× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Pilot killed in the plane crash in Uttara 1 injured ISPR
google_news print-icon

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ নিহত ১৯, আহত ১৬৪: আইএসপিআর

উত্তরায়-বিমান-বিধ্বস্তের-ঘটনায়-পাইলটসহ-নিহত-১৯-আহত-১৬৪-আইএসপিআর

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শাহজাহান শিকদার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ও ৬টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির বিমানটিকে ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলাস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওই বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় তৌকিরসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।

অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, বিমান বাহিনীপ্রধান সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায়, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সামরিক বাহিনীর এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।

সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Narails image goes to Kachuripana

কচুরিপানায় যায় যায় নড়াইলের চিত্রা

কচুরিপানায় যায় যায় নড়াইলের চিত্রা

চিত্রা নদীর নড়াইলের অংশ দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ভরে আছে। প্রায় চার দশক এ নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ। কচুরিপানার যঞ্জালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে মারা যাচ্ছে নদীটি। হুমকীতে পড়েছে জলজ জীববৈচিত্র্য। মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জেলেদের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী বলছেন, স্রোত কমে যাওয়ায় নদীটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগেছে ছোট-বড় চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি মরা খালে পরিণত হবে বলে তাদের শঙ্কা।

পাউবোর ভাষ্য, কচুরিপানার জটে নদীতে পানির স্রোত কমে গেছে। এতে কমলাপুর ও গর্ন্ধব্যখালী এলাকার দুটি পাম্পহাউস থেকে পানি নিষ্কাশনও বন্ধ হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধের ভেতরেও কচুরিপানায় ভরে আছে। পাম্প হাউস দুটি বিকল থাকায় কৃষিজমিতে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে চিত্রা নদীর দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। সদর উপজেলার রতডাঙ্গা ত্রিমোহনী থেকে কালিয়া উপজেলার পেড়লী বাজার ত্রিমোহনী গিয়ে নবগঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশেছে।

সরেজমিনে নদীটির রতডাঙ্গা, সাবেক শেখ রাসেল সেতু, আউড়িয়া এস এম সুলতান সেতু, গোবরা বাজার, শিঙ্গাশোলপুর বাজার, চুনখোলা সেতুর অংশ ঘুরে দেখা গেছে নদীতে ঘন কচুরিপানা। সেখানে পানি আছে কি না, তাও বোঝা যাচ্ছে না। কোনো নৌযান চোখে পড়েনি। নদীর কিছু এলাকায় কচুরিপানায় আটকা পড়ে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাড়ে দাড়ানো কঠিন। মশা-মাছি ভনভন করছে। নদীটির পেড়লী এলাকায় মাত্র তিন-চার কিলোমিটার জুড়ে কচুনিপানা নেই। বাকি প্রায় সব অংশ কচুরিপানায় ভর্তি।

কমলাপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক নিরাপদ বিশ্বাস, ইউনুস শেখ, গোলাম মোস্তফা বলেন, এক সময় এ নদীতে অনেক স্রোত ছিল। স্টিমার, লঞ্চ, কার্গো, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল করত। লোকজন এখান দিয়ে লঞ্চে উত্তরে মাগুরা, দক্ষিণে খুলনা, বড়দিয়া, গোপালগঞ্জ, বরিশাল,ও ঢাকায় যাতায়াত করত। ফসল ও মালপত্র আনা-নেওয়া করা হতো। সেসব কথা আজ রূপকথার মতো শোনায়।

নদীরতীরবর্তী পূর্ব সীমাখালী গ্রামের বাসিন্দা কাকলি বিশ্বাস বলেন, এলাকার প্রতিটি পরিবার গোসল, থালাবাসন ধোয়সহ সব কাজই করতে হয় নদীতে। কচুরিপানায় ভরে থাকায় কিছুই করা যাচ্ছে না।

নদীর এই পরিণতি সম্পর্কে গোবরা এলাকার স্কুল শিক্ষক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ১৮৮৬ সালে মাগুরা শহরে নদীর ওপর তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী (এম মাজেদুল হক) স্লুইসগেট নির্মাণ করার পর থেকে নদীর নাব্যতা কমতে থাকে। এ ছাড়া নদীর ওপর ঘন ঘন সেতু নির্মাণ করার কারণেও পলি জমে নাব্যতা কমেছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার গড়াই নদ ও খুলনার আত্রাই নদীর সঙ্গে এই নদীর সংযোগ ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নদীতে নৌকা চলাচল করলেও আশি দশক থেকে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন নদীতে স্রোত কমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগে ওঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি সরু খালে পরিণত হবে ।

শহরের রূপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, নদীতে যখন নৌকা অথবা লঞ্চ চলেছে তখন কম খরচে সব ব্যবসায়ী লঞ্চে করে খুলনা থেকে মালপত্র আনা-নেওয়া করতেন। এখন কচুরিপানা ও নাব্যতা-সংকটের কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

