মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাতে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ দুপুর ২ টায় কোস্ট গার্ড বেইস মোংলার নেতৃত্বে নৌবাহিনী এবং পুলিশের সমন্বয়ে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন মোংলা বন্দর বহুমুখী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় একটি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের ১ কেজি গাঁজা ও ৪৩৭ পিস ইয়াবাসহ দুই জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আটককৃত মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪০) এবং মোঃ সগির হোসেন (৫২) বাগেরহাট জেলার মোংলা সদরের বাসিন্দা।
জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ও আটককৃত আসামীর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার ইসির উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে, যা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৫’ কমিশনে অনুমোদিত হয়েছে এবং তা ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৮ (১) ও (২) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ ও চূড়ান্তকরণের জন্য গেজেটে কমপক্ষে ২৫ দিন পূর্বে তা প্রকাশ করার বিধান রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এলাকা ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, এই তালিকার ওপর দাবি/আপত্তি গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তির মাধ্যমে নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী : খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর, দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ: ১২ অক্টোবর, সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ: ২০ অক্টোবর।
উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ছকের আলোকে খসড়া ও সম্ভাব্য চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত তথ্য (সফটকপিসহ) আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সহায়তা-১ শাখায় পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চব্বিশের জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে আনা গুরুতর আহত ১৬৭ জনের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দেয়া সাক্ষীর জবানবন্দিতে একথা বলেন এই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান।
সাক্ষীর জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলিবিদ্ধ ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আর গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আইসিইউতে চিকিৎসা নেয়া সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে।
জবানবন্দিতে চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, ৩৩টি অস্ত্রোপচার আমার নেতৃত্বে করেছি। ১৫ টির মত বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। কিছু বুলেট বের করা যায়নি। অনেকগুলো গুলি ও পিলেট রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়।'
জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাকে চাপ দেন। তারা (ডিবি) বলে, যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ করবেন না। এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাদের (এগুলি বিদ্ধদের) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি।
এ রকম অমানবিক ঘটনার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এবং যারা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নিহত ও আহত করেছেন তাদের বিচার ও প্রকাশ্যে ফাঁসি চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে সাক্ষ্য ও জেরা শেষ করেন এই চিকিৎসক।
আজ ট্র্যাইব্যুনালে প্রসিকিউটসন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম। এ সময় অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারাদেশ জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জলাশয়ে মাছের নানান প্রজাতি রয়েছে। এসব জলাশয় চিহ্নিত করে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করতে হবে।
উপদেষ্টা বুধবার (২০ আগষ্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে 'টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত করণীয়' -শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তোলা ও রক্ষা করা মৎস্যসম্পদ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে।
এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে আগে নীতি-নির্ধারণীতে হয়তোবা মনোযোগ কমছিল। তাই আমরা এখাতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের মুক্ত জলাশয় গড়ে তুলতে যা করণীয় তা করতেই হবে।
জিনগত বিলুপ্তি রোধ করা দরকার উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের প্রজাতিগুলো রক্ষা করা এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং আন্তর্জাতিক মৎস্যসম্পদের প্রয়োজনে করতে হবে। কারণ আমরা প্রাকৃতিকভাবে এমন স্থানে রয়েছি যেখানে মাছ না খেয়ে বাঁচার উপায় নেই।
৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিএফআরআইর গবেষণার ফলে ৪১ প্রজাতির মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহারকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ কত নিষ্ঠুর তারা মাছ শিকারে বিষ ও বিদ্যুতের ব্যবহার করছে। এটি হচ্ছে মানুষের লোভ ও তাৎক্ষণিক লাভের কারণে।
প্লাস্টিকদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের পেছনে পানি ও প্লাস্টিকদূষণ অন্যতম ক্ষতির কারণ। সম্প্রতি প্লাস্টিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি। প্লাস্টিক চুক্তি মানুষের পক্ষে ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় বাংলাদেশও স্বাক্ষর না করে চলে এসেছে।
বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআইর ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় বিএফআরআই এর বিজ্ঞানীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মিল্টন রায়, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - নারায়ণগঞ্জ, জোবিঅ-এনায়েতনগর -কাশিপুর আওতাধীন বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এবং শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং, নারায়ণগঞ্জ এলাকার দুইটি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এলাকায় অভিযানকালে পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ হোটেল এ আবাসিক লাইন হতে অবৈধভাবে ঘণ্টাপ্রতি ৯২ ঘনফুট হিসেবে ৬৫০.২৪ ঘনমিটার/মাস হারে গ্যাস ব্যবহার করায় গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে এবং একই এলাকায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মায়ের দোয়া হোটেল এ ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত আবাসিক গ্যাস লাইন হতে ঘণ্টাপ্রতি ২৪৭ ঘনফুট হিসেবে ১৭৪৫.৭৭ ঘনমিটার/মাস হারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং এলাকায় অভিযানকালে মেসার্স এম আর ইয়ার্ণ ডাইং এ ১ টন ক্ষমতাসম্পন্ন (ঘণ্টাপ্রতি ৩০০০ ঘনফুট হিসেবে মাসিক ২১,২০৩.৬৪ ঘনমিটার) একটি বয়লারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষনিকভাবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কিল করা হয়। এতে করে তিনটি প্রতিষ্ঠানে মাসে প্রায় ৭.১০ লক্ষ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে।
একই দিনে, জনাব হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন জামালদি, গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ১ টি মার্বেল ফ্যাক্টরী, ৩ টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, এবং ১ টি বেকারীর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৬০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে সর্বমোট ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক উইন্টার ড্রেস লিমিটেড (গ্রা:সং-৮৩৮/৩৩৮-০০০৭৫০), ঠিকানা: কলমা,সাভার,ঢাকা এর আঙিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে গ্রাহকের শিল্প রানের গ্যাস ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকার অসংগতি পরিলক্ষিত হয় যা পরীক্ষণ সাপেক্ষে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জোন কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও, ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক ১২ গ্রিন স্কয়ার, গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা এর আঙ্গিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে বারো তলা বিশিষ্ট ভবনে দুইটি রাইজারের মাধ্যমে ০৩(তিন) ডাবল ও ০১(এক) সিঙ্গেল চুলায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার জনিত কারণে সংযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত দুইটি রাইজারের লক উইং কর্কে TGTDCL-1388136 ও TGTDCL-1388138 নম্বরের প্ল্যাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত ০২(দুই) টি রেগুলেটর সংশ্লিষ্ট জোনে (মেঢাবিবি-৫) জমা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন টেকনগপাড়া ও তেলিপাড়া, বাসন থানা, গাজীপুর এলাকার ০২ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ৭০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ ফুট (পিভিসি) পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৭টি শিল্প, ৩৬৪টি বাণিজ্যিক ও ৬৫,৩২৯টি আবাসিকসহ মোট ৬৫,৯৯০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২৫,২২৬টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৫০.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
যশোরের কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় লুৎফার রহমান (৬৫) নামে এক ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ আগষ্ট) বেলা আড়াই দিকে পৌরসভার মধ্যকুল গ্রামের লুৎফার রহমান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে কেশবপুর ফিলিং ষ্টেশনের সামনে পৌছাইলে বিপরীদিক থেকে আসা যশোর গামী একটি মালবাহী ট্রাক তাকে থাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। থানা পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, সড়ক দু'ঘটনায় আহত লুৎফার রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছে।থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে মামলা গ্রহন করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালাউদ্দিন সালুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শফিকুল রহমান দেওয়ান, সোনারগাঁ উপজেলার যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরে-এ ইয়াসিন নোবেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া সালেহ স্বপন, সদস্য এজাজ ভূইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী পিয়ার হোসেন নয়ন, সোনারগাঁ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আতিক হাসান, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফারুক আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক আলিম আল রাজি, আতা রাব্বি জুয়েল প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য র্যালি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপণ করা হয়। বর্ণাঢ্য র্যালিটি সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে বুক পেতে অংশগ্রহণ করে, বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, এ অবস্থায় বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ আছি।
মন্তব্য