প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এমওইউ ও নোট বিনিময় স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
প্রথম নোট বিনিময়টি উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য স্বাক্ষরিত হয়।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো' সেরি উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল নিজ নিজ দেশের পক্ষে নোট বিনিময়ে স্বাক্ষর করেন।
দ্বিতীয় নোট বিনিময়টি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য স্বাক্ষরিত হয়। এতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো' সেরি উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে প্রথম এমওইউটি হয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে।
মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতো' সেরি মোহাম্মদ খালিদ বিন নরদিন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এতে স্বাক্ষর করেন।
দ্বিতীয় এমওইউটি হলো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ, এলএনজি অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে।
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী দাতুক সেরি আমির হামজাহ বিন আজিজান এবং বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা এম ফওজুল কবীর খান এতে স্বাক্ষর করেন।
তৃতীয় নোট বিনিময়টি হালাল ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা বিষয়ে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উপমন্ত্রী সিনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এতে স্বাক্ষর করেন।
তৃতীয় এমওইউটি মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে।
আইএসআইএস মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান দাতুক প্রফেসর ড. মোহদ ফয়জ আবদুল্লাহ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এতে স্বাক্ষর করেন।
চতুর্থ এমওইউটি মালয়েশিয়ার মাইমস সার্ভিসেস এসডিএন. বিএইচডি. (এমএসএসবি) এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)-এর মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে।
এমএসএসবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফওজি ইয়াহায়া এবং বিএমসিসিআইয়ের শাব্বির আহমেদ খান এতে স্বাক্ষর করেন।
পঞ্চম এমওইউটি মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআইএম) এবং বাংলাদেশের এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে স্বাক্ষর হয়।
এনসিসিআইএম-এর সভাপতি দাতো’ সেরি এন. গোবালাকৃষ্ণান এবং এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এতে স্বাক্ষর করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরও বলা হয়, সরকার গত ১২ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও নম্বর ৫৫-আইন/২০২৫ দ্বারা গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ এই কমিশনের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মো. আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সকল ধরনের সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জয়পুরহাটে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ভুয়া চালান দিয়ে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) গুদাম থেকে সার তোলার সময় ডিলারের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে গুদামের হিসাব কর্মকর্তা এস এম হাসানুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হাসিব আল মামুন (৩৪) বিসিআইসি ডিলার মেসার্স মামুন ব্রাদার্সের মালিক মামুনুর রশিদের ছেলে। তাদের বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। হাসিব ঠিকাদারের প্রতিনিধি হিসেবে বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন করতেন।
বাফার গুদাম ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে হাসিব আল মামুন সার উত্তোলন করতে বাফার গুদামে আসেন। তিনি জনতা ব্যাংকের দুটি শাখার সাড়ে ১৬ লাখ টাকার জমা ভাউচারের চালান দাখিল করেন। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার সাড়ে ৭ লাখ টাকা ও পাঁচবিবি শাখার ৯ লাখ টাকার জমা ভাউচারের চালান। বাফারের হিসাব কর্মকর্তা এস এম হাসানুর রহমান শুধু জনতা ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার সাড়ে সাত লাখ টাকা জমার মুঠোফোনে খুদে বার্তা পান। জনতা ব্যাংকের পাঁচবিবি শাখার ৯ লাখ টাকা জমার খুদে বার্তা পাননি।
হাসিব আল মামুন দুটি জমা ভাউচারের চালানে দ্রুত সার নেওয়ার তাগাদা দিচ্ছিলেন। এতে হিসাব কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। তিনি জনতা ব্যাংকের পাঁচবিবি শাখার ব্যবস্থাপকের কাছে ফোন করেন। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ৯ লাখ টাকার কোনো জমা ভাউচার এ শাখা থেকে ইস্যু করা হয়নি বলে তাকে জানান। পরে হাসিব আল মামুনকে বাফার গুদামে আটকে রাখা হয়। তিনি গুদাম কর্মকর্তাদের কাছে জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। রাত ১০টার দিকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, ভুয়া চালানে সার তোলা চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
‘প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারত্বে অগ্রগতি’ প্রতিপাদ্যে নোয়াখালীতে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, যুব ঋণের চেক বিতরণ, প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ, সফল আত্মকর্মী ও সফল যুব সংগঠকদের মধ্যে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল দশটায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দিবসটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মোঃ ইসহাকের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছিন, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) মনীষ দাশ।
উদ্বোধন শেষে জেলার বিভিন্ন যুব সংগঠনের সংগঠকদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের মধ্যে যুব ঋণের চেক বিতরণ, সনদ বিতরণ এবং সফল যুব সংগঠকদের মধ্যে সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, যুবরাই উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রধান হাতিয়ার। তারুণ্যের জয়যাত্রাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান ঋণ, সংগঠনভিত্তিক স্বেচ্ছা ও সেবামূলক কাজে যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশনে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে থামিয়ে পু্লিশের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পুর্ব দিকের আউটার সিগন্যালের নিকট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
রেলওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত নয়টার দিকে জানতে পারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে বিপুল পরিমাণ গাঁজার একটি চালান যাচ্ছে। যেহেতু ট্রেনটি বিরতিহীন তাই রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে রাত সাড়ে নয়টার সময় ট্রেনটি থামানো হয়। এসময় চোরাকারবারিরা পুলিশের অভিযান টের পেয়ে গাঁজার বস্তাগুলো আউটার সিগন্যালের নিকট ফেলে দেয়। পরে পরে পুলিশ পরিত্যাক্ত অবস্থায় ২টি বস্তায় রক্ষিত ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে মাদকের চালানের খবর পেয়ে ট্রেন থামিয়ে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২ বস্তায় ২৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে চোরাকারবারিরা মাদকদ্রব্য ফেলে পালিয়ে যায় । এই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে বলে তিনি।
একজন মানবিক ও ডায়নামিক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। ২০২৪ সালে পাবনা জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগ পান তিনি। যোগদানের পর থেকে পাবনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাত-দিন তার সেবা পাচ্ছে। জেলার সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য জেলাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি ‘মানবিক জেলা প্রশাসক’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম লোকজনের সাথে মনখোলা অবস্থায় কথা গুলো মনযোগ সহ শুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি বিকেল বা সন্ধ্যা ও রাতেও অফিসে উপস্থিত থাকেন। প্রায় সময় দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন ডিসির সাথে দেখা করে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম সমস্যা গুলি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
একাধিক সময় তাকে অনুসরণ-অনুকরণের পুরাতন এই জেলার মাধ্যমে তার কাজের স্বচ্ছতা পাওয়া যায়। সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ এবং নিরহঙ্কারী মানুষ তিনি। তিনি যেমন সময়ের প্রতি দায়িত্বশীল, তেমনি কাজের প্রতিও দায়িত্বশীল। জেলা প্রশাসকের সকল টিম সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। তার মতো জেলা প্রশাসক যদি আমাদের দেশের প্রত্যেক জেলায় দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে দেশের চেহারাটাই বদলে যেতো—এমনটাই ধারণা করছেন গুণীজনেরা।
তিনি বর্তমানে এ জেলার সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক। প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও যে আমজনতার মাঝে মিশে যাওয়া যায়—তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত তার কর্মদক্ষতা, সততা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে। ক্রমশ তিনি হয়ে উঠেছেন পাবনা জেলাবাসীর আইকন।
ইতালি সরকার ‘ফ্লুসি ডিক্রি’ কর্মসূচির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে মৌসুমি ও অমৌসুমি খাতে কর্মী নিয়োগ করে থাকে।
আট বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে বাংলাদেশ পুনরায় এ কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইতালিতে নতুন করে মৌসুমি কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাস্থ ইতালীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ইতালীয় দূতাবাসে মুলতবি থাকা নুলা ওস্তা (ওয়ার্ক পারমিট) দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়টি দু’পক্ষই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। মে মাসের প্রথম দিকে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসির সফরসহ ইতালীয় রাষ্ট্রদূত এবং সফররত ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সকল বৈঠকে বিষয়টি অত্যন্ত জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমীমাংসিত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে তাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ইতালীয় দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ইতালি সরকার আইনিডিক্রি নং ১৪৫ জারি করে। এর আওতায় ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর পূর্বে ইস্যুকৃত সকল ওয়ার্ক পারমিট স্থগিত করা হয়। নতুন আইনের বিধান অনুযায়ী, কেবল প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষেই ঢাকাস্থ ইতালীয় দূতাবাস ভিসা অনুমোদন বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে স্থানীয় ইতালি দূতাবাস জমে থাকা ভিসা অনুমোদনের জন্য প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে, যা সময়সাপেক্ষ।
তা সত্ত্বেও, ইতোমধ্যে তারা প্রায় ৪০ হাজার মুলতবি আবেদনের মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে। এছাড়া, আরও প্রায় ২০ হাজার সম্ভাব্য আবেদনকারীর ওয়ার্ক পারমিট এবং এ সম্পর্কিত ভিসা প্রক্রিয়াকরণের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৪ সালের ২২ অক্টোবরের পর থেকে ইস্যুকৃত ওয়ার্ক পারমিটে কোন স্থগিতাদেশ না থাকায় ২০২৫ সালের ফ্লুসি ডিক্রির আওতায় ওই তারিখের পরে যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকশ’ বাংলাদেশি অভিবাসী ইতোমধ্যে ভিসা পেয়েছেন এবং আগামী মাসগুলোতে আরও অনেকে পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঢাকাস্থ ইতালীয় দূতাবাস ও ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে। ফলে, ইতালি দূতাবাস ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জনবল বৃদ্ধি করেছে।
তবে, এক বা একাধিক অসাধু চক্রের মাধ্যমে জাল ওয়ার্ক পারমিট এবং নকল নথিপত্র জমা পড়ায় আবেদনগুলোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগছে বলে জানা গেছে। ইতালিতে বর্তমানে এ সংক্রান্ত একাধিক ফৌজদারি তদন্তও চলমান রয়েছে।
জানা যায়, ইতালিতে অভিবাসনের জন্য আগ্রহীদের কেবলমাত্র সরকারি কনস্যুলার ও প্রশাসনিক ফি ছাড়া অন্য কিছু পরিশোধের প্রয়োজন নেই। যারা উল্লিখিত ফি ছাড়াও অসাধু ব্যক্তিদের লাখ লাখ টাকা পরিশোধ করছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, এই অর্থ ভিসা প্রক্রিয়াকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
ফলে তাদের ভিসা বাতিল হতে পারে এবং এমনকি আইনি জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
তারও পরে সঠিক কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বা দেবেন এমন আবেদনকারীদের কাগজপত্র বাছাই করতেও দীর্ঘ সময় লাগছে বা লাগতে পারে এবং এর দরুন ভিসা প্রদানে বিলম্ব ঘটছে বা ঘটতে পারে।
অন্যদিকে, গত ৬ মে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মাধ্যমে বৈধ উপায়ে দক্ষ কর্মী প্রেরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের পথ সুগম হয়েছে। এই চুক্তি বাংলাদেশ থেকে নিয়মিতভাবে ইতালিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মী পাঠানোর দ্বার উন্মোচন করবে।
ইতালিতে কর্মী হিসেবে যেতে আগ্রহী অথবা ইতোমধ্যে ওয়ার্ক পারমিট প্রাপ্ত প্রার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ এবং ইতালি সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অনুগ্রহপূর্বক ধৈর্যধারণ করা অনিবার্য। এ প্রক্রিয়া একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার প্রতি সকলের আস্থা রাখা প্রয়োজন।
যেকোনো ধরনের নেতিবাচক প্রচার বা কার্যক্রম ইতালি সরকারের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে, যা বর্তমানে যারা ভিসাপ্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছেন বা যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের আবেদন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনার ওপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এ বিষয়ে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
মন্তব্য