× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BGB campaign seizure smuggling goods worth Tk
google_news print-icon

বিজিবি’র অভিযানে আগস্ট-২০২৫ মাসে ১৭৭ কোটি ২১ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ

বিজিবির-অভিযানে-আগস্ট-২০২৫-মাসে-১৭৭-কোটি-২১-লক্ষাধিক-টাকার-চোরাচালান-পণ্যসামগ্রী-জব্দ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত আগস্ট-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৭৭ কোটি ২১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১৩ কেজি ৪৪০ গ্রাম স্বর্ণ, ১৮ কেজি ৭৩০ গ্রাম রূপা, ৮,৭৩৯টি শাড়ী, ৪,৯০৩টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ৩,৯৭৭টি তৈরী পোশাক, ৯,৬০৩ মিটার থান কাপড়, ৪,৪১,১৭২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪১,৩৩১ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৪,০১,৫১৩টি আতশবাজি, ৪,৫৪৬ ঘনফুট কাঠ, ২,১৯৪ কেজি চা পাতা, ৭,৩২১ কেজি সুপারি, ১,৩৭৬ কেজি সার, ৪৫,৫৫০ কেজি কয়লা, ৫৩,৫৪৫ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ৮৬৫টি মোবাইল, ৬,৭০৭টি মোবাইল ডিসপ্লে, ২০,১০৪টি চশমা, ৭,২২০ পিস যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ৭,৩১৮ কেজি জিরা, ১৪,৩৭৩ কেজি চিনি, ৪,৪৬৭ কেজি পেঁয়াজ, ৮,৩৮৮ কেজি রসুন, ১,০৬২ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ২,৮৯,৯৬১ পিস চকোলেট, ১২টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৩টি পিকআপ/ট্রাক্টর, ১টি ট্রলি, ৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৫৬টি নৌকা, ৪০টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৬টি মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি বাইসাইকেল/ভ্যান।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি দেশী/বিদেশী পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি এসএমজি, ৩টি রাইফেল, ১৬টি ম্যাগাজিন, ৮১৫রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ৮টি অন্যান্য অস্ত্র।

এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২,৩৭,৬৯৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ কেজি ৬০১ গ্রাম হেরোইন, ৭,৮৮৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯,৫২৫ বোতল বিদেশী মদ, ১৬৭ লিটার বাংলা মদ, ৫৭৭ ক্যান বিয়ার, ১,৫৪৮কেজি গাঁজা, ২,৫৫,৬৯৮ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২০২ কেজি তামাক পাতা, ২০ বোতল এলএসডি, ১,৭৪,৭১৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪,১৪৫ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২০,৭২০টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১৮,০৭,৪৯০টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৯ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৬০ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৫৪৬ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Meeting the Palestinian ambassador with Jamaat Amir

জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

রোববার জামায়াত আমীরের বসুন্ধরার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতে শুরুতে জামায়াত আমীরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।

মতবিনিময় সভায় জামায়াত আমীর ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মত ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এ সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে, ইনশাআল্লাহ। অতীতে বহুবার ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে নারী-শিশুসহ প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, মানবতার দুশমন ইসরায়েল গাজায় খাবার প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। শিশুসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ইসরায়েল প্রকাশ্যে গাজা দখলের ঘোষণা দিয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে গাজা থেকে জোরপূর্বক প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার ভয়াবহ পরিকল্পনা করেছে। গাজা দখলের এ নীলনকশা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, যা আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও ন্যায়নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসরাইলের এ হিংস্র দখলদারিত্ব শুধু ফিলিস্তিনের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা ও মানবতার জন্য গুরুতর হুমকি। গাজা সিটি দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার এ ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করতে দখলদার ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি-সহ শান্তিকামী বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, গাজা উপত্যকার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অর্থবহ ভালবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আমি ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেইসঙ্গে আশা প্রকাশ করছি, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অর্থবহ সমর্থন, সাহায্য, সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
During the elections the media should publish objective news Information adviser

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যম যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে: তথ্য উপদেষ্টা

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যম যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে: তথ্য উপদেষ্টা

নির্বাচনের চলাকালীন ও পরে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এ দায়িত্ব পালনে কোনো গণমাধ্যমকে বাধাঁ দেওয়া হবে না।

