× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jamaat is fighting against domination and fascism Dr Shafiqur Rahman
google_news print-icon

আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

আধিপত্যবাদ-ও-ফ্যাসিবাদের-বিরুদ্ধে-লড়াই-করছে-জামায়াত-ডা-শফিকুর-রহমান

রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের সংকটকালে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতারা বিদেশ থেকে দেশে এসে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপাত্যবাদের দোসর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতের নেতাদের বেগম পাড়া কিংবা পিসি পাড়া নাই। জামায়াতের কোনো নেতা কখনোই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি —যাবেও না। যারা দেশ ও জনগণকে ভালোবাসে না তারাই বিদেশে নিজেদের দ্বিতীয় ঠিকানা গড়ে তুলেছেন। তারা নিজেদের স্বার্থে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’

জামায়াতের এমন অবস্থঅনের কারণে শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিচারিক হত্যা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াতপ্রধান।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও অবিচার করেনি, জুলুম করেনি। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী করেনি, করবেও না। জামায়াত দল নিয়ন্ত্রণ করেছে, দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। যারা দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না—তারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

ইসলামকে পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ধর্ষক, খুনি, লুটেরাদের ভয়ের কারণ আছে—এজন্য তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে তাদের মা-বোন যদি প্রয়োজনে বাজারে যেতে পারে, হাসপাতালে যেতে পারে, প্রয়োজনীয় মৌলিক সব কাজ করতে পারে—তাহলে কেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে নারীদের চলাফেরায় বাঁধা সৃষ্টি হবে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সকল ধর্মের নারী-পুরুষ সকলেই রাষ্ট্রের কাছে সমান। রাষ্ট্র ধর্মের কিংবা লিঙ্গের বৈষম্য করতে পারে না। ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চায় জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের রাজনীতি হবে কেবলই মানুষ ও মানবতার কল্যাণে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান ও মো. শামছুর রহমান।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The construction of modern Silo in Naogaon is the unscrupulous disappear contractor

নওগাঁয় আধুনিক সাইলো নির্মাণের কাজ অনিশ্চিত, লাপাত্তা ঠিকাদার

নওগাঁয় আধুনিক সাইলো নির্মাণের কাজ অনিশ্চিত, লাপাত্তা ঠিকাদার

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণের কাজটি অনিশ্চিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর মাটি ভরাটের কাজ অসম্পূর্ন রেখেই লাপাত্তা ঠিকাদার। সাইলোটি আলোর মুখ দেখবে কিনা না নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তবে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের অর্থ লোপাটের চেষ্টা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সাইলো নির্মাণ করা না হলে সেখানে অন্য যেকোনো উন্নয়ন কাজে জায়গাটি ব্যবহারের দাবি স্থানীয়দের। আর সাইলোটি নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত জেলার ১১ টি উপজেলাসহ আশেপাশের জেলায় উৎপাদিত উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য সরকারিভাবে সংগ্রহ করা সহজ হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত উত্তরের বৃহৎজেলা নওগাঁ। জেলায় খাদ্য শস্য সংরক্ষণে ২০ টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। যার ধারণক্ষমতা ৫৮ হাজার ৪৭৫ টন। এরমধ্যে অধিকাংশ খাদ্য গুদাম বছরের বেশিরভাগ সময় ফাঁকা থাকে। এরপরও ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, সাইলোটি সম্পূর্ণ স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হবে। এতে সরকারের ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এরমধ্যে শুধু মাটি ভরাটের বরাদ্দ ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে কার্যাদেশ পেয়েছে ঢাকার মেসার্স চন্দ্রদ্বীপ কনট্রাকশন, রাজশাহীর মেসার্স ডন এন্টারপ্রাইজ ও নওগাঁর মেসার্স ইথেন এন্টারপ্রাইজ। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

২০২২ সালের শেষ দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় ১৫ একর (৪৫ বিঘা) জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরপর মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। মাটি ভরাটের কাজ ৯৫ শতাংশ হলেও প্রায় ৩ বছর থেকে তা পড়ে রয়েছে। যেখানে স্থানীয়দের গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। একই সাথে স্থানীয়দের ফুটবল খেলার কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও। এরপর থেকে সাইলো নির্মাণের কাজটি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাইলোটি আলোর মুখ দেখবে কিনা না নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।

উপজেলার নওহাটা এলাকার বাসীন্দা শাহজাহান বলেন- জেলায় পর্যাপ্ত খাদ্যগুদাম আছে এবং সংরক্ষণ করা যায়। তারপরও তৎকালিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে সাইলোটি নির্মানের উদ্যোগ নেয়। এখানে সাইলো প্রকল্পটি দেখিয়ে অনেকের চোখে ধুলো দিয়ে তার নিজের প্রত্যন্ত এলাকায় নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছিল। বর্তমানে সাইলো প্রকল্পটির কাজ বন্ধ রয়েছে। আদ্যো সাইলো হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। তবে সাইলো যদি না হয় সেখানে অন্য যেকোনো উন্নয়ন কাজে জায়গাটি ব্যবহার করা হোক।

ভীমপুর গ্রামের আরমান আলী অভিযোগ করে বলেন- তিন ফসলি জমিকে এক ফসলি দেখিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আবার ভরাটের সময় বালুর পরিবর্তে এঁটেল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই।

একই গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন- সাইলো নির্মাণ হবে গত ৩ বছর থেকে এই কথা শুনে আসছি। এজন্য মাটিও ভরাট করা হয়েছে। এতে খাদ্য-শস্য সংরক্ষণ হবে এবং এলাকার উন্নয়ন হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। সেখানে গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে এবং ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাইলো হবে কিনা তা আমরা বুঝতেও পারছি না।

নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন- এ জেলায় প্রায় ২৭ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়। সরকারি ভাবে খাদ্য-শস্য সংগ্রহের সময় জেলার খাদ্য গুদামগুলো খালি করে সংগ্রহ করতে হয়। পাশের বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) ও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম (সিএসডি) সহ চারটি খাদ্য শস্য সংগ্রহ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করতে হয়। এতে ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এ কারণে কৃষক ও ব্যবসায়িদের ধান-চালের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সাইলো নির্মাণ প্রয়োজন।

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ফরহাদ খন্দকার বলেন- সাইলো নির্মাণে মাটি ভরাটের কাজ ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। কাজের এখনো ১০ শতাংশ টাকা জামানত হিসেবে রক্ষিত রয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখে লাপাত্তা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তা অধিদপ্তর ভাল বলতে পারবেন। তবে খালি জায়গায় ফলজ গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে জেলায় সংরক্ষণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রয়েছে।

মন্তব্য

রংপুরে ব্যাস্ততম সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

রংপুরে ব্যাস্ততম সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে মাহীগঞ্জ সাতমাথা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে, খোয়া বের হয়েছে, স্থানে স্থানে বড় গর্ত; বৃষ্টি হলেই জমে কাদা। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে আবারও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাতমাথা রেলগেটসংলগ্ন ভাঙা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ ও রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো হয়।

স্থানীয়রা বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগের অন্যতম রুট সাতমাথা-জাহাজ কোম্পানি সড়ক। এ সড়কের ৫ কিলোমিটার দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিনই মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ফলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার রোগী ও গর্ভবতী নারীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে যেতে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই এর আগে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়া হয়েছিল। শুক্রবার সড়কে প্রতীকী ধানের চারা রোপণসহ সিটি করপোরেশনকে লালকার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কারকাজ শুরু না হলে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করবেন। এমনকি রংপুর-ঢাকা রেলপথও অবরোধ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতমাথার বাসিন্দা রাজিমুজ্জামান হৃদয়, আসিফ মাহমুদ, মো. প্রান্ত, ছিয়াম হোসেন সাকিব, হাসান আলী, হোসেন আলী, সুমন হোসেন বিজয়, আরাফাত হোসেন, সাগর হাসান, হীরা হক, সেলিম হোসেন, হীরা, মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ। তারা সিটি করপোরশনকে লালকার্ড প্রদর্শন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Information Commission is being formed soon

শিগগিরই গঠিত হচ্ছে তথ্য কমিশন

শিগগিরই গঠিত হচ্ছে তথ্য কমিশন

তথ্য কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তথ্য কমিশন গঠন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী একজন প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দু’জন তথ্য কমিশনার নিয়ে এই কমিশন গঠিত হবে। দু’জন তথ্য কমিশনারের মধ্যে ন্যূনতম একজন হবেন নারী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Aircraft crashed in Milestone Two more deaths were killed

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও দুজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও দুজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জারিফ ফারহান নামের ১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী মারা যায় বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। পরে সোয়া দশটার দিকে মাসুমা নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

নিহত জারিফ মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল।

বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন শুক্রবার বিকালে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসাধীন পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। এরপর আজ সকালেই এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।

অন্যদিকে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাসুমা নামের ওই নারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

দুজনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হলেও লাশদুটি এখনও তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ জনে, আর সবমিলিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ৩৫ জনের।

সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই শিশু।

অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বার্ন ইনস্টিটিউটের অনেকেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। সুস্থ ১৫ জনকে আজ শনিবার থেকেই ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khairul Haque Democracy is the key to destruction
মন্তব্য প্রতিবেদন

খায়রুল হক--গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল হোতা

তার বিতর্কিত রায়ের কারণেই দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটে
খায়রুল হক--গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল হোতা

গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার অন্যতম সহযোগী ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। তার বহুল বিতর্কিত রায়ই শেখ হাসিনাকে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার সুযোগ করে দিয়েছিল।

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী সাবেক এই প্রধান বিচারপতি এখন কারাগারে। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই বিচারকের গ্রেপ্তারে দেশজুড়ে গণতন্ত্রমনা মানুষের মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস বইছে। এছাড়া বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি খায়রুল হককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মোতে, সুশাসন ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে এই গ্রেপ্তার জাতির ইতিহাসে বড় সাফল্যের ঘটনা হিসাবে জায়গা করে নেবে। একইসঙ্গে এ গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেল-অন্যায় করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ কোনোদিন রেহাই পাবে না।

জানা গেছে, বিচারপতি খায়রুল হকের নামে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আরও দুটি মামলা আছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের হাত ধরেই দেশের বিচারাঙ্গন কলুষিত হয়। শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট শাসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি সব অপকর্মের বীজ বপন করে গেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ রুদ্ধ করাসহ খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা এবং জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও বাতিল করে দেন। এর ফলে শেখ হাসিনা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বিনা ভোটে টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান। এজন্য আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনকে দীর্ঘায়িত করার ক্ষেত্রে খায়রুল হককে ‘জনক’ বলা যেতে পারে। এর বিনিময়ে তিনি আওয়ামী লীগ আমলে আইন ও রীতি লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে নানা সুবিধাও নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকায় নিজের চিকিৎসা করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন এবিএম খায়রুল হক।

এরপর দুজনকে ডিঙিয়ে দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এবিএম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় পরের বছর ২০১১ সালের ১৭ মে অবসর গ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

এছাড়া বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তিনি দেশের বিচারব্যবস্থাকে চরমভাবে বিতর্কিত ও ধ্বংস করে গেছেন।

সর্বোচ্চ আদালতে দলবাজির ন্যক্কারজনক নজির সৃষ্টি করে গেছেন বিচারপতি খায়রুল হক। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও অনুভূতির বিপরীতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে তিনি সর্বোচ্চ আদালতে কাজ করে গেছেন। তার দেওয়া একটি পূর্ণ ও একটি সংক্ষিপ্ত রায়ের অজুহাতে শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধনের নামে গোটা সংবিধান তছনছ করে দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে মামলার বিতর্কিত রায় দেন। অবসরে যাওয়ার কিছুদিন আগে ২০১১ সালের ১০ মে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার সংক্ষিপ্ত আদেশটি দেন। রায়ে বলা ছিল, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। অথচ সুদীর্ঘ ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত রায়ের চূড়ান্ত লিখিত আদেশে বিচারপতি খায়রুল হক কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যেতে পারে বলে নির্দেশনা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায়ে স্বাক্ষর করেন। লিখিত এই রায়ে পরবর্তী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকবে—বিষয়টি ছিল না। অবসরে গিয়ে বিচারপতি খায়রুল হক নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নিজের দেওয়া আদেশ কোনো রকম অতিরিক্ত শুনানি ছাড়াই পাল্টে দেন, যা ছিল নজিরবিহীন এবং বিচারদর্শনের গুরুতর লঙ্ঘন। এতে তিনি বিচারপতির যে শপথ নিয়েছিলেন তা লঙ্ঘন করেছেন। একটি স্বৈরাচারী রেজিমকে টিকিয়ে রাখতে যা যা খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়, তার সবই তিনি করেছেন।

২০১১ সালের ৩০ জুন বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাস হয়। এ আইনের ২০ ও ২১ ধারাবলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ উন্মুক্ত করে। এর ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ‘বিনা ভোটের নির্বাচন’, ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ এবং ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচনের’ প্রহসন করেন। খায়রুল হকের রায়ের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ওই তিনটি তামাশার নির্বাচনের আগের তিন মাস নিজেকে কথিত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবি করতেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানিতে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম বলেন, তিনি হাসিনার ক্রীতদাস ছিলেন। হাসিনার নির্দেশে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন। সেই অবিচারের ফলে তিনি আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন। হাসিনার সব মামলায় তাকে যুক্ত করা হোক সেই প্রত্যাশা করছি।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার বলেন, তিনি কলঙ্কিত প্রধান বিচারপতি। তার কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর হাজার হাজার মানুষ নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি হওয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়। তার কারণেই শেখ হাসিনা স্বৈরাচার হয়েছেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, এমন একজন লোক কিভাবে প্রধান বিচারপতি হয় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি প্রধান বিচারপতির জায়গাটা কলঙ্কিত করেছেন। তিনি ছোট থেকেই অনেক পাপী ছিলেন। শুনানি শেষে একদল আইনজীবী তার ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় অনেককেই বলতে শুনা যায়, একজন বিচারপতি হিসেবে খায়রুল হক যে অপরাধ করেছেন তাকে কমপক্ষে একশ বার ফাঁসি দেওয়া উচিত। তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশে যত রাজনৈতিক হত্যা ও গুম হয়েছে তার জন্য বিচাপতি খায়রুল হক দায়ী। কেননা, তিনি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হওয়ার লাইসেন্স দিয়ে গেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meghnas water flooded the coastal area of Chandpur on top of the danger line

মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, চাঁদপুরের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত

মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, চাঁদপুরের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চাঁদপুরে ফুলে উঠেছে মেঘনা। জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বেড়েছে প্রায় ৩ ফুট। এতে করে মেঘনার উপকূলীয় এলাকার সড়ক, পুকুর ও বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ঘরে-বাইরে স্থানীয়দের কষ্ট বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাপ আতঙ্ক।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জানা গেছে, জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটারের ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (শুক্রবার) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনার পানির উচ্চতা বাড়ে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল বিকাল থেকেই চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী অববাহিকার ৩০টি চর এলাকায় পানি বেড়েছে। এ ছাড়াও চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার এলাকায় নদীর পানি সড়কের সমান উচ্চতায় রয়েছে। ফলে বাঁধটিও রয়েছে হুমকির মুখে।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় শহরের পুরান বাজার রনাগোয়াল ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকার দিনমজুর মরন ঢালী, ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও ভুলু দাসসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে।

তারা বলেন, বৃহস্পতিবার পানি কিছুটা কম ছিল। তবে আজ (শুক্রবার) বিকাল থেকে বাতাসের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে নদীর ঢেউ এবং পানির উচ্চতাও বেড়েছে। এ সময় আমাদের বাসাবাড়ি, দোকানেও পানি উঠে যায়। পানি বাড়ায় দ্রুত দোকানের মালপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মনির শেখ, সাজ্জাদ হোসেন ও শহিদুল্যাহ মাস্টারসহ কয়েকজন জানান, ফেরিঘাট এলাকায় পানি রাস্তা ছুঁই ছুঁই। আশপাশের নীচু সড়কে পানি উঠে গেছে।

সদরের চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ গাজী বলেন, ‘সেচ প্রকল্পের বাইরে সব বাড়ি, উঠান, রাস্তা ও পুকুরে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। আমার পুকুরের ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মাছগুলো ভেসে যাচ্ছে। কী করমু, নিরুপায়! হঠাৎ বানের পানি আইসা পড়ল!’

তিনি আরও বলেন, ‘বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই পানি দ্রুত বাড়ছে। এতে মাছচাষীদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কারণ অনেকে এখনও বেড় দিতেও পারে নাই। পাকা সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সেচ প্রকল্পের বাইরের মাছচাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের মাছ সংরক্ষণের জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।

হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুল হক জানান, জুলাইয়ের মাসিক সভায় মৎস্যচাষীদের আগেভাগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে যে ২৪ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে। এরপরও উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জেলেদের সতর্ক করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা শাহ্ মো. শোয়েব বলেন, ‘নিম্নচাপের কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পাবে—এই সতর্কবার্তা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।’

চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল হক বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা অবগত। আমাদের কর্মকর্তারাও সতর্ক রয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, মেঘনার পানির উচ্চতা বাড়লেও বেশি সময় তা স্থায়ী হবে না। আজকে (শুক্রবার) বিকালে জোয়ারের সময় পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে (২১ সেন্টিমিটার) প্রবাহিত হয়েছে। পরে জোয়ারের সময় কমে যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Bangladesh Armys trial with the United States will begin till July 7

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহড়া শুরু, চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহড়া শুরু, চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত

সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের (ইউএসএআরপিএসি) যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। ছয় দিনব্যাপী এই মহড়া চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ জন সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন।

গতকাল শুক্রবার মহড়া শুরুর দিন জালালাবাদে প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড সদর দপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল মেজর জেনারেল অ্যাসকট এ উইন্টার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে ছিলেন সেনাবাহিনী এয়ার ডিফেন্স পরিদপ্তরের পরিচালক, সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের কমান্ডার।

আইএসপিআর জানিয়েছে, এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৫ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে দুই দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ প্রস্তুতি জোরদার করা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করছে, ছয় দিনের এই মহড়া অংশগ্রহণকারী সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

p
উপরে