× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Awami League leader Mangu Shikdar arrested in Kotalipara
google_news print-icon

কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মঙ্গু শিকদার গ্রেপ্তার

কোটালীপাড়ায়-আওয়ামী-লীগ-নেতা-মঙ্গু-শিকদার-গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মঙ্গু শিকদার (৬৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত রোববার রাত ১১টার উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি কোটালীপাড়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমজেদ শিকদারের ছেলে ও পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার সকালে মঙ্গু শিকদার কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদার হাট নামক স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা জড়ো হয়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ করে। এতে জনমনে আতঙ্ক ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একশ ৫৫ জনকে জ্ঞাত ও এক হাজার পাঁচশ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকারি হাফিজুর রহমান বলেন, ১৬ জুলাই মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভের ঘটনায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে মঙ্গু শিকদারকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত এই মামলায় আমরা ৬২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chibo protest march demanding a 5 point

৫ দফা দাবিতে চবিতে বিক্ষোভ মিছিল

৫ দফা দাবিতে চবিতে বিক্ষোভ মিছিল

অপরাধীদের গ্রেপ্তার, বিচার বিভাগীয় তদন্ত, আহতদের উন্নত চিকিৎসা, শতভাগ আবাসন ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার হয়ে কাটা পাহাড় রোড দিয়ে জিরো পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি।

বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির নেতা কর্মীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার’, ‘বিচার নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, লাল সন্ত্রাসের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘মববাদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জুলাইয়ের প্রশাসন, দাও শতভাগ আবাসন’, ‘তোমার আমার অধিকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শাখা ছাত্রশিবিরের বায়তুল মাল সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি

ইব্রাহিম হোসেন রনি, শাখা সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা, শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফ।

এসময়, দাবিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে প্রশাসনকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।

শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘আমরা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি, সন্ত্রাসীদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি। বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতার কারণে কিছুদিন পরপর আমাদের সন্ত্রাসীদের সাথে মুখোমুখি হতে হয়।’

প্রশাসনকে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাদের শান্তি মতো পদত্যাগও করতে দেব না। হুঁশিয়ার হয়ে যান। শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনেক খেলেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি উল্লেখযোগ্য কার্যকর পদক্ষেপ না নেন, তাহলে আপনারা এখন যা ভাবছেন, তার চেয়েও পরিণতি ভয়াবহ হবে।’

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন,‘প্রশাসন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ৩০ ও ৩১ আগস্টের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ঘটনার সূত্রপাত থেকে শেষ পর্যন্ত কারা উস্কানি দিয়েছে, কারা নির্দেশদাতা, সন্ত্রাসীরা কাদের প্রশ্রয়ে এখনও গ্রেফতারের বাইরে তা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাইয়ের এই প্রশাসন আমাদের আবাসনের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। যার ফলে উচ্চ মূল্য দিয়ে কটেজে অবস্থান করতে হয়। আবাসন, নিরাপত্তা, বিচার বিভাগীয় তদন্ত, আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’

ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো সকল শিক্ষার্থীদের দাবি। সংঘর্ষের ঘটনাকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এই প্রশাসনকে মুখ বন্ধ রাখলে হবে না। সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি গ্রেপ্তার করতে না পারেন, ভিসি মহোদয় আপনাকে অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। প্রোভিসি আপনি মনে করিয়েন না বোবার কোনো শত্রু নেই, মুখ বন্ধ রাখলে হবে না। যদি আপনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন, আপনাকেও পদত্যাগ করতে হবে। প্রক্টর মহোদয়, আপনাকে বলছি, আপনাকেও দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা দপ্তরের সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’

একই সাথে দাবিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে প্রশাসনকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রশিবির নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bus stops from Rajshahi to Dhaka

রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ

রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ

রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এই বাস চলাচল বন্ধ আছে। তবে একতা ট্রান্সপোর্ট চলছে।

গত রোববার রাত ৯টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে দেওয় হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। তবে কিছু বাস বিকল্প ব্যবস্থায় বাস পরিচালনা করে।

শ্রমিকরা জানান, রাজশাহী-ঢাকা বাসের স্টাফদের বেতন খুব কম। ন্যাশনাল ট্রাভেলস রাজশাহী-ঢাকা যাওয়া-আসায় চালকদের প্রতি ট্রিপে বেতন দেয় ১ হাজার ১০০ টাকা। সুপারভাইজারদের দেয় ৫০০ টাকা ও চালকের সহকারীকে দেওয়া হয় ৪০০ টাকা। এছাড়া দেশ ট্রাভেলসে চালকদের দেওয়া হয় ১ হাজার ২০০ টাকা বেতন। তারা বেতন ২ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে।

ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ১০ বছর থেকে আমাদের ১ হাজার ১০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হচ্ছে। বেতন বাড়ানো হচ্ছে না। এর আগেও আমরা ২৩ আগস্ট শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলস বন্ধ রেখেছিলাম। সে সময় কর্তৃপক্ষ দুদিনের মধ্যে আমাদের বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দিলে আবারও বাস চালু করা হয়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আগের বেতন দেওয়া হচ্ছে। তাই অন্য সব বাসের শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে একতা ট্রান্সপোর্ট বাদে সব বাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বেতন বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

একতা ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য পরিবহনের চেয়ে আমাদের বেতন বেশি। চালকদের যাওয়া-আসায় দেওয়া হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা, সুপারভাইজারদের দেওয়া হয় ৮০০ টাকা ও চালকের সহকারীদের দেওয়া হয় ৭০০ টাকা। রাতে সব বাস বন্ধ করা হলেও একতাকে শ্রমিকরা চালাতে বলে। এরপর থেকে বাস চলছে।

এদিকে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। এর আগে আমরা মালিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। মালিকরা ১০০ টাকা বাড়াতে চেয়েছে। কিন্তু তারা মানছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও মালিকদের সঙ্গে বসব। তাদের যেন দাবি মানা হয় সেটাও বলব।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজশাহী পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the Rajbari Nurus madness visits additional DIG

রাজবাড়ীতে নুরু পাগলের দরবারে অতিরিক্ত ডিআইজির পরিদর্শন

রাজবাড়ীতে নুরু পাগলের দরবারে অতিরিক্ত ডিআইজির পরিদর্শন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরু পাগলের দরবারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান। সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট দরবারে প্রবেশ করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ শুরু করার কিছুক্ষণ পর দরবার শরীফ পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঘুরে দেখেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি উল্লেখ করেন, এ ঘটনার যদি প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। তবে কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি বা গণগ্রেপ্তারও করা হবে না।

এদিকে গোয়ালন্দের নুরু পাগলার কবর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলো- গোয়ালন্দ পৌরসভার আদর্শ গ্রামের ছালামের ছেলে বিল্লু, মাল্লাপর্ট্রি শাকের ফকিরপাড়ার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম শুভ, নতুনপাড়া (মাল্লা পর্ট্রি) মো. শওকত সরদারের ছেলে মো. জীবন সরদার, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ডিগ্রিরচর বারখাদা গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন সরদারের ছেলে মোহাম্মদ ফেরদৌস সরদার।

এর আগে গত ‍শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৩ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

গত শুক্রবার জুম্মাবাদ গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার ক্লাব চত্বরে জনতা একত্র হয়। পরে নুরু পাগলের আস্তানায় হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশের দুটি গাড়ি, ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে। আগুন ধরিয়ে দেয় মাজারে। এ সময় নুরু পাগলের অনুসারী ও উত্তেজিত জনতার ইট, পাথর নিক্ষেপে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিতরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পদ্মার মোড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নুরু পাগলের মরদেহ।

গত ২৩ আগস্ট নুরু পাগলের মৃত্যু পর তার পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে তার নিজ বাড়ির সামনের অংশে দুতলা সমান (প্রায় ১২ ফুট উঁচু) একটি কাঠামোর ভেতরে কবরস্থ করা হয়। পরে কবরটিকে কাবা শরীফের আদলে রং করা হয় এবং হজরত ইমাম মাহদী (আ.) দরবার শরীফ্; লেখা ব্যানার টাঙানো হয়। এটা স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করে।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, এ পর্যন্ত ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Matoyara tribes at the Karam festival in Naogaon

