× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
After 5 years of teaching the royal farewell
google_news print-icon

৪১ বছর শিক্ষকতা শেষে পেলেন রাজকীয় বিদায়

কাঁদলেন শত শত শিক্ষার্থী
৪১-বছর-শিক্ষকতা-শেষে-পেলেন-রাজকীয়-বিদায়

কেউ কেউ চোখ মুছছেন, কেউবা আঁকড়ে ধরছেন প্রিয় শিক্ষকের হাত, কেউ আবার নিঃশব্দে ফেলছেন অশ্রু। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে বিদায়ের বিষণ্ণ সুর। আর সেই সুরের মাঝে ফুলের পাঁপড়ি বর্ষণের সঙ্গে ঘোড়ার গাড়িতে করে এগিয়ে চলছেন একজন শিক্ষক । এমনই এক আবেগঘন পরিবেশে রাজকীয় বিদায় জানানো হলো আনোয়ারা উপজেলার বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওলানা কাজী মো. আবুল কালামকে।

দীর্ঘ ৪১ বছর সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা শেষে কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন এই বরেণ্য শিক্ষক। শুধু শিক্ষক নন, ছিলেন একজন অভিভাবকতুল্য মানুষ, শিক্ষার্থীদের আদর্শ, সহকর্মীদের প্রেরণার উৎস।

গতকাল সোমবার সকাল থেকেই মাদ্রাসা চত্বরে এক ভিন্ন রকম পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। বিদায়ী শিক্ষককে ঘিরে আয়োজিত হয় নানা কর্মসূচি। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর একে একে হামদ-নাত, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বিদায়ী শিক্ষক মাওলানা কাজী মো. আবুল কালাম ১৯৮৪ সালে আনোয়ারার স্বনামধন্য বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় পাঠদান শুরু করেন। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি তার নিষ্ঠা, ধর্মীয় জ্ঞান এবং নৈতিক শিক্ষা দিয়ে হাজারও শিক্ষার্থীর জীবন গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। তার হাত ধরে অনেকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন।

এমন শিক্ষকের বিদায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে জানে আলম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক আমাদের পিতার সমতুল্য। আমার পিতা আমাদের জন্ম দিলেও শিক্ষকরা আমাদের জীবন দিয়েছেন। শিক্ষকদের শাসন আমাদের চলার পথকে মসৃণ করে। আমাদের এই শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীর খুব পছন্দের একজন ছিলেন যার কারণে সবাই তার বিদায়ী শোকার্ত।

বিদায়ী শিক্ষক মাওলানা কাজী মো. আবুল কালাম জানান, জীবনের বৃহৎ একটি অংশ এই প্রতিষ্ঠানে কাটিয়েছি। চেষ্টা করেছি নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এবং শিক্ষার্থীদের হক যথাযথভাবে পালন করতে। হয়তো আনুষ্ঠানিক এই প্রতিষ্ঠানে আর ক্লাস নেওয়া হবে না; কিন্তু আমৃত্যু যদি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে থাকতে পারতাম সেটাই হতো আমার জন্য বড় পাওয়া।

বখতিয়ারপাড়া চারপীর আউলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালক অধ্যক্ষ কাজী মো. আবদুল হান্নান বলেন, আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষক, আমার সহকর্মী দীর্ঘ ৪১ বছর তার শিক্ষকতা জীবন শেষ করেছেন। আমরা চেয়েছি তার বিদায়টা সম্মানজনক করতে। আমার দেখেছি যেসব শিক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেয় তাদের একটি ছাতা, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে বিদায় দিত যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং অসম্মানজনক। তাই ব্যতিক্রম কিছু করার প্রয়াস থেকে এই আয়োজন।

এদিন দিনব্যাপী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফেরদৌস হোসেন, প্রধান আলোচক হিসেবে পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান গণি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যানের মধ্যে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকরা, পরিচালনা কমিটি সদস্য ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত মধু পল্লী

সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে মধু পল্লী, নজর নেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের
মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত মধু পল্লী

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভূমি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ীতে অবস্থিত ঐতিহাসিক মধু পল্লী আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চরম অবহেলা ও সংস্কার বাজেটের অভাবে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধুঁকছে অস্তিত্ব সংকটে। অথচ এই স্থানটি বাংলাদেশের সাহিত্য, ইতিহাস এবং পর্যটনের এক অনন্য নিদর্শন। চরম অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো মধু পল্লীতে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র। মহাকবির স্মৃতিবাহী ‘দত্তপুকুর’ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় পাড় ধসে পড়েছে, চারপাশের বাঁধ ভেঙে পড়ে আছে। কবির জন্মভিটার মূল ভবন ও পার্শ্ববর্তী কাকার বাড়ি চরম জীর্ণ। ভবনের দেয়ালে ফাটল, জানালা-দরজার কাঠামো নড়বড়ে, ভবনে বড় ধরনের ধস নামার শংকা প্রকট। সরকারি বাজেটে নেই মধু পল্লীর জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সংস্কারের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাজেট পেলেও মধু পল্লীর জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি- যা দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যটক, সংস্কৃতিপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে জরুরি বরাদ্দ ও কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

স্থানীয় পর্যটক সোহেল মণ্ডল বলেন, মধু পল্লী শুধু কেশবপুর নয়, গোটা দেশের গর্ব। এটি সংরক্ষণ না করলে আমাদের সাহিত্য-ইতিহাসের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাঠামোগত দুর্বলতা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি আজও কাঠামোগতভাবে দুর্বল। সারাদেশে মাত্র চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, যার প্রতিটিকে একাধিক বিভাগ তদারকি করতে হয়। ফলে দেশের ২ হাজারের বেশি প্রত্নস্থাপনা পর্যাপ্ত সংরক্ষণ পাচ্ছে না। নিয়োগবিধি না থাকায় নতুন জনবল নিয়োগও সম্ভব হচ্ছে না। অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটও অত্যন্ত সীমিত, ফলে নিয়মিত খনন, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলার কোনোটিতেই স্থায়ী প্রত্নতত্ত্ব অফিস নেই, যা স্থানীয় সম্পদের সংরক্ষণে বড় বাধা দাঁড়িয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যর্থতা স্পষ্ট। যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্পকলা একাডেমি কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মতো সংস্থাগুলো জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখনও স্থানীয় পর্যায়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। এটি একদিকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, অন্যদিকে সরকারি অবহেলারই প্রমাণ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মধু পল্লীর কাস্টোডিয়ান হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মধু পল্লীর সংস্কার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না।’

খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, ‘মধু পল্লীর সংস্কারে এ বছর কোনো বরাদ্দ নেই। তবে আমি চেষ্টা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ২০ লাখ টাকার সংস্কারকাজ করানোর।’

তবে প্রশ্ন থেকে যায়-প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিজস্ব বাজেটে মধু পল্লীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম না থাকলে, সেটিকে জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তাৎপর্যই বা কোথায়?

শুধু স্মারক হিসেবে নয়, জাতির সাহিত্যিক শিকড় রক্ষার জন্য মধু পল্লীর মতো স্থাপনাগুলোকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে টিকিয়ে রাখতে হবে, তা না হলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

মন্তব্য

জয়পুরহাটে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

জয়পুরহাটে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের রেলগেটের দক্ষিণ পাশে এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় আনুমানিক অর্ধশতাধিক টিনশেড স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, রেলগেটের সামনের কিছু স্থাপনা অক্ষত রেখে অন্যান্য দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বলেন, এ রেলওয়ের জায়গাকে কেন্দ্র করে চোর-পুলিশ খেলা চলছে। প্রায় ৩৫ বছর ধরে রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। দুই দিন আগে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানানো হলেও, লিজ নেওয়া দোকান ভাঙা হবে তা তারা জানতেন না।

এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সকালে ভেকু দিয়ে আমার দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে বড় ব্যবসায়ীর ছানা ঘর অক্ষত রেখেছে।

এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং উচ্ছেদ কাজে ব্যবহৃত বুলডোজার স্থানীয়রা আটকে দেয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। রেলওয়ের জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা রাখা হবে না।

ঈশ্বরদীর পাকশির বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর একই স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। আদালতে মামলা থাকায় ছানা ঘর উচ্ছেদ করা হয়নি। রেলওয়ের সংস্কারের অংশ হিসেবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Free Medical Camp at Nilphamari on the anniversary of BNPs founding anniversary

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মাদ কাবেরুল ইসলাম লিটনের উদ্যোগে নীলফামারীতে ফ্রি মেডিকেল ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের মাহাবুবা মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক রোগী ফ্রি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম ও জান্নাতুল নেছা।

চিকিৎসা নিতে আসে হাসিনা বানু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছি, কিন্তু অর্থের অভাবে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে পারি না। আজ এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে আমি সত্যিই উপকৃত হয়েছি। সাধারণ মানুষের জন্য এ ধরনের আয়োজন অনেক উপকারী।’

