বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন,বাণিজ্য সম্পর্কিত অপ্রয়োজনীয় প্রবিধানগুলোকে খুঁজে বের করে এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম কানুন পর্যালোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ নিশ্চিত করা হবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) নবম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবো এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবো যার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্যের পরিমান এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
উপদেষ্টা বলেন,আমরা একটি দক্ষ ট্রেড রেজিম চাই, যার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি ঘটবে এবং যা সম্পদের সুষম বন্টনের ক্ষেত্রেও বড় প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে।
আমরা অবশ্যই ট্যাক্স ফাঁকি কমাতে চাই একই সাথে আমরা দক্ষতার বিকাশ চাই। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম অটোমেশন হচ্ছে এতে আমদানি রপ্তানি সহজতর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান , বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ,বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজনীন কাওসার,এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবদুর রহিম খান , বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাভার থেকে গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মেধাবী শিক্ষার্থী দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়ালি উল্লাহ এবং আল-ফিক্হ অ্যান্ড ল’ বিভাগের আল মুকাদ্দাসকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির মানববন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যানুসন্ধানের জন্য পুনর্গঠিত ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।
এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ এবং সদস্য সচিব হিসেবে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন দায়িত্ব পেয়েছেন। এছাড়া সদস্যরা হলেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ হুম তরীকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট এস এম শাতিল মাহমুদ।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, আমি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ভাইবা বোর্ডের সদস্য হিসেবে। কমিটির ব্যাপারে আমি আপাতত কিছু জানি না। শুনেছি ডিপার্টমেন্টে একটা চিঠি এসেছে। ক্যাম্পাসে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের অবদান অব্যাহত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীর এই ভূমিকা আরও সুসংগঠিত করা জরুরি। এর মধ্যে স্পষ্ট কমান্ড কাঠামো ও সকল বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় নিশ্চিত করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি জাতির প্রতি অঙ্গীকার করেছি— এমন একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য যা ভোটার উপস্থিতি, নতুন ও নারী ভোটারের অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে বৈশ্বিক আস্থা এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের উৎসবমুখর পরিবেশের দিক থেকে আলাদা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তিনি গুজবের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পুরো সেনাবাহিনী সরকারের সব উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৫ টায় সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের রংপুর রোডে বাংলা হাইস্কুল মাঠে আলোচনা ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এরপর আলোচনা সভা শেষে র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল সড়কসহ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে র্যালিটি শেষ হয়।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন আকতার শাহীনের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, কাজী একরামুল হক, দেলোয়ার চৌধুরী, জিয়াউল হক জিয়া, সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, হাফিজ খান, বিএনপি নেতা শওকত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমাণিক, এমএ পারভেজ লিটন, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী মন্টু, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাসান কার্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ রশিদুল হক সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওসমান প্রমুখ।
নেতারা বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতারা দল গোছানোর পাশাপাশি ভোটের জন্য সাধারণ জনগণের পাশে গিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
এই সময়ে সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা- ১৪ ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১৫ ওয়াডের বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের এই দলটি গঠন করেন। এর পূর্বে তিনি ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল -জাগদল- নামে একটি দল গঠন করেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকার রমনা ময়দানে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।
নোয়াখালীর মাইজদী শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সাড়ে ১১ টার দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১ টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খানের নেতৃত্বে জেলা শহরের সড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময়ে সড়কের পাশে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ির মালিক ও চালকরা মাইজদী প্রধান সড়ক অবরোধ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত হয়ে দুপুর একটা দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীতে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রো চালকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে স্ট্যান্ডের জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোচালকদের জন্য নোয়াখালী নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে তাদের গাড়ি না রেখে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কের উপরে এলোমেলোভাবে তাদের গাড়ি রাখেন। এতে সারা শহর জুড়ে যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে একাধিকবার এ বিষয়ে নিষেধ করা হলেও তারা তার তোয়াক্কা করছেন না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোনায় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় ছোট বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জোলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পাবলিক হলে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি বিশিষ্ট অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাতের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শফিকুল কাদের সুজা, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান পাঠান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন খান মিল্কী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন ফারাস সেন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মশু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোলায়মান হাসান রুবেল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আকিকুর রেজা খান খোকন, জেলা তাতী দলের সভাপতি সাইফ উদ্দিন আহমেদ লেলিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজা ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা কাজী তসনীম আলম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনীক মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।
পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি এবং দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দুই প্রবাসীর দেওয়া অর্থে নতুন ঘর পেল নওগাঁর রাণীনগরে সেই দুই অসহায় শিশু। উপজেলার কুজাইল হিন্দুপাড়া গ্রামের প্রীতম ও প্রিয়সী নামের দুই শিশু।
কাকার কাঁধে ভর করে স্বপ্ন দেখতে চায় প্রীতম ও প্রিয়সী দুই ভাই-বোন। এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে অনেকের। এরপর স্থানীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন সরদার ও সাংবাদিক রায়হানের মাধ্যমে জানতে চায় রাজু এবং শেখ আলী নামের দুই সৌদি প্রবাসী।
সোমবার দুই প্রবাসীর অর্থে বানানো ঘর হস্তান্তর করা হয়। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ১১ বছরের ৭ম শ্রেণির প্রিতম ও ৭ বছরের ২য় শ্রেণির প্রিয়সী দুই ভাই-বোন। শিশু দুটির- মা মারা গেছে ৬ মাস আগে। বাবা কম বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ায় তেমন কাজ করতে পারে না। মা মারা যাওয়ায় অন্ধকার নেমে আসে তাদের জীবনে। সহায় সম্বলহীন দুই শিশুর থাকার ঘরের খুবই প্রয়োজন ছিল। পড়াশোনাও করতে চায়। হাল ধরে ডিগ্রি পাস কাকা পলাশ চন্দ্র প্রামাণিক। সেই কাকার কাঁধে ভর করেই স্বপ্ন দেখতে চায় তারা। কিন্তু কাকা পলাশের জীবনই চলে কোনোমতে, বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে সিঙ্গাড়া বিক্রি করে।
এমন বিষয় নিয়ে গত মাসে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে অনেকের।
এর মধ্যে স্থানীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন সরদার এবং সাংবাদিক রায়হানের করা ভিডিওতে প্রিতম ও প্রিয়সী নামের অসহায় দুই শিশুকে নতুন ঘর করে দেওয়ার জন্যে আর্থিক সহায়তা কামনা করা হয়। ভিডিওটি কাশিমপুর ইউনিয়নের সৌদি আরব প্রবাসী রাজু এবং শেখ আলীর নজরে আসলে তারা দুইজন শিশু দুটির থাকার ঘরের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।
এদিকে ঘর তৈরি করতে সকল দায়িত্ব পালন করেছে মতিন সরদার ও রায়হান। অপরদিকে তাদের সাহস ও উৎসাহ দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ ও সাইফুল ইসলাম।
নতুন ঘর পেয়ে খুবই খুশি প্রিতম ও প্রেয়সী দুই ভাই-বোন। যাদের সহযোগিতায় তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে তাদের সকলের প্রতি জানালেন ধন্যবাদ। এখন তাদের স্বপ্ন ও চাহিদা ভালোভাবে যেন পড়াশোনা করতে পারে। তাই চেয়েছেন সকলের দোয়া ও ভালোবাসা।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক রায়হান বলেন, ‘কিছুদিন আগে সাংবাদিক বিকাশের করা একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারি দুটি অসহায় শিশুর করুণ কাহিনী। এরপর বিষয়টি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন ভাইকে জানালে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। এরপর এই পর্যন্ত করতে পেরেছি।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মতিন সরদার বলেন ‘আমি ও রায়হান সব সময় ভিডিওর মাধ্যমে গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রীতম ও প্রিয়সীর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি সৌদি প্রবাসী রাজু এবং শেখ আলীর নজরে আসার পর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই নগদ ২৫ হাজার টাকা দেয়। আমার ভিডিওর কারণে যদি কেউ উপকৃত হয় তখন খুবই ভালো লাগে।
স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এমন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘সমাজে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের অবশ্যই উচিত অসহায়দের সাহায্য করা। সাহায্যকারী প্রবাসী দুই ভাইকেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই শিশু যেন আগামী দিনগুলোতে ভালোভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই জন্য তাদের জন্য স্থায়ী একটা আয়ের ব্যবস্থা করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
এ ধরনের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রাকিবুল হাসান। ওই দুই শিশুর বিষয়ে অবগত আছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।
সড়ক নিরাপত্তা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে দেশের অন্যতম ইস্পাত প্রস্তুতকারী শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের পক্ষ থেকে ট্রাফিক সাইন ও বিভিন্ন সামগ্রি হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) উত্তরা ৪ নং সেক্টরে হাইওয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সামগ্রি হস্তান্তর করা হয়। কেএসআরএমের পক্ষে বিজনেস রিসার্চ অ্যাড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের
মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) আশফাকুল ইসলাম হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়ার কাছে এসব সামগ্রি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (এডমিন) ইমতিয়াজ আহমেদ, কেএসআরএমের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা, ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কর্মকর্তা (ব্র্যান্ড) মো. মুনমুন রহমান, প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমানসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে কেএসআরএম সরকার ও জনগণের পাশে থাকে। অতীতের মতো এবারও এগিয়ে এসেছে সবার আগে। আমরা আগামীতেও কেএসআরএম আমাদের পাশে থাকবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি কেএসআরএম সংশ্লিষ্ট সকলকে।
কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, কেএসআরএম বরাবরের মতো দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় যুক্ত থাকে। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য