× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul to see Noor to see Nur
google_news print-icon

নুরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

নুরকে-দেখতে-হাসপাতালে-মির্জা-ফখরুল

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি ঢামেক হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি নুরের শারীরিক অবস্থার ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

মির্জা ফখরুল নুরের চিকিৎসকের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুত সুস্থতা নিশ্চিত করতে চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এ সময় মহাসচিবের সাথে ছিলেন বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন।

এর আগে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানকে দেখতে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের হামলার শিকার হন খন্দকার লুৎফর রহমান।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The captain of the womens soccer team in Meherpur

মেহেরপুরে নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের আত্মহত্যা

মেহেরপুরে নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের আত্মহত্যা

অবশেষে মারা গেলেন মেহেরপুর জেলা প্রমিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সুস্মিতা খাতুন।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুস্মিতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সে মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সুস্মিতা মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নাতনি। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনে জেলা পর্যায়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।

মাসখানেক আগে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর পর মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে পরে যশোর হাসপাতালে নেয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে যশোর থেকে ঢাকায় নেওয়া হলে সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে কিডনিতে জটিলতা দেখা দেয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP arrested for selling rice in Noakhali

নোয়াখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়ে বিএনপি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির দায়ে বিএনপি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩ বস্তা চাল খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ঘোষবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওজি উল্যাহ কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামের মৃত দুধা মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, গত সরকার পতনের পর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার নেন বিএনপি নেতা ওজি উল্যাহ। এর পর থেকে স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। পরবর্তীতে গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন তিন বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল খোলা বাজারে বিক্রির সময় আটক করে। খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। একপর্যায়ে সেখান থেকে ৪৩ বস্তা চাল জব্দ করে ইউনিয়ন সচিবের জিম্মায় রাখে। অভিযোগ রয়েছে, ডিলার ওজি উল্যাহ চাল বিতরণের স্থান পরিবর্তন করে এসব অনিয়ম করে আসছে। সোমরার এ ঘটনায় উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. ছালেহ উদ্দিন বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।

কবিরহাট থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fish hunting freely in the Padma river in Goaland

গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ জালে অবাধে চলছে মাছ শিকার

গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ জালে অবাধে চলছে মাছ শিকার

রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী ও মরা পদ্মায় ছেয়ে গেছে কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী। এছাড়াও পদ্মা নদী ও নদীর শাখা খাল বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী শুরু হয়েছে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতা। ফলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। জানা গেছে, পদ্মা নদী সহ খাল বিলে চায়না দোয়ারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ, পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছ শিকার করা হচ্ছে। এছাড়া সব প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া মারা পড়ছে এই সব মরণ ফাঁদে। সেইসঙ্গে রক্ষা পাচ্ছে না বিপন্ন জলজ প্রাণীও। এ কারণে নদীতে বিলুপ্তর পথে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী।

সচেতন মহলের দাবি, পদ্মা নদীতে অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করা বন্ধ না করলে আগামীতে নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও দেশি মাছগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যা আগামী প্রজন্মের কাছে শুধু ছবিতে ও গল্পেই শোভা পাবে। তারা আরো বলেন, নদীতে তেমন কোন অভিযান হয়না, নদীর আশপাশের যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছে চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল রয়েছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেন না।

একাধিক জেলেরা বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু জেলেদের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ সহ জলজ প্রাণীগুলো। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে জাটকা ইলিশ, ডিমওয়ালা মা মাছ। যার কারণে ডিম ছাড়তে না পারায় ইলিশ সহ দেশি প্রজাতির মাছ আর দেশে দেখতে পাব না। এসব অবৈধ মাছ শিকার করার মরণ ফাঁদগুলো অতি দ্রুত নদীতে ও হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা প্রয়োজন।

গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়, নদী, খাল বিলে যে সমস্ত অবৈধ জাল ব্যবহিত হচ্ছে তা সম্পন্ন নিষিদ্ধ। এরমধ্যে চায়না দুয়ারী জাল ব্যাপকভাবে ব্যবহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীতে অভিযান দিয়ে চায়না দুয়ারিও কারেন্ট জাল জব্দ করে নদীর পাড়ে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী ব্যবহার যাতে না করে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tourist crowd

ত্রিশালে চেচুয়া ও গলহর বিলে শাপলা দেখতে পর্যটকদের ভিড়

ত্রিশালে চেচুয়া ও গলহর বিলে শাপলা দেখতে পর্যটকদের ভিড়

ময়মনসিংহের ত্রিশালের রামপুর এলাকায় চেচুয়া ও গলহর বিলে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চেচুয়া ও গলহর বিল দুটি এখন যেন রূপকথার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। বিলের চারদিকে ফুটে থাকা হাজারো শাপলা ফুল যেন এক লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। যা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

স্থানীয়দের মতে, বর্ষার সময় ওই বিলের সৌন্দর্য পূর্ণতা পায়। সাদা, লাল এবং গোলাপি শাপলার পাপড়ি সূর্যের আলোয় ঝলমল করে, যা মনকে এক অনাবিল শান্তি এনে দেয়। ভোর সকালে বিলের মধ্য দিয়ে নৌকা বা ডিঙি নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে শাপলা ফুল স্পর্শ করার অভিজ্ঞতা মানুষদেরকে মুগ্ধ করেছে।

স্থানীয়রা বলছে, বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শুধু স্থানীয়রাই নয়, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। বিলের পাশে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। যেখানে হালকা খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

গলহর বিলের শাপলা ফুল দেখতে আসা শারমিন সুলতানা বলেন ‘শহরে এমন দৃশ্য দেখা যায় না। এখানকার স্নিগ্ধ ও শান্ত পরিবেশ আমাদের মনকে সতেজ করে তুলেছে। আমি প্রতিবছর ফুলগুলো দেখতে আসি।’

কলেজ শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শুধু একটি বিল নয়, যেন প্রকৃতির এক অসাধারণ চিত্রকর্ম। আমরা আশা করি, এই সৌন্দর্য চিরকাল টিকে থাকবে।’ পর্যটকদের কাছ থেকে নৌকার ভাড়া বেশি নেওয়ার তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিশোরগঞ্জ থেকে ফুল দেখতে আসা পর্যটক কাঞ্চন মিয়া বলেন ত্রিশালের ওই দুটি বিল প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে একটি সুন্দর সেতুবন্ধনও তৈরি করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former MPs brother detained while fleeing to India

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক এমপির ভাই আটক

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক এমপির ভাই আটক

মাগুরা এক আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ছোট ভাই হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি আশরাফুজ্জামান হিসাম ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। ২০২৪ সালে মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা বোমা বিস্ফোরণ হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেন। গত সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

আটক আশরাফুজ্জামান হিসাম মাগুরা জেলার পৌর এলাকার জামরুল তলা নিবাসী মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে। হিসাম মাগুরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, গত সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ জানতে পারে মাগুরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ছোট ভাই আশরাফুজ্জামান হিসাম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়া যাবে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। সে ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় আসে। ট্রেন থেকে নামার পর পুলিশ তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গায় আসে। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ অন্য আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ হিসামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাগুরা সদর থানার নিকট হস্তান্তর করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ACC investigation against the officer started in Pabiprabi

পবিপ্রবিতে এবার ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

কালকের মধ্যে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ
পবিপ্রবিতে এবার ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

‎পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রশাসনের ১৪ কর্মকর্তার নিয়োগে বড় অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক তানভীর আহমেদকে এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো চিঠিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, প্রশাসনিক অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ছাড়পত্র, আবেদনকারীদের তালিকা ও বাছাই কমিটির নথি জমা দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রভাবশালী নেতা, সাংসদ, সচিব ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের মাধ্যমে ৮ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে কর্মকর্তারা নিয়োগ পান। বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে কর্মকর্তাদের নাম, পদবি এবং টাকার অঙ্ক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার তাজবির হোসেন সুমন ২০ লাখ, সহকারী রেজিস্ট্রার অ্যানি চক্রবর্তী ২০ লাখ, উপপরিচালক বেল্লাল হোসেন ১২ লাখ, সহকারী পরিচালক রাশেদুল করিম ৮ লাখ, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তুহিন সিকদার ১৮ লাখ, উপপরিচালক রাজিব মিয়া ২০ লাখ, প্রকিউরমেন্ট কর্মকর্তা মশিউর রহমান ১৭ লাখ, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান ইলিয়াছ ১৮ লাখ, ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ২০ লাখ, সহকারী পরিচালক নাদিমুজ্জামান ১২ লাখ, ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা আখিনুর বেগম ১০ লাখ, সহকারী পরিচালক আবু সুয়েম ১৮ লাখ, টেকনিক্যাল কর্মকর্তা মাধব চন্দ্র দাস ২০ লাখ, উপপরিচালক (অডিট) মনিরুজ্জামান খান রাজনৈতিক কোটা।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘দুদকের অনুরোধ অনুযায়ী নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে একসঙ্গে অনেক তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে আমরা কিছুটা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি।’

দক্ষিণবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীবান্ধব ও গবেষণায় পেয়েছ সাফল্য। কিন্তু গত আওয়ামী সরকারের সময় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণরা মনে করেন, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা কখনো যোগ্যতা বা নৈতিকতার প্রতীক হতে পারেন না। এতে একদিকে দক্ষ মানবসম্পদ বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য বাংলাদেশের নতুন কোনো ঘটনা নয়। বরং সরকারি চাকরিতে প্রবেশের অন্যতম বড় ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব, ঘুষ ও আত্মীয়কোটা। ফলে মেধাবী প্রার্থীরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, প্রশাসনিক কাঠামোতে দুর্নীতির শেকড় গভীর হচ্ছে, রাষ্ট্র দক্ষ মানবসম্পদ হারাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না মানসম্মত সেবা ও গবেষণা সহায়তা।

শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও নাগরিক সমাজ একবাক্যে বলছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। ঘুষ দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত রাজনীতিবিদ বা প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

তাদের মতে, শুধু তদন্ত নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া বিকল্প নেই। অন্যথায় মেধা ও নৈতিকতার পরিবর্তে দুর্নীতি ও অর্থশক্তিই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেবে।

পবিপ্রবির নিয়োগ অনিয়মের ঘটনা শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়; বরং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতের গভীর সংকটের প্রতিচ্ছবি। এখনই যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আগামী প্রজন্মের শিক্ষা, গবেষণা ও নৈতিকতা সবকিছুই বিপন্ন হয়ে পড়বে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bulbul announced the election of the BCB director

বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন বুলবুল

বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন বুলবুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিলেন বর্তমান সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, দেশের প্রয়োজনে আরো কাজ করার লক্ষ্যেই তার এই সিদ্ধান্ত। বুলবুল বলেন, ‘অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা নির্বাচন করব। একটা সঠিক নির্বাচন হবে। এখানে সভাপতি নির্বাচিত হয় না, পরিচালকরা নির্বাচিত হন। সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব।’

বুলবুল বলেন, ‘দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে আরো বেশি ভূমিকা রাখার ইচ্ছা থেকেই আমি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি। গত তিন মাস জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। তবে এবার সরাসরি নির্বাচন করেই ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের প্রয়োজনে কাজ করতে চাই।’

এর আগে গত ২৮ আগস্টও দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সে সময় বুলবুল বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত যে ইচ্ছা… আমি হঠাৎ করে এখানে এসেছি এবং একটা দায়িত্ব নিয়েছি। আমার স্থায়ী সব কিছু ছিল (আইসিসিতে)। দেশের জন্য সব ছেড়ে এসেছি। যত দিন সম্ভব দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর সিদ্ধান্ত আর আমার হাতে নেই।’

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন।

মন্তব্য

p
উপরে