মেহেরপুরের গাংনীতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার এক আসামিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা ওরফে ডাকু (৫০) উপজেলার চৌগাছা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
আজ সোমবার ভোরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২, মেহেরপুর সিপিসি-৩ অভিযানিক দল গাংনী সেনাবাহিনীর সহায়তায় আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
পরে সকাল ১০টার দিকে র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডারের কার্যালয়, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ওয়াহিদুজ্জামান জানান, আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে গাংনী থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মেহেরপুরে একটি মাদক মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা ও প্রত্যেকেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার বেলা ১ টার সময় মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এএস্এম নাসিম রেজা এ দণ্ডাদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জামরুল ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে টিপু সুলতান, সাবের আলীর ছেলে স্বপন আলী, মৃতু আয়ূব আলীর ছেলে আবেদ আলী, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দাতপুর গ্রামের নুরু সর্দারের ছেলে রাজিব সর্দার ও গাংনী উপজেলার করমদী বহলপাড়া এলাকার মকলুচ ওরফে মকলেচুর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা। এদের মধ্যে রাজিব সর্দার ও জুয়েল রানা পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভোররাতের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক স্থানে চেক পোষ্ট বসিয়ে একটি ট্রাকে তল্লাশী চালান গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় ট্রাক (যার নং কুষ্টিয়া ট ১১-২০০৯ ) থেকে ৪৬০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় জুয়েলরানা পালিয়ে যায়। পরে গাংনী থানার এসআই আলী রেজা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) স্বারণির ১৪(গ)/৩৮/৪১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামালার নং ৫. তারিখ ০৬/০৯/২০১৯ ইং। জিআর মামলা নং ২০৬/১৯(ক)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন।
আসামি পক্ষের কৌশুলী ছিলেন অ্যাডভোকেট আজম খোকন ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর এ এস এম সাইদুর রাজজাক সাদ্দাম।
পাবনায় নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। (সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদ রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে এক র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার সহ জেলা উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে বাধা দেয়া হত। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল আজকের এ বর্ণাঢ্য র্যালি তা প্রমাণ করে। আগামীতে দেশ পরিচালনায় বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সাধারণ মানুষ নিয়ে কাজ করবেন বলে ব্যক্ত করেন বক্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সোমবার জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন।
এর আগে গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ধারাবাহিক এ সংলাপকে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
এদিকে ২১ আগস্ট সরকারি সফরে চীনে যান সেনাবাহিনী প্রধান। বুধবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সফরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইসহ চীনের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়সহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান ২২ আগস্ট চীনের পিএলএ সদরদপ্তরে পৌঁছালে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি পিএলএর স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা দু-দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
অন্যদিকে রোববার দেশের প্রধান তিনটি দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) আরও ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজে ও দ্রুত ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সহজীকরণ ও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
গতরাতে মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হাতির টিকে থাকার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং তাদের ওয়াকিটকি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিতে হবে। একই সঙ্গে হাতির খাদ্যোপযোগী গাছ লাগানো জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় তিনি আরও বলেন, বোরো মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত জনবল পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে। হাতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। সতর্ক করে তিনি বলেন, হাতির নিকটে গিয়ে টিকটকসহ যেকোনো ধরনের ভিডিও করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
সভায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঢামেকে পৌঁছান এবং নুরুল হক নুরের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্য আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, নুরুল হক নুরসহ আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান উপদেষ্টাকে জানান আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁদের সর্বোচ্চ মানের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
নুরুল হক নুরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এই ঘৃণ্য হামলার ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এ জঘন্য হামলায় জড়িতদের সরকারের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে মর্মেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান ও অন্যান্য চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে জেলে, বনজীবী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবনের দ্বার।
বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে আজ থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে কোলাহলপূর্ণ হয়ে উঠবে সুন্দরবন।
দীর্ঘ সময়ের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনের দ্বার খোলায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পর্যটন ব্যবসায়ী ও জেলেরা। সেই লক্ষ্যে শরণখোলা উপজেলার জেলে পল্লীতে ফিরে এসেছে চিরচেনা রূপ। জেলে পল্লীতে ঠুকঠাক শব্দে নৌকা ও ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষে প্রথম দিনেই সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন তারা।
এদিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীরাও তাদের ট্যুরিস্ট বোটগুলো মেরামত ও রঙ দিয়ে প্রস্তুত করে তুলেছেন। দীর্ঘ বিরতির পর তারা আশা করছেন, পর্যটকদের আগমন সুন্দরবনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অন্যদিকে, টানা নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল জেলেরা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন শহরে।
কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলেরা বলেন, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের চরম অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করলে জেলে পরিবারগুলোতে দারিদ্র্যতা থেকে যাবে। নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা তিন মাস থেকে কমিয়ে দুই মাসে আনা উচিত বলে দাবি করেন তারা।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি পাবেন জেলে ও পর্যটকরা। এ উপলক্ষে গত ২৭ আগস্ট বুধবার সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য