গোড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের মেম্বার বলেন, ‘লিটন ভাই একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সময় পাশে দাঁড়ান। এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে তার আন্তরিক ভূমিকা রয়েছে।’

সাবেক ছাত্রনেতা কাবেরুল ইসলাম লিটন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু আনন্দের দিন নয়, এটি মানুষের কল্যাণে কাজ করার এক সুযোগও বটে। তাই আমি চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার। অনেক মানুষ আর্থিক কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারেন না। সেই কথা মাথায় রেখে আমরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্লাড গ্রুপিংয়ের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে, কারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The testimony of Sheikh Hasina against Sheikh Hasina for crimes against humanity in July mass uprising

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ শেষ হচ্ছে।

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, আজ দশম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবম দিন পর্যন্ত ২৯ জনের সাক্ষ্য জেরা শেষ হয়। আজ ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, কমবেশি ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতে পারে এ মামলায়।

প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ৫ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে আইসিটি বিডি কেস হিসেবে ৫ মামলায় বিচার চলছে। বিচারাধীন ৫ মামলায় আসামি সংখ্যা ৬২ জন। তিনি বলেন, আরও ২৬ টি মামলা মিস কেস রয়েছে।

এ প্রসিকিউটর জানান, তিনটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। মামলা তিনটি হলো- শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে একটি, চানখাঁরপুলে ৬ জনকে হত্যা মামলা এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা মামলা।

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন একই মামলার আসামি। তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন কারাগারে, অন্য দুজন পলাতক।

এছাড়া আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলার অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে।

১৪ সেপ্টেম্বর সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন ধার্য রয়েছে।

রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলির মামলায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

এ মামলায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এখন সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের মামলা।

এসব অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

পৃথক দুটি ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে

মামলা ও বিচারের অগ্রগতি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বাসসকে বলেন, বিচারপ্রার্থীর প্রত্যাশা, আইন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড, আসামির অধিকার, যথাযথ তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ, আইনি প্রসিডিউর অনুসরণসহ সার্বিক বিষয়গুলো সমন্বয় করতে হয় প্রসিকিউশনকে। তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে যেন পৃথিবীর কোথাও কেউ কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রথমবারের মতো ইতিহাসে বিচার কার্যক্রম টেলিভিশনে লাইভ করা হচ্ছে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে যেটা হয়েছে, সেটা হলো সাধারণ মার্ডার থেকে আকাশ-পাতাল তফাত। একজন মানুষ খুন করে, সেটা অনুসন্ধান করে। আর এখানে দেড় হাজার লোক খুন হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হয়নি। ফ্যামিলি মেম্বারদের খবর দেওয়ার সুযোগ তারা দেয়নি। বলেছে, কেউ যদি নিয়ে যাওয়ার মতো থাকে, নিয়ে যাক। অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশ হিসেবে দাফন করে ফেলতে হবে। সেখানে শহীদের সহযোগী ও পরিবারের সদস্যদের রাতে মানুষের অজান্তে কবর দিতে হয়েছে। তাই এসব মামলার তদন্ত অত্যন্ত জটিল। ইতোমধ্যে অকাট্য প্রমাণ হাতে এসেছে। আন্তর্জাতিক প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে অপরাধের প্রমাণ উঠে এসেছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধন করা হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ও ১০ মে ২০২৫ তারিখে দুটি পৃথক অধ্যাদেশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ও ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাপ্ত অভিযোগ ও অভিযুক্তের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন, কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় গত ৮ মে ২০২৫ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার এবং একই প্রজ্ঞাপনে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিচারিক কার্যক্রম শুরুর পূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরাতন হাইকোর্ট বিল্ডিং তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় ‘রাজসাক্ষী’ সাবেক আইজিপি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ওই মামলার অন্যতম আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে বক্তব্য দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ‘অ্যাপ্রুভার’ (দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য বিবরণ প্রকাশ করেন যে আসামি; সাধারণত তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবেও ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন গত ১০ জুলাই। সাবেক আইজিপি’র এমন বক্তব্যের পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।

চব্বিশের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেকমন্ত্রী আনিসুল হক, আমির হোসেন আমু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The High Court has postponed Daksu elections

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arrest warrant issued against former state minister Dr Murad in Jamalpur

জামালপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

জামালপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুটুক্তির মামলায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে জামালপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডা: মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের টক-শোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। অসৎ উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের দশ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্ক লরি মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো: রুমেল সরকার বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন। মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টক-শোর উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামী করা হয়েছে। বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এর আগে গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন দশ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে