× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Improves the expedition by Titus Gas to eradicate illegal gas connections
google_news print-icon

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক অভিযান, অর্থদন্ড আরোপ’’

অবৈধ-গ্যাস-সংযোগ-উচ্ছেদে-তিতাস-গ্যাস-কর্তৃক-অভিযান-অর্থদন্ড-আরোপ

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুলাই (বুধবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -এনায়েতনগর-কাশীপুর এর আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকার ১টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে মেসার্স ক্রোনি এপারেলস লি:, হাটখোলা, কাশীপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। ইতঃপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহক মেসার্স ক্রোনি এপারেলস লি: কর্তৃক অবৈধভাবে ০২ ইঞ্চি ব্যাসের সার্ভিস লাইন স্থাপন করে বাইপাসের মাধ্যমে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার করায় গ্রাহকের অবৈধ বাইপাস লাইন উচ্ছেদপূর্বক উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে অবৈধ সার্ভিস লাইন স্থাপন করে গ্যাস ব্যবহার করায় গত ০৯/০২/২০২৪ ইং এবং ১২/০৩/২০২৫ ইং তারিখে গ্রাহকের অবৈধ সার্ভিস লাইন বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। গ্রাহক অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় ইতোপূর্বে গ্রাহকের বিপরীতে বিল জরিমানা ধার্যকরনসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে।

একই দিনে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার -এর বিশেষ অভিযানে মেসার্স বিসমিল্লাহ্ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, কাজী মার্কেট, কাশিমপুর, গাজীপুর -এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট মাসিক লোড ১,৭৩৩ ঘনমিটার। সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে মাসিক ৫২,৮৫৭ টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

এছাড়া, জনাব মোঃ মুশফিক-উল-আলম, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুর -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ -জয়দেবপুর এর আওতাধীন মির্জাপুর রোড, বাংলাবাজার এবং বাঘের বাজার, গাজীপুর সদর, গাজীপুর এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৫০ দ্বিমুখী ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, বিভিন্ন ব্যাসের ৩০০ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। ১ জন গ্রাহককে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

‘‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক অভিযান, অর্থদন্ড আরোপ’’

এছাড়াও, জনাব মনিজা খাতুন, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - সোনারগাঁও, জোবিঅ -সোনারগাঁও এর আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাঠালিয়াপাড়া এবং নয়াপুর এলাকার এলাকার ৪টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আনুমানিক ৩.৫ কি.মি. এলাকার প্রায় ৮৩০ টি আবাসিক বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ১৮০ফুট এমএস পাইপ ও ৩৫০ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Number three warning at seaport in coastal areas

সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কসংকেত, উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কসংকেত, উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

সাগরের নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি, উপকূলীয় জেলাগুলো ও চরে এক থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা দেতে পারে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন তথ্য জানিয়েছে। এ সময়ে দেশের চারটি বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৬টায় ঝাড়খণ্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এতে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খণ্ডে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ১-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Empowerment of the local population through civic involvement

নাগরিক সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নই ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য

নাগরিক সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নই ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ডিএসসিসি অঞ্চল-৭ এর ৭১ নং ও ৭২ নং ওয়ার্ডে (গ্রীন মডেল টাউন - মান্ডা এলাকা) পরিচালিত এ অভিযানে কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

নাগরিক সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নই ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য

সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা, রেড ক্রিসেন্ট এবং বিডি ক্লিন সদস্যদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, নগরবাসীর পরিচ্ছন্নতা অভ্যাস পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করেছিলাম, তার ইতিবাচক ফলাফল দৃশ্যমান হচ্ছে। সচিব আরও বলেন, অভিযানসমূহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে সিটি কর্পোরেশনের সম্পর্ক উন্নয়ন ও অঞ্চলভিত্তিক প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।

নাগরিক সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নই ডিএসসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "নাগরিক সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নই আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।" ডিএসসিসির ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নাগরিকরাই সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন অঞ্চলভিত্তিক এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kathal is now a cattle diet because there is no price in Meherpur market 

মেহেরপুরের বাজারে দাম না থাকাই কাঠাল এখন গবাদিপশুর খাদ‍্য 

মেহেরপুরের বাজারে দাম না থাকাই কাঠাল এখন গবাদিপশুর খাদ‍্য 

কৃষি নির্ভর মেহেরপুরে জাতীয় রসালো ফল কাঠাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এবারে কাঠালের ফলন ভালো হলেও বাজারে দাম না থাকায় গাছেই পেকে নষ্ট হচ্ছে কাঠাল। ব‍্যাবহৃত হচ্ছে গবাদিপশুর খাদ‍্য হিসেবে।

কৃষি বিভাগ বলছে স্থানীয় ভাবে বাজার সৃষ্টি করা গেলে এই সমস্য থাকবে না।

জেলার গ্রাম অঞ্চলের সড়কের দুপাশসহ বিভিন্ন এলাকার কাঠাল বাগানের প্রতিটি গাছেই ঝুলে আছে বড় বড় কাঠাল। স্থানীয় ভাবে বাজার না থাকায় এসব কাঠাল বিক্রি করতে পারছে না চাষিরা। চাহিদা না থাকাকে পুজি করে ভ্রাম্যমান কাঠাল ব্যবসায়ীরা কম দামে চাষিদের কাছ থেকে কিনছে এসব ছোট বড় কাঠাল।

স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, একটি ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের বড় আকারের প্রতিটি কাঠাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। অনেকে দাম না পেয়ে কাঠাল কেটে গরু ছাগলের খাবার হিসেবে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, গত বছর যে কাঠাল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনেছি সেই কাঠাল এবারে কিনছি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। তাও বিক্রি করতে কষ্ট হচ্ছে।

কৃষি বিভাগের তথ‍্য মতে জেলায় ১৬৫ হেক্টর জমির কাঠাল বাগান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩শ মেট্রিকটন।

জামাল হোসেন বলেন, আমার বাড়ির উঠানে থাকা একটি কাঠাল গাছে প্রায় শতাধিক কাঠাল ধরে ছিলো।যার মধ‍্যে আমি সাতটা কাঠাল শুরুর দিকে বিক্রি করে ছিলাম ২"শ ৫০ টাকা করে। আর বতর্মানে প্রতি পিচ কাঠালের দাম দিতে চাইছে ১৫ টাকা করে। তাই বিক্রি না করে কাঠাল কেটে গরুর নাইন্দে খাদ‍্য হিসেবে দিচ্ছি। এই দামে কাঠাল বেচে পড়তা হয়।

আরেক বাগানি আমজাদ হোসেন বলেন,গাছে প্রচুর কাঠাল ধরেছে। গাছের কাছে ব্যাপারী গেলে ঘুরে আসছে। নেওয়ার লোক নাই ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের কাঠাল দাম বলছে কম এখন গাছেই কাঠাল পেকে পোচে যাচ্ছে।

ইউপি সদস‍্য শাহিন আহমেদ বলেন,

এত বড় বড় কাঠাল গাছে পেকে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গরুকে খাওয়াইছি। নেয়ার লোক নাই ২০ টাকা ৩০ টাকা দাম বলছে। এখন কি হবে নষ্ট হচ্ছে পচে। অথচ এই কাঠাল এমন একটি ফল যার পাতা থেকে শুরু করে সবকিছুর ব‍্যাবহার হয়। তাছাড়া একটি সময় ছিলো প্রতিটি বাড়িতেই কাঠাল গাছ ছিলো। বতর্মানে তেমনটির আর দেখা মিলছে না। বরং এখন কাঠাল বাগান কেটে ফেলা হচ্ছে।

বিধবা রওশনারা বলেন,বাগানে কাঠাল পড়ে আছে নেয়ার লোক নাই। গরু ছাগলে খাইছে মানুষ খাইছে না। পাকা কাঠাল পইড়ি নষ্ট হইছে।

কাঠাল বিক্রেতা রইচ উদ্দিন বলেন,গত বার যে কাঠাল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনেছি সেই কাঠাল এবারে কিনছি ২০ টাকা করে। আর আমাদের খরচ যোগ হচ্ছে ১০ টাকা। অথচ সেই কাঠাল হাটে বিক্রি করতে গেলে ২০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে না। আবার কিছু বাগান মালিক আছে কম দামে কাঠাল বিক্রি না করে ঘাসের বিকল্প হিসেবে গরু ছাগলকে খেতে দিচ্ছে।

আমরা যে ১০ টাকা লাভ করবো তা করতে পারছিনি। বাগান থেকে ঘুরতে হচ্ছে ওখানে বেচতে পারছিনি।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ সামসুল আলম বলেন, মেহেরপুর জেলায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে কাঠাল বাগান আছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩শ মেট্রিকটন। যে পরিমান উৎপাদন হয়েছে সে পরিমান চাহিদা নেই। মেহেরপুরে বাজার না থাকার কারনে কাঠাল বিপনন করতে সমস্যা হচ্ছে। এই ব্যাপারে কৃষি বিপনন কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং ডিসির সাথে কথা বলেছি এখানে স্থানীয় ভাবে বাজার করা যায় কি না। যদি করা যায় তাহলে সমস্যা থাকবে না। আমরা কৃষদের পরামর্শ দেব, দেশের যে এলাকায় কাঠালের চাহিদা আছে সেখানে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The construction of modern Silo in Naogaon is the unscrupulous disappear contractor

নওগাঁয় আধুনিক সাইলো নির্মাণের কাজ অনিশ্চিত, লাপাত্তা ঠিকাদার

নওগাঁয় আধুনিক সাইলো নির্মাণের কাজ অনিশ্চিত, লাপাত্তা ঠিকাদার

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণের কাজটি অনিশ্চিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর মাটি ভরাটের কাজ অসম্পূর্ন রেখেই লাপাত্তা ঠিকাদার। সাইলোটি আলোর মুখ দেখবে কিনা না নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তবে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের অর্থ লোপাটের চেষ্টা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সাইলো নির্মাণ করা না হলে সেখানে অন্য যেকোনো উন্নয়ন কাজে জায়গাটি ব্যবহারের দাবি স্থানীয়দের। আর সাইলোটি নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত জেলার ১১ টি উপজেলাসহ আশেপাশের জেলায় উৎপাদিত উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য সরকারিভাবে সংগ্রহ করা সহজ হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত উত্তরের বৃহৎজেলা নওগাঁ। জেলায় খাদ্য শস্য সংরক্ষণে ২০ টি খাদ্য গুদাম রয়েছে। যার ধারণক্ষমতা ৫৮ হাজার ৪৭৫ টন। এরমধ্যে অধিকাংশ খাদ্য গুদাম বছরের বেশিরভাগ সময় ফাঁকা থাকে। এরপরও ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, সাইলোটি সম্পূর্ণ স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হবে। এতে সরকারের ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এরমধ্যে শুধু মাটি ভরাটের বরাদ্দ ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে কার্যাদেশ পেয়েছে ঢাকার মেসার্স চন্দ্রদ্বীপ কনট্রাকশন, রাজশাহীর মেসার্স ডন এন্টারপ্রাইজ ও নওগাঁর মেসার্স ইথেন এন্টারপ্রাইজ। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

২০২২ সালের শেষ দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় ১৫ একর (৪৫ বিঘা) জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরপর মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। মাটি ভরাটের কাজ ৯৫ শতাংশ হলেও প্রায় ৩ বছর থেকে তা পড়ে রয়েছে। যেখানে স্থানীয়দের গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। একই সাথে স্থানীয়দের ফুটবল খেলার কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও। এরপর থেকে সাইলো নির্মাণের কাজটি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাইলোটি আলোর মুখ দেখবে কিনা না নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।

উপজেলার নওহাটা এলাকার বাসীন্দা শাহজাহান বলেন- জেলায় পর্যাপ্ত খাদ্যগুদাম আছে এবং সংরক্ষণ করা যায়। তারপরও তৎকালিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে সাইলোটি নির্মানের উদ্যোগ নেয়। এখানে সাইলো প্রকল্পটি দেখিয়ে অনেকের চোখে ধুলো দিয়ে তার নিজের প্রত্যন্ত এলাকায় নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছিল। বর্তমানে সাইলো প্রকল্পটির কাজ বন্ধ রয়েছে। আদ্যো সাইলো হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। তবে সাইলো যদি না হয় সেখানে অন্য যেকোনো উন্নয়ন কাজে জায়গাটি ব্যবহার করা হোক।

ভীমপুর গ্রামের আরমান আলী অভিযোগ করে বলেন- তিন ফসলি জমিকে এক ফসলি দেখিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আবার ভরাটের সময় বালুর পরিবর্তে এঁটেল মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই।

একই গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন- সাইলো নির্মাণ হবে গত ৩ বছর থেকে এই কথা শুনে আসছি। এজন্য মাটিও ভরাট করা হয়েছে। এতে খাদ্য-শস্য সংরক্ষণ হবে এবং এলাকার উন্নয়ন হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। সেখানে গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে এবং ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাইলো হবে কিনা তা আমরা বুঝতেও পারছি না।

নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন- এ জেলায় প্রায় ২৭ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়। সরকারি ভাবে খাদ্য-শস্য সংগ্রহের সময় জেলার খাদ্য গুদামগুলো খালি করে সংগ্রহ করতে হয়। পাশের বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) ও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম (সিএসডি) সহ চারটি খাদ্য শস্য সংগ্রহ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করতে হয়। এতে ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। এ কারণে কৃষক ও ব্যবসায়িদের ধান-চালের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সাইলো নির্মাণ প্রয়োজন।

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ফরহাদ খন্দকার বলেন- সাইলো নির্মাণে মাটি ভরাটের কাজ ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। কাজের এখনো ১০ শতাংশ টাকা জামানত হিসেবে রক্ষিত রয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখে লাপাত্তা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে তা অধিদপ্তর ভাল বলতে পারবেন। তবে খালি জায়গায় ফলজ গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে জেলায় সংরক্ষণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রয়েছে।

মন্তব্য

রংপুরে ব্যাস্ততম সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

রংপুরে ব্যাস্ততম সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ

রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে মাহীগঞ্জ সাতমাথা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে, খোয়া বের হয়েছে, স্থানে স্থানে বড় গর্ত; বৃষ্টি হলেই জমে কাদা। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে আবারও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাতমাথা রেলগেটসংলগ্ন ভাঙা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ ও রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো হয়।

স্থানীয়রা বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগের অন্যতম রুট সাতমাথা-জাহাজ কোম্পানি সড়ক। এ সড়কের ৫ কিলোমিটার দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিনই মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

চলতি বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ফলে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার রোগী ও গর্ভবতী নারীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে যেতে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই এর আগে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়া হয়েছিল। শুক্রবার সড়কে প্রতীকী ধানের চারা রোপণসহ সিটি করপোরেশনকে লালকার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কারকাজ শুরু না হলে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করবেন। এমনকি রংপুর-ঢাকা রেলপথও অবরোধ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতমাথার বাসিন্দা রাজিমুজ্জামান হৃদয়, আসিফ মাহমুদ, মো. প্রান্ত, ছিয়াম হোসেন সাকিব, হাসান আলী, হোসেন আলী, সুমন হোসেন বিজয়, আরাফাত হোসেন, সাগর হাসান, হীরা হক, সেলিম হোসেন, হীরা, মোস্তাফিজার রহমান প্রমুখ। তারা সিটি করপোরশনকে লালকার্ড প্রদর্শন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Information Commission is being formed soon

শিগগিরই গঠিত হচ্ছে তথ্য কমিশন

শিগগিরই গঠিত হচ্ছে তথ্য কমিশন

তথ্য কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। কয়েক দিনের মধ্যেই তথ্য কমিশন গঠন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী একজন প্রধান তথ্য কমিশনার এবং দু’জন তথ্য কমিশনার নিয়ে এই কমিশন গঠিত হবে। দু’জন তথ্য কমিশনারের মধ্যে ন্যূনতম একজন হবেন নারী।

মন্তব্য

p
উপরে