বাংলাদেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) আগামী অক্টোবর মাসে নিজস্ব খেলার মাঠে আয়োজন করতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫। টুর্নামেন্টে রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত। আগামী ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে জমকালো আয়োজনে আসন্ন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হবে। দুই সপ্তাহব্যাপী টানটান উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিযোগিতার পর ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গ্র্যান্ড ফাইনালের মধ্য দিয়ে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্ব, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ধাপে। বিজয়ী দল পাবে ১,০০,০০০ টাকা এবং রানার্স-আপ দল পাবে ৫০,০০০ টাকা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে ফুটবল হবে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং তরুণদের প্রতিভা বিকাশ, দলগত চেতনা ও খেলোয়াড়সুলভ মনোভাবের প্রতীক। টুর্নামেন্টকে সফল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাব দায়িত্ব পালন করবে ভলান্টিয়ার হিসেবে।
আয়োজকরা আরও জানান, আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর মাধ্যমে তরুণদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা, পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া সংস্কৃতি সমৃদ্ধ করাই প্রধান লক্ষ্য।
শিক্ষায় উৎকর্ষ, উদ্ভাবন ও কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউআইটিএস বরাবরের মতোই শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। একাডেমিক সাফল্যের পাশাপাশি খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম অঙ্গীকার
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা তিনটি পৃথক মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো ৯ জন।
মামলা তিনটিতে অভিযুক্তের তালিকায় আরো আছেন, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালতে পৃথক তিন মামলায় তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে শেখ রেহানা, শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন চারজন। তারা হলেন, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নির্বাহী মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরহাদুজ্জামান, অপারেটিভ ডাইরেক্টর শেখ শমসের আলী, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ হিমেল চন্দ্র দাস এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহান।
আজমিনা সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন চারজন। তারা হলেন, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নির্বাহী মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরহাদুজ্জামান, অপারেটিভ ডাইরেক্টর শেখ শমসের আলী, অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ হিমেল চন্দ্র দাস এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহান।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহান।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ রেহানার বিরুদ্ধে গত ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।
মামলায় টিউলিপ, রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে একই দিনে অপর একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। মামলায় টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
একই অভিযোগে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একই দিন অন্য একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। মামলায় টিউলিপ রিজওয়ানা ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ঘাট। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত অবধি হাজারো মানুষ এখানে ভিড় করেন নদী পারাপারের জন্য। বুড়িগঙ্গার মতো বিশাল নদীতে আশপাশের ১০/১৫ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোনো ব্রিজ। এই এলাকায় চলাচলে একমাত্র ভরসা নৌকা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মাঝেমধ্যেই বালুবাহী বালহেটের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষে ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও। অথচ দীর্ঘ ৫৪ বছরেও এখানে স্থায়ী ব্রিজ হয়নি।
দুই পাড়ের অনেকে কম বেতনে চাকরি করতে। স্কুল-কলেজে পড়তে যায় এলাকার ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু গরীব মানুষের অর্ধেক টাকাই খরচ হয়ে যায় নদী পারাপারেই। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই ইজারাদারদের সঙ্গে যাত্রীদের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ইজারাদাররা ভাড়া নিয়ে টানাহেঁচড়া করে, বাজে ব্যবহার করে, এমনকি অনেক সময় হয়রানির শিকারও হতে হয়।অথচ তারা নামমাত্র মূল্যে ঘাটের ইজারা নেয়।
খোলামোড়ার তরুণ আরিফ বলেন, ব্রিজ হবে শুনে বড় হয়েছি, কিন্তু পাইনি। প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুল-কলেজে যেতে যে কষ্ট, তা ভাষায় বোঝানো যায় না। তাছাড়া ইজারাদারদের ব্যবহার খুবই খারাপ। ৫/ ৭ বছরের বাচ্চাদেরও ইজারার টাকা ছাড়া বের হতে দেয়না। ব্রিজটা খুবই জরুরি।
গৃহবধূ সাদিয়া অফরিন বলেন, এক পাশে বাবার অন্য পাশে শ্বশুরবাড়ী, যাতায়াতের সময় তিন বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠতে বুক কাঁপে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না। তার ওপর ইজারাদারদের খামখেয়ালি আচরণে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নৌকায় মালামাল আনা-নেওয়া করতে গিয়ে কত ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনায় মানুষ মরেছে, মালামাল নষ্ট হয়েছে। ব্রিজ হলে শুধু যোগাযোগই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যও এগিয়ে যাবে। কিন্তু এত বছরেও হয়নি।
কেরানীগঞ্জের সাবেক এমপি আমান উল্লাহ আমান জানান, বাবুবাজার ব্রিজ, বসিলা ব্রিজ আমরাই করেছি, এটাও আমরাই করব। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবার আগে খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ হবে।
স্থানীয়রা মনে করেন, পোস্তগোলা, বাবুবাজার ও বসিলা ব্রিজ কেরানীগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এবং নবাবগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জসহ দক্ষিণবঙ্গের ১০/১২টি জেলার রাজধানীতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই নতুন একটি স্থায়ী ব্রিজ সময়ের দাবি।
