× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Visit the Rohingya shelter camp for representatives of foreign diplomats and political parties
google_news print-icon

বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন

বিদেশি-কূটনীতিক-আন্তর্জাতিক-সংস্থা-ও-রাজনৈতিক-দলের-প্রতিনিধিদের-রোহিঙ্গা-আশ্রয়-শিবির-পরিদর্শন

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কক্সবাজারে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক অংশীজন সংলাপের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিনিধিরা শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য সরবরাহ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বিশেষভাবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং ইউএনএইচসিআরের স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় তাঁরা রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জ, দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা সম্পর্কে শোনেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে ঘুরে দেখানো হয়েছে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে এ শিবিরগুলোতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এজন্য আমরা দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা শুধু বাংলাদেশের ওপর নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কক্সবাজারে কর্মরত বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার শেখ রবিউল আলম জানান, বিদ্যমান তহবিল দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু এখনো নতুন অর্থায়নের কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি, যা ইতোমধ্যেই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নতুন অর্থায়ন না এলে খাদ্য সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’

এদিকে শিবির পরিদর্শনে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি পুরো কার্যক্রমকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। রাজনৈতিক নেতারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনো একক সরকারের সমস্যা নয়, বরং এটি জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। তাদের মতে, সব দলের সক্রিয় সম্পৃক্ততা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী করবে।

বিদেশি কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অসাধারণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এটিকে বৈশ্বিক মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সংলাপ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, বৈশ্বিক কূটনীতির এ প্ল্যাটফর্ম থেকে সংকট সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

কক্সবাজারে আয়োজিত এ সংলাপে সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ কক্সবাজারকে রূপ দিয়েছে বৈশ্বিক মানবিক কূটনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে। রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো তিন দিনের এ সংলাপ।

রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছিল ‘স্টেকহোল্ডার্স’ ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়েজ টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এই সংলাপ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Jubo leader Shamims original planner is the killer wife and Schalk Emon arrested

যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

যুবদলনেতা শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক স্ত্রী ও শ্যালক ইমন গ্রেফতার

সাতক্ষীরার তালার যুবদল নেতা এসএম শামীম আহম্মেদ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মূল আসামি তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (৩০) ও শ্যালক ইমন হোসেন বাদল (১৮) কে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল এলাকায় শামীমের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় বৃষ্টির স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতিও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশের এএসপি সার্কেল আবির শুভ্রসহ পুলিশ ও র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়ির তিন তলায় নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাতক্ষীরা তালার উথালী গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এসএম শামীম আহম্মেদ। এ'হত্যাকান্ডের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা না'পাওয়ায় পুলিশ তাদের নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।

নিহত যুবদল নেতা শামীমের মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রশিদা বেগম, গত রোববার কারো নাম উল্লেখ না করে ডুমুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ-হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম তদন্তে নামে।

ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মাসুদ রানা জানান, ‘শামীম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবির শুভ্র জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী বৃষ্টি আগে থেকেই স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি একটি চাপাতি সংগ্রহ করে রাখেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার রাতে বৃষ্টির ভাই বাদল চাপাতি দিয়ে শামীমকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের সময় বৃষ্টি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে হত্যায় ব্যাবহৃত অস্ত্র পাশের একটি গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। এএসপি আরও বলেন, বৃষ্টির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এ'ঘটনায় অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The driver of the auto rickshaw killed the driver in Noakhali

নোয়াখালীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নোয়াখালীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের এক চালককে হত্যা করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশ থেকে ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত অটোরিকশা চালকের নাম মো.রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তিনি সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ফজল হক মিয়ার বাড়ির আক্কেল আলীর ছেলে।

নিহতের পারিবার ও স্থানীয়রা জানান ,গত ২-৩ মাস আগে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন রফিকুল ইসলাম। সোমবার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পায়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পড়ে থাকতে দাখে। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ চরজব্বার ইউনিয়ন ৫নম্বর ওয়ার্ডে ফেলে অটোরিকশা ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে এলাকাবাসী মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটিকে হত্যাকান্ড মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায় নি। মরদেহের গলায় গোলাকার দড়ি পেঁছানো কালো একটি দাগ আছে, বাম হাতের আঙুল থেতলানো, পিঠের পিছনে ফোলা জখম। মুখের মধ্যে কি দিয়ে, নাক-মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। অন্য কোন পদার্থ কিনা দেখা হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two arrested in Chuadanga

চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আটক দুই

চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, আটক দুই

চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়ায় এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত তৈয়ব আলী (৪০) ও মিরাজ হোসেন (২০) একই এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিরাজের বাবা তৈয়ব আলীর সঙ্গে তার আপন ভাতিজা একই এলাকার বাবু ও ভাগ্নে রাজুর সাথে প্রায় দেড় কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটাতে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। একই বিরোধের জেরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আলোকদিয়া তুফান মিয়ার গোডাউনের অদূরে পাট শুকানোর সময় মিরাজ ও তার বাবার উপর হামলা চালায় বাবু ও রাজু। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মিরাজ। গুরুতর আহত হন তার বাবা তৈয়ব আলী। আহত তৈয়বকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবু ও রাজুকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pirojpur District Police recovered 20 lost mobile phones and handed over to the owners

২০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ

২০টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পিরোজপুর জেলা পুলিশ

পিরোজপুরে হারানো মোবাইল ও হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন পিরোজপুর জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানান পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।

পুলিশ সুপার জানান, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ২০ টি মোবাইল ফোন ও ৫ টি হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজপুর সদর থানায় ৩টি, ইন্দুরকানি থানায় ৫টি, মঠবাড়িয়া থানায় ৩টি, নাজিরপুর থানায় ৬টি এবং ভান্ডারিয়া থানায় ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে হ্যাক হওয়া পাঁচটি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের আরও জানান, অতি অল্প সময়ের মধ্যে পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাধারণ ডায়েরি অনুযায়ী ২০টি মোবাইল ফোন ও ৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের জেলা পুলিশের এরকম উদ্ধারজনিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human bonds demanding stopping irregularities at Nalitabari Upazila Hospital

নালিতাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নালিতাবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নালিতাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৬ আস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক রুহুল আমিন সিদ্দিকী রুমান, মানব কল্যাণ সংস্থা ইনসাফ এর চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ পাহাড়ী, উপদেষ্টা মানিক মিয়া, সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম উজ্জ্বল, নালিতাবাড়ী ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের সদস্য আবদুল্লাহ আল আমিন ও ভুক্তভোগী লোকজন ও রোগীরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বলেন উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান খুবই নিম্নমুখী। হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সিন্ডিকেট। এছাড়া হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। এসব বন্ধের জন্য জোর দাবী জানান বক্তারা। এসময় আয়োজকরা হাসপাতালের সঠিক সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯টি দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবী পুরন না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারিও দেন বক্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two smugglers with 5 gold bars on the Darshan border of Chuadanga

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৮টি স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি আটক

ভারতে চোরাচালানের সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় আটক করা হয়েছে দুই চোরাকারবারিকে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী। আটককৃতরা হলেন- দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন (৪৯) ও একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৭)।

বিজিবি জানায়, সকালে ভারতে চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি। এসময় একটি মোটরসাইকেলেযোগে দুই ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের থামার সংকেত দেওয়া হয়। এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরে আটক আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তির কোমরে অভিনব কায়দায় লুকানো ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারি পরিচালক হায়দার আলী জানান, ৮টি স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ১৬২ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৮২ টাকা। আটক আসামিদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

কুষ্টিয়ায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় পৃথক তিনটি অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় ৪ হাজার কেজি কারেন্ট জাল, ভারতীয় ৯০ বোতল মদ ও ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আটককৃত সকল মাদক ও জালের মূল্য ১ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

বিজিবি সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হাইওয়েতে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সিরাজগঞ্জ থেকে বেনাপোলগামী রয়েল এক্সপ্রেস বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪ হাজার কেজি অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জালের মূল্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। পরে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

পরদিন ২৬ আগস্ট সকালে দুটি পৃথক মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। প্রথম অভিযানটি সকাল ৬টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের চল্লিশপাড়া মাঠ এলাকায় চালিয়ে ভারতীয় ৯০ বোতল মদ জব্দ করা হয়, যার মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় অভিযানে সকাল ১০টার দিকে গাংনী উপজেলার রংমহল সীমান্তের খাসমহল মাঠ থেকে ২ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার টাকা।

বিজিবি জানায়, এসকল মাদক ও মালামালের মোট মূল্য ১ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন স্টোরে জমা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ জানান, সীমান্তে মাদক পাচার, অবৈধ কারেন্ট জাল সরবরাহ ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে