নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) ভারত সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, বিয়ার ও মোবাইল ফোনসহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে।আটককৃত মাদক কারবারি হলেন ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ১ নং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম উরফে আবুনী (৩০)। নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম কামরুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার চারুয়াপাড়া বিওপির একটি টহল টিম সোমবার দিবাগত রাতে ১ নং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩ পিছ ইয়াবা, ১ পিছ বিয়ার ও ২টি মোবাইল ফোনসহ নজরুল ইসলাম উরফে আবুনীকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিকে আলামতসহ ধোবাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সারাদেশে উপজেলা/থানা আনসার কোম্পানি ও ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন সদস্যদের নতুনধারার মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ধানমন্ডির বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজে ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসার-দক্ষিণ জোন আয়োজিত প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“উপজেলা/ থানা আনসার কোম্পানি সামাজিক অপরাধ দমন ও আভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । সাধারন আনসার সদস্যের যথাযথ প্রশিক্ষণ সম্পৃক্ততা ও ধারাবাহিকতার অনুপস্হিতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা আনসার কোম্পানি কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। চলমান সংস্কারের আওতায় অঙ্গীভূত আনসারদের সুনির্দিষ্টকরনের মাধ্যমে উপজেলা আনসার কোম্পানির প্রশিক্ষন ধারণাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্লাটফর্মে আনা হয়, যেখানে তারা অন্যান্য বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণপ্রতিরক্ষা ও জাতীয় প্রয়োজনে কাজ করতে সক্ষম হয়।”
তিনি আরও বলেন—
“প্রতিটি আনসার সদস্য যদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হন, তবে তারা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র যোগ্য দেশপ্রেমিক প্রতিনিধি হয়ে উঠবে।” আনসার বাহিনী প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে অধিকতর তারুণ্যনির্ভর, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুনে শ্রদ্ধাশীল সদস্যদের নিয়ে উপজেলা আনসার কোম্পানি গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্যই শারীরিকভাবে সক্ষম ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী সদস্যদের এই প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ প্রশিক্ষণে আধুনিক নিরাপত্তা ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিষয়ক ধারনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ্য সদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক তাদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, দুর্যোগকালীন কার্যক্রম, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা এবং পূজা ও নির্বাচনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে উপজেলা আনসার সদস্যরা সরাসরি ভূমিকা পালন করবে। তাদের দায়িত্বপরিধি সুনির্দিষ্ট করা, সামাজিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং বাহিনীর সংস্কারমূলক কর্মপরিকল্পনার সাথে সমন্বিত করতে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে সারাদেশের মোট ৫২,১৮৩ জন সদস্য এতে অংশ নেবেন। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ ৮ ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে ১০ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে সমাপ্ত হবে। প্রতিটি ধাপ ১৪ দিনব্যাপী। মহাপরিচালক মহোদয়ের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো: আসাদুজ্জামান গনী এবং বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, আজ ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বুধবার সকাল ৭ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন হিজলা ও কালীগঞ্জ কর্তৃক বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন দড়ির চর খাজুরিয়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত নাইম (২৯) কে আটক করা হয়।
আটককৃত ডাকাত বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন দড়ির চর খাজুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত সকল আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেহেন্দিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
বরগুনার পাথরঘাটায় নুরুল ইসলাম মনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ছানি অপারেশনের সুযোগ পেয়েছেন এক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী পাথরঘাটা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা প্রত্যেককে ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি বিনামূল্যে চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর উদ্বোধন করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
চিকিৎসা নিতে আসা সুভাষচন্দ্র, হাসিনা বেগম, ফয়সাল খন্দকার ও শরিফা রাবেয়া বেগম বলেন, গ্রামের অসহায় মানুষ বড় শহরে গিয়ে চোখের ডাক্তার দেখাতে পারেন না। এ ধরনের উদ্যোগের কারণে তারা ঘরে বসেই চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। তারা বলেন, “প্রতিমাসে যদি এমন আয়োজন হতো, তবে গ্রামের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হতো।
নুরুল ইসলাম মনি ফাউন্ডেশনের সদস্য যুবরাজ বলেন, আমরা এক হাজার মানুষকে ফ্রিতে চক্ষু চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়েছি। খুব শিগগিরই আরও ২-৩ শত মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্হা করা হচ্ছে।
আগামীতে সমগ্র জেলা জুড়ে এ ধরনের ক্যাম্পের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। যারা সামর্থ্যের অভাবে ডাক্তার দেখাতে বা ওষুধ কিনতে পারেন না, তাদের পাশে সবসময় নুরুল ইসলাম মনি ফাউন্ডেশন থাকবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নুরুল ইসলাম মনি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটি উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য। আমরা আশা করছি আগামী দিনেও মানবতার সেবায় নিয়োজিত নুরুল ইসলাম মনি ফাউন্ডেশন এই জনপদের মানুষের পাশে থাকবে।
বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা পেয়ে রোগীরা নূরুল ইসলাম মণি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম মণি সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কুমিল্লা সদর উপজেলার কালীর বাজার ইউনিয়নের ধনুয়াখলা পূর্ব পাড়ার কমলাপুর সড়কের পশ্চিম পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন এক মাদ্রাসা-মসজিদের নামে পরিচালিত কথিত রাজারবাগী অনুসারীদের কুফর ও শিরকি আকীদাভিত্তিক আস্তানা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার ধনুয়াখলা বাজারে সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা বলেন, এলাকাবাসীর ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি চরম অবজ্ঞা দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজারবাগী মতাদর্শে পরিচালিত এই ভণ্ড আস্তানা ইসলাম ধর্মের মৌলিক আকীদার পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে।
বক্তারা আরো জানান, কুরআন ও সহীহ হাদীসভিত্তিক ইসলামি শিক্ষা ও চর্চার পরিবর্তে বিভ্রান্তিকর ও ভ্রান্ত আকীদা প্রচার করে মুসলিম সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এই চক্র। এতে নতুন প্রজন্মের ধর্ম থেকে বিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।প্রতিবাদ সভায় তাওহীদি জনতার পক্ষে বক্তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন এবং এই ভ্রান্তপথগামী গোষ্ঠীর কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম রায়হান, জামাতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, কালীর বাজার ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সিআইপি, কুফর শিরক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হাফেজ আহমদ। এছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলো।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আজ এই মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এরপর আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন মনিটরে ছেলেকে গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বার বার চোখ মুছছিলেন।
এরপর প্রসিকিউসনের আবেদনে আগামীকাল এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ৩০ জুলাই প্রসিকিউসনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে, আসামী পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়।
এরপর গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এই মামলার যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়, তাদের মধ্যে গ্রেফতার ৬ জন আজ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
এরা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৩০ জুন ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।
২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।
ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে, একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।
জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা যে কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) করেছি, সে কর্মপরিকল্পনাটা আপনাদের জানাবো। আমি ঢাকার বাইরে থাকায় একটু পিছিয়ে পড়েছি। এটা আমার টেবিলে এখন আছে। আগামীকাল পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করেন।’
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব আজ এক বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে কমিশন।
এখন যেকোনো সময় নির্বাচনের এই রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।’
উল্লেখ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা জারি, প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড নিবন্ধন ও পোষ্টাল ব্যালট পদ্ধতি ও নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে রোডম্যাপে।
মন্তব্য