× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The worlds latest Ultra Slym Wireless Phone Techno Spark 3 Pro Plus is now in Bangladesh
google_news print-icon

বিশ্বের সর্বাধুনিক আলট্রা-স্লিম ওয়্যারলেস ফোন টেকনো স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস এখন বাংলাদেশে

বিশ্বের-সর্বাধুনিক-আলট্রা-স্লিম-ওয়্যারলেস-ফোন-টেকনো-স্পার্ক-৪০-প্রো-প্লাস-এখন-বাংলাদেশে

টেকনো এমডব্লিউসি ২০২৫-এ অবিশ্বাস্য ৫.৭৫ মিলিমিটার পুরুত্বের স্পার্ক স্লিম প্রদর্শন করার পরপরই স্মার্টফোন খাতে আলট্রা-স্লিম ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। স্লিম ফোন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে টেক-জায়ান্টদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যেই টেকনো স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস লঞ্চ করা হয়েছে। প্রকৌশলে অনবদ্য ডিভাইসটি এখন বাণিজ্যিকভাবেও আনা হয়েছে; যেন ক্রেতারা আজ থেকেই এটি কেনার সুযোগ পান।

বিশ্বের সর্বাধুনিক আলট্রা-স্লিম ওয়্যারলেস ফোন টেকনো স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস এখন বাংলাদেশে

স্পার্ক ৪০ সিরিজের স্লোগান ‘স্লিম এভার, স্ট্রং ফরেভার’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস ডিভাইসটি ৬.৪৯ মিলিমিটারের স্লিম ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে, আলট্রা-স্লিম ডিজাইনের পাশাপাশি পাওয়ারের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেয়নি। এই ফোনে বর্তমানের সবচেয়ে পাওয়ারফুল ফোরজি চিপসেট হিসেবে এতে মিডিয়াটেক হেলিও জি২০০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে পাশাপাশি রয়েছে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ও ১৬ জিবি র‍্যাম (৮ জিবি + ৮ জিবি এক্সটেনডেড)।

ডিভাইসটির ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা আরও অনবদ্য; ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৭৮ ইঞ্চির ১.৫কে থ্রিডি কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এই ফোনে। পাওয়ারফুল প্রসেসর ও দুর্দান্ত ডিসপ্লের কম্বিনেশন মাল্টিটাস্কিং, স্ক্রলিং বা গেমিং সবক্ষেত্রেই এই সেগমেন্টের সেরা অভিজ্ঞতা দিবে।

বিশ্বের সর্বাধুনিক আলট্রা-স্লিম ওয়্যারলেস ফোন টেকনো স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস এখন বাংলাদেশে

স্লিম মানেই ভঙ্গুর নয়, প্রমান করতে ফোনটির সুরক্ষায় রয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৭আই, আইপি৬৪ ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ও ২-মিটার ড্রপ প্রোটেকশনের মতো প্রিমিয়াম ফিচার।

স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস ফোনটি স্লিম হলেও এতে রয়েছে শক্তিশালী ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাথে ৩০ ওয়াট ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট এমন সমন্বয় এর আগে এতো পাতলা চ্যাসিসে সম্ভব হয়নি। একইসাথে, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট ওয়্যারড চার্জিং তো থাকছেই।

বিশ্বের সর্বাধুনিক আলট্রা-স্লিম ওয়্যারলেস ফোন টেকনো স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস এখন বাংলাদেশে

ফটোগ্রাফি-প্রেমীদের জন্য ৫০ মেগাপিক্সেল এআই-সক্ষম মেইন ক্যামেরা ও ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও, মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে প্রফেশনাল মানের ফটোগ্রাফি নিশ্চিত করতে এতে এআই ফ্ল্যাশস্ন্যাপ, এআই ইরেজার, এআইজিসি পোর্ট্রেইট, এআই শার্পনেসের মতো ফিচার। ক্যামেরা এআই এর পাশাপাশি এই ফোনে রয়েছে প্রডাক্টিভ এআই ফিচার যেমন ইমেজ-টু-ডকুমেন্ট, ইমেজ-টু-এক্সেল, ইমেজ প্রাইভেসি ব্লারিং, এআই রাইটিং, এআই ট্রান্সলেট, এআই সার্কেল সার্চ সহ আরও অনেক ফিচার।

নতুনত্ব কেবল হার্ডওয়্যারেই সীমাবদ্ধ নয়; এতে টেকনো ফ্রি লিঙ্ক নামে একটি রেকর্ডিং ফিচারও যুক্ত রয়েছে, যা নেটওয়ার্ক সংযোগ ছাড়াই কল ও টেক্সট করার সুবিধা দেয়। ব্যবহারকারীদের কানেক্টিভিটির সমস্যা সমাধান করবে এই ফিচার। প্রতিদিনের স্মার্টফোন অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে মাল্টিফাংশনাল এনএফসি ও আউটডোর বুস্টার ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। সিকিউরিটি সেকশনে আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ফেস আনলক সুবিধা।

টেকনো স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস এখন বাংলাদেশে মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য) পাওয়া যাচ্ছে। সর্বাধুনিক আলট্রা-স্লিম ফোন প্রযুক্তিকে ফ্ল্যাগশিপের বিকল্প হিসেবে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেই এই দাম এতো সাশ্রয়ী রাখা হয়েছে। ডিভাইসটি এখন বাংলাদেশের সকল টেকনো ব্র্যান্ড আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।

আলট্রা-স্লিম ফোনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। টেকনো প্রমাণ করেছে যে, উদ্ভাবনী ডিজাইন ও প্রিমিয়াম ফিচারগুলো সাশ্রয়ী দামেই ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। স্পার্ক ৪০ প্রো প্লাস তাই কেবল প্রযুক্তিগত অর্জন নয়; বরং একইসাথে, এটি একটি বাস্তবমুখী উদ্ভাবন, যা সর্বাধুনিক আলট্রা-স্লিম ফোন প্রযুক্তিকে ক্রেতাদের নাগালে পৌঁছে দেয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.facebook.com/TECNOMobileBangladesh

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Celebration of PSTC 7 year anniversary The story of human journey is new horizon of possibilities

পিএসটিসি-র ৪৭ বছর পূর্তি উদযাপন: মানবিক যাত্রার গল্প, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

পিএসটিসি-র ৪৭ বছর পূর্তি উদযাপন: মানবিক যাত্রার গল্প, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

আজ, পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) -৪৭-এ পিএসটিসি।

মানবিক যাত্রার গল্প, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত" শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে তার গৌরবময় ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ পথচলার গল্প, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং অঙ্গীকারের নতুন প্রত্যয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএসটিসি'র মাননীয় গভার্নিং বডির চেয়ারপারসন মিজ সানজিদা ইসলাম,

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো: ইনামুল হক, মহাপরিচালক, হেলথ ইকোনোমিক ইউনিট,

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বর্তমান বোর্ড সদস্য ড. মোঃ গোলাম রহমান আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইসচেয়ার মিজ গিতালী বদরুননেসা হাসান। তাদের উপস্থিতি সংগঠনের কৌশলগত লক্ষ্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি গভীর অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।

পিএসটিসি'র নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ ৪৭ বছরের

যাত্রার বিভিন্ন মাইলফলক তুলে ধরেন। তিনি কীভাবে একটি সংকটময় সময়ে যাত্রা শুরু করে পিএসটিসি

আজ বাংলাদেশের অন্যতম আস্থা অর্জনকারী উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে তা তুলে

ধরেন। স্বাস্থ্য, অধিকার, যুব নেতৃত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা এবং মানবিক সহায়তা—সবখাতেই প্রতিষ্ঠানটি

রাখছে উল্লেখযোগ্য অবদান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Bangladesh the rule of fear and oppression never returns to the rule Adilur Rahman

বাংলাদেশে আর কখনো যেন ভয় ও নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে : আদিলুর রহমান

বাংলাদেশে আর কখনো যেন ভয় ও নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে : আদিলুর রহমান

শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ভয় ও নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে। একটি দমন-পীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থার পতনের পর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জুলাই বিপ্লব নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের দমনমূলক শাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্রে পরিণত করা হয়। গুম ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। হাজারো রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, ছাত্রনেতা ও সাংবাদিককে অপহরণ, নির্যাতন বা স্থায়ীভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বহু পরিবার আজও জানে না, তাদের সন্তান জীবিত নাকি অচেনা কোন কবরে শায়িত আছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, নির্বাচন, গণমাধ্যম ও ছাত্র আন্দোলনের কণ্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা অপকৌশল ব্যবহৃত হয়েছিল। কারাগারগুলো অপরাধীদের নয়, দেশপ্রেমিকদের দিয়ে ভরে গিয়েছিল। ফেসবুক পোস্টই ডেকে আনত মাঝরাতের পুলিশি অভিযান। শুধু মত প্রকাশের দায়ে একটি ভালো বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত কিংবা শহীদ করা হয়েছে।

সম্মেলনে মূলবক্তা ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কূটনীতিক জন এফ. ড্যানিলোভিচ।

সম্মেলনের শুরুতে শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীনের বাবা ও মা তাদের বক্তৃতায় দ্রুত জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান। ছাত্রনেতা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, কূটনীতিক ও মানবাধিকার কর্মীরা বক্তৃতা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থট (আরআইটি), ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা (কানাডা), নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি (সিঙ্গাপুর), কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (সিপিএসআর), ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি, সোচ্চার এবং ইনসাফ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সম্মেলনের আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Made of initial draft of the Certificate of July Ali Riaz

জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি: আলী রীয়াজ

বহুল কাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে।

এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং বিবেচনার জন্য আগামীকালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে একটি করে খসড়া প্রেরণ করা হবে। সেটি নিয়ে আপনারা নিজেদের রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে আমাদেরকে মতামত জানালে সেগুলো এতে সন্নিবেশিত করা হবে।’

এ সময় তিনি জানান যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোন মৌলিক আপত্তির বিষয় উত্থাপিত না হলে সেটি নিয়ে বৈঠকে আর আলোচনা করা হবে না।

তিনি জানান, সকলের মতামত পাওয়ার পর সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে চূড়ান্ত জুলাই সনদের পটভূমি, প্রাথমিক বক্তব্য সমূহ, অঙ্গীকার এবং প্রক্রিয়ার বিষয় বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত করে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে তুলে ধরা হবে।

সময়ের স্বল্পতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সকলকে বলেন, আমাদের আলোচনা যে কোনোভাবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। আলোচনা শেষ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে চাই। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ১০টি বিষয়ে আমরা একধরনের ঐকমত্যে পৌঁছেছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নোট অফ ডিসেন্ট আছে এবং সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু তা অসমাপ্ত রয়েছে। এবং তিনটি বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আলোচনা হয়নি।

আজকের আলোচ্য সূচীতে পূর্বের আলোচিত দুটি অসমাপ্ত বিষয় ও পাশাপাশি একটি নতুন বিষয়কে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে আলোচনা করতে চাই, যেন প্রক্রিয়াটাকে নিয়ে সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হতে পারি।

উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রস্তাব, পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।

এ আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত রয়েছেন।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ দ্রুত প্রণয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সকল বিষয়ে ঐকমত্য গড়তে আগামী কিছুদিন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলমান থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inauguration of basic training courses for university teachers in speech

বাকৃবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধন

বাকৃবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ‘বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কোর্সের উদ্বোধন

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে এবং গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) “বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ” শীর্ষক ৩২তম কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিটিআই শ্রেণিকক্ষে এ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

জিটিআই এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক আইরিন আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়া।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এবং বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: হাম্মাদুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রোস্তম আলী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. দীন ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোছা: জান্নাতুন নাহার মুক্তা, চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা: মো: সাইদুর রহমান, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: আসাদুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম এবং চিফ মেডিক্যাল অফিসার (প্রতিষেধক) ডা: মো: শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকবৃন্দকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষকতা শুধু ক্লাসরুমেই নয় বরং এটি আরও ব্যাপ্তিময়। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের জীবনে খুবই সহায়ক হবে বিধায় নিয়মানুবর্তিতা ও মনোযোগের সঙ্গে এটি সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন।

তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “১৯৭১ ও ২০২৪ দুটোই আমাদের গর্বের জায়গা। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা এগুতে পারব না।” এজন্য জিটিআই কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণের মডিউলে ২০২৪ সালের গণচেতনা সংযোজনের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ দিনব্যাপী চলা এ প্রশিক্ষণে ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ২৫ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করছেন।

মন্তব্য

পাহাড়ে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখাচ্ছে কপি ও কাজুবাদাম

পরিবেশ বিধ্বংসী সেগুন ছেড়ে বিকল্পে ঝুঁকছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের চাষিরা
পাহাড়ে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখাচ্ছে কপি ও কাজুবাদাম

কপি ও কাজুবাদাম চাষে অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির আশা দেখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাষিরা। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি-বাঙালি চাষিদের জাগিয়ে তুলেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, পাহাড়ের কৃষকদের কপি ও কাজুবাদাম চাষের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা জানিয়েছেন, অনগ্রসর পাহাড়বাসীদের ভূপ্রকৃতি রক্ষাসহ তাদের আর্তসামাজিক উন্নয়নে পার্বত্যাঞ্চলে তিনি জানান, সম্প্রতি পাহাড়ে কপি ও কাজুবাদাম গাছ লাগানোর ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই লক্ষ্যে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীন উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদগুলোসহ স্থানীয় কৃষি অফিসগুলোর মাধ্যমে পাহাড়ের কৃষকদের কপি ও কাজুবাদামের চারা বিতরণসহ এই কপি ও কাজুবাদাম বিষয়ে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণিদের ব্যাপক ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় করার নির্দেশনা দিয়েছি।

পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, কপি-কাজুবাদাম শুধু ১ বছরের জন্য নয়; এটি একবার শুরু করলে আগামী অন্তত ৪০-৫০ বছর লাগাতার অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেবে। এতে করে আমাদের প্রার্ন্তিক জনগোষ্ঠী খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশীলতায় পৌঁছাবে।

জানা গেছে, দেশের ১ হাজর ৮০০ হেক্টর জমিতে-২০২১ জুন মাসে কপি-কাজুবাদাম চাষ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রকল্পের শুরুতে কাজুবাদাম চাষ হতো। প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজর ২০০ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। সেই সঙ্গে কফি চাষ ৬৫ হেক্টর থেকে বেড়ে ১ হাজর ৮০০ হেক্টরে উন্নীত হয়েছে। পাহাড়ে বর্তমানে উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার ১২ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার কপি ও কাজুবাদামের বাগান সৃজন করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কপি ও কাজু বাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা কৃষিবিদ মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনাবাদি জমিতে কাজুবাদাম ও কফি চাষ সম্প্রসারিত প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা করছে উন্নয়ন বোর্ড।

বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ৫ লাখ হেক্টর অব্যবহৃত জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ হেক্টরে কফি চাষ করলে ২ লাখ টন কফি উৎপাদন সম্ভব।’ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯২ শতাংশ উঁচু ভূমি, তাই এখানে পানি জমে না যা কফি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কফি গাছ চাষ করতে বাড়তি জমিরও প্রয়োজন হয় না। পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার কপি-কাজুবাদামের বাগান সৃজিত করেছে স্থানীয়দের মাধ্যমে।

এ প্রকল্পে দেশে উৎপাদিত কাজুবাদাম ও কফির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। পাহাড়ে এই প্রকল্পের শুরু থেকেই এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান, দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ২ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমিকে কাজুবাদাম ও কফি চাষের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদিত কাজুবাদাম ও কফির মাধ্যমে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ১ বিলিয়ন ডলার এর রপ্তানি করা সম্ভব।

ইতোমধ্যে কাজুবাদামের ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে। দেশে বর্তমানে কাজুবাদামের বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। প্রতি বছর গড়ে ২ হাজর ৫০০ থেকে ৩ হাজার টন প্রক্রিয়াজাতকৃত কাজুবাদাম আমদানি হয়। দেশে কফির চাহিদা প্রায় ২ হাজার টন। গত এক দশকে গড়ে কফির চাহিদার প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫৬ শতাংশ। বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার কফি দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি হয়। ভোক্তা পর্যায়ে গত ৫ বছরে এ দুটি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

এদিকে বিএসআরএম ও কাজী গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান রপ্তানির উদ্দেশ্যে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করছে। এসব কারখানায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের মতো লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বিদ্যমান প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে প্রায় ২ হাজার জন শ্রমিক কাজ করছে। এসব শ্রমিকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হলো- নারী শ্রমিক।

এদিকে রাঙামাটির কৃষি বিভাগ বলছে ‘সঠিক পরিকল্পনায় পাহাড়ি এলাকায় কপি ও কাজুবাদাম চাষ শুরু করা গেলে তা একদিকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেবে, অন্যদিকে পাহাড় রক্ষা পাবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Foreign Advisor to the United States to attend the Palestinian Conference

ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

‘হাই-লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সলিউশন’ শীর্ষক সম্মেলন চলবে ২৮ ও ২৯ জুলাই। এটি মন্ত্রিপর্যায়ের অনুষ্ঠিত হবে।

ফ্রান্স এবং সৌদি আরব যৌথভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ/আরইএস/৭৯/৮১ রেজ্যুলেশনের (ডিসেম্বর ২০২৪) আলোকে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

সম্মেলনের পাশপাশি তৌহিদ হোসেন বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, উপদেষ্টা তৌহিদ আগামী ১ আগস্ট ভোরে দেশে ফিরবেন।

শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসস’কে বলেন, উপদেষ্টা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে।

পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সময়সীমা নির্ধারিত রোডম্যাপ
প্রণয়নের আহ্বান জানাবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

জাতিসংঘের এই সম্মেলনকে গাজা শাসনব্যবস্থা, বাধাহীন মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে বৈশ্বিক ঐকমত্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। ১৯৮৮ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথম দিকের দেশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ।

মন্তব্য

p
উপরে