জাতের আম, লেবু, কলা, পেয়ারা, পিংক কাঁঠাল, লিচু গাছ। বর্তমানে বাগানে মাল্টার সঙ্গে উৎপাদিত হচ্ছে আম, কলা, পেয়ারা ও লেবু। পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত রুহুল আমীন জানান, বাগানের সব গাছে ধরেছে মাল্টা। বাগান থেকেই ২৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব মাল্টা ফরমালিনমুক্ত। এদিকে হামিদের হলুদ মাল্টার বাগান দেখতে আসেন স্থানীয়রা। অনেকে নিজের হাতে গাছ থেকে ছিঁড়ে মাল্টা কেনার সুযোগটা নিচ্ছেন। কেউ কেউ মাল্টা কিনে বাগানেই কেটে খাচ্ছেন। প্রবাসী হামিদের পিতা মোহাম্মদ হারুন বলেন, ‘আমিও দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। ছেলে প্রবাস থেকে বাগান করার উদ্যোগ নেয়। আমিও উৎসাহ দিয়েছি, বাগান করতে সহযোগিতা করছি।’ রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে সবুজ মাল্টার চাষ হয়েছে। কিন্তু হামিদই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ভিয়েতনামি হলুদ রঙের মাল্টার চাষ করেছেন। এই মাল্টা সুস্বাদু। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাল্টা একটি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। দেশে উৎপাদন বাড়ানো গেলে, আমদানি কমে আসবে এবং দেশের মানুষ ফরমালিনমুক্ত ফল খেতে পারবেন।’ মাল্টা কিনতে আসা ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘বাজারে বিদেশি মাল্টার কেজি ৩০০ টাকা। বাজারের ফলে ফরমালিন থাকার আশঙ্কা আছে। কিন্তু হামিদের বাগানে যে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে সেগুলো শতভাগ নিরাপদ। দাম হাতের নাগালে। খেতে বাজারের মাল্টার চেয়েও সুস্বাদু।’ বাগানের কর্মচারী সবুজ দাশ জানান, মাসে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন তিনি। এই বাগানে চাকরি করে পরিবার চালান। তিনি বলেন, ‘কিছু গাছের মাল্টা বিক্রির উপযোগী হয়েছে। তবে ফলগুলো পুরোপুরি পাকতে আরও ২০ দিন লাগতে পারে।’

থাকেন বিদেশে, অথচ বাগান করলেন দেশে- এই প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ হামিদ বলেন, ‘একদিন ইউটিউবে হলুদ মাল্টা বাগানের একটি ভিডিও দেখি। প্রায় ১০ মিনিটের ভিডিওটি আমার চোখ খুলে দেয়। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশের বাড়িতে মাল্টা বাগান করব। ২০২২ সালে বাগান করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। প্রথম বছর মাল্টা তুলিনি। গত বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা উৎপাদান শুরু হয়। এ বছর পাঁচ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narsingdis Raipura constituency this time wants the BNP nomination
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

নরসিংদীর রায়পুরা আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন চান ৬ জন

নরসিংদীর রায়পুরা আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন চান ৬ জন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নরসিংদীর রাজনীতিতে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির মাঠে বেশ সরব হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে এলাকার মানুষ। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ সংসদীয় আসনে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। নীতি নির্ধারণী মহল এবং সম্ভাব্য নির্বাচনী বোর্ডের নজর কাড়তে একক উদ্যোগসহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর উপজেলা হিসেবে পরিচিত নরসিংদী

রায়পুরা উপজেলা। ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে নরসিংদী-৫ আসন। বিগত দিনগুলোতে নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। তবে এ আসনে একবার ছিল জাতীয় পার্টি এবং দুইবার ছিল বিএনপির হাতে। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মো. মাইন উদ্দিন ভূইয়া এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আব্দুল আলী মৃধা এমপি নির্বাচিত হন।

এরপর থেকে টানা ৭ বার এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ আসটিতে পুনরায় সক্রিয় হয়েছে বিএনপি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আগ্রহী প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহসভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. জামাল আহমেদ চৌধুরী, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এমএন জামান, নরসিংদী জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূইয়া রুহেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়: জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার মজলিসে শুরা সদস্য ও রায়পুরা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমকে। তিনি প্রতিনিয়ত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয়ে জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রায়পুরা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা বদরুজ্জামান।

সকলেই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গ্রুপিং লভিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করছেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তিনি প্রতিনিয়ত দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সভা সমাবেশ করছেন। ইতিমধ্যে তিনি এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খেলাধূলা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে নিজের জনসমর্থন বাড়ানো চেষ্টায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল এ প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি শুধু নিজের এলাকা নয় সারাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তবে দলীয় মনোনয়ন ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। জামাল আহমেদ বলেন, তিনি দলের জন্য সবদা কাজ করে আসছেন। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে রায়পুরা উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। এছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমএম জামান, জাহাঙ্গীর আলম বাদল, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রফিকুল ইসলাম ভূইয়া রুহেল প্রতিনিয়ত এলাকায় গণসংযোগ এবং সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা বদরুজ্জামান। প্রতিনিয়ত গণসংযোগ করছেন এবং মানুষকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ ফয়সাল। তবে এ পর্যন্ত তাকে এলাকায় কোন গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Diploma in Feni held the annual general meeting of agronomists

ফেনীতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ফেনীতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ফেনীতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন করা হয় এবং জেলায় কর্মরত ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা তাদের পেশাগত বিভিন্ন সমস্যা সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তুলে ধরেন। গত শনিবার বিকালে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিতি ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি মো. জিয়াউল হায়দার পলাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব সৈয়দ জাহীদ হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (ডিকেআইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (চট্টগ্রাম বিভাগ) সহসভাপতি মো. শামছুল আলম, ডিকেআইবি (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, ডিকেআইবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ডিকেআইবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কাউছার।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফেনী জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সোনাগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন, দাগনভূঞা উপজেলা সদস্য সাইফুল ইসলাম, ফেনী সদর উপজেলা সদস্য মাহমুদুল করিম, পরশুরাম উপজেলা সভাপতি দেবাঞ্জন বনিক, ছাগলনাইয়া উপজেলা সভাপতি রনি মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সোনাগাজী উপজেলা সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা সহসভাপতি এমদাদুল হক, ফেনী সদর সাধারণ সম্পাদক সেলিনা বেগমসহ ডিকেআইবির বিভিন্ন উপজেলা নেতারা, জেলা কমিটির নেতারা, অঞ্চল কমিটির নেতারা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বন্যা পরবর্তী ফেনী জেলায় কৃষিকাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কর্মপরিবেশ বজায় রাখা, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদানে জটিলতা নিরসন, দশম গ্রেড গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান, ৩ বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমাধারী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দশম গ্রেড প্রাপ্যতার জটিলতা নিরসন, নিজ জেলায় পদায়নসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rangamati inaugurate

রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধনের উদ্বোধন

রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধনের উদ্বোধন

রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের ফুরোমন পাড়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত এলজিআইসির আওতায় গ্র্যাভিটি ফ্লো সিস্টেম (GFS) ভিত্তিক রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধন ও সররাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শনিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রণব রায় চৌধুরী এবং রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বড়ুয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুল্লাহ বলেন,‘বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগণের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এই সৌরচালিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা শুধু বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করবে না, বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সময় সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় জনগণকে এই প্রকল্পের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে।’

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির মোট ধারণক্ষমতা ১০ হাজার লিটার। এর মধ্যে ৫ হাজার লিটার সুপেয় পানি এবং ৫ হাজার লিটার দৈনিক ব্যবহারযোগ্য পানি। এতে ১২টি ট্যাপ স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ৪৫টি পরিবারসহ প্রায় ১৮৬ জন মানুষ উপকৃত হবেন।

মন্তব্য

p
উপরে