নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৪তম গ্রেড দেওয়াসহ ছয় দাবিতে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দাবি হলো:
১. নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক/সমমান এবং ১৪তম গ্রেড প্রদান।
২. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।
৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।
৪. স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সবাইকে প্রশিক্ষণবিহীন স্নাতক পাস স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে।
৫. বেতন স্কেল উন্নতি/পুনর্নির্ধারণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা যতসংখ্যক টাইম স্কেল (১/২/৩টি)/ উচ্চতর স্কেল (১/২টি) পেয়েছেন তা উন্নীত পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ করতে হবে।
৬. পূর্বে ইন-সার্ভিস ডিপ্লেমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ ডিপ্লেমা সম্পন্নকারী সমমান হিসেবে গণ্য করতে হবে।
সারাদেশ থেকে ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠনো খবরে বিস্তারিত...
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, নিয়োগবিধি সংশোধন ও ১৪তম গ্রেডে বেতন-ভাতাসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল আটটা থেকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগে ‘ভ্যাকসিন হিরো’সহ সকল আন্তর্জাতিক অর্জন হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকার আমাদের শুধু আশার বাণীই দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম কুদরাত ই খুদা রকির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলা আরা চৌধুরী রশ্মি, অর্থ সম্পাদক মঈনুল আহমদ আলী সাগর, মহিউদ্দিন চৌধুরী, লোকমান হাকিম বাদশাহ, কাজী সাইফুল ইসলাম, হাসিনা বেগম, এস এম মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, শামসুল আলম চৌধুরী, লকিয়ত উল্লাহ, করিমুন্নেসা সাদেকা ও আবদুল মোমেন।
তারা আরও বলেন, আমরা এ কমসূচি পালনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন দিয়ে আমাদের দাবি ও কর্মসূচি বিষয়ে অবগত করেছি। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ থাকবে। এ সময় তারা সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে নিবার্হী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে ‘উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সব স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ, বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম গ্রেড দাবি করেন তারা।
কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গাজীপুর জেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় গাজীপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সিকদার, হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর জেলা উপদেষ্টা মো. শামীম আল রাজি, সহ সব উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী থেকে জানান, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে নীলফামারীতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি হয়েছে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার ব্যানারে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
নেত্রকোণা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এস্যোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
এসময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মনসুরুল হক পাবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিনূর ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসূচীতে জেলার ১০ উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।
বক্তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ ৬দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান , ৬ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকালে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে ঝিনাইদহ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন এ অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে।
ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে দাবি সম্বলিত ব্যানার, লিফলেট নিয়ে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেয়। সেসময় হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, ওলিউর রহমান, সোহেল রানা, মো. ফরহাদ, আক্তার হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
যশোর প্রতিনিধি জানান, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’সহ ৬ দফা দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার আট উপজেলা থেকে আসা স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।
লিটন ঘোষ, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ৬ দফা দাবীতে জেলার ৪ উপজেলার ২ শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারিরা ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে । মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশন মাগুরা পরিষদ।
এ সময় ৬ দফা দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মাগুরা হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারি সঞ্চিতা চক্রবতী ও জামিরুল ইসলাম । অবস্থান কর্মসূচীতে জানানো হয়,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য সহকারিরা মাঠ পর্যায়ে আন্ত:ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পদের কোন পরিবর্তন হয়নি । তাই সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবীতে সারাদেশে চলছে অবস্থান কর্মসূচী । স্বাস্থ্য সহকারিদের দাবীর মধ্যে রয়েছে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক সমমান এবং ১৪ তম গ্রেড প্রদান,ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদ প্রাপ্তদের ১১ তম গ্রেড প্রদানসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান ও স্বাস্থ্য সহকারি,সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক,স্বাস্থ্র পরিদর্শকগণ পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সকলকে প্রশিক্ষণ বিহীন স্নাতক পাশ স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে ।
মীর আনোয়ার আলী, রংপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুরে স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হলে ১ সেপ্টম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউন যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সামনে এসে জড়ো হন তারা। এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান, রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারজান মিয়া। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।
রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন বলেন, জন্মের পর থেকে শিশুদের ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় যে টিকা প্রদান করা হয়, তার পুরো কাজটি তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরাই করেন। এই কাজ অত্যন্ত টেকনিক্যাল হলেও আমরা এখনো টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছে না। ফলে আমরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জনের পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও বিগত সরকারগুলো কেবল আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমাদের দাবি বাস্তবায়নে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) শিক্ষাগত যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আরও কার্যকর ও টেকসই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করে বৈষম্যের অবসান ঘটাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খান রুবেল, বরিশাল ব্যুরো জানান, ছয়দফা দাবিতে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের সামনে মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ হেলথ এসিষ্ট্যান্ট এসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক একেএম মইনুদ্দিন খোকনের সভাপতিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগের সভাপতি জিয়াউল হাসান কাবুলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সেখানে বেলা ১১টা পযর্ন্ত কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারী রবিউল ইসলাম, মোর্শেদুল আলম, সুলতানা পারভীন কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন, সাধরণ সম্পাদক মো. মাহবুবার রহমান, কোষাধ্যক্ষ নুরুল আমিন বেপারী, সাংগঠকি সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক, বাসু দেব মোল্লা, আমিনুল ইসলাম ও জয়ন্ত ভট্টাচার্যসহ অনেকে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ঝালকাঠি শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা বেলা ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাঙ্গাইল শাখার নেতাকর্মীরা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা মো. সেলিম মিয়া, মো. আলমগীর হোসেন, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৩৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন ভূইয়া, বিভাগীয় আহ্বায়ক এ কে এম শফিউল আজম, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আফজাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরসহ অনেকে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এনসিপির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচাল করতে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। তাদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়ে গেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করবে দলটি।
মিজানুর রহমান জানান, আজ গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। উলপুর-দুর্গাপুর সড়ক দিয়ে তাদের গাড়িবহর যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার চকরিয়ায় এক পুলিশ সদস্যের ভাড়া বাসায় চুরি করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে রামদার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে এক যুবক। এঘটনায় মঙ্গলবার (১৫জুলাই) অজ্ঞাতপরিচয়ে ওই যুবককে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত তিনটার দিকে চুরির এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন ওই পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে ছিলেন। বাসায় দুই শিশুসন্তান নিয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ধর্ষণের পর অজ্ঞাত ওই যুবক দুটি মুঠোফোন ও আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে মামলার এজাহারে জানিয়েছেন পুলিশ সদস্যটি।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, তিন মাস ধরে ভাড়া বাসাটিতে রয়েছেন ওই গৃহবধূ। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি ঘুমাতে গিয়েছিলেন। রাত সোয়া তিনটার দিকে ঘরের জানালা দিয়ে কৌশলে মূল দরজার সিটকিনি খুলে অজ্ঞাত এক যুবক বাসায় ঢোকেন। পরে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে জিম্মি করে দুটি মুঠোফোন ও আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন ওই যুবক। এ সময় গৃহবধূ ও তাঁর দুই শিশুসন্তান আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই যুবক গৃহবধূকে রান্নাঘরে নিয়ে রামদা দেখিয়ে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন।
চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূর স্বামী পুলিশ সদস্য কর্মস্থল থেকে ফিরে চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, চুরি করতে এক পুলিশ সদস্যের ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ ওঠা যুবককে শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে। আসামিকে ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
মেহেরপুর হোটেল বাজারে ট্রাকের ধাক্কায় সরফরাজ খান সোনা(৫৫) নামের ১ মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে।
আজ বুধবার ১৬ জুলাই সকাল ৮ টায় মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার রনি রেস্তোরার সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সরফরাজ খান সোনা মেহেরপুর শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার মৃত শামসুল আলম খান মোংলার ছেলে। সোনা মেহেরপুরে কাচ (গ্লাস)ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোহাগ সোহেল নামের একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারের দিকে আসছিল কলেজ মোড়ের দিক থেকে, এ সময় সরফরাজ খান সোনা শহরের হোটেল বাজার থেকে কলেজ মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। রনি রেস্তোরার সামনে পৌঁছালে ট্রাকটি মোটরসাইকেল চালককে ধাক্কা মারে।
এতে মোটরসাইকেল চালক সরফরাজ খান সোনার ট্রাকের চাকার নিচে ছিটকে পড়ে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই সোহাগ -সোহেল নামের ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পাবনার বেড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোঃ মোজাম্মেল (৫৫) নামে অটোভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ও আমিনপুর সিন্দুরী গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাতটার দিকে উপজেলার আমিনপুর থানার অন্তর্গত কাজিরহাট সড়কে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কাশিনাথপুর বাজার থেকে কাজিরহাট সড়কে মোজাম্মেল তার নিজের অটোভ্যান নিয়ে নিজ গ্রাম সিন্দুরী এলাকায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পেছন থেকে কাজিরহাটগামী একটি ট্রাক ধাক্কা দিয়ে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার দেহ ছিন্নবিছিন্ন হয় এবং দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু মোজাম্মেল সিন্দুরী গ্রামের মাজার মসজিদের মোয়াজ্জেম ছিলেন। সকালে তিনি যাত্রী নিয়ে কাশিনাথপুর আসেন। বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিস একটি দল এসে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃত্যু দেহ উদ্ধার ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এ বিষয়ে আমিনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়, তবে চালক পালিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরা দেহটিকে থানায় রাখা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পলাতক আসামি কবির আহম্মদ চৌধুরী প্রকাশ একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফুলগাজীর আমজাদহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা ছাগলনাইয়া থানায় কর্মরত। এ ঘটনায় হামলাকারী ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— ফুলগাজী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দিদার ও কনস্টেবল সুমন।
পুলিশ জানায়, পলাতক আসামি কবির আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ছাগলনাইয়া থানায় করা একটি নারী নির্যাতন মামলার আসামি।
মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি দল। এ সময় তারা কবিরকে গ্রেপ্তার করলেও তিনি পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে তার সহযোগী ও স্বজনদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আসামির স্বজনদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল আলম জানান, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে গত বছরের ৬ অক্টোবর কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তখন তার সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের স্মরণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এটি রূপান্তরে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জাদুঘরের রূপান্তরের কার্যক্রম সমাপ্ত করতে এই জাদুঘরের ‘সিভিল’ ও ‘ই/এম’ অংশ নির্মাণ বা সংস্কার কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনীতি বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারকের পাশাপাশি বিগত সরকারের ১৬ বছরের নিপীড়নের বিভিন্ন ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে এ জাদুঘরে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জাদুঘরের ই/এম অংশ বলতে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল অংশকে বোঝায়। যার মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল অংশ থাকে। যেমন—ইলেকট্রিক তার, সুইচসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল সামগ্রী।
আর সিভিল অংশ বলতে ইলেকট্রো মেকানিক্যাল অংশ বাদে বাকি অংশকে বোঝায়। অর্থাৎ ই/এম এবং সিভিল এই দুটি অংশের মধ্যে জাদুঘরের সম্পূর্ণ অংশই থাকবে।
জানা গেছে, গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের এই সময়ের মধ্যে জাদুঘরের ই/এম অংশ নির্মাণ/সংস্কার করা সম্ভব হবে না। এ জন্য এই নির্মাণ বা সংস্কারকাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করা হবে।
মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্স-কে দিয়ে এই কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগ। এ জন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
জাদুঘরের ই/এম অংশ নির্মাণ বা সংস্কারকাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার জন্য বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল অংশের কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে দিয়ে এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগ। এ জন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট এই জাদুঘরের উদ্বোধন করা হতে পারে।
আগস্ট থেকে শুরু হবে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি। কর্মসূচির আওতায় ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, এ বছর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চলবে ছয় মাস। গত বছর এটা ছিল পাঁচ মাস। প্রথম পর্যায়ে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাস চলবে এ কর্মসূচি। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি এই দুই মাস খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ দুই মাস পুনরায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চলবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান খাদ্য মজুদ অত্যন্ত সন্তোষজনক। তারপরও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং বন্যার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। এছাড়াও বেসরকারি খাতে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ (এফপিএমসি) কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভাপতি, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য