গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি শহীদুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ সিপিবি-২ এর একটি দল। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সদরের পুরানবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মৃত আবদুল করিমের ছেলে। র্যাব-১৪ সিপিবি-২ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সন্ধ্যা ৬ টার দিকে র্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র্যাবের এই কর্মকর্তা।
দীর্ঘ দেড় বছরের বেশী সময় পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে মধ্যরাতে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ ভেসে এসেছে। আর সীমান্ত আকস্মিক গোলাগুলির শব্দে আতংক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।
তবে বিজিবির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্টি আরসা বা আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
রোববার মধ্যরাত ১০টার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।
ঘটনায় এপারে ( বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ) কোন গুলি না আসলেও তাৎক্ষণিক বিজিবির টহলদলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
লে. কর্নেল খায়রুল বলেন, মধ্যরাতে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৪ ও ৩৫ এর মাঝামাঝি এলাকায় শূণ্যরেখা থেকে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার দূরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আকস্মিক ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। টানা ৭ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত গোলাগুলি ঘটে। এতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে সীমান্তের এপারে কোন গুলি আসার ঘটনা ঘটেনি।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির সাথে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসও এর গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আরসা নাকি আরএসও এর সাথে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে- তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, তবে বাংলাদেশের এপারে কোন গুলি আসেনি। এটি মিয়ানমার অভ্যন্তরে ঘটেছে।
ঘটনার পরপর রাতেই বিজিবি টহলদলের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর অবস্থান নেয় বলে জানান, লে. কর্নেল খায়রুল আলম।
ওপারের তুমব্রুর নারিকেল বাগিচা এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির দুটি ক্যাম্প থাকায় স্থানীয়দের ধারণা সেখানে হঠাৎ করে বড় কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূট্টো বলেন, দীর্ঘ দেড় বছরের বেশী সময় পর সীমান্তে গুলির শব্দ শোনা গেছে। অনেকক্ষণ যাবত অনবরত গুলির শব্দ পেয়েছি, সেখানে কী হচ্ছে তা বুঝা মুশকিল। ঘটনায় সীমান্তের বাসিন্দারা আতংকে রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি কঠোর সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন, লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।
গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে প্রতিরোধ শুরুর এক বছরেরও বেশি পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার নিমতলা স্টেশনের সামনে ঢাকামুখী হাইওয়ে লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
আহতদের মধ্যে রউনত (১৯), মোহাম্মদ লুৎফর (৬০) এবং রায়হান (২৫)-এর অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান, হানিফ পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও পরে স্বাভাবিক হয়।
জেলার কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা পড়েছে সম্রাট অ্যাঞ্জেলফিশ নামের এক বিরল প্রজাতির মাছ। গতকাল রোববার সকালে মহিপুরে বন্দরে নিয়ে আসলে মাছটি দেখে বন্দরে হইচই শুরু হয়ে যায়। এটি অনেকের কাছে এ্যাকুরিয়াম ফিশ নামেও পরিচিত। আনোয়ার মাঝির জালে মাছটি ধরা পরে।
মাছটি দেখতে রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন। জানা গেছে, মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম পোমাক্যান্থাস ইম্পেরেটর। মাছটির আকার ১৬ ইঞ্চির মতো। গায়ের গাঢ় নীল পটভূমিতে হলুদ অনুভূমিক দাগ, মুখে নীল-কালো মাস্ক প্যাটার্ন।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোবহান শিকদার বলেন, এমন মাছ জীবনে দেখিনি। মাছটি দেখতে অবিকল একুরিয়ামে থাকা মাছের মতো। বাসার সবাইকে দেখানোর জন্য মাছটির কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী ছগির আকন বলেন, প্রথম দেখে মাছটিকে আমি বাসায় নিয়ে এসেছি। তবে এ জাতীয় মাছ এই প্রথম দেখলাম। মাছটি খাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে জানা নেই।
ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এর গবেষণা সহকারী মো. বখতিয়ার রহমান জানান, মাছটির বাংলা নাম অ্যাঙ্গেলফিশ।
রঙিন একটি সামুদ্রিক মাছ। এর প্রাকৃতিক আবাসস্থল ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল প্রধান অঞ্চলে।
তিনি আরো বলেন, মাছটি সাধারণত প্রবাল প্রধান, লবণাক্ত, উষ্ণ সমুদ্র অঞ্চলে থাকে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এমন মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। কারণ আমাদের উপকূলীয় অংশ মূলত কাদামাটি ও বালুময়। প্রবাল প্রাচীর তেমন নেই।
তবে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে আন্দামান সাগরসংলগ্ন, মিয়ানমার উপকূলের কাছাকাছি কিছু প্রবাল প্রধান এলাকা আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বখতিয়ার রহমান আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্রোতের ধরন বদলের কারণে কিছু সামুদ্রিক প্রজাতি তাদের আবাসক্ষেত্র প্রসারিত করছে। এর কারণে হয়তো এই প্রজাতিটি বাংলাদেশের জেলেদের জালে ধরা পরেছে।
মাছটি প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মাছটির নাম অ্যাঞ্জেলফিশ। এটি বিরল প্রজাতির মাছ। মাছটি উপকূলে সচরাচর দেখা যায় না।
তিনি বলেন, মাছটি গভীর সমুদ্রের। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে এটি জালে উঠে এসেছে। এসব মাছ যত বেশি ধরা পড়বে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে তত লাভবান হবেন।
সূত্র: বাসস
পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪০ জন কর্মকর্তার বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) ও পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ) পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌছিফ আহমদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি জারির তারিখ হিসেবে সেটিতে ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) উল্লেখ করা হলেও গতকাল রোববার এ বিষয়ে জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ইতোমধ্যে নিজ কর্মস্থল হতে পলায়ন করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এরূপ ৪০ (চল্লিশ) জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে প্রদত্ত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হলো।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এসব কর্মকর্তা পলাতক আছেন। পদক বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয়বারের মতো ধাতব স্ক্র্যাপের একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয়েছে। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ওই কনটেইনারের ছাড়পত্র স্থগিত করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বুধবার (৬ আগস্ট) বন্দরের ৪ নম্বর গেট দিয়ে ছাড় করানোর সময় মেগাপোর্টস ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম কনটেইনারটিতে রেডিয়েশন শনাক্ত করে।
কাস্টমস নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই চালানটি আমদানি করেছে। এটি গত ৩ আগস্ট এমভি মাউন্ট ক্যামেরন জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চালানে মোট ১৩৫ টন স্ক্র্যাপের পাঁচটি কনটেইনার ছিল, যা কোম্পানিটির ডেমরা কারখানার জন্য আনা হয়।
প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে (পরীক্ষায়) কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ আইসোটোপ শনাক্ত হয়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড হলেও কাস্টমস কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, স্ক্র্যাপ ও কনটেইনারের দেয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরও বেশি হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ব্রাজিলের উত্তরের শহর মানাউস থেকে কনটেইনারটিতে স্ক্র্যাপ বা পুরোনো লোহার টুকরা বোঝাই করা হয়। গত ৩০ মার্চ দেশটির মানাউস বন্দরে এমএসসির একটি জাহাজে তুলে দেওয়া হয় কনটেইনারটি। এরপর ১৮ এপ্রিল পানামার ক্রিস্টোবাল বন্দরে নামিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে ৩ মে আরেকটি জাহাজে তুলে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দরে নেওয়া হয়। রটারড্যাম থেকে ২ জুন আরেকটি জাহাজে তুলে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে নেওয়া হয়। কলম্বো বন্দরে জাহাজ থেকে কনটেইনারটি নামানো হয় ১৫ জুলাই। সর্বশেষ ২৮ জুলাই কলম্বোর সাউথ এশিয়া গেটওয়ে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামমুখী জাহাজ মাউন্ট ক্যামরনে তুলে দেওয়া হয়। এটি ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।
যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, সতর্কসংকেত পাওয়ার পর কনটেইনারটি খালাস করে পরমাণু শক্তি কমিশনকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখান থেকে বিজ্ঞানীরা এসে সরেজমিন তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা করবেন।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পাওয়া গেছে এক মাইক্রোসিয়েভার্টস (তেজস্ক্রিয়তা থেকে যে বিকিরণ হয় তার একক)। এটি উচ্চ মাত্রার নয়, তারপরও কন্টেইনারটি আলাদা করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা, শিল্পকারখানা, গবেষণাসহ নানা কাজে তেজস্ক্রিয় উৎস ব্যবহার হয়। তবে এসব তেজস্ক্রিয় উৎস ব্যবহারের সময় বায়ুরোধী বিশেষ পাত্রে এমনভাবে আবদ্ধ রাখা হয়, যাতে তেজস্ক্রিয় দূষণ না হয়। ব্যবহার শেষে এসব তেজস্ক্রিয় উৎস সংগ্রহ করে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য হিসেবে ব্যবস্থাপনা করতে হয়। তবে নানা কারণে এই উৎস মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রথমবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। তখন ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো স্টেইনলেস স্টিলের স্ক্র্যাপ শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে আটকানো হয়েছিল। পরে কনটেইনারটি চট্টগ্রামে ফিরিয়ে এনে চার দেশের বিশেষজ্ঞ দল এর ভেতর থেকে রেডিয়াম-বেরিলিয়াম উৎস অপসারণ করেন।
বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৭৯তম গণশুনানি চলাকালে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ রাতে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৭৯তম গণশুনানি আজ বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানি সংক্রান্ত একটি সংবাদ কমিশনের নজরে এসেছে, সংবাদে পরিবেশিত তথ্য বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। গণশুনানি চলাকালে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।’
সংবাদে বলা হয়েছে, কমিশন জনৈক সাকোয়াত হোসেনের ব্যক্তিগত মৎস্য খামারের মাছ লুট হওয়ার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এ প্রসঙ্গে দুদক স্পষ্ট করেছে, উক্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর তফসিলভুক্ত অপরাধের অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে তফশিল বহির্ভূত অপরাধ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ গণশুনানিতে উপস্থাপনের সুযোগ নেই।
কমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলকে বস্তুনিষ্ঠ ও যাচাই-বাছাই করা সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত শনিবার ম্যারাথনে এক মিটিং হলো- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ১৪ থেকে ১৫ এজেন্ডার সেই বোর্ড সভা চলল রাত ৯টা পর্যন্ত। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসে জুমে বিসিবির মিটিংয়ে অংশ নেন। সেখানে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মিটিংয়ের পর প্রেস কনফারেন্সে আসেন বিসিবির তিন পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ইফতিখার রহমান মিঠু ও শফিকুল ইসলাম স্বপন। তারা গত শনিবারের বোর্ড সভায় নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।
প্রথমেই জানানো হলো, জাতীয় দলের তারকা নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি নির্মাণ করে দেবে বিসিবি। তার বাড়ি নির্মাণে যত টাকা খরচ হবে, সমুদয় খরচ বহন করবে বিসিবি।
ঋতুপর্ণা এখন শুধু বাংলাদেশের ফুটবলই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা তারকা। তার বাড়ি রাঙামাটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেকটা জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা ঋতুপর্ণার বাড়ির। তার বাবা নেই, একমাত্র ভাইও নেই। ঋতুর আয়েই চলে সংসার। তার মায়ের অসুস্থতার পেছনেও অনেক ব্যয় হয়।
ফলে নিজের বাড়ির চেহারা বদলানোর মতো অর্থ জোগাড় করা হচ্ছে না বাংলাদেশ নারী ফুটবল তারকার। বিসিবি তার সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে।
এই ঋতুপর্ণার গোলেই ২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। গত মাসে মিয়ানমারকে হারিয়ে বাংলাদেশ যে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাতেও জোড়া গোল ঋতুপর্ণার।
মন্তব্য