× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Locals are angry at the murder of mysterious student Mostafizur in Naogaon for 6 months
google_news print-icon

নওগাঁয় ১০ মাসেও রহস্যহীন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর হত্যা, দিশেহারা পরিবার, ক্ষোভে স্থানীয়রা

নওগাঁয়-১০-মাসেও-রহস্যহীন-শিক্ষার্থী-মোস্তাফিজুর-হত্যা-দিশেহারা-পরিবার-ক্ষোভে-স্থানীয়রা

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মসরইল গ্রামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান হত্যার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো উদঘাটন হয়নি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য। তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় হতাশ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিহতের পরিবার। বিচারের আশায় দিন গুনছে তারা। স্থানীয়দের মধ্যেও বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। তারা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় মধইল বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তার ঘরে এখন ঝুলছে আইডি কার্ড, ফাঁকা পড়ে আছে শোবার ঘর। বিলাপ করছেন পরিবারের সদস্যরা। মাঝে মাঝেই মোস্তাফিজুর রহমান এর ঘরে গিয়ে ছবি আঁকড়ে ধরে কাঁন্না করেন তার মা। এক অজানা কারনে ঝড়ে গেল তাজা প্রাণ।

নওগাঁয় ১০ মাসেও রহস্যহীন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর হত্যা, দিশেহারা পরিবার, ক্ষোভে স্থানীয়রা

যেভাবে পাওয়া যায় মোস্তাফিজুরের লাশ:

গত বছরের ৬নভেম্বর সন্ধ্যার সময় মোস্তাফিজুর রহমান মাগরিবের নামাজ পড়তে গ্রামের একটি মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন মসজিদে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে সকল আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ খবর নেওয়া হয়। তারপরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের আটদিন পর ১৩নভেম্বর দুপুরে স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে কয়েকটি হাড় ও নাড়িভুঁড়ি ছড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপর তারা সেখানে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ধানক্ষেতের ভেতরে একটি গর্ত দেখতে পায়। সেখানের মাটি সরিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার শার্ট ও লুঙ্গি দেখে মোস্তাফিজুরের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। ঘটনার পর মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।

দিশেহারা মোস্তাফিজুরের পরিবার:

বিলাপ করে মোস্তাফিজুর রহমানের মা মোসলেমা আক্তার বলেন, ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমার কলিজার টকরো সন্তানটি আর ফিরেনি। তারপর রাত গড়িয়ে যায় তবুও খোঁজ পাইনা। গ্রামের অনেকের বাড়ি ও পরিচতজনদের সাথে যোগাযোগ করে কোন সন্ধান পাইনি। তার ৮দিন পর ধানক্ষেতে টুকরো-টুকরো হাড়সহ অর্ধগলিত দেহ পাওয়া যায়। গায়ের কাপড় ও দেহেরে কিছু অংশ দেখে শনাক্ত করি যে ওটা আমার মোস্তাফিজুর। পুলিশ ডিএনএ টেস্ট করেও নিশ্চিত হয় যে ওটা আমার সন্তান। প্রায় ১০মাস হয়ে যাচ্ছে তবুও আমার সন্তানের হত্যার বিচার পাইনি। কারা মারলো, কি কারনে মারলো এসবের উত্তর আজও অজানা। আর কিছু বলতে পারছিনা বাবা এই বলেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন।

মোস্তাফিজুরের বাবা আনোয়ার হোসেন ও বোন জিন্নাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে মোস্তাফিজুরকে। ১০ মাস কেটে গেলেও আমরা এখনো জানতে পারিনি কে বা কারা এই জঘন্য কাজ করেছে। বিচার তো দূরের কথা, তদন্তেই কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছিনা। একজনকে আটক করা হয়েছিল, সে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। কারন সুনিনির্দিষ্ট প্রমাণ নাকি পাওয়া যায়নি তার বিরুদ্ধে। তাই আরও তদন্ত চলছে। সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা মামলায় এজাহারে কিছু নাম যুক্ত করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেননি। তারা মাঝে মাঝে আসে আবার চলে যায়। কি তদন্ত হচ্ছে সঠিক না কি সেটা আমরা বুঝতে পারছিনা। এতদিন হয়ে গেল আসামীদের আটক করা হয়নি। এভাবে আর আমরা কত ধৈর্য্য ধরে থাকবো। যার আপনজন হারায় সেই বুঝে কতটা ব্যাথা আর যন্ত্রনা হয়। দ্রুত সঠিক বিচার চাই আমরা। এভাবে যেন আর কোন সন্তানকে খুন হতে না হয়।

স্থানীয়রা যা বলছেন:

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন, মসজিদের মোয়াজ্জিন আবুল কালাম আজাদ ও ইউপি সদস্য মনছুর আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, নিহত মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন শান্ত-শিষ্ট ও ভালো ছেলে। তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। মোস্তাফিজুর কারও সঙ্গে কোনোদিন খারাপ ব্যবহার করেননি। এত নির্মমভাবে হত্যা করার বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছিনা আমরা। “এভাবে একজন শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হবে আর তার বিচার হবে না এটা তারা মেনে নিতে পারছেননা। প্রশাসনের কাছে দাবি দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। সেই সাথে এমন শাস্তি দেয়া হোক যাতে এমন নেক্কারজনক কাজ যেন কেউ করতে সাহস না পায়।

