× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Thakeswari temple visiting
google_news print-icon

প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন

প্রধান-উপদেষ্টার-ঢাকেশ্বরী-মন্দির-পরিদর্শন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।

মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় যোগ দিয়েছেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Fire Service Training to 5 members of DRU

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর পক্ষ থেকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর সদস্যদের দুই দিনব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ডিআরইউ-এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় এবং ডিআরইউর পক্ষ থেকে পার্টিসিপেন্টদের মনোনীত করা হয়।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ
১৫ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। তিনি তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় তিনি বলেন, “দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় সবার আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদস্যগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ কারণে এই দুই পেশার মধ্যে সঠিক সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।” এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে এই প্রশিক্ষণ উপকারী বিধায় এ ধরনের প্রশিক্ষণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য আমি ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, পিএসসি; ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক জনাব মোঃ বোরহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিনসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ডিআরইউর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ
দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অগ্নিপ্রতিরোধ ও অগ্নিনির্বাপণ কলাকৌশল, জরুরি উদ্ধার পদ্ধতি, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্ঘটনার সময় ভবন থেকে জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থাপনা, ভূমিকম্পের আগে, ভূমিকম্পের সময় ও ভূমিকম্পের পরে করণীয়, অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা সরঞ্জাম পরিচিতি, সংবাদ সংগ্রহকালীন দুর্ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ থাকার কলাকৌশল, হাতে-কলমে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের ব্যবহার, গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনায় করণীয় ইত্যাদি কৌশল শেখানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষায় সকল অংশগ্রহণকারী সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। প্রথম স্থান অর্জন করেন চ্যানেল ওয়ান টেলিভিশনের প্রতিবেদক ইশতিয়াক ইমন। প্রশিক্ষণ কোর্সের কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান শিকদার। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ছালেহ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোস্তফা মহসিন, সিনিয়র স্টেশন অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম দোলন, স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসীম প্রমুখ। দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজি, ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সুমন চৌধুরীসহ ৪০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ
১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক মহোদয়ের পক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এসজিপি, পিএসসি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে পার্টিসিপেন্টদের মধ্যে চ্যানেল ২৪-এর প্রতিবেদক জুমাতুল বিদা এবং ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাংবাদিক সজীবুর রহমান সবার পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

ডিআরইউর ৪০ সদস্যকে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ

খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal measures excluding the July Fighter List when proven fake Ministry of Liberation War

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পরিলক্ষিত হয়েছে যে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। উক্ত সংবাদগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের এম.আই.এস ভুক্ত যে তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জুলাই শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধার তালিকায় যে সকল ভূয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তাদের নাম যাচাই বাছাই করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

এছাড়াও গণমাধ্যমে যে সকল ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করছে।

কোনো প্রকার ভুয়া প্রমাণিত হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Regardless of religion everyone is a family member the chief adviser

ধর্ম মত নির্বিশেষে সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা

ধর্ম মত নির্বিশেষে সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী এবং ধর্ম, মত বা অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে কাউকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। পুরো জাতি একটি পরিবার। পরিবারের ভেতরে মতভেদ থাকতে পারে, ব্যবহারের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু পরিবার একটি অটুট জিনিস—এটাকে কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা যেন জাতি হিসেবে এই অটুট পরিবার হয়ে দাঁড়াতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এর আগে তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যত ধর্মীয় পার্থক্য থাকুক, মতের পার্থক্য থাকুক, রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই বৈষম্য করার। রাষ্ট্র দায়িত্ববদ্ধ সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য। সে যেই ধর্মেই বিশ্বাস করুক, যে মতবাদেই বিশ্বাস করুক, ধনী হোক কিংবা গরিব—রাষ্ট্রের কাছে সে একজন নাগরিক। নাগরিকের সকল অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র আমাদের তালিকা করে দিয়েছে আমার প্রাপ্য কী। কোনো সরকারের অধিকার নেই কাউকে বঞ্চিত করার, সামান্যতম পরিমাণেও নয়। আমরা নাগরিক—আমাদের প্রতি কোনো রকম বৈষম্য করা যাবে না। এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সবসময় সোচ্চার থাকতে হবে।’

নাগরিক অধিকার প্রসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যত কথাই বলুন, তার মধ্যে বারে বারে বলুন—আমি এ দেশের নাগরিক, আমার সংবিধান প্রদত্ত সকল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তখন দেখবেন সবাই আপনাদের সঙ্গী হবে। সারা দেশের মানুষ একসঙ্গে থাকবে, কারণ সবার সমস্যাই একই—নিজের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

নাগরিক অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বারবার লাঞ্ছিত হই, অপমানিত হই, নানা বৈষম্যের শিকার হই। কেন? কারণ নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে আমরা হতাশ হয়ে গেছি। এখন আর হতাশ হওয়া চলবে না। নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো—সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা।’

প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই না নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে ধর্ম পালন করতে। আমরা চাই নাগরিক হিসেবে মুক্তভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে। এ অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ভূমিকা পালন করছে, আমরা এজন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের ধর্মীয় উৎসব পালনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপের প্রয়োজন হবে না।’

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার ব্যক্তিগত অনুভূতির কথাও ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমাকে এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। আমি বললাম, যাবই। এই আনন্দ থেকে আমি নিজেকে দূরে রাখতে চাইনি। যদিও শারদীয় দুর্গাপূজার সময়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে আমাকে থাকতে হবে, তাই আমি আগেভাগে এসেছি আপনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনও বলেছিলাম—আমরা সবাই একটি পরিবার। পারিবারিক মতভেদ থাকবেই, কিন্তু পরিবার ভাঙবে না।’

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দে প্রমূখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A few hundred go waiting to cross the river one between the two ghats in Daulatdia

দৌলতদিয়ায় ঘাট দুটির মধ্যে একটি ঘাট চালু, নদী পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

দৌলতদিয়ায় ঘাট দুটির মধ্যে একটি ঘাট চালু, নদী পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঘাট সংকটে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।

সিরিয়ালে অল্প সংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহন থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। ফলে ট্রাকচালক ও যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক'শ যানবাহন ফেরির জন্য লম্বা সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। সিরিয়ালে আটকে থাকা যানবাহন গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর।

এসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কের আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে তাদের গোসল, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেটসহ নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,, দৌলতদয়িায় ১, ২, ৫ ও ৬ নং ফেরি ঘাট দীর্ঘদিন ধরে অকেঁজো হয়ে পড়ে আছে। ৩, ৪ ও ৭ নং ফেরি ঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় চলমান ছিল। এরমধ্যেই পদ্মায় তীব্র স্রেতের কারনে গতমাসের ২৩ আগস্ট থেকে ৭ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট সচল থাকলেও ৩ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের প্লেট ভেঙ্গে যাওয়ায় রবিবার রাত ১২টা থেকে ঘাটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। শুধুমাত্র ৩ নম্বর ঘাট চালু থাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।

ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইনের বাস চালক আঃ জলিল বলেন, দুই ঘন্টা দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে আটকে আছি। শুনতেছি একটি মাত্র ঘাট চালু রয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

যশোর থেকে আসা ট্রাকচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সকাল ৮ টার দিকে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি। গাড়িতে তার রয়েছে। এছাড়া সময়মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে পরিবহন খরচের পাশাপাশি তাদের খরচও বাড়ছে।

ভোগান্তি লাঘবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দুটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। একটি ঘাটের মেরামত কাজ চলছে, আশা করি খুব দ্রুতই ঘাটটি সচল হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ঘাট কম থাকার ফেরি কম চালাতে হচ্ছে। বর্তমান এই নৌ-রুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ টি ফেরি চলাচল করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Six health and family welfare centers are now ill in the manpower and medicine crisis

জনবল ও ঔষধ সংকটে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্র এখন নিজেই অসুস্থ

জনবল ও ঔষধ সংকটে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্র এখন নিজেই অসুস্থ

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্রে একটিতে চাষ করা হচ্ছে হলুদ,অন‍্যটিতে শুকানো হচ্ছে পাট,রাতে মাদক সেবীর আড্ডা

বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে মেহেরপুর গাংনী উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন ষোলটাকা, কাজিপুর ও ধানখোলা চালু করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।

গত সাত মাস যাবৎ কোনো ওষুধ বরাদ্দ না থাকায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। আর কেরামতি বেড়েছে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের।

ষোলটাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্রের ভিতরে চাষ করা হয়েছে হলুদ। আর এই উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন কাজিপুর। সেই কেন্দ্রটিতে দিনের বেলায় শুকানো হয় পাট। আর সন্ধ্যা লাগলেই পরিণত হয় মাদক সেবীদের আকড়া হিসেবে। আর ধানখোলায় ঝুলছে তালা।

কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা।

মেডিকেল অফিসারসহ চারটি পদের মধ্যে রয়েছে মাত্র একজন উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার।

তা ছাড়া ওষুধ ও জনবল সংকটে নরমাল ডেলিভারি, প্রসূতি সেবা, কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা সেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

একেকটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন পিয়নের পদ থাকলেও সেখানে নামমাত্র একজন উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে এই সব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ভবন ও বাসভবন দুটিই একেবারই ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ছাদ থেকে ঢালায় খসে খসে পড়ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর পরিত্যক্ত ভবনে বসছে নিয়মিত মাদকের আড্ডা।

সেবা প্রার্থী ষাট বছর উধ্বো জমেলা খাতুন বলেন,আমার বয়স হয়েছে আর রোগেও পাল্লা দিয়েছে। গরীব মানুষ ঔষধ কিনতে টাকা থাকে না। এই হাপানি রোগ নিয়ে দির্ঘদিন ভুগছি। এই হাসপাতালে এসে ঔষধ নিয়ে খেলে কম থাকে। একটু আরাম পাই। অথচ গত ৫/৬ মাস যাবৎ কোনো ওষুধ নেই। জরুরি চিকিৎসার জন্য গাংনী, মেহেরপুর কিংবা কুষ্টিয়া যেতে হয়। কিছু দিন আগে সহড়াবাড়িয়া গ্রামের এক কৃষক হঠাৎ অসুস্থ হলে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।

কাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়াদ আলী বলেন, আমরা সিমান্ত এলাকার মানুষ হওয়াই বড় পাপ করে ফেলেছি। আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক সেবার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়ে আছি। আমাদের ইউনিয়ন পারিবারিক স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র খাতা কলমে আছে। আর সেবার ক্ষেত্রে শূন‍্য।

ষোলটাকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো নামেই আছে, এখানে ডাক্তার ও নার্স নেই। প্রয়োজনীয় ওষুধ সময় মতো পাওয়া যায় না। বেশির ভাগ সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকে।বতর্মান হাসপাতালের ভিতরে হলুদ চাষ হচ্ছে। আর অন‍্য সময় মাদকসেবীদের দখলে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার এবং নার্সের প্রয়োজন।

ধানখোলা ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কোয়ার্টার ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় সেখানে কোনো ডাক্তার থাকতে পারেন না। তাই রাতের আঁধারে চিকিৎসার জন্য রোগীদের শহরে নিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া, নিয়মিত ওষুধ পাওয়া যায় না।এতে গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবা পেতে ব্যহত হচ্ছে।

ষোলটাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, জনবল ও ওষুধ সংকট রয়েছে। জনবল ও ওষুধ দিলে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তা ছাড়া চারজনের কাজ একাই করতে হয়।

কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের কাছেই অবস্থিত ইউনিয়ন পরিবার ও স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র। এটির অধিকাংশ ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। সন্ধ্যায় পর যখন এলাকা ফাকা থাকে তখন মাদকসেবীরা আড্ডায় বসে। অনেক ভবনের জ্বানালা দরজা খুলে বিক্রি করে দিয়েছে মাদক সেবীরা। আমারা সিমান্ত এলাকার মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হলে ১৫ কিলো যাওয়া লাগে। তাই এটি দ্রুত চালু করা দরকার।

এদিকে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আবু সাঈদ বলেন, দ্রুত ওষুধ সরবরাহ করা হবে এবং শিগগিরই জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। সপ্তাহে দুই কিংবা তিন দিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকলেও বাকি সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করতে হয় ওই সব উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসারদের।

মন্তব্য

বগুড়ায় মা-ছেলে খুন

বগুড়ায় মা-ছেলে খুন

বগুড়ায় মা-ছেলে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মা ও ছেলে জোড়া খুনের বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন-শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ঈদ্রীস প্রামানিকের স্ত্রী রানী খাতুন (৪০) ও ছেলে ইমরান (১৮)।

জানা যায়, সোমবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) রাতে খাওয়া দাওয়া করে রানী খাতুন ও ছেলে ইমরান নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশিরা ঘরের দরজা খোলা ও ঘরের ভিতর জবাই করা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। তবে ইমরানের সাথে একই গ্রামের মৃত খোকার ছেলে হাসান (১৭) বসবাস করতো। ঘটনার পর থেকে হাসান নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের মেয়ে ইলা জানান, আমার মা ও ভাইকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ ও সোনাতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, ধারনা করা হচ্ছে, রাতের যে কোন সময় কে বা কারা তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The president of the Government College Chhatra Dal took charge of the admission of poor students in the bear

ভালুকায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি

ভালুকায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি

ময়মনসিংহের ভালুকা সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর হাসান শান্ত। ভর্তি ফি জোগাড় করতে না পারায় যেসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, তাদের সহযোগিতার ঘোষণা দেন তিনি।

জানা যায়, শান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে জানান—অর্থাভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারলে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক শিক্ষার্থী তাঁর সাহায্য পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী জানান, বাবা দিনমজুর হওয়ায় ভর্তি ফি দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পরে শান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিজে এসে ভর্তি ফি পরিশোধ করেন। আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তি না হলে হয়তো পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হতো। শান্ত ভাই শুধু টাকা দেননি, সাহসও দিয়েছেন।

ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সিয়াম সাব্বির রিশাদ জানান, এবার তানভীর হাসান শান্তর সহযোগিতায় প্রায় বিশজন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পেরেছে। কারও ভর্তি ফি পুরোপুরি বহন করা হয়েছে, আবার অনেকে আংশিক সহায়তা পেয়েছেন।

তানভীর হাসান শান্ত বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অর্থের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থেমে যাওয়া উচিত নয়। আমি আমার সাধ্যমতো শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় সহযোগীতা করেছি। ভবিষ্যতে যদি কোনো শিক্ষার্থী ফরমপূরন সহ যেকোনো আর্থিক অসুবিধায় পড়ে আমি যথা সাধ্য চেষ্টা করবো। ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষার দায়িত্বও নিতে চায়।

অভিভাবকরাও এ উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একজন অভিভাবক বলেন, ছেলের ভর্তি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। শান্তর কারণে সেই দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে