তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট (রবিবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মনিজা খাতুন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ- ফতুল্লা-কুতুবপুর আওতাধীন ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ০৬ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মেসার্স বন্ধন ষ্টীল ওয়ার্কস নামের একটি রোলিং মিলে অভিযানকালে ০২ টি মোল্ডিং ভাট্টিতে ০৪ টি বার্নার এবং ০১ টি গ্যালভানাইজিং হিট ট্রিটমেন্ট এ ০৩ টি বার্নারের মাধ্যমে মোট ঘন্টাপ্রতি ৪,৬০০ ঘনফুট লোডে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার করায় তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে কিলিং করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক ৪৬,০৬০ ঘ.মি. গ্যাস ব্যবহার হতো যার আনুমানিক মূল্য ১৪,০৪,৮৩০/-। হাবিবা বেকারি নামের একটি বেকারিতে অভিযানকালে ০১ টি রোটারি রেক ওভেনের মাধ্যমে মোট ঘন্টাপ্রতি ৩০০ ঘনফুট লোডে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে কিলিং করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক ২,১২০ ঘ.মি. গ্যাস ব্যবহার হতো যার আনুমানিক মূল্য ৬৪,৬৭১/-। এছাড়া, কোম্পানির বৈধ ৪" বিতরণ লাইন হতে গ্রাহক কর্তৃক নিজ উদ্দ্যোগে ৩" অবৈধভাবে স্থাপিত প্রায় ১,৫০০ ফুট বিতরণ লাইন স্থাপন করে গ্যাস ব্যবহারের কারণে অবৈধভাবে স্থাপিত বিতরণ লাইনটি কিলিং কাজ করার সময় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তেজিত স্থানীয়দের বাঁধার সম্মুখীন হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশমতে লাইন কিলিং ব্যাতিরেকে স্পট ত্যাগ করা হয়। এছাড়াও, উত্তর ভূইগড়, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৩ টি ডাবল বার্ণারের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কারণে আবাসিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখ হতে কিলিং করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব হাছিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ আওতাধীন আতলাসপুর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ০২ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩.৫ কি.মি. এলাকার আনুমানিক ২২০ বাড়ির ১৬৫ টি চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ১.৫" ডায়া পাইপ ২৩০ ফুট ও প্লাস্টিক পাইপ ৫০০ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ আওতাধীন এলাকায় ০৪ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ০৪টি আবাসিক বৈধ গ্রাহকের ১৭টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ একজন শিল্প গ্রাহকের নিকট থেকে মোট ২,২২,৮২,৫৬০ টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে ।
এছাড়া, আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ-নারায়ণগঞ্জ এর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টীম কর্তৃক ভোর ৬.০০ ঘটিকা হতে আবিবি-রূপগঞ্জ এর অধীনস্থ জোবিঅ-আড়াইহাজার এলাকার বিভিন্ন গ্রাহক আঙ্গিনা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা শুরু হয়। সকাল ১১ঘটিকার সময় সুমি ট্রেডার্স এন্ড ডাইং (ঠিকানাঃ হাঠখোলা, দুপ্তারা, আড়াইহাজার,নারায়ণগঞ্জ; গ্রা.সং. ৩৩৭০০০৫৯৫)* এর আঙ্গিনা পরিদর্শনকালে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহাররত অবস্থায় পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের গ্যাস সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, শওকত আলী টেক্সটাইল(৩৩৭০০০১৯৬) ও সালেহউদ্দিন সাইজিং ইউনিট (৩৩৭০০০২৬১) কর্তৃপক্ষকে নকশা বহির্ভূত অতিরিক্ত পয়েন্ট স্থায়ীভাবে অপসারণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মেসার্স ইউসুফ আলী টেক্সটাইল (৩৩৭০০০৪২০) এর নকশা বহির্ভূত অতিরিক্ত পয়েন্ট তাৎক্ষণিকভাবে কিল করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর -এর জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন মেসার্স ভারগো টোবাকো, কাউলতিয়া ও মুসলিম পাড়া, হাতিয়াব, মেট্রো সদর থানা, গাজীপুর এলাকায় ০২ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১২০০ ফুট বিতরন লাইনের শিল্প স্হাপনা ও আনুমানিক ১৫০টি দ্বিমুখী চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, মোট ১,০০,০০০/-( এক লক্ষ ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১০ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩২২টি বাণিজ্যিক ও ৬৩,০৫১টি আবাসিকসহ মোট ৬৩,৬৬৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২০,৬১৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৩৯ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, ড্রেস কোড ও গ্লাভস ছাড়াই খাবার তৈরীর দায়ে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে একই অবস্থা পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের শহরের পাইকপাড়া এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত এই তদারকি কার্যক্রমে স্টোর রুমসহ রান্নাঘরের অবস্থা দেখে বিস্মিত হন তারা। খাদ্যসামগ্রী এলোমেলোভাবে রাখা, অপরিচ্ছন্ন উপকরণ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতির চরম অভাব সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল ভোক্তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে গ্রাহকদের জন্য খাবার প্রস্তুতের দৃশ্য ছিল হতাশাজনক।
অভিযানে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন এবং সদর উপজেলার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (১১ আগষ্ট) সকালে মাদারীপুর পৌর শহরের চরমুগরিয়া বন্দরে এই কর্মসূচী পালন করে বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক)।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চরমুগুরিয়া বন্দরের গরুর হাট-বাজার এলাকায় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুর জেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রকারের ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করেন।
এসময় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুরের মনিটরিং কর্মকর্তা ওয়াদুদ খান বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠান রিক সারাদেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুর যোনাল অফিসের অধীনস্থ সকল শাখা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৃক্ষ রোপনের এ কর্মসূচী পালন করছি। আশা করছি, এ কর্মসূচীর আওতায় আমরা যে সকল বৃক্ষ রোপন করেছি, এসব বৃক্ষ থেকে ভবিষ্যতে মানুষ ও পশুপাখিরা ফল খেতে পারবে, গাছগুলো একসময় বড় হয়ে কাঠের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ছায়া ও অক্সিজেন দিবে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে এই বৃক্ষ বড় ভূমিকা পালন করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুরের মনিটরিং কর্মকর্তা ওয়াদুদ খান, যোনাল ম্যানেজার এ,বি,এম জাহিদুল কবির, এরিয়া ম্যানেজার শেখ নাহিদ হাসান, শাখা ব্যবস্থাপক মো.বাবুর আলী, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক রিপনচন্দ্র মল্লিক, দৈনিক বাংলার সাংবাদিক মোঃ ফায়েজুল কবীর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে সোমবার (১১ আগষ্ট)ৎতাঁর কার্যালয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড তাদের বাৎসরিক লভ্যাংশের একটি অংশের ১১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার চেক বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশন এর অনুকুলে প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনে অর্থ জমা দেয়। এতে যমুনা অয়েল কোম্পানি ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ১০০ টাকা, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ৪৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ২০০ টাকা এবং ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৫০ হাজার ২৬ টাকা প্রদান করে। মোট ১১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
উপদেষ্টা কোম্পানিগুলোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই অর্থ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, বিশেষ করে দুস্থ ও মৃত শ্রমিকদের পরিবার, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তায়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল ১২ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি”, Youth Advancing Multilateral Cooperation, Through Technology and Partnerships নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান উত্তর তারুণ্যের জয়যাত্রাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান ঋণ, সংগঠনভিত্তিক স্বেচ্ছা ও সেবামূলক কাজে যুবদের সম্পৃক্তকরণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যক্রম অব্যাহত আছে। যুবরাই উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রধান হাতিয়ার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ন্যায় বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী যুব সমাজকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক কারিগরি প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিণত করার মহান ব্রত নিয়ে বছরে প্রায় ২ লক্ষ যুব কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও যুব কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় যুব দিবসে যুব পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৮ হতে ৩৫ বছরের যুবদের বিগত এক বছরে ২ লক্ষ ৭১ হাজার ৭১৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে ৪৯৮৫ জন যুব-কে (২৫৩৪ জন যুব ও ২৪৫১ জন যুবনারী) ৪৭ কোটি ২৬ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা যুব ঋণ প্রদান করা হবে। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ট্রফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য ১০৭৬ জন যুবকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব পালন করা হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব শক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের ৬৪টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, পরিবেশ বান্ধব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন, মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণহীন, কর্মহীন ৯ লক্ষ বেকার যুবকে EARN প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
১২ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে দিনের শুরুতে সকাল ৭.৩০ টায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুব সংগঠন, আত্মকর্মী, প্রশিক্ষণার্থী, যুব উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য যুব র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। যুব র্যালিটি জাতীয় যাদুঘরের সামনে হতে শুরু হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সমাপ্ত হবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল ১০.০০ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে বিগত এক বছর যুব কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে জাতীয় যুব পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট, সনদপত্র প্রদান করা হবে। পুরস্কারের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ১ম, ২য় ও ৩য় বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ট্রান্স জেন্ডার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবদের নির্বাচন করা হবে।
সারাদেশের সকল জেলা ও উপজেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে শপথ বাক্য পাঠ, আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ সনদ ও যুব ঋণের চেক বিতরণ, পরিচ্ছন্নকরণ অভিযান, রক্তদান কর্মসূচি, ইত্যাদি বাস্তবায়ন করা হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের কার্যক্রম উপলক্ষ্যে স্মরণিকা, বার্ষিক প্রতিবেদন, জাতীয় যুব পুরস্কার প্রাপ্তদের সাফল্য সম্বলিত পুস্তিকা, ব্রশিউর, পোস্টার, প্রকাশিত হবে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আগুনে পুড়ে এক কৃষকের ৪ টি গরু মারা গেছে। সোমবার(১১ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার আড়াইপাড়া বেগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কৃষক শাহ আলম বেগ জানান, মশার উপদ্রব থেকে গরুকে রক্ষা করতে তিনি নিয়মিত মশার কয়েল ব্যবহার করে থাকেন। আজ ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার ঘুম ভাঙলে তিনি গোয়ালঘরের চারপাশে আগুন দেখতে পান। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে তার সব শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যেই চারটি গরু পুড়ে মারা গেছে। একটি গাভি দগ্ধ হয়ে গোয়ালঘর থেকে বাইরে চলে যায়। গুরুতর দগ্ধ আরেকটি গরুকে স্থানীয় লোকজন জবাই করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে শাহ আলমও আহত হন। তাঁর দুহাত পুড়ে যায়।
কৃষক শাহ আলম আরও জানান, আমি সম্প্রতি দুটি ব্যাংক থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন পালন শুরু করেছিলাম। গোয়ালঘরসহ ৪টি গরু পুড়ে যাওয়ায় তার অন্তত ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহ আলমের পাশে দাঁড়িয়ে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, আমরা তা করব।’
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে করা দুদকের পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এসব মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি।
আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে পৃথক তিন মামলার বাদী সাক্ষ্য দেন।এরপর আদালত পৃথক তিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
সাক্ষীরা হলেন-দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। এরা তিনজনই পৃথক তিন মামলার বাদী।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। গত ১০ মার্চ মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর ১১ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক,খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। গত ১০ মার্চ মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়াও এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১৫ আসামি হলেন-জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত ১০ মার্চ মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুই আসামিসহ শেখ হাসিনা ও পুতুলকে নিয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনা ও পুতুল ছাড়াও মামলার অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্তে প্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে হত্যাকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ, মাদক দ্রব্য উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ, প্রতারক ও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক রাজধানীর কাওরান বাজারে জনসাধারণ, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস মহোদয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহপরিচালক (অপারেশন্্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র্যাব ফোর্সেস এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এছাড়াও জনাব সৈয়দ ফরহাদ হোসেন (যুগ্ম সচিব) পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), পরিবেশ অধিদপ্তর, জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন (সিনিয়র সহকারী সচিব) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধেও র্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পলিথিনের ব্যাবহারের উপর বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন গোপনে তৈরী করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিপর্যয় ডেকে আনছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে র্যাব ফোর্সেস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করেছেঃ
-পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে র্যাব জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
-ইতিমধ্যে র্যাব ফোর্সেস ঢাকার গুলশান, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, উত্তরা এবং টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ এবং র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছে।
-নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কী কী পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা যায় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হচ্ছে।
-র্যাব ফোর্সেস স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
-গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। অবৈধ পলিথিন রোধে র্যাবের এই সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু একটি সরকারি কার্যক্রম নয় বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিবে বলে মহাপরিচালক মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
-একটি দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধকল্পে জনগণকে আরোও বেশী সচেতন হতে হবে।
এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য