প্রশাসন যা বলছেন:

নওগাঁর পুলিশ সুপার মাহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম জানান, ১৩নভেম্বর স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে একটি মৃত দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত না হওয়ার কারনে ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি মৃতদেহটি মোস্তাফিজুর রহমানের। তদন্ত কার্যক্রম আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তদন্তে প্রমান পাওয়া যায়নি তার বিরুদ্ধে। তবে বাদী পক্ষের একটি অভিযোগ আছে যে, তারা আরও কয়েকজনের নাম তারা বলতে চাচ্ছেন। আমাদের তদন্ত কার্যক্রমে অন্যকারো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাচ্ছিনা। যখনই সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাবো তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলার এই পুলিশ প্রধান আরও বলেন, আমরা চাইনা কোন নিরপরাধ কেউ সাঁজাপ্রাপ্ত হোক। আমরা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে দোষীদের আইন এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশ স্লো কাজ করছেনা। আমরা ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি। তদন্তে আমরা মোটামুটি একটা পর্যায়ে চলে এসেছি। ফরেনসিক রিপোর্টটি হাতে পেলে আমরা চুড়ান্ত চার্জসিটের দিকে চলে যাবো।

তবে পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা মনে করছেন, তদন্তে উদাসীনতার কারণে বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। প্রশাসন ও সরকারের প্রতি তাদের জোর দাবি, দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The Ministry of Social Welfare wants to work through the coordination team to speed up the pace the new secretary of the ministry

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই: মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যে গতিতে এগোচ্ছে আরও গতি বাড়াতে সমন্বয় টিমের মাধ্যমে কাজ করতে চাই। আমি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সেবা দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকলের সহযোগিতা চাই। এজন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
নতুন সচিব বলেন,
আমি এই মন্ত্রণালয়ের সুনাম কাজের মাধ্যমে, আইন কানুন মেনে মানুষের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, সচিবের রুম আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এবং ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করে কাজের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন, আমার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমিও আপনাদের থেকে শিখতে চাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If elections in PR method will not be born again fascism Rezaul Karim

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না: রেজাউল করীম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না: রেজাউল করীম

ফেনীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ কমবে, সংলাপের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে ও প্রতিটি ভোটারের ভোট কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠাও সম্ভব হবে।

বুধবার (২০ আগষ্ট) বিকেলে ফেনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না: রেজাউল করীম

ফেনী জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ফেনীতে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করিম আকরাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া, ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফ উদ্দিন শিপন, জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান ও জেলা হেফাজতের সেক্রেটারী মাওলানা ওমর ফারুক।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণের সময় শিষ্টাচার মানা জরুরি, কারণ কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদকে ফের সুযোগ দেওয়া যাবে না। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র কাঠামো ও আইনী সংস্কারের কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসেনি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, এমনকি রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো অপরাধও বেড়েছে। মিডফোর্ট হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জনতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও তা রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে আড়াল করা হয়েছে। এসব অপরাধের সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা ও তাদের দলীয়দের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই বিএনপিকে এর দায় নিতে হবে। বিএনপির ভেতরের অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।জুলাই বিপ্লব ছিল নতুন বাংলাদেশ আবিষ্কারের সূচনা। বিপ্লবীদের শ্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক বাক্সে ব্যালেটের মাধ্যমে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former State Minister Nasrul Hamids bungalow in Keraniganj

কেরানীগঞ্জে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাংলো উচ্ছেদ

কেরানীগঞ্জে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাংলো উচ্ছেদ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলোবাড়ি উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। বুধবার সকালে নদীর জায়গা দখলমুক্ত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

কেরানীগঞ্জে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাংলো উচ্ছেদ

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান নদীর জমি দখল করে অবৈধভাবে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল যা দীর্ঘদিন ধরে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছিল।

অভিযানে তিনটি ভবন টং ঘর এবং বিভিন্ন গাছপালা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ, র‌্যাব-১০, ফায়ার সার্ভিস এবং আনসার সদস্যরা সহায়তা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হয়।

বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নদী রক্ষায় নিয়মিত এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চলবে। প্রভাবশালী বা পরিচিতি কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jewel detained accused of murdering suiter Mannan in Gazaria

গজারিয়ায় স্যুটার মান্নান হত্যা মামলার আসামি জুয়েল আটক

গজারিয়ায় স্যুটার মান্নান হত্যা মামলার আসামি জুয়েল আটক

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলোচিত স্যুটার মান্নান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জুয়েল প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায়।

আটক জুয়েল প্রধান (৩৫) গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামের শহীদুল্লাহ প্রধানের ছেলে।

