× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Big success in the last one year to return to police members IGP
google_news print-icon

পুলিশ সদস্যদের কাজে ফেরানো গত এক বছরে বড় সফলতা: আইজিপি

পুলিশ-সদস্যদের-কাজে-ফেরানো-গত-এক-বছরে-বড়-সফলতা-আইজিপি

ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হতাশাগ্রস্ত পুলিশ কর্মীদের কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসাকে গত এক বছরে বাংলাদেশ পুলিশের বড় ধরনের সফলতা মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘গত বছরের ৬ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের পরিস্থিতি এবং বর্তমানে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে চিন্তা করে দেখুন। তারা থানায় ফিরে কাজ শুরু করেছে এবং এটি বড় ধরনের সাফল্য।’

সারাদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে কতটা সন্তুষ্ট, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আইজিপি জানান, তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।

তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ সন্তুষ্ট নই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নতির এখনো সুযোগ রয়েছে।’

আইজিপি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের ব্যাপারে এখন প্রস্তুতি চলছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য আগামী নির্বাচন। আমরা সে ব্যাপারেই প্রস্তুত হচ্ছি।’

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি লুট হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ গত বছরের ৫ আগস্টের পরপরই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করে। এ অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Nilphamari District BNP to promote the state structure repair

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে নীলফামারী জেলা বিএনপি

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে নীলফামারী জেলা বিএনপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীলফামারী জেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ আগষ্ট) দিনব্যাপী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৩১ দফার গুরুত্ব ও ধানের শীষের প্রচারণা চালান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.এইচ.এম সাইফুল¬াহ রুবেল।

এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু, সদস্য মোজাম্মেল হক, রেদওয়ানুল হক বাবু, ইউনুস আলী, হারুন অর রশিদ খোকন, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোর্শেদ আযম, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল নোমান কলে¬াল, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাশেদ রেজাউদ্দৌলা, সাবেক ছাত্রনেতা এনামুল হক এনাম, জেলা ছাত্রদলের জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস জীবন, নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পায়েলুজ্জামান রকসী সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সকলের উদ্দেশ্যে এ.এইচ.এম সাইফুল¬াহ রুবেল বলেন, “বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, সুশাসন নিশ্চিত হবে এবং জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।”

তিনি জানান, “এই দফাগুলো শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ার রূপরেখা। এজন্য তিনি নীলফামারীর সর্বস্তরের জনগণকে এই কর্মসূচিকে সফল করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chargesheet against 5 people including a former MP mayor was killed in Comilla

কুমিল্লায় আইনজীবী হত্যা, সাবেক এমপি, মেয়র সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

কুমিল্লায় আইনজীবী হত্যা, সাবেক এমপি, মেয়র সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

কুমিল্লায় আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার ও তার কন্যা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৩৫ জন নামে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

রবিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিনুল ইসলাম।

রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকায় বিজয় মিছিলে অতর্কিত গুলিতে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ আহত হন। এই ঘটনার দশ দিন পর ১৬ আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনার পর নিহত আবুল কালাম আজাদের সহকার্মী আইনজীবী মোস্তাফা জামান জসিম বাদী হয়ে পাঁচজনে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কুমিল্লা ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৩৫ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

নিহত আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ কুমিল্লা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তার বাসা কুমিল্লা নগরীর রাণীর দিঘির দক্ষিণপাড়। এবং গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর হাজীগঞ্জ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Netrokona is celebrated in the International Oshu Kungfu Day

নেত্রকোণায় আন্তর্জাতিক উশু-কুংফু দিবস পালিত

নেত্রকোণায় আন্তর্জাতিক উশু-কুংফু দিবস পালিত

এই দিনটি কেবলই উশুকাদের” নেত্রকোণায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব উশু কুংফু দিবস। শনিবার নাদিম মার্শাল আর্ট উশু সেন্টার এর উদ্যোগে কালেক্টর মাঠ প্রাঙ্গণে সকাল ৯. ৩০ ঘটিকার সময় উশু-কুংফু দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কুংফু ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করলেন নেত্রকোণা অঙ্গন থেকে উশু এসোসিয়েশন । জেলা নাদিম মার্শাল আর্ট উশু সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রশিক্ষক নাদিম আহমেদ এর নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে অংশ নেন জেলার, ক্লাব ও সংস্থার উশু ও কুংফু ক্রীড়াবিদ। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা উশু সেন্টার এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মনি চেয়ারম্যান,নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী আলিম, জেলা উশু সেন্টার এর যুগ্ম সম্পাদক প্রনয় বিশ্বাস,, সদস্য দেলোয়ার হোসেন, অভিভাবক মোঃ আউলাদ হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The award will be announced soon to rescue firearms Home Advisor

আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগীরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগীরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগীরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হবে যা পরবর্তীসময়ে মিডিয়ায় জানিয়ে দেয়া হবে।

তিনি এ সময় জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনুমানিক ৭শ’ অস্ত্র উদ্ধার এখনো বাকি রয়েছে।

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জাতি হিসেবে আমরা খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি।৷ আগে সমাজে কোন খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়তো সেটা প্রতিহত করার জন্য৷ কিন্তু আজকাল সেটা খুব কমে গেছে।৷ অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, সবসময় সবজায়গায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন না৷ সে সময় উপস্থিত জনতারই প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা উচিত। উপদেষ্টা এসময় গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের বেশিরভাগকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান।

নিউমার্কেট থেকে ১১শ’ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, এসব অস্ত্র যারা তৈরি করেন, তাদেরকে আরো সর্তক হতে হবে। তারা জানে- কারা এসব ব্যবহার করছে। যারা এগুলো করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

উপদেষ্টা এসময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
No one will be exempted if the shrine attacks Religious adviser

মাজারে হামলা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

মাজারে হামলা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হামলা চালালে বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আজ (রোববার, ১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে একথা বলেন তিনি।

মাজারে হামলা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

তিনি আরও বলেন, ‘মাজারে কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার রিপোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। আমি আন্তঃমন্ত্রণালয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য। এসব বিষয় প্রতিমাসে আলোচনায় আসে। প্রতিটি মাজার ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, সিসি ক্যামেরা বসান।

এতে হামলাকারী চিহ্নিত করা সহজ হবে। সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি মাজারে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব নয়, তাই সর্বস্তরের মানুষকে এসব ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তায় অংশ নিতে হবে।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তারও হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।’

পাগলা মসজিদের ফাণ্ডে ৯০ কোটি টাকারও বেশি রয়েছে জানিয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, খুব শিগগিরই দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদের ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে। আধুনিক তুরস্কে বসফরাস প্রণালীর পাশে যে মসজিদগুলো আছে, দৃষ্টিনন্দন, মাল্টিপারপাস সেটির আদলে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। ১০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে বহুমুখী কাজ সম্পন্ন করা হবে। অনাথ-এতিমদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, আইটি সেকশন থাকবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এফডিআর হিসেবে রাখা আছে, যা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গরিব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের জন্য ব্যয় করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আজ আমি প্রস্তাব করেছি—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হোক। এতে শিক্ষার সুযোগ বাড়বে।’

পাগলা মসজিদ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা। পরে পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স ঘুরে দেখে মোতাওয়াল্লীদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

দুপুরে তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া কর্তৃক আয়োজিত “ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB BSF Director General level 5th Border Conference on August 25 27

২৫-২৮ আগস্ট বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন

২৫-২৮ আগস্ট বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর মধ্যে ০৪ দিনব্যাপী (২৫-২৮ আগস্ট) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন আগামী ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে শুরু হবে।

বিএসএফ মহাপরিচালক এর নেতৃত্বে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

এবারের সম্মেলনে- সীমান্ত হত্যা, পুশ ইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ; ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমন; আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন এবং অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ রোধ; সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ এবং সীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়; সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ; সাম্প্রতিককালে ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের ফলে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ গ্রহণ; দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়সমূহ এবং সীমান্ত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

সন্তান হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে থানায় স্বামী অতঃপর

সন্তান হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে থানায় স্বামী অতঃপর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। মূহুর্তেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ে উপজেলা জুড়ে। তবে এমন ঘটনার সত্যতা পায়নি পুলিশ। যুবকের নাম মোঃ বেলাল হোসেন, তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের জুগিরখিল আশরাফ খানের নতুন বাড়ি এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বাইপাস গোল চত্বর এলাকায় বেলাল নামের যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখে থানা পুলিশের মোবাইল টিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করে। পরে ওই ছেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী থানা পুলিশ ঘটনা গিয়ে যুবকের স্ত্রী-সন্তানকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় পায়।

যুবকের স্ত্রী রবিনা আক্তার জানান, তার স্বামী গত ছয়মাস পূর্বে গ্রীস থেকে দেশে ফিরে তাকে বিয়ে করেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় তিনি মাফিয়াদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান। এর পরে গ্রীসের পুলিশের হাতে আটক হয়ে কয়েকমাস অবর্ণনীয় নির্যাতন সোহ্য করে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে মানসিক সমস্যায় রয়েছেন।

থানায় গিয়ে কথা হলে বেলাল হোসেন জানান, জমি বিক্রি করে ও ঋণ নিয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকা খরচ করে আরব-আমিরাতে যান। এসময় ৬ মাসের মাথায় গ্রিসের মাফিয়া চক্র তাকে একমাস ১৪ দিন বন্দী রেখে নির্যাতন করে। পরে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান। এর কিছুদিন পর অবৈধ ভাবে গ্রীসে থাকার অপরাধে ওই দেশের পুলিশ একমাস নির্যাতন চালিয়ে দেশে ফেরত পাঠায়। দেশে ফিরে জানতে পারেন তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে। এই কষ্টে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকার এক মহিলাকে তার কন্যা সন্তান সহ বিয়ে করেন যে ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে মেনে নেয়নি। এছাড়া অর্থনৈতিক ভাবে ঋণগ্রস্ত থাকা সহ সামাজিক চাপের কারনে তিনি মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, পূর্বের স্বামীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রুবিনা আক্তার তার বর্তমান স্বামী বেলাল হোসেনের সাথে তুলনা করেন। যুবক বেলাল হোসেন কন্যা সন্তান সহ রুবিনাকে বিয়ে করায় সামাজিক ভাবে চাপে থাকেন। এছাড়া কয়েক লাখ টাকা দেনা করে বিদেশ গিয়ে কয়েক মাসের মাথায় দেশে ফেরত আসেন। বর্তমানে তিনি পারিবারিক ও অর্থনৈতিক চাপে থাকায় তার মানষিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। যে কারনে তিনি উদ্ভট আচরন করছেন। বেলাল হোসেনকে তার পরিবারে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে