× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The price of gold has risen again from today
google_news print-icon

ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

ফের-বেড়েছে-স্বর্ণের-দাম-আজ-থেকে-কার্যকর

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। নতুন করে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ৭১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এখন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাজুসের ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং’ কমিটি বৈঠকে বসে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়।

পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট স্বর্ণের দাম চার দফায় বাড়ানো হয়। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Badruddin Umars statement Sheikh Hasina was in power by controlling elections

বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি: নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনা

বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি: নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিজের করায়ত্ত করেছেন এবং প্রকৃতপক্ষে জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন করে ফেলেছিলেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে একথা বলেছেন সদ্য প্রয়াত বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়াত বদরুদ্দীন উমর শেখ হাসিনার মামলায় একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। উনি ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য প্রদান করতে পারলেন না, তবে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে উনি ওনার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোন সাক্ষী যদি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়ে মারা যান, সেক্ষেত্রে প্রসিকিউসনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া সাক্ষ্যকে গ্রহণ করতে পারেন।

তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনই তিনি ম্যানিপুলেট করেছেন। এগুলো সম্ভব হয়েছে, কারণ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে পুলিশ ও আমলাতন্ত্র-সব কিছুর ওপর তিনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রথম থেকেই শেখ হাসিনা ঠিক করেছিলেন যে, তিনি নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেটি করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখা সম্ভব নয়। অথচ ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তিনি আন্দোলন করেছিলেন, সংশোধনী এনেছিলেন। কোনো নীতিবোধ বা নৈতিক লজ্জাবোধ তার ছিল না।

বদরুদ্দীন উমর আরো বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তিনিই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেন।

কারণ তিনি বুঝেছিলেন যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, পরবর্তীকালে তারা আর জিততে পারবে না। সুতরাং নির্বাচনে জিততে হলে তাকে সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে।

তিনি প্রশাসনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন— প্রথমত ঘুষ, টাকা-পয়সা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এবং দ্বিতীয়ত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।

বদরুদ্দীন উমর আরো বলেন, ২০০৯ সালের মধ্যেই এই নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেন। এই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো করেছেন। ২০১৪ সালে ভোটকেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেয়নি।

২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ হয়েছে। দিনে ভোট হলেও, আসলে ভোট হয়ে গেছে আগের রাতেই। ২০২৪ সালেও একই ঘটনা। এভাবে নির্বাচন করেও তিনি জয়লাভ করেছেন।

যদিও এগুলোতে জনসমর্থনের কোনো ভিত্তি ছিল না। এইসব নির্বাচনে তার দল ৩০০ সিটের মধ্যে চার-পাঁচটি সিটও পেতো কি-না সন্দেহ। এরপরও তিনি জয়ী হয়েছেন শুধুমাত্র প্রশাসনের ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে। এটা গোপন কিছু না, সবাই জানে। একটি সরকার যদি চায়, তারা এইভাবে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করবে, তাহলে সেটা ঠেকানো কঠিন। শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা।

তিনি জবানবন্দিতে আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যাতে কার্যকরভাবে নড়াচড়া করতে না পারে, সে জন্যও নির্যাতন করা হয়েছে। প্রচুর মানুষকে গ্রেফতার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। ‘আয়না ঘর’ নামে টর্চার সেল তৈরি করা হয়েছে, যেটা শেখ মুজিবের আমলেও ছিল না। শেখ মুজিব বিরোধীদের সরাসরি হত্যা করতেন। শেখ হাসিনা শুধু হত্যা করতেন না, নির্যাতনও করতেন এবং এতে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পেতেন। সুতরাং, এভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিজের করায়ত্ত এবং প্রকৃতপক্ষে জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।

ভারত বা পাকিস্তানে এমন জনতার শক্তি ও ব্যাপকতার গণঅভ্যুত্থান কখনো দেখা যায়নি। বাংলাদেশ নিজেই একটি ‘গণঅভ্যুত্থানের দেশ।’ ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৯০ সালের ঘটনাগুলো তার উদাহরণ। তবে এইসব অভ্যুত্থানের মধ্যে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল সবচেয়ে বিস্ফোরক, সবচেয়ে রূপান্তরমূলক।

তিনি জবানবন্দিতে আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের (১৯৫২) মধ্য দিয়ে ভাষার স্বীকৃতি এসেছিল, ১৯৬৯-এ আইয়ুব খানের পতন হয়েছিল, ১৯৯০-এ এরশাদের পতনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এসব আন্দোলনে এমন সর্বগ্রাসী ভাঙন, এমন পলায়নপর সরকার বা দল দেখা যায়নি।

বদরুদ্দীন উমর আরো বলেন, ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। শুধু তিনিই নন-তার মন্ত্রিসভা, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, এমনকি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও দেশ ছেড়ে পালায়। এই রকম ব্যাপক দলীয় পতন, আতঙ্ক ও আত্মগোপন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। সিরিয়া বা অন্য কোনো দেশে, স্বৈরাচার পতনের পরও এত সংগঠিত দলীয় পলায়ন দেখা যায়নি।

তিনি জবানবন্দিতে বলেন, এই অভ্যুত্থানের গভীরতা বোঝাতে একটি প্রতীকী চিত্র যথাযথ— শেখ হাসিনার পালানোর পরদিন থেকেই সারা দেশে শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল সাধারণ মানুষ নিজেরা ভেঙে ফেলে। কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি, তবুও এটি ঘটেছে। এটি এক ধরনের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’, যার বহিঃপ্রকাশ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় হয়েছে। বহু বছর ধরে নির্যাতিত, অবদমিত জনগণের ক্রোধ এই অভ্যুত্থানে বিস্ফোরিত হয়েছে। শেখ মুজিব নিজেই এক সময় পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “সিরাজ শিকদার কোথায়?” যেটা ছিল একটি অমানবিক ব্যঙ্গ। কিন্তু ইতিহাসের প্রতিশোধ হয়েছিল ওই বছরেরই আগস্টে, যখন মানুষ বলেছিল, “শেখ মুজিব কোথায়?” এভাবে ইতিহাসে অনেক সময় ঘটনাগুলো পুনরাবৃত্তি হয় প্রতিশোধের রূপে।

সদ্য প্রয়াত বরেণ্য ইতিহাসবিদ তার জবানবন্দীতে আরো বলেন, এই অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতা থেকে বিতাড়িতই হয়নি, তারা জনগণের বিশ্বাস থেকেও বিতাড়িত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মুসলিম লীগের পতনের মতোই এবারের গণঅভ্যুত্থান আওয়ামী লীগের জন্য একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক পরিণতি তৈরি করেছে। ভারতের সহায়তায় তারা হয়তো কিছু অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাতে পারে, কিন্তু জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পুনঃউত্থান অসম্ভব বলেই মনে হয়।

বদরুদ্দীন উমর বলেন, এই অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ছাত্রদের ভূমিকা। তারাই এই আন্দোলনের প্রধান চালিকা শক্তি ছিল। ইতিহাসে ছাত্ররা বারবার নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু এবারের আন্দোলনে তারা যে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, সাহস ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছে, তা বিরল।

ঊল্লেখ্য বরেণ্য এই বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ, চিন্তক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গতকাল মারা গেছেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। ৭ সেপ্টেম্বর সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

গত ২২ জুলাই শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে বদরুদ্দীন উমর হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে গত সপ্তাহে তিনি বাসায় ফেরেন।

বদরুদ্দীন উমর ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবুল হাশিম ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন।

ষাটের দশকে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন আর ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে তাঁর লেখা বইগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

তাঁর চিন্তা বুঝতে সহায়ক বিশেষ করে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ (১৯৬৬), ‘সংস্কৃতির সংকট’ (১৯৬৭), ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’ (১৯৬৯)-তিনটি বই।

এই বই লিখেই তিনি ক্ষান্ত হননি। শাসকদের অধীনে চাকরি পর্যন্ত করবেন না, এ মনোভাব পোষণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন বদরুদ্দীন উমর।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে তার পেশাজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এক সময় তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এবং এর সভাপতির দায়িত্ব নেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bus movement from Rajshahi to Dhaka demanding increase in workers salaries

শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ

শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। তবে শুধুমাত্র একতা ট্রান্সপোর্টের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। অনেকেই বিকল্প উপায়ে ভ্রমণের চেষ্টা করলেও পর্যাপ্ত বাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস স্টাফদের বেতন অস্বাভাবিকভাবে কম। বর্তমানে ন্যাশনাল ট্রাভেলস চালকদের প্রতি ট্রিপে মাত্র ১১০০ টাকা, সুপারভাইজারদের ৫০০ টাকা এবং সহকারিদের ৪০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। শ্রমিকরা এই বেতন বাড়িয়ে অন্তত দুই হাজার টাকা করার দাবি তুলেছেন।

বেতন না বাড়ানো পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা রুটে অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন।

ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমাদের একই বেতন দেওয়া হচ্ছে। গত ২৩ আগস্ট আমরা শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস চলাচল বন্ধ করেছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ দুই দিনের মধ্যে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এবার অন্য সব বাস শ্রমিকরাও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া সব বাস বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হয়।’

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শ্রমিকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছেন। মালিকরা ১০০ টাকা বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমরা শ্রমিকরা খুব দ্রুত মালিকদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Worship cannot be placed in alcohol cannabis Home Advisor

পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভার আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজামণ্ডপগুলোতে টানা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি থাকবে এবং নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। পূজা উপলক্ষে বসা মেলায় কোনোভাবেই মদ-গাঁজার আসর চালানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে সারাদেশের প্রতিটি মণ্ডপেই আনসার মোতায়েন থাকবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ঢাকায় প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট লাইনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কার পর কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এ বছর সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ রয়েছে। পূজা আয়োজন কমিটি কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। গতবার শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হয়েছিল। এবার আরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP is the politician party that introduced multi party democracy Mirza Fakhrul

বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিবরমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে।

সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে আমাদের মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করেছে। বিএনপি হলো সেই রাজনীতিক দল যে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ২১ দফাকে কেন্দ্র করে বেগম জিয়া নতুন বাংলাদেশের রুপকল্প দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাংলাদেশ তছনছ হয়েগেছে, ভেঙ্গে গেছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে গেছে সেগুলোকে আবার নতুন করে গড়ে তুলবার জন্য। দেশের সকল রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলবার জন্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবার জন্য ৩১ দফা কর্মসূচী প্রণয়ন করেছে।

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আজকে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ জেলায় নতুন একটি বিএনপি গঠন করবেন। যে বিএনপি একদিকে নতুন পথ দেখাবে। তেমনি অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ঠাকুরগাঁও প্রতিষ্ঠিত করবে।

এ সময় তিনি সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Narail Motorcycle Trolls face to face collision

নড়াইলে মোটরসাইকেল-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোর নিহত

নড়াইলে মোটরসাইকেল-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোর নিহত

মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে জসিম মোল্যা (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে নড়াইল-মাগুরা সড়কের নড়াইল ব্রাক অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জসিম মোল্যা সদর উপজেলার হবখালি ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের জাফর মোল্যার ছেলে। সে স্থানীয় একটি মদরাসার শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান জসিম মোল্যা নিজ বাড়ী থেকে নড়াইল শহরের দিকে আসছিল। দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে পৌছালে নড়াইল শহর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। এলাকার মানুষ উদ্ধার করে আহত জসিমকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতিতে চিকিৎসকরা তাকে অন্যত্র নেবার পরামর্শ দিলে খুলনায় নেবার পথে সে মারা যায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) মো.সাজেদুল ইসলঅম বলেন সড়ক দুর্ঘটনার কথা জানা গেছে। শুনেছি তাকে খুলনায় নেবার পথে ছেলেটি মারা যায়। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে