× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
A major opportunity for change in Bangladesh politics has been created Professor Ali Riaz
google_news print-icon

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

বাংলাদেশের-রাজনীতিতে-পরিবর্তনের-একটা-বড়-সুযোগ-তৈরি-হয়েছে-অধ্যাপক-আলী-রীয়াজ

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একথা জানান।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন করার একটা বড় রকমের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যতটা সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি। এর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।

এ সময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১১টি বিষয়ে কোনো ধরনের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল না, বাকি ৯টি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’সহ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি বা জাতীয় সংসদ সদস্যদের যে প্রভাব থাকে, তা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আইনত বৈধ নয়। যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ের কার্যক্রমে জাতীয় সংসদের সদস্যগণ যুক্ত থাকে, সেটা তাদের থাকার কথাও নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় যে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাংসদদের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে।

যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট আছে জাতীয় সনদ চূড়ান্তকরণের পর তার ভবিষ্যত কী হবে, তা জানতে চাওয়া একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অবস্থা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা কী এবং কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করলে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ববহ হবে, তা জানতে বিশেষজ্ঞগণের মতামত নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল যখন ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তার গুরুত্বও বিবেচনা করতে হবে।

কোনো কোনো রাজনৈতিক দল জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনের কথা বলছে- এই প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন যুক্ত নয়।

কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কথা বলেছে। এ সনদ বাস্তবায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এ আলোচনার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদী হবে না বলেও জানান তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ঐকমত্য কমিশনের এই সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কিভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসবে কমিশন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ঝিনাইদহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

ঝিনাইদহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাসহ সারাদেশে সাংবাদিক নিপীড়ণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন মিছিল হয়েছে।
রোববার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। মুখে কালো কাপড় বেঁেধ ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক এম আর রাসেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সদস্য সচিব সাংবাদিক শেখ ইমন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ কবির, সাংবাদিক সম্রাট হোসেন, সুজন বিপ্লব, এম বুরহান উদ্দীন, এস এ এনাম,এস এম রবি,মর্নিং বেল চিলড্রেন একাডেমীর পরিচালক শাহিনুর রহমান লিটন, রেল আব্দুল্লাহ,জাহান লিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচী থেকে সাংবাদিক হত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। সেই সাথে সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর সব ধরনের হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও নিপীড়ন বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে পোস্ট অফিস মোড় থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মডার্ন মোড়ে দিয়ে শেষ হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kurigram held workshops on the development of the flood at local level and the development of the promotion system 

কুড়িগ্রামে স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার আগাম সতর্কবার্ত ও প্রচার ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার আগাম সতর্কবার্ত ও প্রচার ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বন্যার আগাম সতর্কবার্তা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক কনসালটেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। রবিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে এই কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন। প্রভাতি প্রকল্পের সমন্বয়ক ডিডিএম কম্পোনেন্ট নেতাই দে সরকার এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,গণমাধ্যম কর্মী,ঈমাম,ছাত্রসহ ৩২জন অংশ গ্রহন করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়,অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্প ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পটি ৩টি জেলার ১৯টি উপজেলার ১৭৪টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রামের-৯টি, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলার ৫টি করে উপজেলা রয়েছে।

প্রশিক্ষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা, আবহাওয়ার পুর্বাভাস,বন্যার আগাম সতর্কবার্তা এবং মানচিত্র ও প্লাবন মানচিত্র বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়াও বন্যার পূর্বাভাস জানতে মোবাইলে হেল্প লাইন ফ্রিতে ১০৯০ এবং ভয়েস ম্যাসেজ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে।

প্রকল্পের মূল সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে রাইমস। অংশীজন হিসেবে রয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
For the first time the typhoid vaccine will get 1 million children

প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু

প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর শিশু টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সি প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই টিকা পাবে। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘যেসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে।

এক্ষেত্রে মা-বাবার মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবস স্কুলে ক্যাম্প করে শিক্ষার্থীদের টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। স্কুল ক্যাম্পেইন শেষ হলে আট দিন ইপিআই সেন্টারে স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।’

নিবন্ধনের পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করলে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড পাওয়া যাবে।

ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। ভ্যাকসিনটি এসেছে গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর উপসর্গ হলো দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামান্দ্য এবং কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়া। উপসর্গগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে অন্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।

গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এটি শতভাগ নিরাপদ।

পৃথিবীর অনেক দেশে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কোভিডের আগে টাঙ্গাইলে পাইলট প্রকল্পে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর সরকার গ্যাভিকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানায়। আগে দেশে এই ভ্যাকসিন বেসরকারি পর্যায়ে কিনে দেওয়া হতো, এবার সরকার বিনা মূল্যে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি শিশুকে দেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no shortage of onion in Khulna but the price is high

খুলনায় পেঁয়াজের কমতি নেই, তবুও দাম বাড়তি

খুলনায় পেঁয়াজের কমতি নেই, তবুও দাম বাড়তি

থরে থরে সাজানো পেঁয়াজ, সরবরাহে কমতি নেই। তবুও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম। তবে কি মজুদ সিন্ডিকেট? নাকি অসাধু উপায়ে দাম বাড়ানোর কৌশল? এমনই-সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে।

খুলনায় দিন যত যাচ্ছে, পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অন্তত ২৫ টাকা। হাত ঘুরলেই যেন বেড়ে যায় দাম।

পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আর খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, মজুদ সিন্ডিকেট আর ঠুনকো অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে।

নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, নিউ মার্কেট, ময়লাপোতা, জোড়াকল বাজার, নতুন বাজার, বয়রা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বাজারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের আড়তে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা দরে। অর্থাৎ, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দামের ব্যবধান ১২-১৩ টাকা।

পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে আসা হারুন অর রশীদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘৫০-৬০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা তো কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। এটা মজুদের কারণে, নাকি বন্যার কারণে বাড়ানো হয়েছে?’

ওই বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শুকুর আলী বলেন, ‘আমি সামান্য বেতনে কাজ করি। সীমিত টাকায় পেঁয়াজ কিনব, মাছ কিনব, নাকি তরকারি ও চাল কিনব? বাজারের এমন অবস্থায় গরীব মানুষের খুবই কষ্ট।’

খালিশপুরের খুচরা বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘সীমিত লাভ রেখেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাই আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে পেঁয়াজ মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি।’

কেডিএ নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা মহাদেব সাহা বলেন, ‘এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে। এই সময়ে দাম কিছুটা বাড়ে। তার ওপর ঘন বর্ষা। দীর্ঘদিন মাল ওঠে না, আমদানিও কম। এই কারণে দাম একটু বেশি।’

তবে দাম অতিরিক্ত বাড়বে না। ৮০ টাকা হলেও এখনও তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বিক্রেতা।

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বেশি না। আগে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল, এখন ৮০ টাকা হয়েছে। অস্বাভাবিক নয়। এক মণ কাঁচা পেঁয়াজ কিনলে ৮-১০ কেজি শুকিয়ে যায়। কিছু দাগি-পচা বের হয়। এ জন্য এই সময়ে দাম একটু বেড়ে থাকে।’

বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে এই বিক্রেতা বলেন, ‘দাম কিছুটা বেড়েছে। এলসি করে আনা হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়বে। এখনও এলসি করে না আনা উচিত। পেঁয়াজের দাম এখনও স্বাভাবিক আছে।’

সোনাডাঙ্গা কাঁচা বাজারের আল্লাহর দান-১ আড়তের পাইকারি বিক্রেতা ইয়াদ আলী বলেন, ‘দেশে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ কম আসছে। এ ছাড়া এলসি দেওয়া হয়নি এখনো, আগামী ১৫ তারিখে এলসি দেবে। তখন আবার পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে যাবে। বর্তমানে আমরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।’

তিনি বলেন, ‘১৫ তারিখে এলসির অনুমোদন দিলেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং তখন দাম ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে।’

সোনালী বাণিজ্য ভান্ডারের বিক্রেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সময় পেঁয়াজের বাজার একটু চড়া হয়। বৃষ্টির সিজনে মালের সংকট হয়, কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। বৃষ্টি হলে পেঁয়াজ সরবরাহ কমে যায়, তাই বাজারে দাম বেড়ে যায়। এখন সরবরাহ বাড়লে বাজার আবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The deceased journalist Asaduzzaman Tuhins family next to BNP

নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের পরিবারের পাশে বিএনপি

নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের পরিবারের পাশে বিএনপি

দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারানো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের কবর জিয়ারত ও শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা।

গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিনের গ্রামের বাড়িতে তার কবর জিয়ারত ও শোকাহত পরিবারকে আর্থিক সহয়তা দেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শনিবার সেখানে ছুটে যান তারা।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Plan to collect 3000 bodicams for the police in the upcoming elections

আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডিক্যাম’ সংগ্রহের পরিকল্পনা

আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার ‘বডিক্যাম’ সংগ্রহের পরিকল্পনা

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার শরীরে ধারণ উপযোগী ক্যামেরা (বডি-ওয়্যার ক্যামেরা) সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যা সাধারণত ‘বডিক্যাম’ নামে পরিচিত। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই যাতে পুলিশ বাহিনী এসব ক্যামেরার এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারে।’

তিনি জানান, ক্যামেরা সরবরাহের জন্য জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলো তাদের বুকে পরবেন।

এই ক্যামেরাগুলো দ্রুত কিনে হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এ সময় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাতে খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।

তার প্রস্তাব অনুসারে, অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে। এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট ও অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রস্তাবিত অ্যাপটি দ্রুত চালু করতে এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহার উপযোগী কিনা, তা নিশ্চিত করতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

মন্তব্য

p
উপরে