নওগাঁয় কারাম উৎসবে মাতোয়ারা আদিবাসীরা

নওগাঁয় কারাম উৎসবে মাতোয়ারা আদিবাসীরা

পায়ে আলতা, খোপায় বাহারি ফুল, শাড়ি আর ঢোল-মাদলের তালে তালে রিমঝিম নাচ। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর গানে মুখরিত চারপাশ। ঢোল আর মাদলের তালে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে নওগাঁয় উদযাপন করা হলো- আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব।

সোমবার বিকালে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলা কমিটির আয়োজনে মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব পালিত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইনিশিয়েটিভ সোশ্যাল চেঞ্জ (আইএসসি) এই আয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা করে।

দুই দিনব্যাপী উৎসবের প্রথম দিন গত রোববার রাতে উপজেলার নাটশাল, বকাপুর, জৈন্তাপুর, ঋষিপাড়াসহ আশপাশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গ্রামের নারী-পুরুষ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। রোববার দিনভর উপোস ছিলেন তারা। সন্ধ্যার আগে কারাম বা খিল কদমের ডাল কেটে এনে পূজার বেদিতে বসানোর কাজটি করেন যুবকরা। আর সন্ধ্যার পর কারাম গাছের ডাল বেদিতে বসানোর পর শুরু হয় পূজা। এরপর রাতভর মূল আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন নারীরা। তারা দিয়াবাতি, জাওয়া ডালি (অঙ্কুরোদগম শস্যবীজের ডালি), লাল মোরগ, ফলমূলের ডালা বা থালা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে পূজার বেদিতে উৎসর্গ করেন। সেখানে পূজা পর্ব পরিচালনা করেন পুরোহিত।

রাত একটু গভীর হলে- শিশু, কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সি নর-নারী গ্রামের পূজাস্থানে জড়ো হন। সেখানে পুরোহিত নতুন প্রজন্মের কাছে- কিচ্ছা আকারে কার্মা ও ধার্মা- দুই ভাইয়ের কাহিনি তুলে ধরেন। কিচ্ছা বলা শেষ হলে উপোস থাকা নারীরা পরস্পরকে খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে উপোস ভাঙেন। পরে বেদিতে পুঁতে রাখা কারাম ডালের চারপাশ ঘুরে ঘুরে ঢাকঢোল ও মাদলের বাজনার তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন নারীরা। রাতের পূজা পর্ব শেষে সকালে সবাই মিলে বিভিন্ন আচার শেষে গীত গাইতে গাইতে কারাম ডালকে গ্রামের পুকুরে বিসর্জন দেন।

পূজা পর্ব শেষে বিকালে নাটশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাংস্কৃতিক মিলনমেলা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ মিলনমেলায় নওগাঁর মহাদেবপুর, পত্নীতলা, নিয়ামতপুর উপজেলা ছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলা এবং বাইরের জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক দলগুলো অংশ নেয়। ৫০টি সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্য তুলে ধরে ঢাকঢোল, মাদল ও করতালের (ঝুমকি) তালে তালে নাচ ও গান পরিবেশন করে। এতে নিজ নিজ সংস্কৃতির গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক দলগুলো।

এটি মূলত সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের বৃক্ষ পূজার উৎসব। কারাম (খিল কদম) ডালপূজাকে কেন্দ্র করে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় বলে একে কারাম উৎসব বলা হয়। ধান রোপণের পর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের অফুরন্ত অবসর। বহুকাল ধরে ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রধান উৎসব কারাম। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমায় (শুক্লা একাদশী তিথি) এ উৎসবের আয়োজন করে তারা। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধ্যুষিত গ্রামে গ্রামে কারাম বৃক্ষের ডালপূজাকে কেন্দ্র করে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। তাদের বিশ্বাস, এটি অভাবমুক্তি ও সৌভাগ্য লাভের উৎসব। ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে মনের কামনা-বাসনা পূরণের লক্ষ্যে প্রার্থনা করে থাকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ। এছাড়া নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ এ পূজাকে ঘিরে নওগাঁসহ সমতলের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আদিবাসী সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে।

এদিন বেলা ৩টায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গণেশ মার্ডি। পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়ার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইএসসির সভাপতি ডি এম আব্দুল বারী ও নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসনাত, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নওগাঁ জেলা কমিটির উপদেষ্টা আজাদুল ইসলাম, পত্নীতলা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমির পরিচালক যোগেন্দ্রনাথ সরকার প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sajid murder case is still hung on the headquarters

সাজিদ হত্যার মামলাটি এখনো হেডকোয়ার্টারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে

সাজিদ হত্যার মামলাটি এখনো হেডকোয়ার্টারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেছেন, সাজিদ হত্যার তদন্তভার কোনো সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। মামলাটি এখনো হেডকোয়ার্টারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো শক্তির কারণে এই মামলাটি এখনো তদন্তকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি এটা আমরা জানতে চাই। ছাত্র-সমাজ জানতে চায় কেন তারা এখনো কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছে না। যুগোপযোগী একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ দফা সংবলিত ১১০ প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করলেও সিংহভাগ শিক্ষার্থীবান্ধব প্রস্তাবনা এখনো বাস্তবায়ন করেনি।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার তদন্ত ও বিচার অতিদ্রুত নিশ্চিত করা এবং ২৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউসুব আলী বলেন, জুলাই শহিদদের রক্তের ওপর দিয়ে যে প্রশাসন এসেছে তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে কিন্তু আমরা পেয়েছি সাজিদের লাশ। সাজিদ হত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। আগামী ২ দিনের মধ্যে তদন্ত সংস্থার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে এবং বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা বহিরাগতদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। প্রশাসন সেখানে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আগামীতে আমরা এমন আক্রমণে শিকার হব না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আমাদের অন্যান্য দাবিুগুলো পূরণ করতে হবে যার ফলাফল হিসেবে শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়া সম্ভব হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক পদে আপনাদের থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার মধ্যে ছিল ইকসু গঠন। বর্তমানে কমিটি গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাস্তব পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয়নি। এখন পর্যন্ত সামাজিক সংগঠন বা কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়ে একবারও বসা হয়নি। এ রকম টালবাহানা করলে প্রশাসনের পদ থেকে বিতাড়িত করতে বাধ্য হব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNPs rally and rally in Sonargaon

সোনারগাঁয়ে বিএনপির পথসভা ও র‍্যালি

সোনারগাঁয়ে বিএনপির পথসভা ও র‍্যালি

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করেছেন বিএনপির সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। সোমবার বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে এ শোডাউন করা হয়। র‍্যালিটি মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদুল্লাহ প্লাজার সামনে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সহ সভাপতি শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেল, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রফিক, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, সোনারগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মোল্লা, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান প্রমুখ। এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, এখনো চক্রান্ত চলছে। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এ চক্রান্ত মোকাবিলা করা হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ চক্রান্ত মোকাবেলা করে বিএনপি সরকার গঠন করবে।

মন্তব্য

মাগুরায় জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান

মাগুরায় জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান

মাগুরায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সদর উপজেলার নতুন বাজার ও ঢাকা রোড এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বীজের দোকান, সার-কীটনাশক ও মুদি দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

গত রোববার শহরের নতুন বাজার এলাকায় মেসার্স বিপ্লব ট্রেডার্স নামক বীজ ও সারের দোকানে তদারকিতে ধান সবজিসহ বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন বীজ জব্দ করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ বিক্রয় করা এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও ভাউচার প্রদান না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিপ্লব কুমার বালা কে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে ঢাকা রোডে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় মেসার্স অজয় বীজ ভাণ্ডার নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও পুনরায় বীজ নিয়ে কৃষকের সাথে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। সামনের পেঁয়াজের মৌসুম লক্ষ্য করে বিভিন্ন জায়গা হতে বীজ সংগ্রহ করে কোনো প্রকার টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া ও বীজ অফিসের প্রত্যয়ন ব্যতীত ভুয়া তথ্য দিয়ে বীজ বাজারজাত করে। এছাড়া ৩২৫০/- টাকা কেজি পেঁয়াজ বীজ কিনে ৯,০০০/- কেজি বিক্রয় করা হয়। এছাড়া বীজের প্যাকেটের উপর ভুয়া মেয়াদসহ অসত্য তথ্য প্রদান করাই মালিক বাবুল সরকারকে ৪৫ ধারায় ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং সবাইকে ভবিষ্যতে এধরণের আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. শাহীন ইসলাম ও মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।

মন্তব্য

p
উপরে