× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত মধু পল্লী

সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে মধু পল্লী, নজর নেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের
মধুসূদন-দত্তের-স্মৃতিবিজড়িত-মধু-পল্লী

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভূমি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে অবস্থিত ঐতিহাসিক মধু পল্লী আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চরম অবহেলা ও সংস্কার বাজেটের অভাবে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধুঁকছে অস্তিত্ব সংকটে। অথচ এই স্থানটি বাংলাদেশের সাহিত্য, ইতিহাস এবং পর্যটনের এক অনন্য নিদর্শন। চরম অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো মধু পল্লীতে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র। মহাকবির স্মৃতিবাহী ‘দত্তপুকুর’ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাড় ধসে পড়েছে, চারপাশের বাঁধ ভেঙে পড়ে আছে। কবির জন্মভিটার মূল ভবন ও পার্শ্ববর্তী কাকার বাড়ি চরম জীর্ণ। ভবনের দেয়ালে ফাটল, জানালা-দরজার কাঠামো নড়বড়ে, ভবনে বড় ধরনের ধস নামার শংকা প্রকট। সরকারি বাজেটে নেই মধু পল্লীর জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংস্কারের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাজেট পেলেও মধু পল্লীর জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি- যা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যটক, সংস্কৃতিপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে জরুরি বরাদ্দ ও কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

স্থানীয় পর্যটক সোহেল মণ্ডল বলেন, মধু পল্লী শুধু কেশবপুর নয়, গোটা দেশের গর্ব। এটি সংরক্ষণ না করলে আমাদের সাহিত্য-ইতিহাসের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাঠামোগত দুর্বলতা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি আজও কাঠামোগতভাবে দুর্বল। সারাদেশে মাত্র চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, যার প্রতিটিকে একাধিক বিভাগ তদারকি করতে হয়। ফলে দেশের ২ হাজারের বেশি প্রত্নস্থাপনা পর্যাপ্ত সংরক্ষণ পাচ্ছে না। নিয়োগবিধি না থাকায় নতুন জনবল নিয়োগও সম্ভব হচ্ছে না। অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটও অত্যন্ত সীমিত, ফলে নিয়মিত খনন, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলার কোনোটিতেই স্থায়ী প্রত্নতত্ত্ব অফিস নেই, যা স্থানীয় সম্পদের সংরক্ষণে বড় বাধা দাঁড়িয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যর্থতা স্পষ্ট। যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্পকলা একাডেমি কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মতো সংস্থাগুলো জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখনও স্থানীয় পর্যায়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। এটি একদিকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, অন্যদিকে সরকারি অবহেলারই প্রমাণ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মধু পল্লীর কাস্টোডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মধু পল্লীর সংস্কার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না।’

খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, ‘মধু পল্লীর সংস্কারে এ বছর কোনো বরাদ্দ নেই। তবে আমি চেষ্টা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ২০ লাখ টাকার সংস্কারকাজ করানোর।’

তবে প্রশ্ন থেকে যায়-প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটে মধু পল্লীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম না থাকলে, সেটিকে জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তাৎপর্যই বা কোথায়?

শুধু স্মারক হিসেবে নয়, জাতির সাহিত্যিক শিকড় রক্ষার জন্য মধু পল্লীর মতো স্থাপনাগুলোকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকিয়ে রাখতে হবে, তা না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আগাম বৃষ্টিতে বাগেরহাটে আউশের ব্যাপক ফলন

আগাম বৃষ্টিতে বাগেরহাটে আউশের ব্যাপক ফলন

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে চলতি মৌসুমে আউশ ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। আগাম বৃষ্টিতে জমির লবণাক্ততা কমে যাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার জেলায় আউশ ধানের ফলন অনেক বেশি। জেলায় ৩ হাজার ৯ শ ৩৭ হেক্টর জমিতে মোট আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১হাজার ৪শ ৯৬ মেট্রিক টন।

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। আজ পর্যন্ত ৩২ শতাংশ জমির আউশ ধান কর্তন হয়েছে।

এরমধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৯ হেক্টর জমির ধান কর্তন করে উৎপাদন ৪১ মেট্রিক টন, ফকিরহাট উপজেলায় ১৭৭ হেক্টর জমির ধান কর্তন করে উৎপাদন ৫০৯.২৫ মেট্রিক টন, মোল্লাহাট উপজেলায় ২৩০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন ৬১৮ মেট্রিক টন, কচুয়া উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে মোট উৎপাদন ৪১৫.৮ মেট্রিক টন, মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ২০৬ হেক্টর জমিতে উৎপাদন ৫৫৪.৪ মেট্রিকটন এবং শরনখোলা উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদন ১৫৩৭.৫ মেট্রিকটন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১২৫২ হেক্টর জমি থেকে ৩৬৭৫.৯৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

‎কচুয়ার চাষি সুন্দর আলী বাসসকে বলেন, এসময়ে শ্রমিক সংকট প্রকট। স্থানীয় শ্রমিকরা অধিক মজুরি লাভের আশায় ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ধান কাটতে যায়। এ কারণে মৌসুমি ফসল কাটতে শ্রমিক সংকটে পড়তে হচ্ছে। এজন্য খরচও বেশি করতে হচ্ছে। একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মজুরি ও দুপুরের খাবার দিতে হয়।

‎‎কচুয়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরীক্ষিত জোয়ার্দার বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় মাঠে থাকা ধানের কোন ক্ষতি হবে না। বাকি আউশ ধান কর্তন চলতি মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, কচুয়ায় প্রতিবছর আউশ ধানের আবাদে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এবছর কচুয়া উপজেলায় ১১৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৪১৫.৮ মেট্রিক টন চাল।

তিনি বলেন, এখানকার বলেশ্বর নদীর পানি মিষ্টি বলে দিনে দিনে আউশের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে আউশের ব্যাপক ফলনে এলাকার চাষিরা খুবই খুশি। তাদের মুখে হাসির ঝিলিক লেগে আছে।

‎কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বাসসকে বলেন, প্রতি হেক্টর জমিতে আউশ চাষে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয় এবং উৎপাদিত ধান ও খড়সহ প্রায় ৯০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এ ধানে সেচের প্রয়োজন হয়না এবং সার কম লাগে। তাই ফলন একটু কম হলেও লাভ বেশি। আবার আউশ আবাদের পর চাষিরা একই জমিতে আমন ও বোরো ধানের চাষ করতে পারে। এতে জমির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।

বাগেরহাট খামারবাড়ির কৃষি কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন বাসসকে বলেন, পানি বাড়ার সাথে সাথে ‘আউশ ১০৬’ জাতের ধান গাছের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ফলে অতি বৃষ্টিতে ধানের চারায় পচন ধরে না। তাই এ বছর আগাম বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানির লবণাক্ততা হ্রাস পেয়ে গত মৌসুমের তুলনায় আউশ ধানের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি জানান, ২০২৪ সালে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮ শত ২৭ হেক্টর জমিতে আউশ উৎপাদন হয় ১৩ হাজার ৩ শত ৭৫ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৯ শত ৩৭ হেক্টর জমিতে আউশ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৪ শত ৯৬ মেট্রিক টন চাল।‎

কৃষি কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন আরও জানান, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে মাটির লবণাক্ততা কেটে গেছে। এর ফলে আগামী এক বছর পর্যন্ত কৃষিতে উচ্চ ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শীত ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির পাশাপাশি সব ধরনের ফসলের ফলন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে চাষিরাও লাভবান হবে।

কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে চাষিদের বিনামূল্যে সার, কীটনাশক ও ধানবীজ বিতরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দিতে কৃষকদের পাশে রয়েছে। ‎

বাগেরহাটের কৃতি সন্তান কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। স্বাধীনতা লাভের পর যখন দেশে সাড়ে ৭ কোটি মানুষের বসবাস ছিল তখন মান্ধাতার আমলের চাষের কারণে কৃষিতে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দেয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে এদেশে কৃষি বিপ্লব ঘটে। এরপর থেকে ক্রমশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলশ্রুতিতে কৃষকরা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will play a key role in the free and fair and participatory elections Home Advisor

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা আজ সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার-ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিলেট জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়, মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণ যেন নির্ভয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করতে পারে সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর হবে।

পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ ও পদায়ন সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, এবার বিভিন্ন বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদায়ন অনেক স্বচ্ছ হয়েছে। তাই সবাইকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাদককে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অন্যতম হুমকি উল্লেখ করে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখানোর নির্দেশনা দেন। এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় সিলেটের পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ থাকার কথা বলেন।

দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, কৃষকরাই এদেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল কারিগর। তাই উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকেরা যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। উপদেষ্টা এসময় পতিত কৃষিজমিগুলো আবাদের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দ সিলেটের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও এর চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন। উপদেষ্টা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

উপদেষ্টা এর আগে বিজিবি'র সিলেট সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স এবং সিলেট পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In a joint operation of the Coast Guard and Police in Teknaf 4 notorious miscreants including 5 domestic firearms and 5 rounds of fresh were detained

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড তাজা গোলাসহ ১ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারী আটক

টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড তাজা গোলাসহ ১ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারী আটক

সোমবার ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ৩ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ ও পুলিশের সমন্বয়ে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা রঙ্গীখালী এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড তাজা গোলাসহ ১ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারীকে আটক করা হয়।

জব্দকৃত আলামত ও আটককৃত ব্যক্তির পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Want to ensure the level playing field for business business trade adviser

ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চাই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চাই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন,বাণিজ্য সম্পর্কিত অপ্রয়োজনীয় প্রবিধানগুলোকে খুঁজে বের করে এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম কানুন পর্যালোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ নিশ্চিত করা হবে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) নবম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবো এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবো যার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্যের পরিমান এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।


উপদেষ্টা বলেন,আমরা একটি দক্ষ ট্রেড রেজিম চাই, যার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি ঘটবে এবং যা সম্পদের সুষম বন্টনের ক্ষেত্রেও বড় প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে।

আমরা অবশ্যই ট্যাক্স ফাঁকি কমাতে চাই একই সাথে আমরা দক্ষতার বিকাশ চাই। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম অটোমেশন হচ্ছে এতে আমদানি রপ্তানি সহজতর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান , বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ,বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজনীন কাওসার,এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবদুর রহিম খান , বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জয়পুরহাটে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

জয়পুরহাটে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের রেলগেটের দক্ষিণ পাশে এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় আনুমানিক অর্ধশতাধিক টিনশেড স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, রেলগেটের সামনের কিছু স্থাপনা অক্ষত রেখে অন্যান্য দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বলেন, এ রেলওয়ের জায়গাকে কেন্দ্র করে চোর-পুলিশ খেলা চলছে। প্রায় ৩৫ বছর ধরে রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। দুই দিন আগে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানানো হলেও, লিজ নেওয়া দোকান ভাঙা হবে তা তারা জানতেন না।

এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সকালে ভেকু দিয়ে আমার দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে বড় ব্যবসায়ীর ছানা ঘর অক্ষত রেখেছে।

এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং উচ্ছেদ কাজে ব্যবহৃত বুলডোজার স্থানীয়রা আটকে দেয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। রেলওয়ের জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা রাখা হবে না।

ঈশ্বরদীর পাকশির বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর একই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। আদালতে মামলা থাকায় ছানা ঘর উচ্ছেদ করা হয়নি। রেলওয়ের সংস্কারের অংশ হিসেবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Free Medical Camp at Nilphamari on the anniversary of BNPs founding anniversary

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মাদ কাবেরুল ইসলাম লিটনের উদ্যোগে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের মাহাবুবা মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক রোগী ফ্রি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম ও জান্নাতুল নেছা।

চিকিৎসা নিতে আসে হাসিনা বানু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছি, কিন্তু অর্থের অভাবে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে পারি না। আজ এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে আমি সত্যিই উপকৃত হয়েছি। সাধারণ মানুষের জন্য এ ধরনের আয়োজন অনেক উপকারী।’

গোড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের মেম্বার বলেন, ‘লিটন ভাই একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সময় পাশে দাঁড়ান। এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে তার আন্তরিক ভূমিকা রয়েছে।’

সাবেক ছাত্রনেতা কাবেরুল ইসলাম লিটন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু আনন্দের দিন নয়, এটি মানুষের কল্যাণে কাজ করার এক সুযোগও বটে। তাই আমি চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার। অনেক মানুষ আর্থিক কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারেন না। সেই কথা মাথায় রেখে আমরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্লাড গ্রুপিংয়ের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে, কারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।’

মন্তব্য

p
উপরে