জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম এখন থেকে সরকার নির্ধারণ করবে। হাইকোর্ট ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে ১৯৯৩ সালের সরকারি গেজেট পুনর্বহাল করেছে, যেখানে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে সরকার তা প্রকাশ করেছিল। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এসব ওষুধের দাম সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের ১১ ধারা অনুযায়ী ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত ছিল। সে ধারার ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭৩৯টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু পরের বছর ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করে। সেখানে বলা হয়, মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে, আর বাকি ওষুধগুলোর দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি ওষুধ অনেক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হতে শুরু হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে সার্কুলারটি চ্যালেঞ্জ করে এইচআরপিবি। এর আগে প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে রুল জারি করে জানতে চান কেন সার্কুলারটিকে বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
সেই মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের আদালতে তারিখ নির্ধারণ হয় এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল সোমবার ওই সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন ওই আদালত।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি আদালতে যুক্তি দেন, জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরাসরি নাগরিকদের জীবনের অধিকার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সরকার এই নিয়ন্ত্রণ সীমিত করায় উৎপাদনকারীরা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশে সরকারের হাতে এই ক্ষমতা দেওয়া হলেও ১৯৯৪ সালের সার্কুলার তা খর্ব করেছে, যা সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবাদী পক্ষ, অর্থাৎ ওষুধ মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস. কে. মোরশেদ। তারা যুক্তি দেন, এইচআরপিবি এ ধরনের রিট করার বৈধতা রাখে না। তবে বাদীপক্ষ থেকে জবাবে বলা হয়, পূর্বে জনস্বার্থে স্বাস্থ্য খাত সম্পর্কিত একাধিক রিট দায়ের করে রায় পাওয়া গেছে, তাই এই রিটও বৈধ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ এজাজ করিব।
আদালত সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার ১৯৯৪ সালের সার্কুলারটি অবৈধ। আদালত নির্দেশ দেন— এখন থেকে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে। দাম নির্ধারণের পর তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। এমনকি স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
রিট পিটিশনার ছিলেন এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী। বাদী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল। বিবাদীরা ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব, ডিজি হেলথ, ডিজি ড্রাগ, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ছয়জন।
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে গত ১৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার জীবনরক্ষাকারী ওষুধের নতুন তালিকা প্রণয়নের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। হাইকোর্ট তার রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সব ওষুধের দামও সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে।
যশোরের শার্শার কায়বা সিমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা। আটককৃতরা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক আসামীরা হলেন,রথিন্দ্রনাথ গাইনের ছেলে হৃদয় গাইন (২৩),শিশির মন্ডল,সুজিত মন্ডল (৩৪), শ্রীকান্ত গাইনের ছেলে কুমার জিন্দ্র গাইন (৫০), কলিন্ড মন্ডলের ছেলে পাঞ্চু মন্ডল (৩৬),মৃত সুশান্ত নন্দীর মেয়ে পুতুল (২০),বিনয় অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অনুকারী (১৭),মৃত শামসুর শেখের মেয়ে ছবুরণ বেগম (৪৫) তারা বিভিন্ন জেলার।
খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার, জানান গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে জানা যায় যে কায়বা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কায়বা বিওপি‘র একটি টহল দল সীমান্ত শার্শা থানাধীন কায়বা গ্রামস্থ পূর্ব রুদ্রপুর নামক স্থান হতে ২৫ আগস্ট রাত ১১ টার সময় অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান যে, সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত প্রেষণা প্রদান করা হচ্ছে।এবং আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের মালামালসহ শার্শাথানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫ জন শপথ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) মোয়াজ্জেম হোসাইন।
শপথ নেওয়া ২৫ বিচারপতি হলেন— সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন), আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাজিউদ্দিন আহমেদ ও ফয়সাল হাসান আরিফ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম সাইফুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান ও মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দিহিদার মাসুম কবীর, হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব মুরাদ–এ–মাওলা সোহেল, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন, সলিসিটর (জেষ্ঠ জেলা জজ) মো. রাফিজুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, মো. লুৎফর রহমান ও রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাতেমা আনোয়ার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ হাসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান, সৈয়দ হাসান যুবাইর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উর্মি রহমান এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শক্রমে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উল্লিখিত ২৫ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ২ বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করিয়াছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।
পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৭১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ১৭০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৪১ জন রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশ একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৭১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
তিন বছরেও শেষ হয়নি নওগাঁ-বদলগাছি আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্থকরনের কাজ। জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে কিছু কিছু জয়াগায় কাজ শেষ না হওযায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। এছাড়াও তিন বছরেও ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের টাকা বুঝে পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।