রোববার রাজধানীর তথ্য ভবনে ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় অংশ নেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতের দুঃসহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তারা ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিশেষ করে নির্বাচনকালে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যম আস্থা হারিয়েছে। সেই আস্থা পুনরুদ্ধারে নির্বাচনকালীন সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে।

জনগণ ভোট দিতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হবে না, সরকার সেই চিন্তা প্রতিষ্ঠা করবে। গণমাধ্যমও যেন এ চিন্তার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।’

তিনি আরও আহ্বান জানান, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, তবে গণমাধ্যম যেন তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে প্রকাশ করে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Durga Puja will be held in Srimangal

শ্রীমঙ্গলে ১৫৭ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

শ্রীমঙ্গলে ১৫৭ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পূজার ঘণ্টাধ্বনি। উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীমঙ্গলের মৃৎশিল্পীরা। কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ ফুটিয়ে তুলতে দিন-রাত সমান তালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এবছর উপজেলার ১৫৭ টি মণ্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা।

নিখুঁত কারুকার্যে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পীরা। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বাড়াতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ততই ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে।

শিল্পীরা বলছেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ তারা খুব একটা দেখছেন না। অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পূজা আয়োজকদের ব্যয়ও বেড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, শহর থেকে পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মন্দিরে শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় প্রতিমা। বাঁশ, কাঠ, সুতলি, খড় আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ইতোমধ্যে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙতুলি। কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ মাটি লাগাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ করছেন— সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ।

প্রতিমা শিল্পী হনু পাল বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাদামাটির কাজ চলছে। এরপর রঙের কাজ হবে। সব কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আমাদের প্রতিমা পাঠানো হয়। আশা করছি এবার লাভও ভালো হবে।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুজিত রায় বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসব জাঁকজমকভাবে উদ্যাপন করা হবে। শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১৫৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রেণি বা উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে মিলনমেলার রূপ নেয় বলেই এ পূজাকে সার্বজনীন পূজা বলা হয়।;

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়েও ব্যবস্থা থাকবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।’

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।;

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রশাসনিকভাবে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের তালিকা সংগ্রহ, পরিদর্শন এবং রোডম্যাপ প্রস্তুতের কাজ চলছে। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Material in the the festive media is essential for national interest Environment Advisor

জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ-জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ-জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে পাঁচজন উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা শুধু এ কমিশনের সুপারিশ নয়, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করছেন।

তিনি বলেন, যতটুক সংস্কার জনসমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে, ততটুকুই টেকসই হবে।

তিনি আরও বলেন, বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম অন্তর্বর্তী সরকারের একটি চাওয়া। গণমাধ্যমকে জাতীয় স্বার্থেই জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেই এর স্থায়িত্ব আসবে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। শুধুমাত্র কাগজে পরিবর্তন আনলে স্থায়িত্ব আসবে না, এর জন্য প্রয়োজন মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে বলেই আলাদা গণমাধ্যম কমিশন গঠন করেছে। সুপারিশের সারাংশ ও বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সেল্ফ-রেগুলেশন, সেক্টরাল ইউনিটি এবং গণমাধ্যমকে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরির বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি গণমাধ্যমে নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা ও জনআস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যদি আমরা সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সেটিই হবে টেকসই। সরকার সহায়তা করবে, কিন্তু টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব গণমাধ্যমকেই নিতে হবে।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি সায়িদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সেন্টারের সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন এবং বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Coast Guard has rescued four fishermen of FB Eva who was disrupted due to mechanical errors in the deep sea

গভীর সমুদ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়া ফিশিং বোট এফবি ইভা এর ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

গভীর সমুদ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়া ফিশিং বোট এফবি ইভা এর ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৩০ আগস্ট ২০২৫ তারিখ শনিবার মাতারবাড়ি এলাকা হতে ''এফবি ইভা'' নামক ফিশিং বোট ১১ জন জেলেসহ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে। অতঃপর গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বোটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে ১১ ঘণ্টা যাবৎ সমুদ্রে ভাসতে থাকে। ফিশিং বোটটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর, আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার মধ্যরাত ১ টা ২৫ মিনিটে উক্ত বোটের একজন জেলে কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নাম্বার ১৬১১১ এ কল করে সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার সকাল ৯ টায় কোস্ট গার্ড জাহাজ কুতুবদিয়া কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১১ জন জেলেসহ বিকল হওয়া বোটটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে, উদ্ধারকৃত ১১ জন জেলেসহ ফিশিং বোটটি মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আর্ত মানবতার সেবায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The main goal of the government is to make each family self reliant Fisheries and Livestock Advisor Farida Akhter

প্রত্যেক পরিবারকে স্বনির্ভর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার

প্রত্যেক পরিবারকে স্বনির্ভর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্রাণী ও প্রাণিখাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী ও স্বনির্ভর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই গ্রামের সাধারণ মানুষ যেন ছোট পরিসরে হাঁস-মুরগি, ছাগল বা ভেড়া পালন করে নিজেদের সংসার চালাতে পারে, অতিরিক্ত আয় করতে পারে এবং ধীরে ধীরে সমাজের অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাত কেবল খাদ্য নিরাপত্তা নয়, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় ভরসা।

অনুষ্ঠানে মোট ২১৭টি পরিবারের মাঝে প্রাণিসম্পদ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ৬৪টি পরিবারকে ২১টি করে হাঁস, ৬৯টি পরিবারকে ২৫টি করে মুরগি, ১০টি পরিবারকে ২টি করে ছাগল, ৭৪টি পরিবারকে ৩টি করে ভেড়া বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি উপযুক্ত প্রাণিখাদ্যও প্রদান করা হয় যাতে উপকারভোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে খামার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান ও প্রকল্প পরিচালক ড. রহিম। আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সাত্তার বেগ, কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুনসহ অনেকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রাণিসম্পদ বিতরণ কার্যক্রম সরকারের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং একই সঙ্গে মানুষের জীবনমানও উন্নত হবে।

মন্তব্য

নবীনগরের আমন ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

নবীনগরের আমন ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারে জমে উঠেছে আমনের চারার (জালার) হাট। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে রোপা আমন ধান রোপণের মৌসুমে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকরা এ বাজারে ভিড় করছেন চারা কেনার জন্য।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই হাটে ধানের চারা বেচাকেনা শুরু হয়। কৃষকরা নিজেদের বীজতলা থেকে চারা তুলে আটি বেঁধে হাটে নিয়ে আসছেন। প্রতিটি আটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

মুরাদনগর উপজেলার হাটখলা থেকে আসা কৃষক রমজান আলী জানান, “আমাদের এলাকায় পানি সংকট থাকায় রোপা আমনের চারা বপণ করা সম্ভব হয়নি। তাই বাঙ্গরা বাজারে এসেছি। কাঙ্ক্ষিত চারা পেয়েছি, দামও নাগালের মধ্যে। দুই বিঘা জমির জন্য চারা কিনেছি।সাতমোড়া থেকে আসা কৃষক কুদ্দুস মিয়া বলেন, “বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা তুলে এখানে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। আমরা তুলনামূলক কম দামে চারা পাই বলেই এখানে আসি।চারা বিক্রেতা রহিম মিয়া জানান“বিআর-২২, ৪৯, ৫০, খাসা, কালিজিরাসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। ইব্রাহিমপুর ও রতনপুর থেকে পাইকাররাও এসে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।আরেক কৃষক দুলাল মিয়া বলেন,“এবার চারার দাম ভালো। প্রতি বিঘা জমির জন্য খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।”

এ হাটে শুধু নবীনগর নয়, পার্শ্ববর্তী কসবা ও অন্যান্য উপজেলার কৃষকরাও চারা কিনতে আসছেন, ফলে বাজারে সরগরম ভাব বিরাজ করছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।

নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, “চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭৫০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ৫৫৭০ হেক্টরে চারা রোপণ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই বাকি আবাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যথেষ্ট বীজতলা থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই জমজমাট চারা হাট ও কৃষকদের ব্যস্ততা যেন নতুন ফসলের সম্ভাবনায় ভরে উঠেছে।

মন্তব্য

p
উপরে