যোগাযোগ করলে পাউবোর (পানি উন্নয়ন বোর্ড) নড়াইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, চিত্রা, ভৈরব, আফরা নদ-নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খননসহ দুটি পাম্প হাউস সংস্কার করতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে নদীসহ অন্যান্য কাজ শুরু করা যাবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Milestone tragedy 

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির ঘটনায় ইবিতে গায়েবানা জানাজা 

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির ঘটনায় ইবিতে গায়েবানা জানাজা 

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে আকস্মিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজা পড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান।

আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন,"উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দূর্ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা শহিদ হয়েছে তাদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের সুস্থতা কামনা করছি। কোনো দূর্ঘটনার কারণ খোঁজার আগে আমাদের উচিত তাদের জন্য দোয়া করা। জাতীয় সংহতি বিনষ্টকারী যেকোনো পন্থা আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।"

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন,"এক বছর হতে না হতেই ঢাকাতে যারা বিশৃঙ্খলতা তৈরি করেছে তারা বিগত সরকারের দোসর। সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমাদের ছোট ভাই সাজিদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সামগ্রিক আন্দোলন করা হচ্ছে। কিন্তু যারা আন্দোলনকারীদের পিছন থেকে কারা কলকাটি নাড়ছে সেদিকে খেয়াল রাখত হবে। সাজিদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কেউ যেন রাজনৈতিক ফাইদা নিতে না পারে, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচার না হলে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অনিরাপদ হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার কিছু পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ভবনে আগুন ধরে যায়। এঘটনায় এখন অবধি নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
China interested in cooperating Bangladesh in all sectors including military Ambassador

সামরিকসহ সকল খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন : রাষ্ট্রদূত

সামরিকসহ সকল খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী চীন : রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল খাতে সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, চীন ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের সকল জনগণের প্রতি ভালো প্রতিবেশীর মতো বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের ধারাকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে এনডিসির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট রিয়ার অ্যাডমিরাল একেএম জাকির হোসেনসহ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একশ’রও বেশি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং এমন একটি নিরাপত্তা ধারণার পক্ষে, যা অভিন্ন, সমন্বিত, সহযোগিতামূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।

তিনি বলেন, আধিপত্য, সম্প্রসারণবাদ বা প্রভাব বিস্তারের চিন্তাভাবনার কোনো স্থান চীনের অভিধানে নেই।

ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন একটি সমান মর্যাদা ও সুশৃঙ্খল বহু-মেরুর বিশ্ব এবং সকলের জন্য উপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের পক্ষে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, চীন গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, ২০২৫ সালে চীন ‘জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ’ এবং ‘বিশ্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের’ ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে, যা বিশ্ব শান্তি ও সহযোগিতার প্রতি চীনের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায়।

বক্তৃতার শেষে চীনা রাষ্ট্রদূত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, ব্রিকস সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং বাংলাদেশকে এর উন্নয়ন অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে সহায়তা করতে চীনের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

চীন ও বাংলাদেশ এই বছর দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদ্‌যাপন করছে। এ উপলক্ষে উভয় দেশ জনসম্পৃক্ততা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Barisal Samuels life fell in front of his fathers eyes

বাবার চোখের সামনেই ঝরে গেল বরিশালের সামিউলের প্রাণ

বাবার চোখের সামনেই ঝরে গেল বরিশালের সামিউলের প্রাণ

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারানো সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিউল করিমকে (১১) ঘিরে এখন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে চলছে শোকের মাতম। ছোট ছেলেটি বাবা-মায়ের চোখের সামনে জীবন হারায়, আর এ শোক কখনো ভুলে থাকার নয় বলছেন স্বজনরা।

ঘটনার দিন ছিল সোমবার। সামিউল সেদিন স্কুলে যেতে চাইছিল না। মায়ের কাছে আবদার করে বলেছিল, সে বাসায় থেকে খেলনা উড়োজাহাজ নিয়ে খেলবে। কিন্তু মা বুঝিয়ে স্কুলে পাঠান। কে জানত, সেটাই হবে সামিউলের জীবনের শেষ স্কুলযাত্রা।

পরে জানা যায়, স্কুল শেষে সামিউল যখন বাবার দিকে এগিয়ে আসছিল, তখনই তার পিঠে এসে পড়ে বিধ্বস্ত বিমানের একটি জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ। বাবা রেজাউল করিম তখন মাত্র পাঁচ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ছেলেকে আগুনে ঝলসে যেতে দেখে মুহ্যমান হয়ে পড়েন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, আমার ছেলেকে বাঁচান, হেল্প, হেল্প। এভাবেই আর্তনাদ করছিলেন তিনি।

ঘটনার পরপরই সামরিক বাহিনীর এক সদস্য পোশাক খুলে শিশুটিকে জড়াতে সাহায্য করেন। সামরিক হেলিকপ্টারে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা জানান, তাঁরা কিছুই করতে পারেননি।

সামিউলের পরিবার বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার খারকি এলাকার বাসিন্দা। বাবা রেজাউল করিম পেশায় একজন বায়িং হাউসের মালিক। পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে সামিউল ছিল ছোট। তার বড় বোন সদ্য এসএসসি পাস করেছে জিপিএ-৫ পেয়ে।

চার দিন আগে দাদাবাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেছিল সামিউল। মাত্র দুই দিন পরই জীবনের ইতি ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, সামিউল তার দাদির খুব আদরের ছিল। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর দাদি নাতির জন্য ১০-১২ রকমের পিঠা বানিয়েছিলেন। কেউই ভাবেনি এটাই হবে সামিউলের শেষ গ্রামে আসা।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে খন্তাখালী গ্রামে তার নানা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামালের কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নিতে ভিড় করেন গ্রামের হাজারো মানুষ। পুরো গ্রাম তখন কান্নার সুরে ভারী।

এদিকে, সামিউলের মামা সৈয়দ মনির হোসেন বলেন, ও জানলে, ওকে আমরা কখনই স্কুলে পাঠাতাম না। মামা সাইফুল ইসলাম প্রশ্ন তোলেন, সরকার কি কেবল পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে আমাদের ভাগনে কেন কবরে সামিউলের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, বিমান বাহিনী কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা বা সহানুভূতি প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার খরচটুকুও বহন করেনি কেউ।

সামিউলের মা রেশমা করিম, একজন স্কুল শিক্ষিকা, এখন শোকে নির্বাক। ছেলেকে হারিয়ে তিনি খাবার পর্যন্ত মুখে তুলতে পারছেন না। বাবা রেজাউল করিম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। প্রতিবার সেই মর্মান্তিক দৃশ্য মনে পড়লেই ভেঙে পড়েন কান্নায়, আমার ছেলেটা জ্বলছিল, আমি কিছুই করতে পারিনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One crore 1 lakh drugs and smuggled goods seized on the Feni border

ফেনী সীমান্তে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানকৃত মালামাল জব্দ

ফেনী সীমান্তে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানকৃত মালামাল জব্দ

ফেনী সীমান্তে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানের মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়েছে।

ফেনী সীমান্তে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানকৃত মালামাল জব্দ

বিজিবি জানায়, ফেনী ব্যাটালিয়নের টহল দল ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গাঁজা, টি শার্ট, চশমা ও জুতা আটক করা হয়। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। জব্দকৃত মালামাল স্থানীয় থানা ও কাস্টমস্ এ জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির আভিযানিক কর্মকান্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির কঠোর নীতি অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A special prayer ceremony held at Agrani Bank for students killed in plane crash

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত ও আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনায় অগ্রণী ব্যাংকে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাদ জোহর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কেন্দ্রীয় নামাজ ঘরে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এ সময় নিহতদের বিদ্রেহী আত্মার মাগফিরাতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The fishermen do not even match the Bhola filled season

ভোলায় ভরা মৌসুমেও মিলছে না ইলিশ, হতাশায় জেলেরা

ভোলায় ভরা মৌসুমেও মিলছে না ইলিশ, হতাশায় জেলেরা

দ্বীপ জেলা ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে গেলো দুই মাস ধরে ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশায় দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী জেলেরা। ইলিশের আশায় প্রতিদিন নদীতে জাল ফেললেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের।

তবে, মৎস্য বিভাগ বলছে উজানের পানির চাপ বৃদ্ধি পেলে নদীতে ইলিশ বাড়বে।

ভোলার কয়েকটি মৎস্য ঘাট ঘুরে দেখা যায়, চরম হতাশা আর দূদর্শা নিয়ে দিন কাটছে জেলেদের। এমন ভরা মৌসুমেও ইলিশ না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পরেছেন বিপাকে জেলে পরিবারগুলো। ধার দেনায় পড়ে পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন প্রায় ৩৫ শতাংশ জেলে। তবে নদীতে ইলিশের দেখা মিললে আবারও তারা এ পেশায় যুক্ত হবেন। বাকীরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে হতাশা কাটিয়ে উঠার দিন গুনছেন।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের দাবী, সাগর মোহনা থেকে নদীতে মাছ উঠে আসার চ্যানেল গুলো পলি মাটিতে ভরে গিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। যার কারনে পর্যাপ্ত গভীরতা না পেয়ে সাগর থেকে ইলিশ নদী মোহনায় আসতে পারছে না। এছাড়াও প্রতিটি চ্যানেল গুলোতে লঞ্চ, মালবাহী জাহাজ চলাচল করার কারনে প্রচুর শব্দ দূষণ হচ্ছে। এতেও ইলিশের মাইগ্রেশন ব্যাহত হচ্ছে। তবে নদীর গভীরতা আর

উজানের পানির চাপ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে নদীতে ইলিশের পরিমান বাড়বে বলে ধারণা করছেন মৎস্য বিভাগ।

তবে, সচেতন মহল দাবী করছেন, মা ইলিশের মাইগ্রেশনের সময় অথাৎ মা ইলিশ ডিম ছাড়ার পর সেগুলো যথাযথ বড় হওয়ার আগেই একটি কুচক্র মহল খুটা জাল, চরঘেরা জাল, মশারী জাল ব্যবহার করে জাটকা নিধন করে। যার ফলে ভরা মৌসুমেও ইলিশের এমন ভরাডুবি। নিষেধাজ্ঞা সময় যথাযথ আইন প্রয়োগ করে জাটকা ইলিশ নিধন ঠেকানোর পাশাপাশি অবৈধ জালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে সেগুলোকে নদীতে ব্যবহার মুক্ত করতে পারলেই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

জেলেরা জানান, চলতি মৌসুমে ইলিশ বাদেও দেখা নেই অন্যান্য মাছের। নদীতে জাল ফেলে যে মাছ পাওয়া যায়, তাতে উঠে না প্রতিদিনের খরচ। এতে ভারী হচ্ছে দাদনের বোঝা। ইলিশের এমন আকালে লোকসানের মুখে আড়তদার ও ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন, ইলিশের এমন আকাল তারা কখনোই দেখেননি। মাছ বিক্রি করতে না পেরে আয়- রোজগার বন্ধের পথে। ইলিশের আকাঙ্খায় অলস সময় পার করছেন তারা।

ভোলা সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের কয়েকটি এলাকার জেলেরা জানান, গাঙ্গে গিয়া জাল হালাইয়া মাছ পাই না। ডেলি খালি হাতে গাঙ্গ থেকে আই। আমাগো আর দুঃখের কথা কইয়া লাভ কি হইবো। ৫ হাজার টাকার বাজার লইয়া গাঙ্গে যাই। মাছ পাই ২ হাজার টাকার। আমরা আরো দেনার মইধ্যে পইরা যাই।

হান্নান মাঝি নামের আরেক মাঝি জানান, ৭জন মাঝি মাল্লা নিয়ে গতকাল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ২ টি ছোট ইলিশ মাছ পেয়েছি। এতে তৈলের দোকানে কি দিবো? আর নিজেরা কি নিবো? তাই ভাবছি। আবার এনজিওর কিস্তি আছে, না খেয়ে থাকা গেলেও এনজিওর কিস্তি না দিয়ে থাকা যায় না। গত বছর এই সময়ে আমরা অনেক ইলিশ মাছ পেয়েছি। কিন্তুু এই বছর ইলিশের এমন আকাল পড়বে তা কল্পনাও করিনি।

ঝিলন মাঝি নামের অপর এক জেলে জানান, নদীতে গিয়ে মাছ পাইনা। তাই কিছু দিন রাজমিস্ত্রীর কাজ করছি। প্রতিদিন খোঁজ খবর রাখছি নদীতে ইলিশ মাছ বৃদ্ধি পেলে আবার জাল নৌকা নিয়ে নদীতে নামবো। নদীতে মাছ না পেলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় এনজিওর কিস্তি নিয়ে। সবকিছু মানাতে পারলেও সমিতির কিস্তির অফিসারকে মানানো যায় না।

জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, জেলায় নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার। অনিবন্ধিত জেলেসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক জেলে রয়েছে। তারা সবাই ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতি বছর এই সময়ে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। তবে এ বছর তার ব্যতিক্রম হলেও নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মিলবে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সাগর থেকে নদী মোহনায় ইলিশ আসতে ৭০ থেকে ৮০ ফিট গভীরতা দরকার। যা পলি মাটি ও ডুবোচরের কারনে এখন ১০ -১৫ ফিট গভীরতা রয়েছে। ইলিশের চলাচলের চ্যানেলগুলো চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মাছ কমে গেছে। তবে পানির গভীরতা বাড়লে ইলিশের দেখা মিলবে। এছাড়াও অবৈধ জালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। খুটা জাল, চর ঘেরা, মশারী ও বেহুন্দি জাল অভিযান চালিয়ে আমরা শতভাগ নদী মুক্ত করেছি।

তিনি আরও জানান, গতবছর ১ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের উৎপাদন লক্ষমাত্রার বিপরীতে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছেন।

মন্তব্য

p
উপরে