জানা যায়, শহরের বরুনকান্দি ঠেংভাঙার মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ৬৮০জন জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরনের ৬২ কোটি টাকা পাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে। কিন্তু ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতার কারণে আর কাউকেই দেওয়া হয়নি ভূমি অধিগ্রহণের টাকা। সড়ক বিভাগের অবহেলা ও উদাসীনতা কারনে তৈরি হয়েছে এমন জটিলত। নিয়ম না থাকলেও সড়ক বিভাগ থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়। আবার ক্ষতিগ্রস্তরাও এই টাকা দিতে রাজি নন। ফলে শুরু হয় এমন জটিলতা। এদিকে জায়গা বুঝে না পেয়ে কাজ রেখে চলে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়ক বিভাগ ১৯টি প্যাকেজে জেলার বিভিন্ন রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ করছে। এর মধ্যে এক নাম্বার প্যাকেজে শহরের বালুডাঙ্গা বরুকান্দি মোড় থেকে কীর্ত্তিপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফিট থেকে ২৪ ফিট (চওড়া) প্রশস্তকরণ কাজের প্রকল্প নেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পান মেসার্স জামিল ইকবাল লিমিটেড নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রশস্তকরণের এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় সড়কের পাশে থাকা ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ও স্থাপনা পড়ে। এসব জমি ও স্থাপনার একটা নির্দিষ্ট মূল্য ধার্য করে অধিগ্রহণ করা হয়।
সড়ক বিভাগ বলছে, ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার সড়কের কাজ শেষ করতে পারছেন না।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জানান, ‘তিন বছর পার হলেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো তারা বুঝে পাননি। এছাড়াও জমি থেকে স্থাপনা সরানো বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে নিতে নওগাঁ সড়ক বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হলে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ক্ষতিপূরনের টাকার জন্য প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছেন না তারা। প্রায় দেড় মাস আগে মানুষ দেখানোর জন্য নাম মাত্র একজনের কাছে চেক হস্তান্তর করা হলেও এরপর আর কোন অগ্রগতি নেই।’
আল মামুন নামে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বলেন, ‘১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে এই জটিলতা দেড় বছর ধরে চলে আসতেছি। আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এইভাবে টাকা কেটে নেওয়ার কোন নিয়ম কোন জেলাতে নেই। আমরা দুই বছর থেকে ঘুরতেছি এখনো কোন টাকা পায়নি। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জটিলতা নিরসন করে আমাদের পাওনা টাকা দিয়ে দেওয়া হোক।’
জাহাঙ্গীর আলম, জিল্লুর রহমানসহ আরো কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক বলেন, ১জমির সকল শুনানি শেষ হয়ে গেছে। আমাদে কাগজপত্র সব সঠিক আছে। টাকার জন্য আমরা শুধু ধরনা দিচ্ছি সড়ক বিভাগে ও ডিসি অফিসে। আজ দিবে কাল দিবে বলে শুধু ঘুরানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোন টাকা পাচ্ছি না।’
আব্দুর রহমান নামে ক্ষতিগ্রস্থ এক জমির মালিক বলেন, ‘ঠেংভাঙা মোড় এলাকায় ৬ শতাংশ জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণের টাকা পাবো। শুধুমাত্র জমির মূল্য বাবদ একটা চেক দেওয়া হয়েছে। স্থাপনার মূল্য এখনও দেওয়া হয়নি। ১০ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া নিয়ে জটিলতায় আটকে আছে। এর জন্য সড়ক বিভাগ দায়ী।’
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ তিন বছরেও যেসব এলাকায় কাজ শেষনি সেসব এলাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারী ও এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে পাহাড়পুর ও কীর্ত্তিপুর বাজার এলাকায় সড়কের পিচ, ইট, পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলোতে পানি আটকে বড় ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস, ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন। সংস্কার না হওয়ায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
এই সড়কে চলাচলকারী বাস চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই রাস্তার এ অবস্থা। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। রাস্তা যখন খারাপ ছিল, তখন কিন্তু কষ্ট ছিল না যতটা না রাস্তার কাজ শুরুর পর কষ্ট হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে।’
এবিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের ৬২ কোটি টাকা জেলা প্রশাসন বরাবর অনেক আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণের জমি হস্তান্তর না করার কারণে সড়কের কিছু কিছু জায়গায় কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। জমি হস্তান্তর করা হলে খুব দ্রুত অসমাপ্ত সড়কের কাজ শেষ করা যাবে।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে দেওয়া একটা চিঠির বিষয়ে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের মালিকদের মধ্যে কিছু ঝামেলা আছে। কেউ কেউ অভিযোগ দিয়েছে, এমনকি আদালতে মামলা করেছে। তারপরও জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০ শতাংশ জটিলতার অবসান করা হয়েছে। জটিলতা থাকলেও আংশিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
এ পর্যন্ত কতজনকে জমি ও স্থাপনার মূল্য বাবদ চেক দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সংখ্যাটা সরাসরি না বলে বিভিন্ন প্যাকেজে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর মোহনপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে দুইটি যানবাহন রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে আটজন সেনাসদস্যসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী সিএমএইচ এবং দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘মোহনপুর মডেল টাউনের সামনে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়িকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়ি ও ট্রাক রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।’
আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ভারতীয় একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ।
তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) রাত ৮টার দিকে প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন।
এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল সরকার। পরে ভারতও রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিলেন। এতে পেঁয়াজ কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষের গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, প্রতি টন ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান, কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেঁয়াজের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিন নেই,রাত নেই নড়াইলের গ্রাম প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত(গ্রাম পুলিশ)এমন
চারজন(ভিডিপির)গুণী মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে । সম্মাননা স্বরুপ তাদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস ।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন,ড্রিল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন,মাহির মোল্যা,অলরাউন্ডার হিসেবে তানভীর শিকদার,অ্যাকসিলেন্স হিসেবে ইয়ামিন হাসান ও মাহামুদুল হাসান ।
সোমবার (২৫ আগষ্ট)রাত ৭টার দিকে জেলা আনসার ও ভিডিপি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠান ছিল গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর অগ্রীম প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান । কর্মশালায় গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের কর্মতৎপরতা আরো গতিশীল এবং সময়োপযোগি করতে কি কি করণীয় তার ওপর দিক নির্ধেশনা দেওয়া হয় । ২৮ দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাছাইকৃত ৫০ জন পুরুষ সদস্যকে সুযোগ দেওয়া হয় । প্রশিক্ষণ শেষে কর্মদক্ষতায় সেরা এমন ৪ জন সদস্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় ।
সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর জেলা কমাড্যান্ট মো.নুরুল আবছার । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট মমতাজ খানম,সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ঈদুল তালুকদার,উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র পাল,উপচেজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক শুভ মালাকারসহ অন্যরা ।
মন্তব্য