খোলামোড়া ও কামরাঙ্গীরচরের দুই পাড়ের কয়েক লাখ মানুষের একটাই প্রশ্ন—আসলেই কি হবে এই ব্রিজ? আর না হলে বাধাটা কোথায়? প্রতিশ্রুতি নয়, তারা এখন দেখতে চান বাস্তবায়ন।
কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার প্রান কেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকা বামন্দী ইউনিয়নে একত্রিশ বছর পূর্বে স্থাপন করা হয় গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল।
এই এলাটিতেই অবস্থিত খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাট। যেখানে বিভাগের কয়েকটি জেলার হাজার পশুপালনকারি খামারি ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এই বামন্দীতে।
এসব দিক বিবেচনা করেই ১৯৯১-১৯৯২ সালের দিকে নির্মাণ করা এই গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল। এটি নির্মাণের ঠিক তিন থেকে চার বছর পরই বন্ধ হয়ে যায় উপকেন্দ্রটি।
এরপর থেকে তিন দশক ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি। এর মধ্যে দেখা মেলেনি কোনো প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তার। উপায় না পেয়ে পশুর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যেতে হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে। এতে একদিকে যেমন বেড়ে যায় ব্যয়, তেমনি বাড়ে কষ্ট।
আর বতর্মান চিত্র আরো ভয়াবহ, হাসপাতালটির প্রবেশ পথের সামনে রাখা হয়েছে বালুর স্তূপ। এখানে সারাদিন ধরে বালির ব্যবসা, আর রাতে পরিনত হয় মাদকসেবীদের আকড়া।
স্থানীয় খামারিদের দাবি, দ্রুত এই পশু হাসপাতালটি চালু করা হোক, কর্তৃপক্ষের কাছে এটিই চাওয়া।
বামন্দী পশুহাট মালিকদের দাবি, জেলার সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দিয়ে থাকে বামন্দী পশুহাট কর্তৃপক্ষ। তাই এই পশু হাসপাতালটি চালু করা খুব দরকার।
এদিকে গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বলা হয়েছে, অতিদ্রুতই-এর কাগজপত্র প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
স্থানীয় জনি আহমেদ বলেন, আমার বয়স পঁচিশ বছরের মতো হবে। আমি জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে আছে। এত দিন ধরে পড়ে থাকার কারণে পশু হাসপাতালটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে ঘরটি। হারিয়ে গেছে পশু চিকিৎসার সরঞ্জাম ও দরজা-জানালা।
মানুষ এখন এটির সামনে বালি রেখে ব্যবসা করে এটিকে বালির ঘাট বানিয়ে ফেলেছে। তবে দ্রুত এ ঘরটি সংস্কার করে নতুনভাবে চালু করা হোক।
বামন্দী ব্যবসায়ীক সমিতির সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাট ইজারাদার মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে একেবারে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। তাই আমাদের জোর দাবি, এই পশু হাসপাতালটি চালু করা হোক।
আমরা এই হাটটি থেকে বছরে জেলার সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদান করে থাকি। আমাদের শুক্র ও সোমবার এই দুদিন হাটে ৮ থেকে ১০ হাজার পিস গরু ছাগল আমদানি হয়ে থাকে। এই পশু যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। পশু হাসপাতালটি চালু হলে খামারি ও ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হবে। কেননা খামারিদের পশু অসুস্থ হলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উপজেলায় যেতে হয়। এটা অত্যন্ত কষ্টকর।
খামারি আ. জাব্বার বলেন, আমরা খামারে গরু পালন করি আর পশু অসুস্থ হলে দশ কিলোমিটার দূরে উপজেলা প্রাণিসম্পদে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আর আমাদের বামন্দী পশু হাসপাতালের ডাক্তার ডেকে আনতে গেলে টাকা দিয়ে নিয়ে আসা লাগে। তাই এই হাসপাতালটি চালু হলে আমরা গরু চাষিরা অনেক উপকৃত হবো।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন স্থানীয় গবাদিপশু পালনকারিদের কথা ভেবে, আমিসহ আরও কিছু লোক টাকাপয়সা তুলে এই জমি ক্রয় করেছিলাম। পরে উপজেলা পরিষদের টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। আমিও চাই পশু হাসপাতালটি আবার চালু করা হোক।
গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোত্তালেব আলী বলেন, বামন্দীর উপকেন্দ্র পশু হাসপাতালটি ১৯৯০ অথবা ১৯৯১ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৩১ বছর পড়ে থাকায় নানা সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্রটি। এটি বামন্দী ইউনিয়নে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পশু হাসপাতালটি নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
মোত্তালেব আলী আরও বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছি। সেখানে তিনটি রুম বিশিষ্ট ঘর ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। কোনো জানালা, দরজা বা চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখতে পাইনি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন দপ্তরে যেতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ আগস্ট মো. মোখলেস উর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চব্বিশের জুলাই-আাগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে সাংবাদিকদের আজ (রোববার) একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো। ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরংকুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ রাজনৈতিকভাবে। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।
মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস.এইচ. তামিম শুনানি করেন। সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রীসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক মায়ানমারের নাইক্ষ্যনদিয়া সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি সন্দেহজনক কাঠের বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের সময় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ৮৩ বস্তা সিমেন্ট, ৮৫ বস্তা সার ও ৩৪০ লিটার সয়াবিন তেল। এ সময় পাচার কাজে ব্যবহৃত কাঠের বোটসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
কোস্ট গার্ড জানায়, জব্দকৃত মালামাল, আটককৃত পাচারকারী ও বোটের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক আরও বলেন, “চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।”
মন্তব্য