বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনা নদীর পানি হু হু করে বেড়ে প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ জনপথ। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর-ঘের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা।
এরই মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন আলিগঞ্জ-উলানিয়া চার লেনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। ধসে পড়া সড়কের উপরই স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো যা এখন হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা।
রবিবার (২৭ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে রাস্তাটির অন্তত ১০টি স্থানে ভয়াবহ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো সড়ক এখন চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার অন্তত ৫/৬টি গ্রামের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ, যারা প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও হাটবাজারে যাতায়াত করতেন। উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিএনপির সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় আপদকালীন চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে কয়েকটি বাঁশের সাঁকো। ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদুল হক মিল্টন চৌধুরী বলেন,এভাবে গাইডওয়াল ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রাস্তা নির্মাণের কারণে কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প এখন ধ্বংসের মুখে। আগে গাইডওয়াল নির্মাণ, তারপর রাস্তা এই নীতিতে কাজ করতে হবে। স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় জোয়ারের পানিতে সড়ক ভেঙে পড়েছে। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আকবর চৌধুরী বলেন, এভাবে কোটি টাকার প্রকল্প ধসে যাওয়া গভীর উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দায় এড়াতে পারে না। বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুর রহমান জানান,উপজেলা প্রকৌশলীকে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে পুনঃনির্মাণে কাজ করবে বলে আশা করছি।
কপি ও কাজুবাদাম চাষে অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির আশা দেখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাষিরা। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি-বাঙালি চাষিদের জাগিয়ে তুলেছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, পাহাড়ের কৃষকদের কপি ও কাজুবাদাম চাষের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা জানিয়েছেন, অনগ্রসর পাহাড়বাসীদের ভূপ্রকৃতি রক্ষাসহ তাদের আর্তসামাজিক উন্নয়নে পার্বত্যাঞ্চলে তিনি জানান, সম্প্রতি পাহাড়ে কপি ও কাজুবাদাম গাছ লাগানোর ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই লক্ষ্যে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীন উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদগুলোসহ স্থানীয় কৃষি অফিসগুলোর মাধ্যমে পাহাড়ের কৃষকদের কপি ও কাজুবাদামের চারা বিতরণসহ এই কপি ও কাজুবাদাম বিষয়ে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণিদের ব্যাপক ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় করার নির্দেশনা দিয়েছি।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, কপি-কাজুবাদাম শুধু ১ বছরের জন্য নয়; এটি একবার শুরু করলে আগামী অন্তত ৪০-৫০ বছর লাগাতার অর্থনৈতিক সাপোর্ট দেবে। এতে করে আমাদের প্রার্ন্তিক জনগোষ্ঠী খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশীলতায় পৌঁছাবে।
জানা গেছে, দেশের ১ হাজর ৮০০ হেক্টর জমিতে-২০২১ জুন মাসে কপি-কাজুবাদাম চাষ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রকল্পের শুরুতে কাজুবাদাম চাষ হতো। প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজর ২০০ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। সেই সঙ্গে কফি চাষ ৬৫ হেক্টর থেকে বেড়ে ১ হাজর ৮০০ হেক্টরে উন্নীত হয়েছে। পাহাড়ে বর্তমানে উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার ১২ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার কপি ও কাজুবাদামের বাগান সৃজন করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কপি ও কাজু বাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা কৃষিবিদ মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনাবাদি জমিতে কাজুবাদাম ও কফি চাষ সম্প্রসারিত প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা করছে উন্নয়ন বোর্ড।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ৫ লাখ হেক্টর অব্যবহৃত জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ হেক্টরে কফি চাষ করলে ২ লাখ টন কফি উৎপাদন সম্ভব।’ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৯২ শতাংশ উঁচু ভূমি, তাই এখানে পানি জমে না যা কফি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কফি গাছ চাষ করতে বাড়তি জমিরও প্রয়োজন হয় না। পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার কপি-কাজুবাদামের বাগান সৃজিত করেছে স্থানীয়দের মাধ্যমে।
এ প্রকল্পে দেশে উৎপাদিত কাজুবাদাম ও কফির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। পাহাড়ে এই প্রকল্পের শুরু থেকেই এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান, দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ২ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমিকে কাজুবাদাম ও কফি চাষের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদিত কাজুবাদাম ও কফির মাধ্যমে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ১ বিলিয়ন ডলার এর রপ্তানি করা সম্ভব।
ইতোমধ্যে কাজুবাদামের ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা গড়ে উঠেছে। দেশে বর্তমানে কাজুবাদামের বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। প্রতি বছর গড়ে ২ হাজর ৫০০ থেকে ৩ হাজার টন প্রক্রিয়াজাতকৃত কাজুবাদাম আমদানি হয়। দেশে কফির চাহিদা প্রায় ২ হাজার টন। গত এক দশকে গড়ে কফির চাহিদার প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫৬ শতাংশ। বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার কফি দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি হয়। ভোক্তা পর্যায়ে গত ৫ বছরে এ দুটি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে বিএসআরএম ও কাজী গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান রপ্তানির উদ্দেশ্যে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করছে। এসব কারখানায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জনের মতো লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বিদ্যমান প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোতে প্রায় ২ হাজার জন শ্রমিক কাজ করছে। এসব শ্রমিকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হলো- নারী শ্রমিক।
এদিকে রাঙামাটির কৃষি বিভাগ বলছে ‘সঠিক পরিকল্পনায় পাহাড়ি এলাকায় কপি ও কাজুবাদাম চাষ শুরু করা গেলে তা একদিকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেবে, অন্যদিকে পাহাড় রক্ষা পাবে।’
ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
‘হাই-লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সলিউশন’ শীর্ষক সম্মেলন চলবে ২৮ ও ২৯ জুলাই। এটি মন্ত্রিপর্যায়ের অনুষ্ঠিত হবে।
ফ্রান্স এবং সৌদি আরব যৌথভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ/আরইএস/৭৯/৮১ রেজ্যুলেশনের (ডিসেম্বর ২০২৪) আলোকে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
সম্মেলনের পাশপাশি তৌহিদ হোসেন বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী এবং জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এসব বৈঠকে গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, উপদেষ্টা তৌহিদ আগামী ১ আগস্ট ভোরে দেশে ফিরবেন।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসস’কে বলেন, উপদেষ্টা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনার প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে।
পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সময়সীমা নির্ধারিত রোডম্যাপ
প্রণয়নের আহ্বান জানাবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
জাতিসংঘের এই সম্মেলনকে গাজা শাসনব্যবস্থা, বাধাহীন মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে বৈশ্বিক ঐকমত্য তৈরির গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সবসময় আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। ১৯৮৮ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথম দিকের দেশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ।
ভোলায় অভিযান চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমানে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের ভোলা বেইস।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,মো.সুজন (৩৫),মো.জাকির (৪৮),মোঃ সোহাগ (২৪),মোঃ আল আমিন (৪০),মো.শাহ আলী (৬০),মো.হানিফ ফরাজী (৬১), মো,শামসুদ্দিন (৪৮) ও আব্দুল হক (৫৬)। তারা সকলে ভোলা সদর ও চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা।
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরবৈরাগী এবং তৎসংলগ্ন চর এলাকায় একটি ডাকাত দল স্থানীয় জনসাধারণ এবং জেলেদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করে আসছিলো বলে জানা যায়।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধনিয়া তুলাতুলি ঘাট এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ওই এলাকা থেকে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) সহ ৩ জন ডাকাতকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে আটককৃত ডাকাত সদস্যদের দেওয়া তথ্যানুসারে শনিবার (২৬ জুলাই) ভোর থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দৌলতখানের চরবৈরাগী এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় আরও একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ৭টি দেশীয় অস্ত্র ২ টি মেটাল স্টিকসহ আরও ৫ জন ডাকাতকে আটক করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর রশিদ আরও বলেন,পরবর্তীতে জব্দকৃত অস্ত্র ও আটককৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর ও দৌলতখান থানায় হস্তান্তর করা হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সূচকের পতন হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস--৩০ কমেছে ১৪ পয়েন্ট।
ঢাকার বাজারে ১৪৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭১টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪৭০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, ঢাকার মতোই সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৪টি কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৮টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের প্রথমভাগে সিএসইতে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৭০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৫৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফিতা কেটে বৃক্ষমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোঃ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ তৌহিদুল কবীর, জেলা শিক্ষা অফিসার হজরত আলী এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনীর।
বৃক্ষমেলায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে ১৭টি স্টল অংশগ্রহণ করে। মেলাস্থলে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বৈরী আবহাওয়ায় নদী উত্তাল থাকায় টানা ৩দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার ১০টি অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকা ১০টি রুটের মধ্যে ছিল,ইলিশা-মজুচৌধুরী ঘাট,হাতিয়া-ঢাকা,হাতিয়া-মনপুরা,চরফ্যাশন-ঢাকা,তজুমদ্দিন-মনপুরা,দৌলতখান- আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-ঢাকাসহ অন্যান্য রুট। তবে স্বাভাবিক ছিল ইলিশা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল।
রোববার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা নদী বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা মো.জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন,বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে নদী উত্তাল থাকায় ভোলার ১০টি রুটে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ভোলার এসব রুটে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
মন্তব্য