× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The thief took football with the primary school ceiling fan
google_news print-icon

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফুটবলও নিয়ে গেল চোর!

প্রাথমিক-বিদ্যালয়ের-সিলিং-ফ্যানের-সঙ্গে-ফুটবলও-নিয়ে-গেল-চোর

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ বালুদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চোরেরা বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষের তালা কেটে আটটি সিলিং ফ্যান ও শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার জন্য রাখা ফুটবলও নিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের আলমারির তালা ভেঙে কাগজপত্রও তছনছ করেছে। আজ বুধবার সকালে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। এদিকে সেলিং ফ্যান চুরি হওয়ায় আজ বুধবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে ভোগান্তির শিকার হন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরি নেই। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যালয়ে এসে দেখি, অফিস কক্ষ ও পাশের শ্রেণিকক্ষের দরজার হ্যাজবল কাটা রয়েছে। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি, দুই ঘরের আটটি ফ্যান খুলে নিয়ে গেছে। অফিস কক্ষের ভেতরে রাখা স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা করার চারটি ফুটবলসহ অন্যান্য জিনিত্রপত্রও চুরি হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিদ্যালয়ে ফ্যান না থাকায় সবার অনেক কষ্ট হচ্ছে।

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুন আক্তার বলে, আমাদের শ্রেণিকক্ষের চারটি ফ্যান চুরি হয়েছে। গরমের মধ্য ক্লাসে বসে থাকতে গা ঘেঁমে যাচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মজনু বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিদ্যালয়ের চুরির ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। দুটি কক্ষের মোট ৮ টি ফ্যান ও কিছু খেলাধুলার সামগ্রি চুরি হয়েছে। বিদ্যালয়টি নতুন জাতীয়করণ হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ে কোন নৈশপ্রহরি নেই।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Must maintain a peaceful environment not violence focusing on elections Sharmin S Murshid

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে: শারমীন এস মুরশিদ

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে: শারমীন এস মুরশিদ

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, "৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েছি, আর ২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ধারা আরও সুদৃঢ় হবে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরের দুঃশাসন এক-দুই বছরে দূর করা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা একটি নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি, তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে—নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে। সহিংসতা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে, গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই আমাদের মূল লক্ষ্য।"

আজ (২৭.০৮.২৬) বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নদীভাঙন প্রসঙ্গে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, "মেঘনা নদীর ভাঙনে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও জীবিকার সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।"

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মব জাস্টিস ও সাইবার অপরাধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "মব জাস্টিসের পেছনে অন্যতম বড় কারণ হলো ভুল তথ্য ছড়ানো—আর এর জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অপব্যবহার দায়ী। সাইবার অপরাধ একটি নতুন চ্যালেঞ্জ, এটি সরকার একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তরুণ সমাজকে আইটি সেক্টরে দক্ষ হতে হবে এবং এই অপরাধ রোধে এগিয়ে আসতে হবে।"

অবৈধ বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রশাসনের একার পক্ষে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব বিভাগ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাঁন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু মোছা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালেদ বিন মনসুর, নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম এবং নবীনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
After the imprisonment in India 4 Bangladeshi teenagers returned home

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল বাংলাদেশি ১৭ কিশোর-কিশোরি

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল বাংলাদেশি ১৭ কিশোর-কিশোরি

ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অপরাধে তিন বছর কারাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরি।

বুধবার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যার দিকে বেনাপোল সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। কলকাতায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ও বিএসএফের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার এসিল্যান্ড, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন, বিজিবি কর্মকর্তারা এবং তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

যারা দেশে ফিরেছেন তারা হলেন- মঈন খান, অবন্তি দাস, নূর আলম, হৃদয় মন্ডল, ইমরান শেখ, মেহেদী হাসান, নাহিদ মোড়ল ফয়সাল শেখ, রানা হাওলাদার, শামীমা আক্তার, শান্তা আক্তার, ইমু খাতুন মিথিলা রহমান, সাইম জমাদ্দার, কমল সর্দার ও নূরজাহান খাতুন। এরা দেশের পাবনা, গাজিপুর, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, লক্ষিপুর, খুলনা, নড়াইল, লালমাটিয়া, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ১৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরিকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ফেরত আসাদের গত তিন বছর আগে ভারতীয় পুলিশ কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে এবং পরে আদালতের নির্দেশে তাদের দেড় থেকে ৩ বছরের সাজা দেয়। সাজা শেষে তারা আজ দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরত আসা সবাই পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন শেল্টারহোমের হেফাজতে ছিল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Baris inventive technology exhibit for young entrepreneurs

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী

“তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং-এর উদ্যোগে বুধবার সকালে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, নবীন কৃষি উদ্যোক্তা এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।

বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এসময় বারি’র উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং) ড. মো. আব্দুর রশীদ; পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মতিয়ার রহমান। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/বিভাগ/শাখার বিভাগীয় প্রধানগন ও সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীর উদ্ভোধন পরবর্তী একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. সৈয়দা তাসনীম জান্নাত। তারুণ্যের উৎসব” অনুষ্ঠান কো-অর্ডিনেট করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিজানুর রহমান।

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানটি ফিতা কেটে উদ্ভোধন করেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত জাত, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্যের প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এসব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হন এবং বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এই কর্মসূচি তরুণদের মধ্যে কৃষি বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি এবং কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা জ্ঞাপন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gazipur Agricultural University is free of fishery pona

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্ত

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্ত

মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর গাজীপুর এর আয়োজনে এবং গাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার নির্ধারিত পুকুরে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুর্শিদা খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে গাকৃবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গাজীপুর জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীবৃন্দসহ গাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ্ মৃধা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। পরে ধারাবাহিকভাবে মৎস্যসম্পদের গুরুত্বেও উপর বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। বক্তব্যে তাঁরা দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী মাছ উৎপাদনে গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা, দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থার

সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ সময় মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গবেষণা ও শিক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। অন্যদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্যবলেন, এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের দেশের মৎস্যখাতের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আমরা একটি টেকসই ও আধুনিক মৎস্য ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যেতে পারি। এ সময় উপাচার্য মৎস্য অধিদপ্তরকে গাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One day after coming to his fathers house the body of the child was found hanging

বাবার বাড়িতে আসার একদিনপর বাঁশঝাড়ে মিললো ৩ সন্তানের মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ

বাবার বাড়িতে আসার একদিনপর বাঁশঝাড়ে মিললো ৩ সন্তানের মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাবার বাড়িতে তার অসুস্থ খালাকে দেখতে আসার একদিন পর বাঁশঝাড়ের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মোছাঃ হালিমা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাগবাড়ী এলাকায় তার বাবার পরিত্যক্ত বাড়ির আঙিনার একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

হালিমা বেগম উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মৃত জুয়াদ আলীর মেয়ে এবং জেলার পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার মনহরা গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী। তিনি সন্তানের মা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালিমা গত মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট তার অসুস্থ খালাকে দেখতে তার বাবার বাড়িতে আসে। পরদিন বুধবার সকালে স্থানীয়রা তাকে বাড়ির পেছনে বাঁশঝাড়ের একটি গাছে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন- স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে রহস্য উদঘাটন হবে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mulhota was arrested in connection with the robbery at Ghatails house in Tangail

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মুলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৭

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মুলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৭

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হচ্ছে মো. সোহাগ মন্ডল, মিন্টু, মোশাররফ, জসিম, আমিনুল, আনোয়ার, ময়নাল।

বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গেলো ১৮ আগস্ট ভোর রাতে ঘাটাইলের চকপাকুটিয়ার স্বর্ণকার অমল বনিকের বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রাণীদ্বয়কে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, রূপার গহনা, পিতলের প্রতিমা ও মোবাইল সেটসহ ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় অমল বাঁধা প্রদান করলে ডাকাতরা তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে বাদির বাম হাতের কব্জির উপর পোঁচ মেরে রক্তাক্ত কাঁটা জখম করে। ডাকাতির সময় এলাকার লোকজন অমলের ডাক চিৎকারে টের পেলে ডাকাতরা হিন্দু বাড়িতে পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অমর বনিক বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ২৪ আগস্ট রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. সোহাগ মন্ডলকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে অত্র মামলার ঘটনায় লুন্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে নিজেকে জড়িয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য একাধারে অভিযান পরিচালনা করা হয় । পরবর্তীতে আসামী ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড মিন্টুকে মঙ্গলবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। মিন্টুর দেখানো মতে অন্যান্য আসামীদের বিভিন্ন সময়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করা হয় এবং লুণ্ঠিত মালামাল স্বর্ণ ও রুপা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন সময়ে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে আসছে। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল, ৫ রতি স্বর্ণ ও ৩৪ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য

নড়াইলে কিশোরীদের সঞ্চয়ী হরার সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

নড়াইলে কিশোরীদের সঞ্চয়ী হরার সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

স্কুল জীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী হতে সঞ্চয়ের খাতা খোলার পরামর্শসহ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সমাবেশ ও করছে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)। এ জন্য ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে” করলে সঞ্চয় ২০০ টাকা, সরকার দেবে ৪০০ টাকা” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে।

গতকাল দুপুরে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড নড়াইল জেলা শাখা সদর উপজেলার গোবরা পার্ব্বতী বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন এক প্রশিক্ষণসহ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রায় দুই শতাধিক কিশোরী অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ।

প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার জাহান। সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিআরডিবির উপ-পরিচালক মো. গোলাম রসুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশীদ ।

জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ছোট থাকতেই সবার সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা উচিত। সঞ্চয় হচ্ছে বিপদের বন্ধু। তিনি বলেন, আগে দাদা-দাদীকে দেখেছি মাটির ব্যাংক অথবা বাশের খুটি ছিদ্র করে সেখানে টাকা পয়সা জমা রাখতে। তাদের কাছ থেকেই আমরা সঞ্চয়ী হতে শিখেছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন থেকেই তোমাদের সঞ্চয়ী হতে হবে। সেই টাকা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবে। বাবা-মায়ের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। নিজে স্বাবলম্বী হও অপরকেও হতে বলো।

বিআরডিবির উপ-পরিচালক মো. গোলাম রসুল বলেন, সমাজের দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত কর্মসংস্থান প্রকল্পের (ইরেসপো) দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠত হচ্ছে। তিনি বলেন, কিশোরীদের শিক্ষা,দক্ষতা,উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সমাজ সচেতনতায় এ ধরণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এতে কিশোরীদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে ওঠার সাহস যোগায় ।

পরে সঞ্চয়ের টাকা, বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ সামগ্রী স্যানেটারী নাপকিন, খাতা-কলম, স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বাল্যবিবাহকে না বলুন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এমন শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সজল বিশ্বাস।

মন্তব্য

p
উপরে