× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

উন্নয়নের পদযাত্রায় আজও আড়ালে উপেক্ষিত গৃহকর্মীরা

উন্নয়নের-পদযাত্রায়-আজও-আড়ালে-উপেক্ষিত-গৃহকর্মীরা

ঢাকার অসংখ্য বাড়ির উঁচু দেওয়ালের আড়ালে ঢাকা পড়ে আছে এক অদৃশ্য পরিশ্রমী শ্রেণি; তারা নিরলসভাবে দিনরাত খেটে চলেছেন। তাদের শ্রম স্বীকৃত নয়, নিয়ন্ত্রিত নয় এবং সুরক্ষিতও নয়।

যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা গৃহকর্মী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, আবার কিশোরীও হয়ে উঠতে না পারা অনেক মেয়ে রয়েছে। তারা রান্না করেন, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন, শিশুদের দেখাশোনা করেন— মানুষের বাসার এমন অসংখ্য কাজের দায়িত্ব পালন করছেন তারা। তবে সমাজে তাদের এই অবদান উন্নয়ন কিংবা শ্রমিক অধিকারবিষয়ক বৃহত্তর আলোচনায় বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যায়।

এই তো গত ১৬ জুন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক গৃহকর্মী দিবস পালিত হলো। অথচ দেশের এই শ্রমজীবী শ্রেণির অবস্থানে কোনো অর্থবহ স্বীকৃতি বা পরিবর্তন আসার কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।

বাড়ছে সংখ্যা ও ঝুঁকি

সরকারি জরিপ বলছে, এই খাতে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ সালে যেখানে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ছিল ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, তা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া, ২০১১ সালে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইটস নেটওয়ার্কের (ডিআরডব্লিউএন) হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ গৃহকর্মী নিয়োজিত, যাদের অনেকেই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা অল্পবয়সী মেয়ে।

বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা আরও বিস্ময়কর। প্রকাশিত তথ্যমতে, সারা বিশ্বে প্রায় ১০৫ লাখ মানুষ বেতনভুক্ত গৃহকর্মী—যা কানাডার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের সমান।

বাংলাদেশে এই শ্রমিকরা মাসে গড়ে মাত্র ১৫ ডলার (প্রায় ১৭৫৫ টাকা) আয় করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস)।

২০২২ সালে অক্সফামের এক সমীক্ষা জানায়, ৯৩ শতাংশ নারী গৃহকর্মী তাদের কর্মস্থলে হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানসিক নির্যাতনের শিকার, ৬১ শতাংশ মৌখিক নির্যাতন এবং ২১ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার।

নেই চুক্তি, নেই সুরক্ষা

শহুরে পরিবারগুলোতে এই গৃহকর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের অধিকাংশই কোনো আনুষ্ঠানিক চাকরির কাঠামোর আওতায় নেই। বিআইএলএসের তথ্য অনুযায়ী, ৯০ শতাংশের বেশি গৃহকর্মীর কোনো লিখিত চুক্তি নেই।

১২ বছর বয়স থেকেই ধানমণ্ডির এক বাড়িতে কাজ করা ১৬ বছর বয়সী রিনা বলেন, ‘কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় নাই। ভোরে উঠি, কাজ শেষ হয় গভীর রাইতে। অসুস্থ হইলে বা সামান্য ভুল করলে গালাগালি বা মার খাই। অভিযোগ করারও কেউ নাই।’

বন্ধ দরজার আড়ালে নির্যাতন

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আবারও গৃহকর্মীদের প্রতি সহিংসতা ও অপমানের বিষয়টি সামনে এনেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো গৃহকর্মীদের ওপর নিয়মিত শারীরিক নিপীড়ন, মৌখিক অবমাননা, এমনকি যৌন সহিংসতার ঘটনাও নথিভুক্ত করছে। ভয়ে, কিংবা জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ঘটনাগুলো প্রকাশ পায় না।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (এএসকে) মামলার দায়িত্বে থাকা ফারজানা আখতার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযোগ পাই, বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের কাছ থেকে যাদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শহরে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অতি দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। কেউ কেউ পড়াশোনার আবার কেউ ভালো জীবনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসে। তবে আসার পর আটকে পড়ে শোষণ-নির্যাতনের ফাঁদে।’

গৃহকর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতা

এই অল্পবয়সী শ্রমিকদের অনেককেই শহরে আনা হয় দালালদের মাধ্যমে, অর্থাৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক ‘নিয়োগ এজেন্ট’ বা দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে। এরা কোনো আইনি কাঠামোর আওতায় পড়েন না, বরং কমিশন খেয়ে মেয়েদের অনিরাপদ ও অপরিচিত ঘরে পাঠিয়ে দেন।

এমনই একজন সাবেক দালাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন, ‘এটা এক ধরনের ছায়া বাজার। কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই, সরকারের নজরদারি নেই। চাহিদা আর যোগানের খেলা। কিছু মেয়েকে তো জিনিসের মতো হাতবদল করা হয়।’

সম্প্রতি ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি প্রশিক্ষিত গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, যারা তুলনামূলক ভালো পারিশ্রমিক দেয়। তবে এসব উদ্যোগ এখনও খুবই সীমিত।

কাগজে নীতি, বাস্তবে শূন্যতা

২০১৫ সালে সরকার ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ চালু করে। ওই নীতিতে ন্যূনতম মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম ও ছুটির ব্যবস্থা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও আইনি অভিযোগের সুযোগের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হলেও, তার বাস্তবায়ন কার্যত শূন্য। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতাভুক্ত না করায় এই নীতি মেনে চলার জন্য নিয়োগকর্তার ওপর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

আওয়াজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. নাজমা আক্তার বলেন, ‘কেবল আলাদা একটি নীতিই যথেষ্ট নয়। আইনগত বাধ্যবাধকতা ও প্রয়োগ ছাড়া কিছুই বদলাবে না।’

এ কারণে অধিকারকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই গৃহকর্মকে শ্রম আইনের আওতায় আনতে দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিপদের মুখে একটি প্রজন্ম

আইনি ও অর্থনৈতিক লড়াইয়ের বাইরেও এই অনিয়ন্ত্রিত খাত আরও গভীর প্রভাব ফেলে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

শিক্ষা ও সহায়তার সুযোগ না থাকায় হাজার হাজার শিশু অল্প বয়সেই শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে, যা দারিদ্র্যের চক্রকে আরও জটিল করে তোলে।

১৪ বছর বয়সী মুন্নি তৃতীয় শ্রেণি পড়ার পর স্কুল ছেড়েছে। সে বলে, ‘আমি শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি অন্যের সন্তান সামলাই, আর আমার নিজের বাচ্চা গ্রামে আমার মায়ের কাছে রয়েছে।’

সম্প্রতি ১৫ বছর বয়সী আরেক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার কর্মস্থলের সামনে থেকে; এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

তাছাড়া, বহু গৃহকর্মীর সন্তান বড় হয় তার মায়ের থেকে দূরে কোনো গ্রাম বা বস্তিতে। বিষয়টি আর্থিক কষ্টের পাশাপাশি গৃহকর্মীদের মানসিক চাপও বাড়ায়।

এমন প্রেক্ষাপটে দেশ যখন উন্নয়নের পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে, তখন প্রশ্ন থেকে যায়— কার উন্নয়ন?

যতদিন না প্রতিদিন লাখ লাখ পরিবারকে সচল রাখা গৃহকর্মীদের আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক মর্যাদার আওতায় আনা হবে, ততদিন এই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থেকে যাবে অসম্পূর্ণ ও কষ্টদায়ক।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
There is no legal barrier to allocating Shapala symbols to NCP

এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই

এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই

নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ ১০১ জন আইনজীবী। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনা আক্তার লাভলী এবং লাবাবুল বাসার স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি জানানো হয় এই মত।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(৩) এবং অন্যান্য বিদ্যমান আইন অনুসারে এনসিপির শাপলা প্রতীক বরাদ্দ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করে বলা হয়, ১৯৭২ সালের অর্ডারের তৃতীয় তফসিল এবং ১৯৭২ সালের বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক তে জাতীয় প্রতীকের নকশা অংকিত আছে। নকশা অনুযায়ী জাতীয় প্রতীক হচ্ছে লালচে এবং হলুদ রঙের যুগল বৃত্তের ভেতরে লালচে এবং হলুদ রঙে অংকিত পানির ওপর ভাসমান শাপলা ফুল, দু’পাশে দুটি ধানের শীষ, উপরে তিনটি সংযুক্ত পাট পাতা যার ঠিক দুই পাশে দুটি করে চারটি তারকার সন্নিবেশ ও সামষ্টিক রূপ। অর্থাৎ জাতীয় প্রতীকের নকশা এবং রঙ ১৯৭২ সালের অর্ডারের ৩য় তফসিল ও বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক দ্বারা সুনির্দিষ্ট। তাছাড়া জাতীয় প্রতীকের শাপলাটি পানিতে ভাসমান কিন্তু এনসিপি ‘ভাসমান শাপলা’ প্রতীক হিসেবে চায়নি।

একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতীকে হিসেবে জাতীয় প্রতীকের উপাদান বরাদ্দ দেওয়ার নজির উপস্থাপন করে বিবৃতিতে বলা হয়, ধানের শীষ, শাপলা, পাটপাতা এবং তারকা আলাদা আলাদা করে চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। আর এই চারের সমষ্টিই হচ্ছে জাতীয় প্রতীক, যা দুই রঙের দুটি বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত। জাতীয় প্রতীকের উপাদানের মধ্যে দুইটি উপাদান ইতোমধ্যে দুইটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দকৃত। সুতরাং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণসাপেক্ষে এনসিপির নিবন্ধিত হবার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং প্রতীকের তালিকায় সংযোজনপূর্বক শাপলা প্রতীকটি এনসিপিকে বরাদ্দ দিবে বলে বিবৃতিদাতা আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Stop destruction of nature plant trees Professor Yunus

প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করুন, গাছ লাগান: অধ্যাপক ইউনূস

প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করুন, গাছ লাগান: অধ্যাপক ইউনূস

সুস্থ জীবনযাত্রার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সকলকে প্রকৃতি ধ্বংস বন্ধ করে গাছ না কেটে গাছ লাগানো ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এই সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করারও আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্লাস্টিক একটি বিষ। শুধু মানুষের জন্য নয়, এই বিশ্বের সবকিছুর জন্য। আমরা এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি না, কারণ এটি ধীরে ধীরে এবং ধীরে ধীরে ঘটছে। আসুন আমরা এটির সমাধান করি। আসুন আমরা এই বিষ থেকে নিজেদের রক্ষা করি।’

৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে বুধবার (২৫ ‍জুন) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রেআয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা নাগরিকদের নেতৃত্বাধীন একটি আন্দোলন হওয়া উচিত, কেবল সরকারের উপর নির্ভর করা নয়।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা আমার পরিবেশ। আমাকেই এটা রক্ষা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা যদি বেঁচে থাকতে চাই—তাহলে আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, সারা দেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের প্রচারণার মতো গাছ কাটা বন্ধ করতে একটি অভিযান চালানো উচিত।

নতুন প্রজন্ম ঢাকার কাছাকাছি দূষণমুক্ত নদী এবং সবুজ বন দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘তরুণরা আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণ প্রজন্ম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সৃজনশীল শক্তি।’

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে তরুণ প্রজন্মকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা দেশের সকল নাগরিককে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আমাদের আত্ম-ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না।’

প্লাস্টিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বর্ণনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জনগণ যদি এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে পরিবর্তন করতে না চায়—তাহলে তাদের অবশ্যই পরাজয় বরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন বন্ধ করলে এর ব্যবহার এড়ানোর প্রশ্নই উঠবে না। এটাই মূল কারণ।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মানুষ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না প্রকৃতিরও একটি ধ্বংসাত্মক রূপ রয়েছে।

গ্রহে প্লাস্টিকের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্লাস্টিক জলবায়ু সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সঠিক প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের জলাশয় এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

প্রকৃতিতে প্লাস্টিকের স্থায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, সবকিছুরই একটি আয়ু আছে কিন্তু প্লাস্টিক এমন একটি জিনিস যার কোনো মৃত্যু নেই।

মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকারক প্রভাব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ না করি—তাহলে ধ্বংস আমাদের পিছু ছাড়বে না.....আমরা আত্মঘাতী পথে আছি, কারণ প্লাস্টিক এবং পলিথিনের নির্বিচার ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস জুলাইয়ের বিদ্রোহের শহীদদের স্মরণ করেন এবং আন্দোলনে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা

অধ্যাপক ইউনূস অনুষ্ঠানে পরিবেশ মেলা-২০২৫' এবং 'জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৫' উদ্বোধন করেন।

তিনি পরিবেশ সুরক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপকদের মধ্যে জাতীয় পরিবেশ পুরস্কার, জাতীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

পরিবেশ মেলা ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলবে, আর বৃক্ষমেলা ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

উভয় মেলাই প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য হলো: ‘আসুন পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাই, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনকে রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নির্মল পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রেখে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা ২৫ জুন 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' উপলক্ষে এক বার্তায় এই মন্তব্য করেন, যা মূলত ৫ জুন পালিত হয় এবং প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার উপায় বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সরকার পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের জন্য পর্যটন সীমিত করার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও 'বিশ্ব পরিবেশ দিবস' পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, 'প্লাস্টিক দূষণের অবসান' প্রতিপাদ্যে এবারের জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্ধারিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত দশকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক সামগ্রীর বহুমুখী ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অত্যধিক উৎপাদন, ব্যাপক ব্যবহার এবং অব্যবস্থাপনা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের পরিবেশ ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্লাস্টিক দূষণের কঠোর নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করার জন্য দেশব্যাপী নিয়মিত পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পলিথিন ব্যাগের পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন, অনুমোদন এবং প্রবর্তনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ট্রান্সবাউন্ডারি প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ও সামুদ্রিক আবর্জনার সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’-এর আওতায় ইপিআর (বর্ধিত উৎপাদক দায়িত্ব) নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ চলছে, যেখানে উৎপাদনকারী নিজ দায়িত্বে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহপূর্বক তা ব্যবস্থাপনা করবেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলই বর্তমানে পরিবেশ ও প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।

মন্তব্য

মেট্রো রেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত

মেট্রো রেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, উত্তরা সেন্টার, মেট্রো রেল স্টেশন, উত্তরা এবং বিজয় সরণিতে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও বহির্গমন বিষয়ক মহড়া করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ২৫ জুন সকাল ১১টায় উত্তরা সেন্টারে এবং বিকেল ৩টায় বিজয় সরণি সেন্টারে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় ওয়াটার টেন্ডার, পাম্প ক্যারিং টেন্ডার, সিজার লিফট, অ্যাম্বুলেন্স ও স্নোরকেল গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।

মেট্রো রেলে বা মেট্রো রেল স্টেশনে হঠাৎ করে অগ্নিদুর্ঘটনা সংঘটিত হলে কিভাবে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে, কিভাবে অগ্নিনির্বাপণ করতে হবে, কিভাবে সাধারণ লোককে ইভাকুয়েট করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক শুশ্রূষা প্রদান করে কিভাবে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে মহড়ায় তার বাস্তব অনুশীলন দেখানো হয়। মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় ভলান্টিয়াররা অংশগ্রহণ করেন। মহড়া চলাকালীন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

মহড়া শেষে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) একেএম খায়রুল আলম। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রকৃত দুর্ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রী সাধারণের কার কী করণীয় সে সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

মহড়া দুটি পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাজাহান শিকদার ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার একেএম রায়হানুল আশরাফ। এ সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The 5th Intex Bangladesh Exhibition starts in Dhaka

ঢাকায় শুরু ১৬তম ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন

ঢাকায় শুরু ১৬তম ইনটেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল গার্মেন্টস ক্রেতা, বিপনন ও সরবরাহকারী এবং সোর্সিং এক্সিবিশন খ্যাত ইনটেক্স বাংলাদেশের ১৬তম আসর আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে শুরু হয়েছে। এই তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিং শোতে ১০টিরও বেশি দেশের ১২৫টির অধিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে, যা বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং উৎপাদনকারীদের জন্য একটি গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

পোশাক খাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ-এর নিত্য উদ্ভাবনী কৌশল ও উন্নতমানের দ্রুত উৎপাদন ক্ষমতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাহিদায় প্রাধান্য পাচ্ছে।

২০২৬ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানি ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইনটেক্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনা এবং টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে উদ্ভাবন প্রদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং এলএবিসিসিআই, কেবিসিসিআই ও বিজিসিসিআই-এর মতো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংস্থার নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন পোশাক খাতে বিশ্ব বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দ্রুত টেকসই ও মূল্য-সংযোজিত পোশাক উৎপাদনের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। উদ্ভাবন, কমপ্লায়েন্স এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগে কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশটি দায়িত্বশীল ফ্যাশন ও টেক্সটাইল সোর্সিংয়ের পরবর্তী অধ্যায় নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, ইনটেক্স বাংলাদেশের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করবে”

এই বছরের এক্সপোতে বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য প্যাভিলিয়নের মধ্যে ভারতের (টেক্সপ্রোসিল ও পেডেক্সিলের মাধ্যমে) তুলা, মিশ্র সুতা ও টেকসই টেক্সটাইল প্রদর্শন করছে। চীন নিয়ে এসেছে টেকনিক্যাল ফ্যাব্রিক ও গার্মেন্টস ট্রিম। দক্ষিণ কোরিয়া পরিবেশবান্ধব পারফরম্যান্স উপকরণ প্রদর্শন করছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ড ও জাপান নিয়ে এসেছে প্রিমিয়াম শার্টিং ও বোনা পণ্য। বাংলাদেশি প্রদর্শনকারীরা নিটওয়্যার, ডেনিম এবং ভার্টিক্যালি ইন্টিগ্রেটেড উৎপাদন সমাধানের অগ্রগতি তুলে ধরছে।

এক্সপোর মূল্যবোধ আরও বাড়াতে ইন্টারেক্টিভ বিজনেস ফোরাম (আইবিএফ) দুটি সেশনের আয়োজন করেছে। প্রথম সেশনে টেক্সটাইল উৎপাদন ও ফ্যাশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে, অন্যদিকে দ্বিতীয় সেশনে বৈশ্বিক শুল্ক ও বাণিজ্য পরিবর্তনের বাংলাদেশি রপ্তানির প্রভাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই সেশনগুলোতে এ শিল্পের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন, যা ব্যবসায়িক স্থিতিস্থাপকতা ও বৃদ্ধির কৌশল প্রদান করবে।

প্রদর্শনীর পাশাপাশি, ইনটেক্স বাংলাদেশ ২০২৫-এ ব্যবসায়িক সভা (বি২বি), ভিআইপি নেটওয়ার্কিং এবং ক্রেতা-সরবরাহকারীদের মধ্যে ম্যাচমেকিং সুবিধা রয়েছে— যা সোর্সিং ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা প্রদান করছে।

ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়ার আয়োজিত এই ইভেন্টটি বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিবিএ, ইপিবি এবং আইবিসিসিআই, এলেবিসিসিআই, কেবিসিসিআই ও বিজিসিসিআইয়ের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার সমর্থন পেয়েছে।

বাংলাদেশ যখন আরও উদ্ভাবনী ও টেকসই টেক্সটাইল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে, ইনটেক্স বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারের সাপ্লাই চেইনের সাথে দেশটিকে সংযুক্ত করার একটি প্রধান সমর্থক হিসেবে কাজ করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Plastic adviser

পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দূষণ রোধ ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশের বিষ। এটা কেবল মানুষ নয়, পৃথিবীর সকল প্রাণির জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীতে প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে বাংলাদেশেও বাড়ছে, এর সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রতি প্লাস্টিকের ব্যবহার। আসুন, আমরা আজ থেকে মনে মনে ঠিক করি, প্লাস্টিক বর্জন করব।’

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে হলে পরিবেশ বাঁচাতে হবে।

পরিবেশ ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে পারলে আমরা সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করতে পারব।"

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি এর ব্যবহার বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সপ্তাহে অন্তত একটা দিন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন করে, তাহলে ক্রমান্বয়ে প্লাস্টিককের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া কঠিন এ পথে এগুনো যাবে না।

দূষণ রোধে কেবল পলিথিন বর্জন নয়, পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দৈনন্দিন জীবনযাপনে (লাইফস্টাইল) পরিবর্তন ছাড়া সামগ্রিক পরিবেশ বিপর্যয় অবধারিত। পরিবেশ সুরক্ষার বর্তমান তরুণ প্রজন্ম অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে একটি সোনালু গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh National Insurance Company Limiteds 21st Annual Meeting

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meghna Banks 12th Annual General Meeting held

মেঘনা ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মেঘনা ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার রাজধানীর মহাথালীতে অবস্থিত ম্যাডোনা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারপার্সন মিসেস উজমা চৌধুরী।

বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তানভীর আহমেদ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মো. আলী আক্তার রেজভী, এফসিএ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব রজব আলী, জনাব এম. নজরুল ইসলাম এবং জনাব হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাজী আহ্সান খলিল এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব জনাব সজিব কুমার সাহা, এফসিএ এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।

সভায় ব্যাংক নিজেদের পরিষেবা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারণা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

p
উপরে