মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভূমি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে অবস্থিত ঐতিহাসিক মধু পল্লী আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চরম অবহেলা ও সংস্কার বাজেটের অভাবে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধুঁকছে অস্তিত্ব সংকটে। অথচ এই স্থানটি বাংলাদেশের সাহিত্য, ইতিহাস এবং পর্যটনের এক অনন্য নিদর্শন। চরম অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো মধু পল্লীতে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র। মহাকবির স্মৃতিবাহী ‘দত্তপুকুর’ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাড় ধসে পড়েছে, চারপাশের বাঁধ ভেঙে পড়ে আছে। কবির জন্মভিটার মূল ভবন ও পার্শ্ববর্তী কাকার বাড়ি চরম জীর্ণ। ভবনের দেয়ালে ফাটল, জানালা-দরজার কাঠামো নড়বড়ে, ভবনে বড় ধরনের ধস নামার শংকা প্রকট। সরকারি বাজেটে নেই মধু পল্লীর জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংস্কারের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাজেট পেলেও মধু পল্লীর জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি- যা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যটক, সংস্কৃতিপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে জরুরি বরাদ্দ ও কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
স্থানীয় পর্যটক সোহেল মণ্ডল বলেন, মধু পল্লী শুধু কেশবপুর নয়, গোটা দেশের গর্ব। এটি সংরক্ষণ না করলে আমাদের সাহিত্য-ইতিহাসের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাঠামোগত দুর্বলতা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি আজও কাঠামোগতভাবে দুর্বল। সারাদেশে মাত্র চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, যার প্রতিটিকে একাধিক বিভাগ তদারকি করতে হয়। ফলে দেশের ২ হাজারের বেশি প্রত্নস্থাপনা পর্যাপ্ত সংরক্ষণ পাচ্ছে না। নিয়োগবিধি না থাকায় নতুন জনবল নিয়োগও সম্ভব হচ্ছে না। অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটও অত্যন্ত সীমিত, ফলে নিয়মিত খনন, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলার কোনোটিতেই স্থায়ী প্রত্নতত্ত্ব অফিস নেই, যা স্থানীয় সম্পদের সংরক্ষণে বড় বাধা দাঁড়িয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যর্থতা স্পষ্ট। যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্পকলা একাডেমি কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মতো সংস্থাগুলো জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখনও স্থানীয় পর্যায়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। এটি একদিকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, অন্যদিকে সরকারি অবহেলারই প্রমাণ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মধু পল্লীর কাস্টোডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মধু পল্লীর সংস্কার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না।’
খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, ‘মধু পল্লীর সংস্কারে এ বছর কোনো বরাদ্দ নেই। তবে আমি চেষ্টা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ২০ লাখ টাকার সংস্কারকাজ করানোর।’
তবে প্রশ্ন থেকে যায়-প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটে মধু পল্লীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম না থাকলে, সেটিকে জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তাৎপর্যই বা কোথায়?
শুধু স্মারক হিসেবে নয়, জাতির সাহিত্যিক শিকড় রক্ষার জন্য মধু পল্লীর মতো স্থাপনাগুলোকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকিয়ে রাখতে হবে, তা না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
সড়ক নিরাপত্তা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে দেশের অন্যতম ইস্পাত প্রস্তুতকারী শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের পক্ষ থেকে ট্রাফিক সাইন ও বিভিন্ন সামগ্রি হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) উত্তরা ৪ নং সেক্টরে হাইওয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সামগ্রি হস্তান্তর করা হয়। কেএসআরএমের পক্ষে বিজনেস রিসার্চ অ্যাড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের
মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) আশফাকুল ইসলাম হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়ার কাছে এসব সামগ্রি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (এডমিন) ইমতিয়াজ আহমেদ, কেএসআরএমের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা, ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কর্মকর্তা (ব্র্যান্ড) মো. মুনমুন রহমান, প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমানসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে কেএসআরএম সরকার ও জনগণের পাশে থাকে। অতীতের মতো এবারও এগিয়ে এসেছে সবার আগে। আমরা আগামীতেও কেএসআরএম আমাদের পাশে থাকবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি কেএসআরএম সংশ্লিষ্ট সকলকে।
কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, কেএসআরএম বরাবরের মতো দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় যুক্ত থাকে। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া-র নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধিতে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তারা শিক্ষার্থী বান্ধব ও সহনশীল ফি নির্ধারণ, ইমপ্রুভ ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ফি ১০০ টাকা, সার্টিফিকেট ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত বছর যেখানে বিভিন্ন বিভাগের ফি ছিল ২২০০–২৩০০ টাকা, এ বছর তা বেড়ে ৩৩০০–৩৫০০ টাকা হয়েছে। তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। হঠাৎ ফি বৃদ্ধির কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন না করে ফি বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই তারা দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।’
সকলের সহযোগিতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
জাহাঙ্গীর চৌধুরী আজ সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণই মুখ্য ভূমিকা রাখবে।
মতবিনিময় সভায় সিলেট বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার-ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিলেট জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়, মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণ যেন নির্ভয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করতে পারে সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে একযোগে কাজ করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবপর হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগ ও পদায়ন সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, এবার বিভিন্ন বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদায়ন অনেক স্বচ্ছ হয়েছে।
মাদককে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অন্যতম হুমকি উল্লেখ করে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি দেখানোর নির্দেশনা দেন। এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় সিলেটের পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে সবসময় সজাগ থাকার কথা বলেন।
দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, কৃষকরাই এদেশের খাদ্য নিরাপত্তার মূল কারিগর। তাই উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষক যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। উপদেষ্টা এ সময় পতিত কৃষিজমিগুলো আবাদের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা সিলেটের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও এর চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বিভিন্ন মতামত বিনিময় করেন।
উপদেষ্টা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌক্তিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
এরআগে উপদেষ্টা বিজিবি’র সিলেট সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স এবং সিলেট পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাল্লারপার এলাকার একটি ধানখেত থেকে ৭ ফুট লম্বা একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটিকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়ার জানকিছড়া রেসকিউ সেন্টারে ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে। সাপটি আঘাতপ্রাপ্ত থাকায় অবমুক্ত করা হয়নি। গত রোববার (সাপ-সংরক্ষক ও ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সংরক্ষণ কর্মী চঞ্চল গোয়ালা অজগরটি উদ্ধার করেন।
চঞ্চল গোয়ালা জানান, দুপুরের দিকে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে জানান ধান কাটতে গেলে একটি অজগর তারা দেখতে পান। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন সাপটির শরীরে আঘাত রয়েছে। স্থানীয়রা সাপটিকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে। সেখান থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করে প্রথমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেসকিউ সেন্টারে নেওয়া হয়। কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে সেটিকে উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাপটি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানিতে ভেসে আসছে। সাপটার ওজন প্রায় ১০ কেজির মতো।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক জানান, সাপ-সংরক্ষক ও ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের সংরক্ষণ কর্মী চঞ্চল গোয়ালা ধানক্ষেত থেকে অজগরটি উদ্ধার করেন। সাপটি কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত। সুস্থ করে নিরাপদে অবমুক্ত করা হবে। তিনি বনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং সাপ দেখলে হত্যা না করে বনবিভাগ বা সংরক্ষণ কর্মীদের খবর দেওয়ার আহ্বান জানান।
মেহেরপুরে একটি মাদক মামলায় ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার মেহেরপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নাসিম রেজা আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো- গাংনী উপজেলার করমদি মধ্যপাড়ার মুসলিম আলীর ছেলে জুয়েল হোসেন, সাবেদ আলীর ছেলে স্বপন আলী, আইবুদ্দিনের ছেলে আবেদ আলী এবং জামরুল ইসলামের ছেলে টিপু।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানা পুলিশ মেহেরপুর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আকুবপুর এলাকায় একটি ট্রাক আটক করে। পরবর্তীতে ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে ৪৬০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩১ (১) সারণী ও ৩৮ ধারায় গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আদালত চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ড প্রাপ্তদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন মো. আতিকুর রহমান। তার যোগদানের মধ্যদিয়ে ১ বছর ৩ মাস ১৯ দিন পর এসিল্যান্ড পেলেন উপজেলাবাসী। তিনি ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।
গত রোববার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নবাগত এসিল্যান্ড আতিকুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান। এসিল্যান্ডের যোগদানে এ উপজেলায় নাগরিক সেবাতে আরও গতি বাড়বে বলে মনে করছেন উপজেলাবাসী।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৩ মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ কুমার বসাক পদোন্নতিজনিত বদলি হয়ে অন্যত্র যাবার পর দীর্ঘদিন যাবত সারিয়াকান্দি উপজেলায় শূন্য ছিল এ পদটি। পদটিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান ও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য, এসিল্যান্ড আতিকুর রহমান এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব শাখা ও রাজস্ব মুন্সিখানা শাখা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তারমোড় এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত অর্থে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান ভাঙনস্থলে এসে জিওব্যাগ ফেলা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
টেন্ডারের মাধ্যমে বালু ভর্তি জিওব্যাগ কাজের তদারকি করছেন মেসার্স মল্লিক এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. আতিকুর রহমান বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছি। অন্তারমোড় ভাঙন রোধে ৫৫০ বস্তা জিওব্যাগ ফেলা হবে। প্রতি ব্যাগে ২৫০ কেজি করে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কেজি বালু ফেলা হবে ভাঙন এলাকায়।
এ বিষযে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে জরুরি আপৎকালীন কাজের অংশ হিসেবে অন্তারমোড় ভাঙনকবলিত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত অর্থে আপাতত ৫৫০ বস্তা বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
মন্তব্য