ভোলায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় নিজ ছেলের হাতে খুন হয়েছেন দারুল হাদীস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানী। বাবাকে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে রেদোয়ানকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গেম ও মোবাইলে আসক্ত রেদোয়ানকে প্রায়ই শাসন করতেন নোমানী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে ইন্টারনেটে ‘সাইকো’ ধরনের সিনেমা দেখে হত্যার কৌশল শেখে এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে একটি ছুরি অর্ডার করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ শেষে ঘরে ফেরার পর বাবাকে ছুরিকাঘাত করে রেদোয়ান। এ সময় নোমানী জীবন ভিক্ষা চাইলেও ছেলে থেমে যায়নি। মুভির কৌশল নকল করে পেটে ও ঘাড়ে আঘাত করে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায় সে। হত্যার পর আলামত নষ্ট করতে ছুরিটি পাশের খালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে উদ্ধার হওয়া আলামতের সূত্র ধরে পুলিশ রেদোয়ানকে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুনের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেদোয়ান জানায়, বাবার শাসন-শোষণের আক্রোশ থেকেই সে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার জন্য আগে থেকেই কালো পোশাক ও ক্যাপ জোগাড় করে রাখে। ঘটনার দিন রাতেই মামার বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত, গেল ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভোলার চরনোয়াবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মাওলানা আমিনুল হক নোমানী। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি টি-শার্ট, মাস্ক ও ঘড়ি উদ্ধার করে। এসব আলামতের ভিত্তিতেই রেদোয়ানকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরের নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিন দিন উজানের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী মানুষের জানমাল ও কৃষি রক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার দিনভর ডালিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাউবোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এবং এর উজান ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেই সাথে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চর প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে বন্যার পূর্বাভাস জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিট সতর্কতা জারি করেছে। তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শংঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির
নিষ্কাশন নালা পরিস্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশাক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দন্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি থাকার জায়গা পরিস্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার পুরো ইউনিয়নই তিস্তা নদী বেষ্টিত। তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি আমি নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীদের জানিয়ে দিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথেও যোগযোগ করা হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পারে। এ তথ্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে জনবসতি এলাকায় সড়কের পাশে চলছে বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীন হওয়ার উপক্রম। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছে। এর ফলে স্থানীয় আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে অধিকাংশ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়, সড়কে বালুকাঁদা জমে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে হালকা যানবাহন, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, মিনিট্রাক সহ ইঞ্জিনচালিত অন্যান্য যানবাহনেও ঘটে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এহেন সমস্যার ব্যাপারে উক্ত এলাকার
ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু স্তুপকৃত ঐ জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখেছে। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ করে দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাঁদামাটি হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারণে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ওই এলাকার আরেক ভূক্তভোগী আ. আজিজ জমাদ্দার বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা ঐ সমস্যার কারণে স্কুলে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হয়, কেননা রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা আমাদের সমস্যার কথা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, এরপর তারা উক্ত ব্যবসা সাময়িক বন্ধ রাখে, কিছুদিন পর তারা আবার তা পুণরায় চলমান করে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।’
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা জনদূর্ভোগ সৃষ্টকারী অবৈধ ওই বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা বন্ধের জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে দেয়া হোক। এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে, যেখানে তাদের রয়েছে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আস্থা, যা পেলে ভুক্তভোগীরা দুঃসহ উক্ত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের হেনা বুলবুলির ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে এ সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি গত ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে সার মজুদ করে আসছেন। ওই সার তার স্বামী মজনু চৌকিদার ও ছেলে হাসান চৌকিদার এলাকার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
গত বুধবার তিনি (নারী ইউপি সদস্য) আমতলী থেকে দের’শ বস্তা ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার অবৈধভাবে ক্রয় করে উত্তর তক্তাবুনয়া গ্রামের বাড়ীতে মজুদ করেছেন। ওই সার থেকে তিনি গত তিন দিনে ৮৬ বস্তা সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ কৃষকদের। রোববার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান অভিযান চালিয়ে নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে। এর মধ্যে ৪১ বস্তা ইউরিয়া, ২৩ বস্তা টিএসপি ও এমওপি।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদার ও তার ছেলে হাসান চৌকিদারের নামে সার বিক্রির লাইসেন্স নেই। তারা উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ডিলার নয়।
অবৈধ সার মজুদকারী ও বিক্রেতা হাসান চৌকিদার তার বাড়ীতে সার মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স আছে। তাই কীটনাশক বিক্রির পাশাপাশি সার বিক্রি করছি।
নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি বলেন, আমার ছেলে কীটনাশকের ব্যবসা করে। ওই সঙ্গে সারও বিক্রি করে। আমার ছেলের নামে সার বিক্রির ক্ষুদ্র লাইসেন্স আছে।
আমতলী উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যের ঘর থেকে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত সার থানার আনা হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রাসেল বলেন, ৬৪ বস্তা মজুদ সার নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নারী ইউপি সদস্যের স্বামী ও তার ছেলের নামে সার মজুদ ও বিক্রির কোন ক্ষুদ্র লাইসেন্স দেয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রি করে থাকেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে সার বিক্রির সুযোগ নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ অপকর্ম বন্ধ করুন। এখনো সময় আছে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি ছেড়ে দিন। আপনাদের এসব অপকর্মের জন্য বিএনপির বদনাম হচ্ছে। তারেক রহমান আপনার অপকর্মের দায় কেন নেবেন। সামনে আমাদের অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধ করতে হবে। সামনে ক্লিন অপারেশন শুরু হবে। সতর্ক থাকবেন। সাবধান হয়ে যান। হয়তো আগামীতে আপনার জন্য জেলখানা অপেক্ষা করছে। আপনাকে অপকর্মের জন্য জেলে যেতে হতে পারে।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা শিল্পনগরী প্রতাপের চর এলাকায় উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি আয়োজনে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাবিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলই বিএনপির প্রাণ। তৃণমূল না থাকলে আমরাও থাকব না। কারও সঙ্গে হিংসা করবেন না। সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দেবেন না। কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আপনি কী বিনিময় পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক করেছেন? তৃণমূলের সাথে ভাব দেখাবেন না। তাদের ভালোবাসা দিন, আদর করুন। নির্বাচন আসলে নতুন প্রার্থী আসতেই পারে। ঝগড়া করবেন না। এক টেবিলে বসে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের জন্য কাজ করুন।
সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দীনা, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, সেলিম হক রুমি, শাহজাহান মিয়া, মোতালেব হোসেন, শাফিরউদ্দিন মজনু, তাজুল ইসলাম সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, সাদিকুর রহমান সেন্টু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার সকল ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রোববার বিকালে মুড়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ইমরান হাসান তুহিন। তিনি বলেন, ‘হেল্প ডেস্ক’ কার্যক্রমের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হচ্ছিল। এ সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তার কাজে ব্যস্ত অবস্থায় শিবিরকর্মীদের ওপর প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আবরারুল হক, সাইদুল ইসলাম শান্ত, বিল্লাল মিয়া
সিফাত আহত হন এবং কলেজের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শিবির নেতারা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়-ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়ে কোনো দলই টিকতে পারে না। ছাত্রশিবির সর্বদা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে এসেছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা অবিলম্বে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি কলেজে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মলে উপস্থিত ছিলেন মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাইনুল হাসান শান্ত, ইমরান হাসান, মো. শাহিন আকন্দ, মো. শুভ সরকার, আরাফাত হোসেন আরিফ আজারুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ।
পটুয়াখালীর বাউফলে ১০ বছরের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
কানে ব্যথায় অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার রাতে ওই শিশুকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হামিম (১০) মোবাইল ফোনে খেলার ছলে ভিডিও ধারণ করলে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান তার কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে নেন এবং কানে কয়েকটি চড় মারেন। এতে শিশুটি কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শিশুর বাবা কবির মোল্লা জানান, পুলিশের হুমকির ভয়ে তারা বিষয়টি গোপন করেছিলেন। কিন্তু গত শনিবার রাতে ছেলের তীব্র ব্যথা শুরু হলে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আনেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটিকে মারধরের পর পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হলে গ্রামবাসীর বাধার মুখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মাসুদুর রহমান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় সেখানে গেলে শিশুটি আমাদের ভিডিও করছিল। মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়, শুধু মোবাইল ফোনটি নিয়েছি।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান জানান, শিশুটির কানে আঘাতজনিত ব্যথা রয়েছে, তাকে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে এসআই মাসুদুর রহমানের সাথে কথা হয়েছে। সে স্বীকার করেছে, শিশুটির মাথা ধরে ঝাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ-খাল বিলের পানি দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার বিকেলে সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মদনপুর-আড়াইহাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আল মুজাহিদ মল্লিক, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, জামপুর মাঝেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মিয়া, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আকরাম আজাদ মিল্টন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শরীফুজ্জামান শাহীন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমানউল্লাহ মিয়া, ৩ নংওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক মিয়াসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে পরিবেশের মারাতক্তভাবে ক্ষতি করছে। শুধু ব্রহ্মপুত্র নদের পানিই নয়, খাল বিলের পানি দূষণের কবলে পড়েছে। বর্জ্যে মিশ্রিত পানিগুলো কালো আলকাতরার রং ধারণ করেছে। ফলে পরিবেশ ও কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া নদীতে এখন আর দেশী মাছ পাওয়া যায় না। দূষণের ফলে জনর্দূভোগ চরমে পৌঁছেছে। তারা আরো বলেন, কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পানি দূষণের ফলে বিভিন্ন রোগ বালাই হচ্ছে। কিছু সুবিধাভোগীদের জন্য আজ নদীর এ অবস্থা। নদী বাচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদী বাঁচাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বক্তারা।
মন্তব্য