প্রকৃতিতে এখন ভাদ্র মাস। অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। খাল-বিল ও জলাশয় পানিতে পরিপূর্ণ। পানিতে মাছের ঝাঁকের বিচরণ। আর তাইতো জেলে ও শৌখিন মানুষদের পাল্লা দিয়ে চলছে মাছ শিকার।
সর্বত্র বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের ধুম পড়েছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বড়রাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বড়শি ফেলে মাছ ধরছেন। সৌখিন মাছ শিকারিরা বলছেন, বড়শি দিয়ে মাছ শিকার মানে মনের সৌখিনতার পাশাপাশি একঘেয়ামি কর্মজীবনের ক্লান্তি দূর করে মনের উৎফুল্লতার প্রকাশ ঘটানো। এ জন্যই মূলত শখের বশে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বসেন সৌখিন এসব মাছ শিকারিরা।
উপজেলার বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে অন্য বছরের তুলনায় এবছর মাছ শিকারে বেশি আগ্রহী হয়ে নিজের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনসহ বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন সৌখিন এসব মাছ শিকারিরা। পাড়া-মহল্লার শিশু কিশোররাও দীর্ঘসময় ধরে দেখছেন মাছ শিকার করা।
মাছ শিকারিরা জানালেন, বড়শিতে ওঠা মাছ কেউ বিক্রি করেন, কেউ বাড়ি নিয়ে গিয়ে রান্নার পর পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ করে খান। বিশেষ ধরনের তৈরি টোপে বড়শিতে ধরাও পড়ে একের পর এক মাছ।
খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে গেলে দেখা মিলছে মাছ শিকারিদের এ উৎসব। বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ঝাঁকি জাল, টানা জাল, ঠেলা জাল, বেল, পেতে রাখা জাল, চাঁই, বড়শিসহ আরও নাম না জানা অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় জেলেরা। এই মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমূল্যে। রাজধানী শহর থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরাই মাছের বড় ক্রেতা। বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কারফু, ছোট কাতল, শোল মাছসহ বিভিন্ন মাঝারি ও বড় প্রজাতির মাছ।
উপজেলার নগরপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা হয় সফিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বর্ষার পানিতে বড়শিতে মাছ ধরতে এসেছেন সাতারকুল থেকে। তাঁর শখ মাছ শিকার। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বড়শিতে মাছ শিকার করেন।
জালাল মিয়া বলেন, বড়শিতে মাছ শিকারের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু খাবার। যে খাবারের লোভে মাছেরা বড়শির কাছে আসে খাবারের আশায়। প্রতিদিনই তিনি এক-দুটি করে বড় মাছ শিকার করেন। তবে এতে কষ্টও হয় অনেক।
বড়শিতে মাছ ধরার প্রধান শর্ত হলো ধৈর্য ধরতে শেখা। সারা দিন চলে যাবে মাছ আসবে না, কিন্তু হঠাৎ করেই শেষ বেলায় এসে ধরা দেবে বড় আকারের মাছ, জানান আবুল কাজী।
মো. মোকাম্মেল বলেন, ‘মাছ মাইরাই সংসার চালাই। বাইরা মাস (বর্ষাকাল) আইলে বিলে যখন পানি আসে, তখন ডুলা বইরা মাছ দইরা বাজারে নিয়া বেচি। যে কয় টেহা পাই হেইডা দিয়া সংসার চালাই। হারা বছর এই সময়ডার লাইগাই অপেক্ষা করি।’
রূপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় জলাশয়-বিলে জলাশয়গুলো ভরে উঠেছে দেশীয় জাতের ছোট-বড় মাছে। উপজেলার বিভিন্ন বিলে দিনরাত মাছ শিকার করছেন জেলে ও শৌখিন মাছ শিকারিরা। জেলেরা এর ওপর নির্ভর করে তাঁদের সংসার চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু অসৎ জেলে চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করায় দেশীয় মাছের বংশ বিস্তার আজ হুমকির মুখে। বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছি। তার পরেও তাঁরা তা ব্যবহার করছেন, যা আইনত দ-নীয়।’
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জলাধার প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার। এর রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং প্রকৃতিকে রক্ষা করে এর থেকে সর্বোচ্চ সম্পদ আহরণই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও রায়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন বাতিল করে পূর্বের (১৯৭২ সালের) অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়ে এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।
আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। আর ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ, ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী রিটটি করেন। তারা হলেন মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছর ২৭ অক্টোবর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং এ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় কেন প্রতিষ্ঠা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
গত ২৫ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী এই বেঞ্চে উভয় পক্ষে কয়েকদিন রুল শুনানির পর ২ সেপ্টেম্বর (আজ) রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভবন ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। বিগত সরকারের হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ সব ধরনের অপরাধের বিচারের বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন সংলগ্ন টিনশেড ভবন খালি হয়ে গেলে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-৩ গঠন করতে পারি। এটি করা গেলে গুমসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার কাজ দ্রুত করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন আমাদের বিচারকসহ প্রসিকিউশন ও তদন্ত টিম।
আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে আমাদের যে ন্যায়বিচার আছে, আইনের শাসন আছে ও মানবাধিকার আছে এটাকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং হাজারও মানুষকে পঙ্গু করার ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অপরিহার্য-অনিবার্য। সেই বিচারকার্যের প্রথম থেকেই আমরা অবিচল আছি। বিচারের যে গতি আছে সেটা নিয়েও আমরা সন্তুষ্ট আছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন আজ পরিদর্শন করেন। এসময় তাদের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
অবৈধ ‘সাপ্লিমেন্ট’ কেনার অভিযোগের পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন জাপানের অন্যতম পরিচিত ব্যবসায়ী সান্টোরি হোল্ডিংসের সিইও তাকেশি নিনামি।
টোকিও থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।
জিজি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে একটি অবৈধ ওষুধ মামলায় একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর নিনামির বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত শুরু হয়।
আগস্টে পুলিশ তার বাড়ি তল্লাশি চালায়, তবে নিনামি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তল্লাশি করে কোনো অবৈধ ওষুধও পাওয়া যায়নি।
সান্টোরির সভাপতি নোবুহিরো তোরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি যে সাপ্লিমেন্টগুলো কিনেছিলেন, তা বৈধ বলে বিশ্বাস করেছিলেন এবং সেগুলো নিয়ে তদন্তও করা হয়েছে।
দেশের ব্যবসায়িক লবি হিসাবে দায়িত্বে থাকা নিনামি ২০১৪ সালে সান্টোরি হোল্ডিংসে যোগ দেন।
এর আগে তিনি ল’সন কনভেনিয়েন্স স্টোর চেইনের সিইও ছিলেন।
সান্টোরি ডিসেম্বরে নিনামির স্থলে নতুন একজন সভাপতি নিযুক্ত করেন। সান্টেরি বিশ্বখ্যাত হুইস্কির জন্য পরিচিত।
রাজধানীর যানজট ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বঘোষিত র্যালির পরিবর্তে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল-নর্দমা পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে সড়ক বন্ধ করে কর্মসূচি আয়োজনে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। বিএনপি এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিকল্প কর্মসূচি গ্রহণ করে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ স্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে উত্তম চর্চা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট ডিএমপির উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ওই সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় জনদুর্ভোগ এড়িয়ে বিকল্প স্থানের প্রতি গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান। বিএনপির উদ্ভাবনী কর্মসূচি সেই আহ্বানের প্রতিফলন বলে বিশ্বাস করে ডিএমপি।
অভিনব কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির প্রায় ৫৩ লাখ টাকা হাতিয়া নেওয়ার মামলায় অভিযান চালিয়ে মো.কামাল উদ্দিন মীর (৪৭) নামে এক জ্বীনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৮টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শহরের দক্ষিণ বাসষ্ট্যান্ড ডাইভারসন রোডের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মা মনসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা মীরের ছেলে।
এদিন দিনগত রাত ১১টার দিকে র্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে জানানো হয়,প্রতারক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীরসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় প্রতারক জ্বীনের বাদশাহ সেজে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ভূয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা সমাধানসহ বশীকরণ করার বিজ্ঞাপন প্রদান করে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে।
সম্প্রতি চট্রগ্রামের ফটিকছড়ি থানার জনৈক মো.দিদারুল আলম (৪০) অনলাইনে তাদের বিজ্ঞাপন দেখে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে সে তার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকরা বশীকরণের মাধ্যমে তার সমস্যা সমাধান করার জন্য তাকে আস্বস্ত করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে নিজে বাদী হয়ে চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যান্য প্রতারকদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার্থে এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। পরিদর্শনকালে আহত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে চমেক হাসপাতালে যান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা আহত শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও এ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন। এ ছাড়া তিনি আহতদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। এখানে এরূপ সংঘর্ষের ঘটনা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের নতুন কোনো চক্রান্ত বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ জানান।’
এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ডা. কাজী সাইফুল ইসলাম আজিম, অতিরিক্ত পরিচালক (ফিন্যান্স) ডা. দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার চরফ্যাশনের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় সাতজন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও একজন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলের নাম মো. মিজানুর রহমান (৩১)। তিনি উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিজলের ছেলে।
ট্রলারের মালিক খোরশেদ মাঝি জানান, গত রবিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় আটজন জেলেকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে বের হন তারা। জাল ফেলার পর সেটি তুলতে গেলে সোমবার রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে অন্য ট্রলারের সহায়তায় সাতজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মিজানুরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ জেলের খবরে তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা ও স্বজনরা এখন তাকিয়ে আছেন সাগরের দিকে হয়তো কোনো এক অলৌকিক ভরসায় ফিরবেন তাদের মিজানুর।
সামরাজ ঘাটের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, খবর পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য