× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Stop destruction of nature plant trees Professor Yunus
google_news print-icon

প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করুন, গাছ লাগান: অধ্যাপক ইউনূস

প্রকৃতি-ধ্বংস-বন্ধ-করুন-গাছ-লাগান-অধ্যাপক-ইউনূস

সুস্থ জীবনযাত্রার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সকলকে প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করে গাছ না কেটে গাছ লাগানো ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করারও আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্লাস্টিক একটি বিষ। শুধু মানুষের জন্য নয়, এই বিশ্বের সবকিছুর জন্য। আমরা এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি না, কারণ এটি ধীরে ধীরে এবং ধীরে ধীরে ঘটছে। আসুন আমরা এটির সমাধান করি। আসুন আমরা এই বিষ থেকে নিজেদের রক্ষা করি।’

৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে বুধবার (২৫ ‍জুন) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রেআয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা নাগরিকদের নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলন হওয়া উচিত, কেবল সরকারের উপর নির্ভর করা নয়।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা আমার পরিবেশ। আমাকেই এটা রক্ষা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা যদি বেঁচে থাকতে চাই—তাহলে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, সারা দেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের প্রচারণার মতো গাছ কাটা বন্ধ করতে একটি অভিযান চালানো উচিত।

নতুন প্রজন্ম ঢাকার কাছাকাছি দূষণমুক্ত নদী এবং সবুজ বন দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘তরুণরা আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণ প্রজন্ম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সৃজনশীল শক্তি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে তরুণ প্রজন্মকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা দেশের সকল নাগরিককে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আমাদের আত্ম-ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না।’

প্লাস্টিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বর্ণনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জনগণ যদি এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে পরিবর্তন করতে না চায়—তাহলে তাদের অবশ্যই পরাজয় বরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন বন্ধ করলে এর ব্যবহার এড়ানোর প্রশ্নই উঠবে না। এটাই মূল কারণ।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মানুষ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না প্রকৃতিরও একটি ধ্বংসাত্মক রূপ রয়েছে।

গ্রহে প্লাস্টিকের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্লাস্টিক জলবায়ু সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সঠিক প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের জলাশয় এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

প্রকৃতিতে প্লাস্টিকের স্থায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, সবকিছুরই একটি আয়ু আছে কিন্তু প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস যার কোনো মৃত্যু নেই।

মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ না করি—তাহলে ধ্বংস আমাদের পিছু ছাড়বে না.....আমরা আত্মঘাতী পথে আছি, কারণ প্লাস্টিক এবং পলিথিনের নির্বিচার ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস জুলাইয়ের বিদ্রোহের শহীদদের স্মরণ করেন এবং আন্দোলনে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা

অধ্যাপক ইউনূস অনুষ্ঠানে পরিবেশ মেলা-২০২৫' এবং 'জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫' উদ্বোধন করেন।

তিনি পরিবেশ সুরক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপকদের মধ্যে জাতীয় পরিবেশ পুরস্কার, জাতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পরিবেশ মেলা ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলবে, আর বৃক্ষমেলা ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

উভয় মেলাই প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য হলো: ‘আসুন পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাই, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনকে রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নির্মল পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রেখে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা ২৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে এক বার্তায় এই মন্তব্য করেন, যা মূলত ৫ জুন পালিত হয় এবং প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার উপায় বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সরকার পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যটন সীমিত করার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, 'প্লাস্টিক দূষণের অবসান' প্রতিপাদ্যে এবারের জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্ধারিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত দশকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক সামগ্রীর বহুমুখী ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অত্যধিক উৎপাদন, ব্যাপক ব্যবহার এবং অব্যবস্থাপনা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের পরিবেশ ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্লাস্টিক দূষণের কঠোর নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করার জন্য দেশব্যাপী নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পলিথিন ব্যাগের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন, অনুমোদন এবং প্রবর্তনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ট্রান্সবাউন্ডারি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ও সামুদ্রিক আবর্জনার সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’-এর আওতায় ইপিআর (বর্ধিত উৎপাদক দায়িত্ব) নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ চলছে, যেখানে উৎপাদনকারী নিজ দায়িত্বে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহপূর্বক তা ব্যবস্থাপনা করবেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলই বর্তমানে পরিবেশ ও প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Biodiversity in Kushtia is lost in Kushtia

কুষ্টিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পাখি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

কুষ্টিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পাখি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

মানুষের আগ্রাসন অপরিকল্পিত নগরায়নে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে গাছ। বনাঞ্চলের সঙ্গে কমছে প্রাণীর সংখ্যাও। খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট, অবৈধ শিকার, পাচার, কীটনাশকের অতি ব্যবহারের মতো নানা কারণে প্রতি বছরই পৃথিবী থেকে কোনো না কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়। কুষ্টিয়াতে প্রায় বিলুপ্তির পথে জীববৈ চিত্র্য। গাছ-পালা নিধন দ্রুত শহরায়নের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে পাখি।

কৃষিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, মিল কল কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য ও কারেন্ট জালের ব্যবহারের ফলে মারা পড়ছে কৃষিবান্ধব পাখি। রাস্তার দুপাশে গাছ, ক্যানাল এর দুপাশেরসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠের ধারের বড় বড় গাছ, কলকারখানা, ইটভাটা, প্লাইউড কারখানা ও আবাসস্থল তৈরির জন্য গাছ ও বনজঙ্গল নির্বিচারে কেটে ধ্বংস করে জলবায়ু পরিবর্তন ও পাখিদের হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এক সময় বিল ও জলাশয়ের ধারে দল বেধে নামত দেশি সাদা বক। কৃষকের লাঙ্গল দিয়ে জমি কর্ষণ ও ফসল কাটার সময় পাখির দল কৃষককে ঘিরে ধরত। ওই পাখির দল ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পেট ভরত। জীববৈচিত্র্যে আদরমাখা এই দেশি পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। শুধু গ্রামগঞ্জে ফসলের জমিতে ও শহরের কিছু জলাশয়ে শীতের মৌসুমে দেখা মেলে স্বল্পসংখ্যক পাখির।

এক সময় কুষ্টিয়া জেলার গ্রামের মাঠে ধানের ক্ষেতে চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার সময় দেখা গেল শত শত সাদা বক ও বিভিন্ন দেশী পাখি। এইসব বক ও পাখি উড়ে এসে কৃষক ও লাঙ্গলের ফলার চার পাশে ঘিরে কিচিরমিচির শব্দে উড়ে উড়ে পোকা খেত। কখনো ঝাঁক ধরে উড়ে যেত আকাশে। কখনো আবার এক জমি থেকে অন্য জমিতে উড়ে গিয়ে বসতো। এরই মাঝে ধরে ধরে জমি থেকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেতে। অপূর্ব এই কোলাহল দেখে মুগ্ধ হত পথচারীরা। কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন কৃষকরা জানান, এই সাদা বক ও পাখি আমাদের অনেক উপকার করে। চারা ধানের জমিতে মাজরা পোকা ও ফড়িংসহ ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফসল রক্ষা করে পাখিরা। এছাড়া ক্ষেতে পানি দেওয়ার পর যেসব পোকা ভাসতে থাকে তারা তা খেয়ে সাবাড় করে। এতে ফসলের উপকার হয়। কিন্তু এখন সৌন্দর্যের প্রতীক এই সাদাবক ও পাখি আগের মতো আর দেখা যায় না।

বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য, নির্বাচারে বৃক্ষনিধন ও পাখি শিকারিদের ফাঁদে পড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে এই সব উপকারী পাখি।

পাখি সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ জীব ও বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর সহসভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, পাখি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেমন তাদের আবাসস্থল ঠিক রাখা উচিত তেমনি তাদের খাদ্যের উৎস রক্ষা করা জরুরি। পাখি শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, কৃষি ও কৃষকের বন্ধু হিসেবে কাজ করে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পাখি সুরক্ষার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আবাসস্থল সংরক্ষণ, শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Thousands of people from mustard were released from suffering
দীর্ঘদিন পর রাস্তা সংস্কার

ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলো সরিষাবাড়ীর ৮ হাজার মানুষ

ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলো সরিষাবাড়ীর ৮ হাজার মানুষ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চরাঞ্চলের কাঁদাময় ও ভাঙ্গাচোরা রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ব্রিজপাড়সংলগ্ন গাছ বয়ড়া মানু মেম্বারের বাড়ি হতে বিন্নাফৈর মোড় হয়ে টাকুরিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘ ১০ বছর পর কাদাযুক্ত ও ভাঙ্গাচোরা কাঁচা সড়কটি সংস্কার করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম এর নির্দেশে পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান ফরহাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই রাস্তাটি একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো চেয়ারম্যান বা মেম্বার মেরামত, সংস্কার করেনি। একটু বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়, বিভিন্ন স্থানে কাঁদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। স্কুল-কলেজে যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। বয়ড়া ব্রিজ ও মাদারগঞ্জ-ধনবাড়ী মহাসড়কের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই মাটির কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান ফরহাদ বলেন, এই ইউনিয়নের সব থেকে পিছিয়ে আছে এই গ্রামটি৷ কারন এই কয়েকটি গ্রামে বিএনপির সমর্থক বেশি। তাই ইচ্ছে করেই কোন চেয়ারম্যান এ রাস্তার উন্নয়ন করেনি। অনেক সময় কাঁদায় গাড়ি আটকে বিকল হয়ে গেলে গাড়ি আটকা পড়লে অন্য কোন গাড়ি আর যেতে পারে না। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানের রাস্তাটির করুন অবস্থা আমাদের জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ভাইকে জানালে তার নির্দেশে আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে অবহেলিত এই গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিয়ে পুরো রাস্তাটি সংস্কার কাজ করছি।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি চাঁন মিয়া চানু মন্ডল বলেন, এক যুগেও এক টুকরো মাটি দেওয়া হয়নি, উন্নয়ন বঞ্চিত এ রাস্তাটি পাকাকরণ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় চলাচলের অযোগ্য এ রাস্তায় পানি জমে ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুন। বিভিন্ন স্থানের পানি রাস্তায় উঠে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি ছড়ায় পানিবাহিত রোগও। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ
People expect the rule of law to the government
রুহুল কবির রিজভী

জনগণ সরকারের কাছে আইনের শাসন প্রত্যাশা করে

জনগণ সরকারের কাছে আইনের শাসন প্রত্যাশা করে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই সরকারের কাছে মানুষ আইনের শাসন প্রত্যাশা করে। আপনারা দৃষ্টান্ত রেখে যাবেন, যাতে করে নির্বাচিত সরকার এলে আপনাদের ভালো দৃষ্টান্তগুলো চিহ্নিত করে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, কেন এই সময়ে এসে এত খুন-জখম হবে, কেন এত ডাকাতি, চুরি হত্যাকাণ্ড ঘটবে, এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। বলা হচ্ছে, পুলিশের মধ্যে এখনো আস্থা ফিরে আসেনি, কেন আস্থা ফিরবে না? গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপির পরিবার প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় জুলাই-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন,’ ২৪ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পটভূমি রচনার প্রধান নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা দেখেছি যখন ছাত্র-জনতা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তখন তিনি দলের সব নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয় থাকার জন্য। কখনো তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে কখনো আমাদের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদলের অনেক নেতা-কর্মী, বিএনপির সমর্থক অনেকেই আত্মহুতি দিয়েছেন গণতন্ত্রকে ফেরানোর জন্য।’ বিডিআর হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনাগুলো দেখেছি, সেখানে আমরা শুনতে পাচ্ছি, জানতে পারছি- যারা তদন্তে আছেন তারা নানা কারণেই গোপনীয়তা রক্ষা করছেন, যদিও তারা বলেছিলেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হয়তো বিশেষ কারণে নামগুলো এখনো বলছেন না। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় যা হয়েছে এইটা বলছেন তারা। তার মানে পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। হয়তো কারও স্বার্থে প্রভুদের স্বার্থে অথবা অন্য কোনো স্বার্থে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তৎকালীন যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল।’ তিনি বলেন, ‘এমন দেশ তো এই দেশের মানুষ চায়নি। যে দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হতে এত মানুষের প্রাণহানি, এত ক্ষয়ক্ষতি, সেই দেশে নিজের দেশের সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে নানা ধরনের প্রকল্প তৈরি করেছিল এবং তারা যে বয়ান তৈরি করত সেই বয়ানগুলোও ছিল পরিকল্পিত। যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিপক্ষের শক্তি এমন নানা ধরনের কথা বলে গোটা দেশটাকে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে প্রতি সেকেন্ডে ওরা বিভাজন করে রেখে গেছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pilkhana Massacre Long term conspiracy result Investigation Commission

পিলখানা হত্যাকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল: তদন্ত কমিশন

রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে
পিলখানা হত্যাকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল: তদন্ত কমিশন

ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। এ ঘটনায় তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের নানা মাত্রায় সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনের সপ্তম তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিভিন্ন সাক্ষ্য হতে প্রতীয়মান যে রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের নামে অযথা কালক্ষেপণ করায় এবং সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিদ্রোহীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধ সংঘটন করতে সমর্থ হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই পিলখানার ভেতর থেকে আটকে পড়া অফিসার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বারংবার অনুরোধ-আকুতি সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ফজলুর রহমান বলেন, এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এটা বলা যায় যে তৎকালীন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। অপরাধ সংঘটনের সময় তারা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল, যার ফলে তারা বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড প্রতিহত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তদন্ত কমিশন জানায়, তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে প্রতীয়মান। গোয়েন্দা ব্যর্থতার স্বরূপ ও কারণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা এবং আলামত ধ্বংস করার প্রয়াস প্রতীয়মান হয়েছে। এর পেছনে দায়ী ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

কমিশনের সভাপতি বলেন, পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলাকালে কিছু গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রচার করার মাধ্যমে বিদ্রোহ উসকে দিয়েছে। একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে সামরিক অফিসারদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস চালিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বিদেশি সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কমিশন মনে করে যে সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ করা যেত।

সংবাদ সম্মেলনে পিলখানার অভ্যন্তরে সংঘটিত অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বেঁচে যাওয়া কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি থেকে পিলখানার অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া এক মর্মন্তুদ চিত্র পাওয়া গেছে। কর্মকর্তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর চালানো হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। নারী ও শিশুদের মারধর, সশস্ত্র অবস্থায় হুমকি প্রদান, বাড়িঘর ভাঙচুর, অমানবিক পরিবেশে খাবার ও পানি ছাড়া কোয়ার্টার গার্ডে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা, রাষ্ট্রের ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধ্বংস সাধন, আলামত ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য আরও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৫৮ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি আছে। ৮ জন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের সাক্ষাৎকার জেলে নেওয়া হয়েছে। তিনজন উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুজন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ই–মেইলে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত কমিশন জানায়, এখন পর্যন্ত শহীদ পরিবারের ছয়জনের বিস্তারিত জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুটি সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে পরিবারের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত ব্যক্ত করেছেন। সম্মেলনে সব ইচ্ছুক সদস্যদের লিখিত বা কমিশনে উপস্থিত হয়ে বিস্তারিত জবানবন্দি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অনেক শহীদ পরিবারের সদস্য ইতিমধ্যেই তা করেছে। বেঁচে ফিরে আসা ১৫ জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন বেঁচে যাওয়া অফিসারদের লিখিত জবানবন্দি প্রদান করার জন্য সেনাসদরের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুটি সম্মেলনে তাদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে।

তদন্ত কমিশন জানায়, ৫৫ জন সামরিক অফিসার, যারা বিভিন্নভাবে পিলখানা ট্র্যাজেডির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক সাবেক সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর প্রধান; বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

তদন্ত কমিশন জানায়, ২০ জন অসামরিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, আমলা, আগের তদন্ত কমিটির সদস্য, তৎকালীন আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ৯ জন বেসরকারি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি। যাদের কাছে ঘটনাসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫ জন বিডিআর সদস্যের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সে সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য দিয়েছে। যেগুলো এখন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আরও সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। এর বাইরে ২৯ জন কারামুক্ত বিডিআর সদস্যের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিশন জানায়, প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও তদন্ত কার্যক্রমে অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কমিশন ৩৩ জন ব্যক্তির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পলাতক ব্যক্তিদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কমিশন তিনটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

কমিশন জানায়, ৬টি দেশের দূতাবাস ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পিলখানা ট্র্যাজেডিসংক্রান্ত কোনো তথ্য আছে—এরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকে কমিশনের কাছে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কমিশনের জানিয়েছে, প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে কমিশনের সদস্যরা পর্যালোচনা করছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণ প্রয়োজন হবে।

তদন্তে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দৈনিক পত্রিকায় একাধিক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। কিছু দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাহিদাকৃত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-দলিলাদি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উল্লিখিত তথ্য অনতিবিলম্বে সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫০ জনের অধিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ এখনো বাকি আছে। এছাড়া কিছুসংখ্যক ব্যক্তির পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণেরও প্রয়োজন হবে। গৃহীত সাক্ষ্যগুলোর পূর্ণাঙ্গ লিখিত রূপ প্রস্তুত, স্বাক্ষর গ্রহণ ও বিশ্লেষণের কাজ চলমান রয়েছে। এটি একটি সময়সাপেক্ষ কাজ। কিছু বিদেশি দূতাবাস ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। যার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Israqs call for adviser Asif Mahmud to be restrained

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে সংযত থাকার আহ্বান ইশরাকের

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে সংযত থাকার আহ্বান ইশরাকের

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে তার বক্তব্যে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে আরও কোনো আন্দোলন রোধ করার জন্য যেকোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এড়াতে সতর্কও করেন তিনি।

ইশরাক বলেন, ‘আশা করি, আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্যে সংযত থেকে বর্তমান শান্তির পরিস্থিতি বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।

বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।

ইশরাক স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কথাও বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমি এটি একটি সতর্কীকরণ বার্তা হিসেবে দিচ্ছি। নগরবাসী এর কোনো বিচ্যুতি মেনে নেবে না। যদি আন্দোলন আবার শুরু হয়, তবে এটি নগর ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাএটি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। এটি অবশ্যই এড়ানো উচিত।

ইশরাকের সমর্থক এবং বিএনপি কর্মীরা ১৪ মে থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ের বাইরেঢাকাবাসীব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।

২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে ইশরাক প্রায় লাখ ভোটে হেরে যান।

তবে, চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দেয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র ঘোষণা করে।

তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অমীমাংসিত আইনি বিষয়ের কারণ দেখিয়ে ইশরাকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The godfathers of the drug have to be caught Home Advisor

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সবচেয়ে বড় দুটো শত্রু হলো মাদক আর দুর্নীতি। এলাকা ভিত্তিক তৎপরতা দেখিয়ে কাজ হবে না, মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে।

তিনি আজ বুধবার ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক থেকে কীভাবে আমরা মুক্ত হতে পারি এ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। শুধু মাদক নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। মাদক যেন বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে সে লক্ষ্যে মাদক ঢোকানোর সাথে যারা জড়িত তাদের সম্পর্কে আমাদের তথ্য দেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ১৪০০ কোটি টাকার মাদক নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। মাদক বাহকদের ধরে লাভ নেই। গড ফাদারদের ধরতে হবে।

তিনি বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ক্রমান্বয়ে কমে আসে। যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক ও দুর্নীতি কীভাবে বন্ধ করা যায় চেষ্টা করছি। আমরা পুরোপুরি সফল হয়েছি বিষয়টা তা নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আজকাল অনেক বদি তৈরি হয়ে গেছে। তাদেরকে কীভাবে ধরা যায়, সেজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ অনেক বেশি। তাই নিরাময় কেন্দ্রে যেন না যেতে হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National seminar on the role of the media in establishing disability equality

প্রতিবন্ধী সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সেমিনার

প্রতিবন্ধী সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সেমিনার

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে বুধবার জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার হয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর সহযোগিতায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে এ আয়োজন করে।

এতে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা অংশ নেন।

গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিস প্রধান ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দিলারা জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি, দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ। গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তি: চর্চা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে সেমিনারে ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ-এর সঞ্চালনায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে ছিলেন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং আইসিবিসি প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল কাদির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, ইউএনডিপি'র এসপিএস‌এস সিনিয়র অ্যাডভাইজার - কমিউনিকেশনস এস‌এম মনজুর রশীদ এবং এ-টু-আই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রধান নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামান।

প্রধান অতিথি দিলারা জামান এরকম অনুপ্রেরণামূলক আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, আলোচনা ও উপস্থাপনাগুলো আমার দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। আমি ভালোবেসে আমার পাশের যে প্রতিবন্ধী মানুষটি আছে তার জন্য হাত বাড়িয়ে দেব। এখন থেকে আমি যে ক’টা দিন বাঁচব, আমি চেষ্টা করব আমার চারপাশে যারা আছে, আমি যাদের সঙ্গে অভিনয় করি, এবং যেসব মায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়, তাদের অনুরোধ করব তোমার পাশে যেসব প্রতিবন্ধী মানুষেরা আছে তাদের জন্য অল্প সময়ের জন্য হলেও তোমাদের হাত দুটি বাড়িয়ে দাও।

ড. সুজান ভাইজ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হলেও, পদ্ধতিগত বাধা এবং অবচেতন পক্ষপাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সীমিত করে চলেছে, বিশেষ করে মিডিয়া এবং কর্মসংস্থান খাতে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের তীব্র অবমূল্যায়নের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি মিডিয়া পেশাদারদের বিদ্যমান স্টেরিওটাইপগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার এবং কেবল করুণা বা কষ্টের বর্ণনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিত্রিত করা থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

হাসান হাফিজ বলেন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদার সাথে উপস্থাপনে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে। গণমাধ্যমকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতেও কাজ করতে হবে।'

মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি বলেন, 'সরকার গণমাধ্যমকে প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটও কাজ করে চলেছে।'

অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো প্রণীত গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক ব্যবহারিক নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। নির্দেশিকার বাংলা রূপান্তরের সঙ্গে যুক্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী এ সময় বক্তৃতা করেন।

এ আয়োজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার আটজন বিজয়ীকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গণমাধ্যমের বার্তাকক্ষ ও অনুষ্ঠানের মূলধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে প্রথম হয়েছেন যথাক্রমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মো. জারিফুল ইসলাম জিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সুমাইয়া খানম।

অনুষ্ঠানে বি-স্ক্যান এর শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাটিকা, গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

মন্তব্য

p
উপরে