অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২০০৯ হতে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব (প্লট/ফ্ল্যাট হস্তান্তর/বরাদ্দ ইত্যাদিসহ) সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের নিরীক্ষা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের Allocation of Functions এর অনুচ্ছেদ ২ (a) (b) (c) ও (d),অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের Charter of Duties এবং ২৩/০৪/২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি (বিএমসি)'র ৪ (খ) সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনস্বার্থে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তরকে নিম্নবর্ণিত কার্যপরিধি/বিষয়সমূহ অনুসরণপূর্বক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর ২০০৯ হতে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব (প্লট/ফ্ল্যাট হস্তান্তর/বরাদ্দ ইত্যাদিসহ) সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের নিরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের নিরীক্ষা পরিচালনার কার্যপরিধি/অনুসরণীয় বিষয়সমূহ হলো: -
(ক) ১. অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নিরীক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। সে মোতাবেক নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করবে;
২. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন এবং এতদসংক্রান্ত বিধি বিধান এর সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে;
৩. নিরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে নিরীক্ষার পূর্বে গঠিত নিরীক্ষা টিমের সদস্যগণের বিস্তারিত তথ্য (নাম, পদবী, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি) মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে;
৪. নিরীক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত রাখতে হবে;
৫. তিন মাসের মধ্যে এ নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
(খ) নিরীক্ষা শেষে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর বিস্তারিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বরাবর দাখিল করবে। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হতাশাগ্রস্ত পুলিশ কর্মীদের কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসাকে গত এক বছরে বাংলাদেশ পুলিশের বড় ধরনের সফলতা মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘গত বছরের ৬ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের পরিস্থিতি এবং বর্তমানে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে চিন্তা করে দেখুন। তারা থানায় ফিরে কাজ শুরু করেছে এবং এটি বড় ধরনের সাফল্য।’
সারাদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে কতটা সন্তুষ্ট, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আইজিপি জানান, তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ সন্তুষ্ট নই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নতির এখনো সুযোগ রয়েছে।’
আইজিপি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের ব্যাপারে এখন প্রস্তুতি চলছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য আগামী নির্বাচন। আমরা সে ব্যাপারেই প্রস্তুত হচ্ছি।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি লুট হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ গত বছরের ৫ আগস্টের পরপরই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করে। এ অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০২৫ সালের হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪০ লাখ ৬ হাজার ৯১৬ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালে ভোটার অন্তর্ভুক্তির হার ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আখতার আহমেদ জানান, গত ২ মার্চ ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। পরবর্তীতে বাদ পড়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন। একই সময়ে মৃত ও অযোগ্য ভোটার হিসেবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জনকে। ফলে সম্পূরক তালিকা অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।
তিনি আরও বলেন, সম্পূরক খসড়া তালিকা আজ (রোববার) আমাদের সব অফিসে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা জানাতে হবে এবং প্রাপ্ত সংশোধনী যাচাই করে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইসি সচিব জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। নবীন ভোটারদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা না করানোর জন্য নতুন আইনে এই সুযোগ রাখা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর মোট তিনবার ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে প্রথমটি করা হয়েছে গত ২ মার্চ। দ্বিতীয়টি আগামী ৩১ আগস্ট এবং তৃতীয়টি ৩১ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।
চীনের বিভিন্ন হাসপাতাল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
ইউনান প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কুনমিং টোংরেন হাসপাতাল ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রোগীর সফল চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে।
গত শুক্রবার কুনমিং টোংরেন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন লিং বাংলাদেশী সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সম্প্রতি একটি বাংলাদেশী পরিবার তাদের কিশোর পুত্রের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে এসেছে।
তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বিশেষ ভিডিও বার্তাও শেয়ার করেন। এতে রোগীর বাবা জানান, তিনি প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাননি, আবার কিছু দেশে চিকিৎসার খরচ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।
পরে তিনি চীনে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্ট হন।
রোগীর বাবা আরও জানান, চিকিৎসা শুরু করার আগে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝার পরই পরিবার চিকিৎসার জন্য সম্মত হন।
শেন লিং বলেন, কুনমিং টোংরেন হাসপাতালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক দক্ষ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। এছাড়া, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হাসপাতাল দোভাষী সেবা প্রদান করে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দল ৬ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত কুনমিং সফর করে ইউনান প্রদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
শনিবার প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরে এসেছে।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। এতে অচল হয়ে পড়েছে ব্যাংকের সব কার্যক্রম। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। এরপর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পরে তারা পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে না পারায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর চাকরিচ্যুতরা পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান এবং পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানান, যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয়।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা মফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাসহ সারাদেশে সাংবাদিক নিপীড়ণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল হয়েছে।
রোববার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। মুখে কালো কাপড় বেঁেধ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক এম আর রাসেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সদস্য সচিব সাংবাদিক শেখ ইমন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবির, সাংবাদিক সম্রাট হোসেন, সুজন বিপ্লব, এম বুরহান উদ্দীন, এস এ এনাম,এস এম রবি,মর্নিং বেল চিলড্রেন একাডেমীর পরিচালক শাহিনুর রহমান লিটন, রেল আব্দুল্লাহ,জাহান লিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচী থেকে সাংবাদিক হত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। সেই সাথে সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর সব ধরনের হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও নিপীড়ন বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে পোস্ট অফিস মোড় থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মডার্ন মোড়ে দিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য