খবর নিয়ে জানা যায়, স্যুটার মান্নান হত্যাকাণ্ডের পরও জুয়েল এলাকায় অবস্থান করছিল। এলাকার অবস্থান করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে এমন খবরের ভিত্তিতে ০৯ আগস্ট ভোর ছয়টার দিকে ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনীতে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জুয়েলসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পাঁচ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তলসহ শাহ আজিজুর রহমান পলাশ নামে জুয়েলের এক সহযোগী আটক হয়। এ ঘটনার পর থেকে জুয়েলকে গ্রপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় যশোরের বেনাপোল থেকে তাকে আটক করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' বিকাল পাঁচটার দিকে আমি খবরটি পাই। আটকের পর তাকে গজারিয়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে'।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ACCs Enforcement operation at Rajbari Sadar Hospital has found the authenticity of various irregularities

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান, মিলেছে নানা অনিয়মের সত্যতা

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান, মিলেছে নানা অনিয়মের সত্যতা

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের তৃতীয় দফায় অভিযানে খাবারে অনিয়ম, ঔষধে ঘাটতি, রোগীদের চিকিৎসা অবহেলা, নোংরা পরিবেশ সহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা মিলেছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুর্ণীতি দমণ কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।

দুর্ণীতি দমণ কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মুস্তাফিজ বলেন, রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুর কর্তৃক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালের বহি:বিভাগ, জরুরি বিভাগ, সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং রোগীদের খাবারের মান পরিদর্শন করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও রোগীদের সাথে আলাপচারিতায় প্রতীয়মান হয় যে, হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা প্রকট। রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের সংকটও অত্যন্ত দৃশ্যমান। হাসপাতালের ওয়াশরুমগুলো অপরিচ্ছন্ন এবং ভর্তি রোগীদের সকলকে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হয় না মর্মে টিম পরিলক্ষিত করে। অভিযানকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক কর্তব্যরত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাবারের মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করে এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানকালে খাবারে অনিয়ম, ঔষধে ঘাটতি, রোগীদের চিকিৎসা অবহেলা, নোংরা পরিবেশ সহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যাবলির প্রেক্ষিতে টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অভিযানচালে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এসএম আব্দুল হান্নান কাঙ্খিত সহযোগিতা করেনি। তিনি অভিযান চলাকালে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

অভিযানে সহযোগিতা করেন, দুর্ণীতি দমন কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান, সহকারী পরিদর্শক শামীম।

অভিযান চলাকালে রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের একটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তারা দীর্ঘ সময় তত্বাবধায়কের অফিসে বসে থাকলেও তাকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান বলেন, আমরা জেলা, সদর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতারা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন করি। চিকিৎসায় অবহেলা, নোংরা পরিবেশ, দালালদের দৌরাত্ব সহ নানা অনিয়ম পাই। বিষয়টি তত্বাবধায়ককে অবগত করতে ও সেবার মান বাড়াতে কথা বলতে গেলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kaptai Karnaphuli Water Power Manufacturer has 3 water jalpat without 5 inches again

ফের ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট

ফের ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট

ফের ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬ টি জলকপাট। বিষয়টি নিশ্চিত করে কপাবিকে এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েকদিন ধরে কাপ্তাই লেকের তীরবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মুহূর্তে মুহূর্তে লেকের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় অথাৎ বিপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় ফের দ্বিতীয় বারের মতো আজ বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ৮ টার কিছু সময় পর কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে কাপ্তাই লেক হতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তিনি আরোও জানান বুধবার ( ২০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮. ৩৫ ফুট মীনস সি লেভেল। লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীনস সি লেভেল।

ফের ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট

প্রসঙ্গত: রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বীপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় অথাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় চলতি মাসের গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের( কপাবিকে) ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে পানি ছাড়ার ৭ দিন পর লেকে পানির উচ্চতা কমে আসায় গত ১২ আগস্ট সকাল ৯ টায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট।

ফের ৬ ইঞ্চি করে ছাড়া হলো কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The person is imprisoned and fined for 5 days for saving marijuana

গাঁজা সেবনের দায়ে ৩ ব্যাক্তিকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

গাঁজা সেবনের দায়ে ৩ ব্যাক্তিকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাদখানা ইউনিয়নে গাঁজা সেবনের সময় গাঁজাসহ ৩ জনকে আটক করে প্রত্যেককে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫শত টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, চাঁদখানা ইউনিয়নের কেল্লাবাড়ী হাট সংলগ্ন ক্যানেলের পাশে তিন ব্যাক্তি মাদক (গাঁজা) সেবন করছেন-এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী আটককৃত প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০/- করে অর্থদণ্ড প্রদান করে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বগুলাগাড়ী বাবুপাড়া গ্রামের আইনাল চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী জীবন রায় (২৫), কেল্ল্যাবাড়ী গ্রামের শ্রী কালিচরনের ছেলে শ্রী সুজন রবিদাস (২২) কাটগাড়ী গ্রামের রমজান আলীর ছেলে নবাব (২০)।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, গাঁজা সেবনের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ ব্যক্তিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা থানায় হস্তান্তর করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে