বরগুনার পাথরঘাটা পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে ভুগছেন। এ সংকট নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা পৌরসভা চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত পৌরবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান সাহেদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান ফাহিম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বরগুনা জেলা শাখার সহসভাপতি মহিউদ্দিন এসমে, পৌর জামায়াত নেতা মাহাবুব খান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম, সমাজকর্মী মেহেদী শিকদারসহ ভুক্তভোগী পৌরবাসী।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ধরে পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির মারাত্মক সংকট বিরাজ করছে। অনেক জায়গায় টিউবওয়েল ও পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির লাইন অচল হয়ে আছে। যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা অনেক সময়ই দূষিত ও ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে সাধারণ মানুষ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে। এ অবস্থায় শহরের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বক্তারা আরও বলেন, পানির সংকট শুধু গ্রীষ্মকালে নয়, সারা বছর ধরেই চলছে। এতে শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক পরিবারকে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে খরচ করে পানি কিনে আনতে হচ্ছে। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
দৈনিক বাংলা পত্রিকার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটি আরও এগিয়ে যাবে সেই কামনা করছি।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও এনটিভির প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন রবিন বলেন, দৈনিক বাংলা প্রতিষ্ঠানটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে আসছে। আগামীর পথচলা আরও সুদৃঢ় হবে বলে প্রত্যাশা করছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক তমিজ উদ্দিন, একাত্তর টেলিভিশনের হাবিবুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের রবিউল ইসলাম, বাংলা ট্রিভিউনের আরিফ হোসাইন কনক, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি সেলিম আহমেদ ডালিম, দৈনিক বাংলার ফটো সাংবাদিক পাপ্পা ভট্টাচার্য, প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সংবাদের প্রণব কৃষ্ণ রয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকারসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলম ঢালী ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাউছ উর রহমানের নেতৃত্বে বর্ণিল উৎসবে বিশাল আনন্দ র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার মাদারীপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের সম্মুখে এ আলোচনা সভা ও আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আলম ঢালীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক গাউছ-উর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ফারুক বেপারী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। এতে জেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লালচান, পৌর বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান কিচলু খানসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজার হাজার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় এদেশের মানুষ বিএনপি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর আস্থা রেখেছে, তাই তারেক রহমানকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় মানুষ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে ইনশাআল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নজরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলায় তাওলাদ ওরফে জহিরুল নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরও ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, তাওলাদ ওরফে জহিরুল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ জন হলেন, মিজান, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল লতিফ, হানিফ, সোহেল, সবুজ, মিলন, সেলিম, গুলজার, লেদা ফারুক, রাসেল, মোমেন, সাদ্দাম, শাহীন, রুহুল আমিন, আবুল, পণ্ডিত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ২০১২ সালের ওই হত্যা মামলায় ২৬ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে তাওলাদকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ৬ জন খালাস এবং ২ জন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামি উপস্থিত ছিলেন, বাকি আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২ মে রূপগঞ্জের মাছিমপুর এলাকার নজরুল ইসলাম বাবু (৪৮) মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের বাবা জালালউদ্দিন বাদী হয়ে ভিপি সোহেল ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় দেন।
নিম্নাঞ্চল ও জলাভূমি বেষ্টিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক খাল-বিলে এক সময় ভরপুর থাকতো শোল, টাকি, কৈ, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, বোয়াল, চিতল, ফলি, পুটি, খলসে, চুচড়া, মলা, ভুষি চিংড়ি, টেংরাসহ শতাধিক রকমের মাছে। দিন দিন এসকল খাল-বিলগুলো দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। যার কারণে দেশীয় এই মাছগুলো এখন বিলুপ্তির পথে।
জানাগেছে, উপজেলার অর্ধশত ছোট-বড় বিলের প্রায় দেড় শতাধিক সরকারি খালের উপর বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে খাল দখল করে মাছের ঘের বানিয়েছে প্রভাবশালী মহল। অন্যদিকে ব্রিজ নির্মাণ ও খাল খনন কাজের জন্য প্রায় ৩০টি খাল বছরের পর বছর বাঁধ দিয়ে রাখায় খালজুড়ে জমাট বেঁধে আছে কচুরিপানা। কচুরিপানা জমে থাকায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে খালগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র উপজেলার পিঞ্জুরি ইউনিয়নের কলমুনিয়া খাল, তিতাল বাড়ি খাল, পেত্নীখালী খাল, বাসাখালী খাল, কুমলাবতী খাল, গোদার খাল, পুকুরিয়া খাল, পাথরিয়া খাল, চৌদ্দবুনিয়া খাল, রামমানির খাল, কুইচা মোড়া খাল, চাইর খাল, সিমানার খাল, কাটা খাল, দেওপুরা খালসহ প্রায় ৩০টি খাল বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে ১৩ প্রভাবশালী ব্যক্তি। মৎস্য প্রজেক্টের নামে প্রতিটি প্রজেক্টে এদের এক একজনের রয়েছে ৫০ থেকে ১০০টি শেয়ার। সাধারণ মানুষের রয়েছে নামমাত্র শেয়ার। এই খাল দখলে ১৩ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি মেম্বার, বিএনপি নেতাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
কোটালীপাড়া উপজেলার রামনগরের বিল, রথিয়ারপাড় বিল, মাছপাড়ার বিল, কুমুরিয়া বিল, বৈকণ্ঠপুর বিল, লখন্ডার বিল, মুশুরিয়ার বিল, পিড়ারবাড়ি বিল, পলোটানা বিল, ধোরাল বিল, চিথলিয়ার বিল, পশ্চিম দীঘলিয়ার বিল, পূর্বপাড়া বিল, চিত্রাপাড়া-শুয়াগ্রাম বিল, সাতুরিয়ার বিল, কান্দি বিল, আশুতিয়ার বিল, পোলশাইর বিল, বর্ষাপাড়া বিল, ছত্রকান্দা বিল, দেওপুরা বিল, সোনাখালি বিল, ফুলবাড়ি বিল, কোনের বাড়ি বিলসহ প্রায় অর্ধশত ছোট বড় বিল রয়েছে। এসবে অধিকাংশেই খাল দখল করে নিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী মহল।
খালগুলো আটকিয়ে মাছের ঘের করায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা খাল-বিল থেকে মাছ ধরতে পারছে না। যে কারনে চরম অভাব অনাটনে কাটছে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সংসার।
অন্যদিকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া খালটি খননের জন্য ঘাঘর নদীর মোহনায়, কুশলা ব্রিজের নিচে, ধোরালসহ আরো কয়েক জায়গায় জায়গায় প্রায় ১ বছর ধরে বাঁধ দেওয়া হয়। বছর পার হলেও সামান্য কিছু জায়গা খনন করে বন্ধ রয়েছে খনন কাজ। বর্তমানে বাঁধ দেওয়ার কারণে কচুরিপানায় আটকে বন্ধ হয়ে গেছে পানির প্রবাহ।
পুরো খালের পানি পচে যাওয়ায় এই পানি ব্যবহার করতে না পারায় ও মালামাল নিলে খাল দিয়ে চলাচল বন্ধ হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে খালপাড় এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা।
কোটালীপাড়া-পয়সারহাট খালের গচাপাড়া এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য এবং ওয়াবদারহাট এলাকায় স্লুইস গেট নির্মাণের জন্য দুই স্থানে বাঁধ দিয়ে খাল আটকে রাখায় এই খালেরও একই অবস্থা দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা গোপালপুর-পিঞ্জুরি খালের। এই খালের পূর্ণবতী ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৩ বছর ধরে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে খালটি। এছাড়া কালিগঞ্জ, লখন্ডা, টিহাটি, মান্দ্রা, কুশলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ টি খাল ব্রিজ নির্মানের জন্য বছরের পর বছর বাঁধ দিয়ে আটকে রাখায় চরম সমস্যায় হাজার হাজার জনসাধারণ।
মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মৎস্যজীবী ও সাধারণ জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলকৃত খাল উদ্ধারের দাবি জানিয়ে গত ১৩ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানের কাছে গণশুনানিতে অভিযোগ জানিয়েছে কয়েকজন ভুক্তভোগী। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত ১৮ আগস্ট খাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে কোটালীপাড়ার ইউএনওকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণশুনানিতে খাল দখলের অভিযোগ জানানো শিক্ষার্থী মাহফুজ শেখ।
এনিয়ে কোটালীপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন খালে বাধঁ দিয়ে মাছচাষ করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের নজরে এসেছে। এসকল অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছচাষ করার কারণে দেশীয় মাছের প্রজনন ও বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশীয় মাছের প্রজনন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে এখন থেকে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিস ও অন্যান্য সংশ্লিস্ট দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (অ: দা:) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, এ উপজেলা একটি নিম্ন জলাভূমি এলাকা। এখানে অধিকাংশ জণসাধারণ কৃষি ও মৎস্য কাজে জড়িত। এই এলাকায় প্রচুর মাছের ঘের রয়েছে। যা মৎস্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। আমরা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অভিযান হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ সংরক্ষণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে রাঙামাটি ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ ২০২৩ সালে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে রাঙামাটির কাউখালি উপজেলার খাসখালী রেঞ্জ এলাকায় ইতোমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ৩৬ প্রজাতির দূর্লভ গাছ নিয়ে একটি বাগান সৃজন করা হয়েছে। পাশাপাশি গড়ে তোলা হচ্ছে এসব গাছের বীজ ভাণ্ডার।
দেশের এক দশমাংশ ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিলো শত শত বছরের দূর্লভ গাছপালার ভাণ্ডার। তবে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও নির্বিচারে বন উজাড়ের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য। এই বাস্তবতায় বন বিভাগের এ উদ্যোগকে বিশেষজ্ঞরা যুগান্তকারী বলছেন।
ঝুম নিয়ন্ত্রণ বনবিভাগের খাসখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর খান চৌধুরী বলেন,
‘এই বাগানটিকে যদি সংরক্ষণ করতে পারি, ভবিষ্যতে এটি বন বিভাগের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিলুপ্তপ্রজাতির চারাগুলো আমরা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করেছি। এছাড়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমানও বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা এনে বনায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।’
মাত্র ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা এই বাগানে রয়েছে চিকররাশি, কাঠবাদাম, গুটগুটিয়া, অর্জুন, আমলকী, হরতকী, হিজল, ঢাকিজামসহ ১২ প্রজাতির বনজ গাছ, ১৪ প্রজাতির ঔষধি গাছ এবং ১০ প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ, যেগুলো শুধু জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেই নয়, পাখিদের খাদ্য যোগানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এর পাশাপাশি বাগানে সংরক্ষিত হয়েছে আরও বেশ কিছু দুর্লভ প্রজাতির গাছ। এর মধ্যে রয়েছে—
লোহাকাঠ, চম্পাফুল, তেলসুর, সোনালু, ঢাকিজাম, রাধাচূড়া, কাঠবাদাম, জগা ডুমুর, বান্দর হোলা, শাল, উদাল, বকফুল, তমাল, খেজুর, বহেরা, সিভিট, ধারমারা, অশোক, কাঞ্চনভাদী, কৃষ্ণচূড়া, পিতরাজ, ছাতিয়ান, বোদ্ধ নারিকেল ও পলাশ।
রাঙামাটি ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ১০০ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি করেছি। এর মধ্যে ৩৬ প্রজাতির গাছ খাসখালী রেঞ্জে রোপণ করা হয়েছে। পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আশা করছি, এই বাগান সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারব।’
এরই মধ্যে বাগান থেকে চারা বিক্রির কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মাত্র ৭ টাকায় এখান থেকে সাধারণ মানুষ চারা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক শাওন ফরিদ বলেন, ‘অতীতে ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের মাধ্যমে ফরেস্ট অফিসের আশপাশে ও রাঙাপানি এলাকায় প্রচুর চারা উৎপাদন এবং স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ কার্যক্রম দেখা যাচ্ছিল না। বন বিভাগ যদি এখন বিলুপ্তপ্রায় বনজ, ঔষধি ও ফলদ বৃক্ষ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বন বিভাগের এ উদ্যোগ পাহাড়ের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলে বন সম্প্রসারণেও এর প্রভাব পড়বে ইতিবাচকভাবে।
বিগ ডেটা এবং রিয়েল-টাইম ডেটা-ড্রিভেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকদের নিরাপদ ও উদ্ভাবনী সেবা দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বিকাশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিগ ডেটা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ক্লাউডেরা, ডেটা ব্যবস্থাপনা ও অ্যানালিটিক্সে উদ্ভাবনী প্রয়োগকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৩ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ বছর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘ডেটা ইন মোশন অ্যান্ড স্ট্রিমিং সাকসেস’ বিভাগের বিজনেস ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার জিতে নিয়েছে বিকাশ।
প্রথম বারের মতো কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ক্লাউডেরা ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ জিতেছে বিকাশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর-এর মেরিনা বে-তে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিকাশ-এর পক্ষ থেকে প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: মহিউদ্দিন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। বিকাশ-এর পাশাপাশি ‘ডেটা ইন মোশন অ্যান্ড স্ট্রিমিং সাকসেস’ বিভাগের অন্য ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি গ্রুপ এবং ভারতের ভোডাফোন আইডিয়া পুরস্কার পায়। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও ডেটা-অ্যানালিটিক্স নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে নানা সেশনও অনুষ্ঠিত হয়।
২০১১ সালে যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বিকাশ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সবার জন্য সহজ, নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিশ্চিত করেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিয়ে তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে বিকাশ। নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিকাশ হয়ে উঠেছে মানুষের স্বপ্নপূরণের সারথি, তাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। আর তাই, সাধারণের কাছে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ‘বিকাশ করা’।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলেন্ডারের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ হয়ে আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ৫জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পৌঁনে ছয়টার দিকে উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার মধ্যপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা যায়। দগ্ধরা হলেন মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), মেয়ে মুন্নি (১৪), তিন্নি (১২) ও মৌরি (৬)। দগ্ধরা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। মানব চৌধুরী কাঁচপুর এলাকার ফ্যালকন নামের একটি টেক্সটাইল মিলে কর্মরত ছিলেন। এদিকে ঘরের ভেতর থাকা সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের কারণ বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্প নগরীর পুরান বাজার মধ্যপাড়া শেখ ফরিদের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় একমাস আগে ভাড়া আসেন মানব চৌধুরী ও তার পরিবার। বৃহস্পতিবার ভোর পৌঁনে ৬ টার দিকে রান্নার জন্য চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রতিবেশী সবিনয় চন্দ্র দাস জানান, একটাই ঘর, সেটার ভেতরেই রান্নাঘর ও বাথরুম। ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে তারা সবাই পুড়ে যায়। আমি তাড়াতাড়ি গাড়ির ব্যবস্থা কইরা হাসপাতালে আনি। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জরী ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে মানব চৌধুরীর ৭০শতাংশ, বাচা চৌধুরীর ৪৫ শতাংশ, মৌরীর ৩৬ শতাংশ, মুন্নির ২৮শতাংশ ও তিন্নির ২২ শতাংশ পুড়েছে। তাদের ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুসহ তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
মন্তব্য